আসো যদি, কাঁদাতেই এসো

 
বালিকা, তোমার বুদ্ধি অল্প, তাই আজও কবিতা পড়ো।
বালিকা, তোমার বুদ্ধি সত্যিই অল্প, তাই কবিতা পড়ে কবিকেও পড়ার জন্য ছুট দাও!
তুমি কবিতা খুঁজতে কবির কাছে গিয়ে, শেষমেশ কিনা…কবিকেই পেয়ে বসে থাকো!


বালিকা, তুমি আর কবে বুঝবে, কবির ইনবক্সে কবিতা নেই, শুধুই কবি আছেন!
কেন বুঝতে চাইছ না, কবিতাই সুন্দর, কবি নয়!
কবির চোখে কবিতা থাকে না, থাকে শুধুই একজন পুরুষমানুষ!
বোঝো বালিকা, বোঝো…বেশিরভাগ কবিই, মূলত, কুৎসিত প্রজাতির কষ্টদাতা!
বালিকা, কেন কষ্ট পেতেই এতটা উদগ্রীব হয়ে আছো তুমি?


এতকিছুর পরও, যদি ফিরে না যাও
আমার প্রেমিকা হওয়ার নিঃসংকোচ অভিপ্রায়ে,
তো…বেশ ভালো কথা!
দুঃখ তুমি দিতে পারোই, সে খবর আমিও রাখি।
দুঃখ তো অনেকেই দিলো…এই জীবনে!
ওদের মধ্যে, কেউই আজও…কাঁদাতে পারেনি!


তোমার প্রাক্তন প্রেমিক কিংবা ঈশ্বরের মতোই,
দুঃখকে উপেক্ষা করে বাঁচতে...আমিও জানি, বালিকা!
তাই মিনতি করে বলছি, উপেক্ষিতা হওয়ার লোভে আর কোথাও যেয়ো না!
তোমার মসৃণ পদযুগলকে শৃঙ্খলিত করে ফেলো...দেরি হয়ে যাবার আগেই!


দুঃখে দুঃখে এতগুলি বছর কাটল, কেউ একটুও কাঁদাতে পারল না!
বালিকা, কাঁদাতে যদি পারো, তবেই আমার জীবনে এসো, নয়তো নয়।
অশ্রুহীন দুঃখ দিতেই আসো যদি, তবে ওদের মতোই, তুমিও নিক্ষিপ্ত হবে বিস্মৃতির অঙ্গুরীয়তে…!


দুঃখ কি ব্যথা...আমার আর লাগবে না, বালিকা! সে আমি অনেক পেয়েছি!
এবার একটু অবিশ্রাম কাঁদতে চাই! এই বুকে অনেক কান্না জমে গেছে…!