উপচে-পড়া মুঠোর মাপে

 
এক।

কেমন আছ গো, টুপুসসোনা?
উত্তরটাও কি দিতে মানা?
আচ্ছা যাও, দিতে হবে না।
আমিও টেক্সট করব টানা!


দুই।
তুমি যাকে খুব ভালোবাস,
তুমি কি তার সাথেই থেকে যাও?
সেও বুঝি থাকে তোমার খুব কাছেই?
সত্যিই থেকে যায় সব সম্পর্কের চাইতেও কাছে?


তোমরা থাকো একে অপরকে ছুঁয়ে,
নিজেদের ডাকো বিশেষ কোনও নামে,
বাস্তবে নেই যা, কল্পনাতে হলেও ঠিকই নিয়ে আসো কাছে,
ভালো লাগে বলেই তো অমন চোখখুলে হাসো…হয় না এমন?


তিন।
যার কাছে চাইলেই প্রেম পাওয়া যায়, আদর পাওয়া যায়, আশ্রয়টুকুও পাওয়া যায়…
তাকে ঘিরেই জমা রেখো সমস্ত আবেগ, শান্তি, স্বস্তি।
তার দিকে তাকানোর পর নিজের দিকে আর তাকিয়ো না,
এনো না ভুলেও…কোনও তুলনা কিংবা আফসোস!


সবচাইতে সুন্দর মানুষের সাথে প্রেম কি আর হয়?
যার সাথে প্রেম হয়, তাকেই যে সবচাইতে সুন্দর লাগে!
মানুষ তো আজীবনই খুঁজে চলে আধিক্যই।
অথচ প্রেমে পড়ে যায়…সারল্য দেখলে তবেই!


চার।
তুমি যদি আমার মেসেজ সিন নাও কর, অসুবিধে নেই।
ধরো, সিন করলে, তবে রিপ্লাইটা দিলে না।
বিশ্বাস করো, তাতেও অসুবিধে নেই একটুও!


তোমাকে তোমার কাছ থেকে আমার কাছে নিয়ে এসেছি সেই কবেই!
আমার যখনই তোমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে,
তোমাকে সত্যি সত্যিই পাশে পেয়ে যাই!
তুমি আমার পাশে থাক, গল্প শোন, গল্প কর…
জানো, ওই তুমিটা ভীষণ সরল, ওর মনে অনেক মায়া!
আমি ওকে নিয়ে ভালোই আছি!


কাজেই বলে রাখছি, তোমায় আমি আর কষ্ট দেবো না,
অকারণে, অসময়ে আর কখনও ডাকবই না!
যাচ্ছি। যাওয়ার সময় শুধু এটুকু বলে যাই…
যদি কখনও মনের ভুলেও আমায় খোঁজ,
একটা জোরে ডাক দিয়ো…
আমি ঠিক হাজির হয়ে যাব…
তোমার মনের সামনে না পেলেও চোখের সামনে ঠিকই আমায় পাবে!
ততদিন পর্যন্ত…ভালো থেকো! তোমায় কেউ খুব ভালোবাসে, মনে রেখো!


পাঁচ।
তুমি আমার গোধূলিবেলার এমন,
সন্ধ্যারাগে সুরের খেলা যেমন।


তুমি আমার চাঁদে-মোড়ানো ছবি,
হৃদয়নভে উদিত কোনও রবি।


তুমি আমার কবিতাখেলার বীথি,
এটুক বলেই টানছি লেখায় ইতি!