অনুভবের দেশে

আচ্ছা, চলুন না, এমন কোথাও যাই,
যেখানে আপনাকে আমাকে চিনবে না কেউ।
আপনার কোনও ব্যস্ততা থাকবে না,
আমার কোনও পড়ার চাপ থাকবে না,
যেখানে কেউ আমাদের ঘিরে রাখবে না,
...কেউই না!


শুধু আমি আর আপনি বসে সারাক্ষণই গল্প করব।
আমি বকবক করেই যাব, আর আপনি
চুপচাপ আমার সব বকবক শুনেই যাবেন।
আমি রাজ্যের পাগলামি করব, আর আপনি
খুব শান্তটি হয়ে ভদ্রলোকের মতন আমাকে সহ্য করবেন।
পারবেন না? ভালো হতো না, বলুন তো…এমন হলে?
চলুন না…যাই!


ভাবছেন বুঝি, এ যে এক অল্পবয়েসি মেয়ের
কলস উপচে-পড়া যতসব মিথ্যে ফালতু আবেগ!
ভাবতেই পারেন! তবে এটা আপনার বাইরের
মুখোশটি ভাববে হয়তো, ভেতরের মুখে ঠিকই অন্য কথা!
আপনার মুখোশ আমার পাগলামিকে বিরক্তি বানায় যখন,
ঠিক তখনই আপনার মুখ এটাকে প্রশ্রয় দেবেই দেবে!
আমি জানি। আপনি বোধহয় নিজেও জানেন না অতটুকু!


আর হ্যাঁ, যেটা রইল…
পাগলামি! ওই…কল্পনা, ফ্যানটাসি…!
আপনার আপ্তবাক্যে…মিথ্যে আবেগ!
ওই যে আপনি তো প্রায়ই বলেন,
চরম বাস্তবতার সামনে পড়ে ওসব কক্ষনো টিকবে না!
বুঝেছি বুঝেছি, মশাই! লাগবে না তো!
আমি যে বাস্তবতার বাইরেই নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম আপনাকে!
এরপর? আর…?
হ্যাঁ, পড়ে রইল এখন হিসেব নিকেশ!
ওটা তো আছেই…থাকবেও!
তাই বলে কি মাঝেসাঝে হৃদয়ের আবেগ উপচে পড়তে নেই বুঝি!
আবেগ না থাকলে আজকের কোন কঠিন বাস্তবটা তৈরি হতো, শুনি?
আবেগকে বাদ রেখে সভ্যতার চাকা আদৌ কি ঘুরত কখনও?


চলুন না…যাই!
বেশি কিছু নয়, শুধু আপনার হাতটা ধরে
আপনার ঘরটাকে নিজের ঘর বলে ভাবব কিছু সময়…
সেই অনুভবের দেশে…যাবেন?