আটকে থাকে চোখে

 প্রতীক্ষা তো শেষ হবে না,
তোমায় যখন চাইতে মানা!
 
আমার পুতুলপুতুল মন,
তুমি ভাঙছ হাজার ক্ষণ।
 
আমার টুকরো-করা বায়না,
তুমি তবু কেন আসছ না?
 
আমার বোকাটে কথার ভাঁজ,
তোমার ব্যস্ততা খুব আজ।
 
আমার লেখা গানেও তুমি,
তোমার ছন্দতেই আলসেমি।
 
হতেম বহতা এক নদী,
কূলে বসতে তুমি যদি।
 
এই অনেকখানি কষ্ট,
রেখে হচ্ছি শুধু নষ্ট।
 
এত অল্পেই কত আবদার,
তুমি ভীষণ ভারি চুরমার।
 
আমার মনখারাপের দুপুর,
পায়ে তোমার‌ই দেয়া নূপুর।
 
আমার কত্তো অভিমান,
তবু তোমার প্রতিই টান।
 
নিজেকে গুছিয়ে নেবো, ভাবি,
রয়ে তবু যাচ্ছেই কিছু দাবি।
 
আমি কেউ নই তো আর,
তুমি বলেছিলে রোববার!
 
আমার একটুখানিই দাম,
তোমার অনেকখানি নাম।
 
আমার চলতি সময়খানি,
তুমি থমকে দাও, জানি।
 
আমার বদলে যাওয়ার ভয়,
তোমার যাওয়ার তারিখ নয়।
 
আমার বেকার দুটি চোখ,
তুমি অন্য কোনও লোক।
 
এ হৃদয়ে তোমায় রাখি,
যেন খাঁচায় ছোট্ট পাখি।
 
মনের গভীরে তোমায় ছুঁই,
তোমায় লুকিয়ে ডাকি তুই।
 
যাই আটকে স্মৃতির জালে,
মিশেছ কৃষ্ণচূড়ার লালে।
 
হাতের চুড়ি আজও বাজে,
তুমি শুনছ কেন না যে?
 
খোঁপায় ফুল না দিলে গুঁজে,
কেন চুলের ঘ্রাণটা নিলে খুঁজে?
 
আমার গায়ে তোমার শাল,
তোমার হাতে কার রুমাল?
 
মোড়ে রিকশা থেকে নামি,
সিটে ছিলাম শুধুই আমি।
 
আমার পুরনো সেই আয়না,
তাকে খুঁজেও আর পাই না।
 
আমার কপালে অনেক জ্বর,
তুমি তো হাঁটছ আরেক ঘর!
 
তবু ওড়াই রঙের ফানুস,
তুমি অন্য কারও মানুষ!
 
আমার স্বপ্ন তোমার জন্য,
তুমি হয়েছ আজ অন্য।
 
আমার দীর্ঘশ্বাসের দেয়াল,
তোমার অন্যসুরেই খেয়াল।
 
তুমি চলে গেছ, তা বুঝি,
সব বুঝেও তোমায় খুঁজি।
 
এ মনে দুঃখ আনি যেচে,
তুমি আফসোসে আছ বেঁচে।
 
তুমি খুঁজছ কেন কারণ,
যখন শুনব নাকো বারণ!
 
শুধু ঘর ছেড়েছি আমি,
তুমি দুই ঘরেতেই দামি।
 
চোখে তুমিই কেবল থাকো,
আর কেউ আসবে নাকো!
 
আমার রৌদ্রে পোড়া ঘর,
তুমি একলাই আমার পর।