অল্প কথার আরও গল্প

1) ৬০ সেকেন্ডের দুঃখ জীবন থেকে ১ মিনিটের সুখ চুরি করে ফেলে।

2) অনেক লোকই হারানো অর্থের শোক ভুলতে হৃদয় বিক্রি করে দেয়।

3) অন্যকে বোকা বানিয়ে সুখী হওয়ার চাইতে নিজেকে বোকা বানিয়ে সুখী হওয়ার মধ্যে আনন্দ অনেক বেশি।

4) অন্যের জীবন শেষ করে প্রতিশোধ নেয়ার চাইতে নিজের জীবনকে তার জীবনের চাইতে সুন্দর করে তৈরি করে প্রতিশোধ নেয়া উত্তম।

5) অভিযোগ করলে কিংবা রেগে গেলেও অনেক ব্যাপার আমরা কখনও বদলে ফেলতে পারব না। পুরোপুরি আমাদের উপর নির্ভর করে না, এমন জিনিস নিয়ে আমরা প্রায়ই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি—আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতি, ট্র্যাফিক জ্যাম, দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা, এরকম আরও কিছু বিষয়। ক্রমাগত অভিযোগ ও অসন্তোষ আমাদের জীবনীশক্তিকে কমিয়ে দিতে থাকে।

6) অর্থ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে পারে, তবে স্বাধীনতা দিতে পারে না।

7) অর্থ মানুষকে সুখ দিতে পারে না, তবে দুঃখের সময় এটি মানুষকে বিলাসিতা উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে পারে। অর্থই অনর্থের মূল, এটা বলতে গেলেও যথেষ্ট অর্থ পকেটে থাকতে হয়।

8) অর্থ সুখ দিতে পারুক না পারুক, দাম জিজ্ঞেস না করেই আনলিমিটেড শপিং করতে দেয়। দোকানে ঢুকে মন যা চায়, তা-ই কিনে ফেলা যায় দাম জিজ্ঞেস না করেই, এমন স্বাধীনতা অনেক সুখ দেয়।

9) অর্থের প্রভাবে কত প্রেমকে অমর হয়ে যেতে দেখলাম!

10) আগাছা পরিষ্কার করার নাম করে ফুলগুলি নষ্ট করে দেয়ার নামই রাজনৈতিক সংস্কার।

11) আপনার কাছের মানুষগুলি যখন আপনার সাথে এমন কিছু আচরণ করতে শুরু করে, যা দেখলে আপনার মনে হতে থাকে, এদের আপনি চেনেন না, তখন আপনি নিজেকে আস্তেআস্তে গুটিয়ে নেন। এতে বরং সমস্যা আরও বাড়ে। আপনার মধ্যে দ্বিধা বাড়ে, ভয় বাড়ে। একাকিত্ব নিরাপত্তাহীনতারও জন্ম দেয়। তখন সতর্ক থাকতে হয়। সে সময়ই আপনার জীবনে এমন কেউ আসবেন, যিনি আপনার জীবনটাকে শেষ করে দিয়ে চলে যাবেন, কিংবা কদাচিৎ, আপনার জীবনটাকে নতুন করে গড়ে নেয়ার পথ বাতলে দেবেন।

12) আপনার চরম বিপদের সময়, যখন আপনার সাথে সম্পর্ক রাখলেও জাগতিক কোনো লাভ নেই, তখন যে দুইএকজন বন্ধুকে পাশে পাবেন, প্রাণ গেলেও তাদের কখনও ভুলে যাবেন না।

13) আপনি যখন জীবনের উপর সমস্ত আশা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন, তখন যে মানুষটিকে আপনার পাশে পাবেন, সে-ই আপনার প্রকৃত বন্ধু।

14) আপনি যাকে ভালোবাসেন, তার কাছে থাকতে না পারলে, তার কাছে যে আছে, তাকে ভালোবাসুন। দেখবেন, ভাল লাগছে।

15) আমরা চট করে অন্যকে জাজ করে ফেলি। উনি ওরকম আচরণ কেন করেন কিংবা ওভাবে কেন কথা বলেন, তার পেছনের গল্পটা জানতে পারলে হয়তো নিজেরাই অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ হতে পারতাম।

16) আমরা নিজে যা ভোগ করতে পারি, তার বাইরে উপার্জিত প্রায় সব টাকাই কিছু অকৃতজ্ঞ, ভুলোমনা, এমন-কী কৃতঘ্ন মানুষের জন্য ব্যয়িত হয়।

17) আমরা প্রতিদিনেরটা প্রতিদিন না বেঁচে স্মৃতিতেই স্থির হয়ে থাকি। ফলে সময় এগোয়, কিন্তু জীবন এগোয় না।

18) আমরা মৃত মানুষগুলির দিকে তাকিয়েও মাথায় আনতে পারি না যে আমরা মরতেই জন্মেছি।

19) আমরা যাকে ভালোবাসি, তার চোখের দিকে, সে খেয়াল করবে না জেনেও তাকিয়ে থাকা, এর নামই ভোগান্তি।

20) আমি আমার প্রিয় মানুষটির সৌন্দর্যে এতটাই মগ্ন হয়ে ছিলাম যে নিজের সৌন্দর্য কখনওই চোখে পড়ল না।

21) আমি গোলাপের দোকানে গিয়েছিলাম। অনেক সময় নিয়ে বেছেবেছে সবচাইতে সুন্দর গোলাপগুলির একটি তোড়া কিনে প্রেমিকার কাছে যাই এবং গিয়ে দেখি সে গোলাপবাগানের সমস্ত কাঁটা হাতে নিয়ে আমার প্রতীক্ষায় বহুক্ষণ ধরে বসে আছে।

22) আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমি একজন দেশপ্রেমিক হতে চেয়েছিলাম, এখন বড়ো হয়েছি, তাই আমি রূপকথার গল্পগুলিতে আর বিশ্বাস করি না।

23) আমি যতবার আহত হয়েছি, ততবার শপথ করেছি যে এমন আঘাত আমি কখনওই কাউকে দেবো না।

24) আশীর্বাদ পাওয়ার চাইতে দেয়ার আনন্দই বেশি।

25) আশ্চর্য, পুরো পৃথিবী ঘুরেও একজন সুন্দর মানুষ পেলাম না! পরে বুঝলাম, সুন্দর মানুষটি আয়নাতেও নেই।

26) আসুন, জীবনে কিছু এক্সপেরিমেন্ট করি। এমন কারও সাথে দেখা করি, তাকে সময় দিই, যে আমার উপযুক্ত নয়। তাকে সম্মান দিই, তার মনে ভাললাগার অনুভূতির জন্ম দিই। কোনো পরিকল্পনা না করেই, চলুন, ঘুরতে চলে যাই। বোকাবোকা হাসি হেসে আর কণ্ঠ ছেড়ে গাইতেগাইতে জীবনটাকে দুম করে কাটিয়ে দিই। দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই কাউকে বলে দিই, সে আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যা জীবনে আর পাবো না, যা হারিয়ে গেছে, অন্য কারও হয়ে গেছে, তাকে না পাওয়ার আফসোস করা বন্ধ করে দিতে পারলে জীবন অনেক সুন্দর হতে পারত।

27) আসুন, পছন্দের কাজগুলি করার সময় বের করি। মনে কোনো উদ্বেগ না রেখেই চিন্তা করার অভ্যেস করি। মজা, হৈহুল্লোড় করার সময় খুঁজি। পড়ার জন্য, গান শোনার জন্য, মুভি দেখার জন্য, ঘোরার জন্য আলাদা সময় রাখি। সুখী হবার পথ খুঁজে বের করি। আমি আসলে কী চাই, তা নিয়ে স্বপ্ন দেখার সময়টা নিজেকে দিই। প্রেম ও ভালোবাসার জন্য ব্যস্ত সময় থেকে কিছু সময় সরিয়ে রাখি। আমাদের চারপাশটায় চোখ মেলে তাকাই, জীবনকে দেখি। আর কিছু হোক না হোক, প্রতিদিনই হাসার জন্য কিছু সময় বের করতেই হবে, কেননা আমি কাঁদলে তেমন কারও কিছুই এসে যায় না। এক মাস কাঁদুন, কেউ কোনো খোঁজ নেবে না। একদিন হাসুন, লোকেরা বলাবলি করতে শুরু করবে, আপনি পাগল হয়ে গেছেন। বুঝলেন ভায়া, এর নামই পৃথিবী! এখানে কান্না ও দুঃখ নিতান্তই ব্যক্তিগত ঘরের বাসিন্দা।

28) আসুন, সাঁতার শিখি……..আমরা তো প্রায়শই স্বপ্নে ডুবে যাই!

29) ইদানীং, অনেক লোকের কাছেই, আপনি অনলাইনে না থাকার অর্থই হল আপনি পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছেন।

30) ঈর্ষা ও অভিযোগ, এই দুই নিয়ে সুখী হওয়া অসম্ভব।

31) উচ্চবিত্তরা শয়তানের বাচ্চা পয়দা করে, মধ্যবিত্তরা শয়তানের বাচ্চা মানুষ করে, নিম্নবিত্তরা শয়তানের বাচ্চা পূজা করে।

32) এ জীবনে আমি এতবার মরতে চেয়েছি যে এখন বাঁচতেও লজ্জা লাগে।

33) এ পৃথিবীতে, খারাপ সময়ে, জড়িয়ে ধরে কাঁদার জন্য হলেও একজন বন্ধু দরকার।

34) এ পৃথিবীর বড়ো ট্র্যাজেডি: যার উপর নির্ভর করা যায়, তার ব্যাপারে নির্ভয় হওয়া যায় না। যার ব্যাপারে নির্ভয় হওয়া যায়, তার উপর নির্ভর করা যায় না। নির্ভর করো, নির্ভয় হও—এই নীতিতে চলতে পারে যারা, তাদের চেয়ে সুখী মানুষ আর কে আছে?

35) একজন খারাপ প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী হওয়ার চাইতে একজন ভাল বন্ধু হওয়া ভাল।

36) একজন মহিলার মধ্যে কখন ফেরেশতা ভর করে, কখন শয়তান ভর করে, সেটা আগে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই।

37) একজন মানুষ সারাজীবনই একা থাকতে পারে কাউকে পরোয়া না করেই, এমন-কী সে নিজের কবরটাও নিজেই খনন করতে পারে। তবু তাকে কবর দেওয়ার জন্য হলেও তো অন্তত একজনের সাথে তার সুসম্পর্ক রাখতে হবে। মানুষ মৃত্যুর পর হলেও পরনির্ভর হয়ে যায়।

38) একটা চুম্বনও একজন নারীর পুরো জীবনকে ভেঙে দিতে পারে। অপরদিকে, কয়েক রাতের সহবাসও একজন পুরুষ বেমালুম ভুলে যেতে পারে। প্রকৃতি মানুষকে এরকম করেই সৃষ্টি করেছে।

39) এমন-কী, নেকড়ের দল যখন বনে লড়াই করে, তখনও দূর থেকে বনকে শান্তই দেখায়। ফেসবুকের অনেক সুখী দম্পতির ঘরের প্রকৃত খোঁজ নিতে পারলে ওদের সম্পর্কে আমাদের ভিন্ন ধারণাও হতে পারতো।

40) ওর সাথে সারাদিন কথা বলেও ওকে বোঝাতে পারিনি যে আমি ওকে ভালোবাসি, অথচ ও এক হাসিতেই বুঝিয়ে দিল, এই পুরো দিনটাই আমার বৃথা গেছে!

41) ওরা বলে, নীরবতা স্বর্ণের মতো দামি। ওদেরকে আমার খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, যার কথাবলার কেউ নেই কিংবা থাকলেও সে মানুষটি তার কথার কোনো দাম দেয় না, তাকে যে নীরব হয়েই বাঁচতে হয় দিনের পর দিন, সে নীরবতার কী দাম?

42) ওরা বলে, মৃত্যুর ভয়ে বেঁচো। আমি তো জীবনের ভয়েই বাঁচতে হিমশিম খাচ্ছি।

43) কখনও কখনও একটি হাসি কিংবা একটি ভাল কথা অনেক সম্পদের চেয়েও বেশি মূল্যবান, কারণ তাদের আন্তরিকতা এবং সারল্য কারও হৃদয়কে জাগিয়ে তুলতে পারে, যিনি হয়তো বহুদিন ধরেই এমন কিছুর অপেক্ষায় ছিলেন।

44) কখনও কখনও ভালোবাসায় হাসিঠাট্টা থাকার চেয়ে কান্না থাকা ভাল।

45) কাউকে কখনও পাবো না জেনেও তার জন্য প্রতীক্ষা করার চাইতে কষ্টের আর কিছু হয় না।

46) কাউকেই কখনও বিশ্বাস করা যাবে না, এটা মেনে চলার চাইতে বলে চলে বাঁচা সোজা।

47) কাকদের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে ওদের মতো যেখানেসেখানে মলত্যাগ করার কৌশল রপ্ত করতে হবে।

48) কাপড়ের কিছুকিছু ছেঁড়া অংশ সেলাই করে মেরামত করা যায় না, তখন কাপড়টাই বদলে ফেলা ভাল।

49) কিছু আঁকতেই হলে বালিতে নয়, পাথরের উপর আঁকুন। ভালোবাসতেই হলে পুরুষকে নয়, নারীকে নয়, কোনো মানুষকে ভালোবাসুন।

50) কিছু মানুষ সবাইকে অনেক দিয়েও কাউকে খুশি করতে পারে না, কিছু মানুষ কাউকে কিছু না দিয়েও সবাইকে খুশি করে ফেলতে পারে।

51) কেউ টাকার জন্য কিডনি বেচে, কেউ কিডনির জন্য টাকা বেচে। পৃথিবীর ইতিহাসটা মোটামুটি এরকমই।

52) কেউ মানুষ হিসেবে কেমন, তা বুঝতে হলে হয় তাকে বিয়ে করতে হবে, কিংবা টাকা ধার দিতে হবে।

53) ক্ষণস্থায়ী সুখের রেশ সবচাইতে দীর্ঘ।

54) ক্ষয়িষ্ণু বন্ধুত্ব কাঁদায়, তার চাইতে বেশি কাঁদায় বর্ধিষ্ণু বন্ধুত্বের অভিনয়।

55) ঘরে আলো আসতে দিন, সম্ভব হলে রোদও। অন্ধকার ঘরে এক সন্তান উৎপাদন ছাড়া আর তেমন কিছু কোনোকালে হয়নি।

56) ঘরের ভেতর কুকুর রাজা, ঘরের বাইরে পুরুষ রাজা।

57) চাপাকান্না ভালোবাসার নিঃশব্দ ঘোষণা।

58) চারপাশে কত লোক, অথচ আমি সেই কবে থেকেই একাকী বোধ করেই চলেছি।

59) ছেলেরা বিয়ের আগে চোখকান খোলা রাখে, মেয়েরা বিয়ের পরে চোখকান খোলা রাখে। এবং, উভয় দলই ব্যর্থ প্রমাণিত হয়।

60) ছেলেরা—হয় এনগেজড, নতুবা রং-নাম্বার।

61) জীবন এমন এক ভোজ, যে ভোজের কোনো আইটেমই চোখের জল না ফেলে উপভোগ করা যায় না।

62) জীবন সিনেমা নয়—ইচ্ছেমত পেছনে বা সামনে টেনে নেয়া যায় না, কিছু সময়ের জন্য থামিয়ে রেখে অন্য কাজ করা যায় না, শেষ হবার আগেই ছেড়ে চলে যাওয়া যায় না।

63) জীবন!—কেটে যাচ্ছে, তবু রক্ত বেরোচ্ছে না।

64) জীবনে এমন অনেক সময় আসে, যে সময়ের অসহ্য ব্যথাটা অনুভব করার অনেক পর সে ব্যথার কথা মনে হলে আমরা অবাক হয়ে ভাবি, অতো ব্যথা সহ্য করলাম কীকরে!………মানুষের সহ্য করার ক্ষমতা তার কল্পনার চাইতেও অনেক বেশি।

65) টাকা উপার্জন করার জন্য অন্যের মাথা নিজের ঘাড়ের উপর রেখে নিজের মাথার অন্যের ঘাড়ের উপর রেখে দিতে হয়।

66) ঠোঁটের নয়, চোখের হাসিতেই মানুষের সুখ বোঝা যায়। ঠোঁট হাসে, চোখ হাসে না, এমন অনেক অসুখী মানুষ দেখেছি।

67) তবু বিয়ে করো, সুখী হওয়াই জীবনের সবকিছু না। ভেজা তোয়ালেটা বিছানায় ফেলে রাখলে কিংবা জুতো একঘরে, মোজা অন্যঘরে, তুমি আরেকঘরে………এমন কিছু পরিস্থিতিতে বকাঝকা করার জন্য হলেও একজনকে লাগে।

68) তিনটি ‘আর’ জীবনকে একেবারে শেষ করে দেয়—রেপুটেশন, রিকগনিশন, রেস্ট্রিকশন। যাদের জীবনে এই তিনটি নেই, তারা পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ। এই তিনটির জ্বালায় প্রায়ই দূরের দেশে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, যেখানে আমাকে কেউই চেনে না।

69) তুমি আর আমি—এটিই পৃথিবীর সবচাইতে ছোট দেশ।

70) ত্যাগই সুখের উৎস, এই কথাটি একটি শব্দ বাদ দিয়ে বলা হয়। শব্দটি হল: মলমূত্র।

71) দরিদ্রদের পাশে সবসময়ই ঈশ্বর থাকেন—প্রায়ই নিষ্ক্রিয় অবস্থায়।

72) নিজের ঘরে, বিবাহিত পুরুষের, ‘শেষকথা’ বলে কিছু নেই। স্ত্রীর শেষকথাই তার শেষকথা।

73) নিজের বউ কী চায়, তা বাদে পুরুষমানুষের জ্ঞানের আর তেমন কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।

74) নিজের বউ প্রেম করা দূরে থাক, কারও সাথে কথা বললেও মাথায় আগুন চড়ে যায়, এমন অনেক পুরুষকে অন্যের বউয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম করতে দেখেছি।

75) পকেট খালি, অথচ মাথা ভর্তি, এমন মানুষ প্রণম্য প্রাণ! পকেট ভর্তি, তবে মাথা খালি, এমন মানুষ কীটস্য কীট! পকেটও খালি, আবার মাথাও খালি, এমন মানুষ দাসস্য দাস!

76) পুণ্যের কষ্ট নয়, পাপের আনন্দই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

77) পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে লম্বা হয়, কেননা আগাছা সবসময় ফুলের সৌন্দর্যকে আড়াল করে রাখে। (ক্ষুব্ধ যাঁরা, পড়ুন তাঁরা: ………কেননা ফুল সবসময় কাঁটার কদর্যতাকে আড়াল করে রাখে।)

78) পৃথিবীতে এমন গরীব লোকও আছে, যার কাছে টাকা ছাড়া আর কিছুই নেই।

79) পৃথিবীর আসল যুদ্ধটি তো হয় একাকিত্বের বিরুদ্ধে!

80) পৃথিবীর কারও পক্ষেই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খুশি হওয়া সম্ভব নয়। ফলে, এমন অনেক মানুষকেই দেখা যায়, যারা কোনোকিছুতেই খুশি হয়ে উঠতে পারেন না, তাদের জীবনটাই কেটে যায় অভিযোগ করেকরে।

81) পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষই ভুল করার অলিখিত অধিকার নিয়ে জন্মায়।

82) পৃথিবীর সব মেয়েই ভাল, খারাপ স্ত্রীরা পৃথিবীর বাইরে থেকে আসে।

83) প্রকৃত বন্ধু ক্ষমা চাইতে ও করতে জানে, বন্ধুর ভুলত্রুটি ভুলে যেতে জানে। সবচাইতে বড়ো কথা, এমন বন্ধুর কাছে বন্ধুত্বের দাবি বন্ধুর সকল ভুলের চাইতেও বড়ো।

84) প্রচেষ্টায় অভ্যস্ত হওয়া মানুষের সহনশীলতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। সে কারণেই বিবাহিত পুরুষদের সহনশীলতা অনেক বেশি। ওরা সারাজীবনই প্রচেষ্টায় থাকে স্ত্রীকে খুশি রাখার, এবং ব্যর্থ হয়ে পরের প্রচেষ্টার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

85) প্রত্যেক মানুষই খুনি, কেননা প্রত্যেক মানুষকেই তার স্বপ্নগুলি খুন করেকরে বাঁচতে হয়।

86) প্রথম ছাপটি জীবনে টিকলো না, দ্বিতীয় ছাপটি জীবন টিকালো না। তবু জীবন আমাকে জ্যান্তই রেখে দেয়। নিঃশ্বাসের আসাযাওয়ার নামই কি তবে জীবন?

87) প্রয়োজনের তোষামোদের চাইতে প্রিয়জনের তোষামোদ বেশি আনন্দ দেয়।

88) প্রেম যদি করতেই হয়, তবে প্রাপ্তমনস্ক কারও সাথে করাই মজা।

89) প্রেমিকা বাপের বাড়ি ফিরে যাচ্ছে, এটা মেনে নেয়া যতটা কষ্টের, বউ বাপের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছে, এটা মনে আনা ততধিক আনন্দের।

90) ফাঁস খেয়ে, পানিতে ডুবে, বিষক্রিয়ায় আত্মহত্যা করলে চেহারা বিকৃত হয়ে যায়, ফলে তাকে মৃত্যুর পর কুৎসিত দেখাবে, এ ভয়ে অনেক মহিলাই আত্মহত্যার হাত থেকে বেঁচে গেছেন।

91) বন্ধু এমন কেউ যার উপর আপনি নির্ভর করতে পারেন, যে তার কথা রাখতে পারে, যার কাছে আপনার সকল গোপনীয়তাই নিরাপদ।

92) বন্ধুত্ব চুপচাপ আসে। ঢাকঢোল পিটিয়ে ডেকেডেকে বলে না, এই দেখো, আমি আমি এখানে আছি! আসে, আপনাকে অনুসরণ করে, বাড়তি কোনো বিরক্তির সৃষ্টি না করেই আপনাকে সঙ্গ দেয়, আপনি কোনো ঝামেলায় পড়ে গেলে নিঃস্বার্থভাবে হাত বাড়িয়ে দেয়।

93) বন্ধুত্ব হল সেই রুটির মতন, যা বাসি হলেও ক্ষুধা মেটায়। সেই নৈঃশব্দ্যের মতন, যা কিছু না বলেও সব বলে দেয়। সেই স্বপ্নের মতন, যা লোকে মৃত্যু এলেও ছাড়তে পারে না। সেই স্পর্শের মতন, যা কাছে না এসেও অনুভব করা যায়। সেই চোখের মতন, যা দেখে, বিচারও করে, তবে রায় দেয় না, বরং শুধরে দেয়। সেই হাওয়ার মতন, যা বইছে বলেই শ্বাস নিয়ে বেঁচে আছি। সেই হাতের মতন, যা কাছে টানে, তবে কোনো দায়ে বেঁধে ফেলে না। সেই শিশিরের মতন, যা আমাদের উদ্বেগকে প্রশ্রয় দেয়, আমাদের আশ্রয় দেয়। সেই দেবদূতের মতন, যিনি নিজেকে বিপন্ন করে হলেও বিপদের সময় পাশে এসে দাঁড়ান। সেই মায়ের মতন, যিনি পুরো পৃথিবীর বিপরীতে গিয়ে হলেও সন্তানকেই ভালোবাসেন।………এমন হৃদয়ের মতন, যে হৃদয় ভালোবাসে, তবে ভালোবাসতে বাধ্য করে না।

94) বসন্ত ফিরে আসে, প্রতিবছরই। বসন্তকে উপভোগ করার বয়সটি ফুরিয়ে যায়, প্রতিবছরই।

95) বসের সাথে হুইস্কি খাওয়ার চেয়ে শুয়োরের সাথে নাচাও ভাল।

96) বাঁচতে কষ্ট হলে বাঁচার সেরা পথটি বেছে নিন—প্রেমের পথ। এরপর বুঝুন আগে কত ভাল ছিলেন!

97) বাঁচতে হলে মানুষের অনেক কিছুই লাগে, সেসব কিছু না পেলে মন খারাপ হয়, তবে মজার ব্যাপার হল, দায়ে পড়লে মানুষ যেকোনো কিছু নিয়েই দিব্যি বাঁচতে পারে!

98) বাঁচার সবচাইতে সহজ উপায় হল এমন কিছু প্রিয় জিনিস খুঁজে বের করা, যেগুলির জন্য হলেও বেঁচে থাকা যায়।

99) বিয়ের আগে স্বপ্ন দেখতাম, সারারাত জেগে বউয়ের সাথে গল্প করবো। বিয়ের পর দেখি, আমার খালি ঘুম পায়।

100) বিয়ের পর মেয়েরা এক ঘর হারিয়ে আরেক ঘর পায়, ছেলেরা এক ঘর হারিয়ে আরেক ঘর হারায়।

101) বিয়ের পরও কেন একটা ছেলে নিজের বউ বাদে অন্য সুন্দরী মেয়েদের দিকে তাকাবে? আরে ভাই, ডায়েটিং করার সময় কি খাবারের মেন্যুর দিকে তাকানো নিষেধ?

102) ভালোবাসা হল সাপের মতো। লোকে তাকে দুধকলা দিয়ে পুষে বড়ো করে। এরপর যখনই লোকে তার মায়ায় পড়ে যায়, তখনই সে ছোবল মেরে হত্যা করে। তীব্র মায়ার ফলে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও লোকে তাকে বাধা দেয় না, এমন-কী প্রতিহত করার চেষ্টা পর্যন্ত করে না!

103) মানুষ এবং জ্বীন, আলাদা দুইটি জাতি। তদ্রূপ, নারী ও স্ত্রী, আলাদা দুইটি জাতি। বিয়ের আগে মেয়েরা একরকম, বিয়ের পরে অন্যরকম। একই অঙ্গে দুই রূপ। কোনোভাবেই কিছু মিলে না। তাই দেখেশুনে বিয়ে করা বলে আসলে কিছু নেই।

104) মানুষের মধ্যে থেকে তিলেতিলে মরার চাইতে অল্প সময়ের জন্যও একাকী বাঁচা অনেক ভাল।

105) মৃত্যুর ভয়ও মৃত্যুকে পিছিয়ে দিতে পারে না, সে ভয়ে মাঝখান থেকে বেঁচে থাকার কিছু আনন্দ বৃথাই নষ্ট হয়। আমি, কারও বিন্দুমাত্রও কোনো ক্ষতি করে না, এমন যেকোনো আনন্দ নিয়ে বেঁচেথাকার পক্ষে।

106) যখন আজও রৌদ্রের দৃষ্টিতে, বাতাসের প্রতিটি নিঃশ্বাসে, আকাঙ্ক্ষার সাথে……যাঁরা চলে গেছেন, তাঁদের উপস্থিতি টের পাই, তখন, অবশ্যই মৃত্যু একটি প্রয়োজনীয় ঘটনা, এমন কোনো প্রবোধ মানতে ইচ্ছে করে না।

107) যখন আমরা কোনো সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, তখন মনে হয়, এর বুঝি কোনো শেষ নেই। আমাদের ওরকম উদ্বেগ আমাদের আশেপাশের অনেকেই উপভোগ করে। বেশিরভাগ মানুষই অন্যকে বিপন্ন হতে দেখলে আনন্দ পায়। বিপদে না পড়লে আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না, যাকে আপনি এতটা কাছের ভাবছেন, আপনাকে বিপদে পড়তে দেখলে সেও কতটা খুশিতে লাফাতে পারে! মজার ব্যাপার হল, যখন সংকট আর থাকে না, তখন ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে বুঝতে পারি, ব্যাপারটি আসলে ততটা ভয়ংকর ছিল না, যতটা ভয়ংকর সেটিকে ধরে নিয়ে আমরা টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম, রিঅ্যাক্ট করেছিলাম।

108) যদি আপনার জীবনে অন্তত এমন একটি ঠিকানা থাকে, যেখানে আপনি যেকোনো অবস্থায়ই আশ্রয় নিতে পারেন এবং কমপক্ষে একটি ফোন নম্বর আপনার জানা থাকে, যেখানে ফোন করে আপনি সব ধরনের দুঃখ শেয়ার করতে পারেন, তবে আপনি বেশিরভাগ মানুষের চাইতে সুখী।

109) যদি আপনি এমন বন্ধু পান যে আপনার সুখকে উপভোগ করতে জানে, তবে আপনি অনেক সৌভাগ্যবান।

110) যা অনেক আশার বার্তা নিয়ে মানুষের জীবনে আসে……বিবাহ। এরপর? দেহ থেকে শুরু করে, আত্মা এবং হৃদয় হয়ে রক্ত পর্যন্ত এর প্রভাব টের পাওয়া যায়। তবুও আনন্দের কোনো মুহূর্ত থাকেই না, এমন নয়। তখন এ সম্পর্ককে অমূল্য মনে হয়। বাকি সময়টাতে এটি কেবলই একটি অভ্যাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের সম্পর্কগুলি টিকে থাকে প্রেমে নয়, ভালোবাসায় নয়……অভ্যেসে, নির্ভরতায়। বছর যায়, বছর আসে, এবং আমরা আরও বেশি করে অভ্যস্ত হয়ে উঠি একজন অচেনা মানুষের সাথে থাকতে। কখনওবা আমরা দূরে কোথাও উড়ে যেতে চাই, চেনা কোথাও, সেখানে গিয়েও আরও দূরের অচেনা কোনো স্বর্গ আবিষ্কার করার স্বপ্ন দেখি। ঠিক তখুনিই আমরা আমাদের প্রিয়জনদের কাছে ফিরে ভাবি, এই দুইটি পৃথিবী কীভাবে মিলিত হবে? কেউ কি সত্যিই এর উত্তর জানে? উত্তরটা যে পেয়েছে, সে কতই না সৌভাগ্যবান!

111) যাকে উষ্ণ রাখার কেউ নেই, তার জীবনে শীত মূল্যহীন। যার ঘাম মুছে দেয়ার কেউ নেই, তার শ্রমের কী-ইবা দাম? যাকে শাসন করার কেউ নেই, সে, ভুল করার যে আনন্দ, আদৌ কি তা পায় কখনও?

112) যারা আপনার সম্পর্কে বাজে কথা বলে, ওদের বলতে দিন। বেচারারা নিজেদের সম্পর্কে ভাল কথা বলতে চেয়েছিল, কেউই বিশ্বাস করেনি। ওদের দুঃখ কমাতে সাহায্য করুন।

113) যারা জীবনকে খুব বেশি সিরিয়াসলি নিয়েছিল, তারাও একদিন বেশি বাঁচেনি। তার মানে কী দাঁড়াল? জীবনকে সিরিয়াসলি নিলে কোনো লাভ নেই? লাভ আছে, ওতে বাঁচার সময়টাতে একটু ভালভাবে বাঁচা যায়। তবে তারও কোনো গ্যারান্টি নেই। কেন? আমরা যেভাবে ভাবি, প্ল্যান করি, জীবন সেভাবে চলে না, জীবন জীবনের গতিতেই চলে। আবারও এমনও হতে পারে, মৃত্যু এসে সবকিছু ভেস্তে দিতে পারে।

114) যারা নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখায়, বেশিরভাগ সময়ই, তাদের কানাকড়িও দাম থাকে না। যারা দামি, তাদের দাম দেখাতে হয় না, সময় হলে সবাই এমনিতেই তা দেখতে পায়।

115) যারা নিজের ভুল স্বীকার করতে জানে না, এমন-কী নিজের ভুল দেখেই না, তাদের সাথে থাকা পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন কাজ। যে স্বামী বা স্ত্রী কখনওই ভুল করে না, তেমন কোনো ‘নিখুঁত অমানুষ’য়ের সাথে ঘর করার চাইতে বড়ো দুর্ভাগ্য আর হয় না।

116) যে ঘরে বাবা-মায়ের সাথে ছেলে থাকে, সে ঘরে ছেলের বিয়ের আগে অবস্থান করে একটাই দল—সরকারি দল। বিয়ের পর ঘরে তৈরি হয় বিরোধী দল, কখনওবা বিরোধী দলের বিরোধী দল। ছেলে একাধিক হলে ওদের বিয়ের পর আরও দুএকটি স্বতন্ত্র দলেরও উদ্ভব হতে পারে! সে ঘরে যদি বোনও থাকে, তবে সে ঘরের অবস্থা নিয়ে বেশি কিছু না বলাই ভাল! মা হোক, স্ত্রী হোক, মেয়ে হোক আর বোন হোক, সব মেয়েই একেকটা ঈর্ষার, কুটনামির আর ইগোর ডিব্বা! সরল মন নিয়ে ঝামেলা না বাধিয়ে ঝগড়া না করে বেঁচে থাকতে মেয়েদের অস্বস্তি লাগে। একটা মেয়ে যে কত তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয় নিয়েও ভেবেটেবে ঝামেলা বাধিয়ে দিতে পারে, সেটা অভিজ্ঞতা না থাকলে কেউ বিশ্বাসই করবে না!

117) যে বন্ধুকে কেবল প্রশংসা দিয়েই আটকে রাখতে হয়, সে বন্ধু আপনাকে বন্ধু ভাবে না, অনুরাগী ভাবে।

118) যে মদ খাওয়ার আগেই মদের বোতল দেখে সুখে মাতাল হয়ে যায়, তার চাইতে বেশি সুখ নিয়ে মদ কেউ খেতে পারে না।

119) যে মানুষ অন্যদের স্মৃতিতে থাকে অবিশ্বাসে আর অসম্মানে, তার চাইতে দুঃখী আর কেউ হয় না।

120) যৌনতার সুখ পেতে ভালোবাসা লাগে না, ভালোবাসার সুখ পেতে যৌনতা লাগে না। ভালোবাসায় যৌনতা আসবেই, এমন কোনো কথা নেই। যৌনতায় ভালোবাসা লাগবেই, এমন কোনো কথা নেই।

121) লড়াই করে বাঁচতে হবে, এই অনুভূতিটা কখনও কখনও শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। হয়তো লড়াইটা এমন কিছু লোকের বিরুদ্ধে করতে হবে, যাদের আপনি ঘৃণা করেন, অথচ তারা আপনাকে ভালোবাসে। যেখানে আপনি যেকোনো সময়ই চাইলেই যেকোনো সম্পর্ক শেষ করে দিতে পারেন না, সেখানে লড়াইটা করবেন কীকরে? লড়াইয়ের চেষ্টা করবেন, পারবেন না, নিজেকে অথর্ব ও অসহায় মনে হবে।

122) লোকে বলে ঘুম তাড়াতে কফি খাও, আমি তো দেখলাম, ঘুম তাড়াতে কচকচ করে পয়সা খেলেই বরং বেশি কাজ হয়।

123) লোকে সবচাইতে কম বুঝে সবচাইতে বেশি যে কথাটি বলে, তা হল: আমি তোমাকে ভালোবাসি। কাউকে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে, স্পর্শ করতে ইচ্ছে করছে, লোকে ফচ্‌ করে বলে ফেলে: ভালোবাসি! ফাজলামো আর কাকে বলে! যত সহজে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে গলা ফাটায়, লোকে তত সহজে প্যারাসিটেমলও খায় না।

124) শখের কাজে আবার সময়ের হিসেব কীসের?

125) সন্তান হয়ে যাওয়ার কারণেই অনেক বিয়ে নিশ্চিত ডিভোর্সের হাত থেকে বেঁচে যায়। পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি না করেও কেবল সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে কত দম্পতি বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছে! খুঁজলে এমন কোষ্ঠকাঠিন্য-মার্কা সম্পর্ক অনেক পাবেন।

126) সবসময়ই শিখছি, এখনও তেমন কিছুই জানি না, অন্যরা আমার চাইতে বেশি জানে—এই তিন মনোভাব নিয়ে লোকের সাথে মেশা সবচাইতে আনন্দের।

127) সবসময়ই সিদ্ধান্ত বদলালেই ভাগ্য বদলে যায় না। ভাল লাগুক না লাগুক, নিয়তিকে গ্রহণ করতেই হয়।

128) সবাই মধুপান করতে পারে না, কেউকেউ মধুর খোঁজে মৌমাছি কচকচ করে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে।

129) সবাইই মৃত্যুর পর কারও না কারও স্মৃতিতে ফিরে আসে। বেঁচে থাকার সময় এমনভাবে বাঁচা দরকার, যাতে মৃত্যুর পর ফিরে আসাটা স্বস্তির হয়। বলতে পারেন, স্বস্তির কি অস্বস্তির, এতে মৃত মানুষটির কী এসে যায়? হ্যাঁ, ঠিক, উনার কিছুই হয়তো এসে যায় না, মৃতদের তো আর অনুভূতি থাকে না, কিন্তু যে মানুষগুলি উনি বেঁচে থাকার সময়ে উনাকে ভালোবাসতেন, উনার মৃত্যুর পর কেউ উনাকে নিয়ে বাজে কিছু বললে তাঁরা তো কষ্ট পান। আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলির জন্য হলেও, আসুন, সুন্দর হয়ে বাঁচি।

130) সমালোচিত হওয়ার ভয়ে আমরা পছন্দের অনেক কাজ করা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখি। অথচ আমরা ভাল আছি কি খারাপ আছি, এতে সমালোচকদের কিছু এসে যায় না।

131) সাহসী মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য হচ্ছে ছদ্মবেশী আশীর্বাদের মতো।

132) সুখ একটি বুদ্বুদের মতো, যাকে দেখা যায়, যাকে নিয়ে কথাবলা যায়, কিন্তু স্পর্শ করতে গেলেই তা হারিয়ে যায়।

133) সুখের উৎস তিনটি: সুরক্ষিত থাকার অনুভূতি পাওয়া। জীবনের ছোট বিষয়গুলি থেকে আনন্দ খুঁজে নেয়া। দেহ ও হৃদয়কে সুস্থ ও সরল রাখা।

134) সে কোটিপতি হতে চেয়েছিল এবং শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করেছিল। বাকিটা ইতিহাস।

135) সে বৃষ্টি পড়লে কাঁদত। আমি রোদ উঠলে হাসতাম। আমাদের প্রেমটা আর হল না।

136) সেখানে কখনওই যাবেন না, যেখানে কেউ আপনাকে চায় না।

137) স্ত্রীর রূপের ও রান্নার প্রশংসা করতে জানে না, এমন অনেক বিবাহিত ব্যাচেলর দেখেছি।

138) হায়, একসময়, হাত ছিল শূন্য, হৃদয় ছিল পূর্ণ; আর এখন, হাত হয়েছে পূর্ণ, হৃদয় হয়েছে শূন্য!