অলক্ষ্যের অধ্যাসে

 
চাও তুমি--
পৃথিবীর সমস্ত প্রেম
লুটাবে তোমার পায়...
সত্যি বলছি,
সত্যিকারের ভালোবাসা-
পাবে খুঁজে কোথায়?
দাসত্বের ভালোবাসা তো ভালোবাসার দাসত্বেই মিলায়।
 
সৎ ভালোবাসা--মিউজিয়ামে ভালো আছে।
নিপুণ সিঁধেল চোরের
নির্লজ্জ প্রতিদ্বন্দ্বী সেজে
কখনোসখনো, হৃদয়টাকে মিউজিয়ামে
ইজারা দিয়ে, ওই রত্ন
মেলেও যদি,
কোরো না অবজ্ঞা, ভুলেও...
ভালোবাসা একদিন,
অবহেলার অভিমানে হারালে পরে
আসে নাকো আর ফিরে
এমন‌ই অভিমানী সে!
আদরের সে ধন আদরে রেখো।
 
জানি,
'কেউ' কিংবা 'কেউ কেউ' হয়তো,
এই শুনে হেসে মরে।
বলে,
তাতে, কী‌-ই বা যায় এসে!
হারালে আগে, মিলবেও আগে! আহা, ভালোই তো!
ভালোবাসার হাত ধরেই তো ভালোবাসার হাতবদল!
আধুনিক ভালোবাসা--
হাতে বাঁচে, হৃদয়ে নয়!
হাতের নাগালে এতোই, হাত বাড়ালেই নেই!
 
ভাবনা আসে,
এরাও মানুষের মুখোশ ভালোবেসে সে মুখোশে ভালোবাসে!
পাঁজরের হাড়গুলোকে, অভিনয়ের আন্তরিকতায়, হৃদয় নামে ডাকে!
শরীর ফুরোয় তো ফুরোয় মন ফুরুৎফারুৎ! ভালোবাসা--মনে-মনে ওড়ে, শরীরে-শরীরে নড়ে।
 
অশরীরী অনুভূতিগুলো,
কাগজের শরীরে পুড়ে
আগুনের গনগনে সঙ্গমে
টাটকা পোড়াগন্ধে মিশে,
অদৃশ্য‌ই হয়ে থাক।
ওই অদৃশ্যকে যে দেখে,
প্রেমিক বলি তাকেই!
অবশ্য, যদি অদেখাও রয়ে যায়
সেও ভালো!
 
অনুভূতির--
হয় হোক মৃত্যু,
তাও সে
না হোক ভৃত্য!
জন্মের দায়হীন অনুভূতির মৃত্যুই যে ঠিকানা।
মৃত্যুর নেইদায় অনুভূতির জন্ম‌ই তো পাপ।
পাপের সে সুখ
পুণ্যের চেয়েও বড়!