ইচ্ছেবাড়ি

 
এক।

এই ধরো, অভিমান ‌করতে করতে...
কিছু একটা লিখেই ফেলি! পরক্ষণেই মনে হয়,
এটা পাঠালে যদি তোমার মন খারাপ হয়?
তোমার মন খারাপ হোক, এটা আমি‌ চাই না,
তাই রিমুভ করে দিই। আবার এমনও তো হতে পারে,
মন নয়, রীতিমতো তোমার মেজাজটাই খারাপ হলো, তখন?
বলতে পারো, আমি ভয়ে ভয়ে অনেক টেক্সটই রিমুভ করে দিই!


দুই।
ইদানীং, আমি ঘুম ভাঙলেই অনুভব করি,
তুমি আমার পাশে শুয়ে আছো, আমি তোমাকে স্পর্শ করে আছি…।
আসলে ঘুমটা আরও পরে ভাঙে…আগে বুঝতে পারি না।


তিন।
একটা কথা ছিল। আমি খেয়েছি কি না, স্নান করেছি কি না,
আমাকে এসব জিজ্ঞেস একদমই জিজ্ঞেস কোরো না! ওসব বলার জন্য আমার মা আছে।
তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসলেই হবে। কী, বাসবে তো?


চার।
তোমাকে আমি খুউব অনুভব করি।
আমাদের সামনে দেখা হলে তোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে দিয়ো।
অনেকক্ষণ ধরে কিন্তু! নিজেকে অত দ্রুত ছাড়িয়ে নিয়ো না,
যেমনটা তুমি প্রায়ই করো…কী যে তাড়াহুড়ো থাকে তোমার!
আমার কেমন জানি কষ্ট হয় তখন…।
মনে হয়, কত কিছুই তো বাকি রয়ে গেল!


পাঁচ।
কোথাও, কোনও একদিন, তোমার আমার একটি ঘর থাকবে।
সেখানে যখন তখন, যা ইচ্ছে, তা-ই করা যাবে।
আমার একটা মুহূর্তও তখন আর ক্ষয়ে যাবে না।
আমাদের অপেক্ষার সমস্ত প্রহর সেদিন সত্যিই ফুরোবে!
সে ঘরের নাম হবে---ইচ্ছেবাড়ি।


ছয়।
সেদিন, তোমার একটা কবিতায়…আমার নামটা দেখলাম।
কী যে আনন্দ হলো দেখে…কীভাবে বলি!
মাঝে মাঝে এসব তুচ্ছ ব্যাপারেও, আমি অনেক খুশি হয়ে যাই!


সাত।
আমার চোখে, তুমি বিশাল আকাশটার মতোই,...
আমার প্রতিটি সকাল তোমার হোক তোমার মতো করে…
তুমি আমাকে ভালোবাসো, এটা মনে এলেও,
আমি কখনও কখনও, বিষণ্ণ হয়ে যাই, অপরাধবোধে ভুগি।
মনে হতে থাকে, আমি তোমার জন্য ভীষণ অযোগ্য!