একরকমের ঝুঁকেথাকা

 
দিনের পর দিন ভেবেছি,
কোনও একদিন আমি সাজব।
পিঠের বাঁকে বাঁকে
একরাশ অলক ছড়িয়ে রাখব।
সেখানে টুক্‌ করে গেঁথে নেব
মোলায়েম হলুদ গাঁদা।


কৃষ্ণচূড়ার সবটুকু নির্যাস ছড়িয়ে রাখব
দুইঠোঁটে।
কানের পাশে চুলের ঢেউয়ে
লুকিয়ে থাকবে দুটি ছোট্ট বকুল।


তুমি আসবে।
চুল সরাবে, কানের পাশে নাক ডুবিয়ে
ঘ্রাণ নেবে।
এ স্বপ্নটি চোখে মেখে আছে,
আজ বহুদিন হলো।
এই স্বপ্নের ভাগ দিইনি
কাউকে আজও।


হলুদ গাঁদার কলি এখনও একটা সকাল খোঁজে।
কৃষ্ণচূড়ার ঘুম ভাঙেনি আজও।
বিকেলের রৌদ্র ক্রমেই নরম হয়ে আসে…


একদিন তুমি আসবে,
ওরা তোমাকে অভিবাদন জানানোর প্রতীক্ষায় আছে।


যদি কেউ আমার জন্য একহাঁটু জলে নামে,
আমি কখনও ধরে নিই না,
ওর জলে নামতে ভালো লাগে বলেই নেমেছে।


আমাকে ভেবে যদি কারও বুক পোড়ে,
এ জীবনে আমি কখনও ওর হাতে
গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট ধরিয়ে দিইনি।


আমি ভালোবাসতে ও ভালোবাসাকে গ্রহণ করতে জানি।
কারও প্রেমকে তার দুর্বলতা ভেবে
কখনও আঘাত করিনি আজও।


তুমি এলে। তোমার প্রতিটি অক্ষর আমার হলো।
আমার প্রতি তোমার সামান্যতম ঝোঁকও
আমাকে মুগ্ধ করে, কৃতজ্ঞতায় বাঁধে।


আমার ভাবনাগুলি, আমার শব্দগুলি
তোমাকে নিয়ে বাঁচে।
ওদের বেঁচে থাকতে দেখি, আর
নিজের মধ্যে একধরনের শক্তি টের পাই।


আমার হৃদয়ে, আমার প্রাণে
তোমার অস্তিত্বের সপ্তস্বরে
তোমাকে বাঁধছি প্রতিমুহূর্তে।


তুমি ছুঁয়ে দিলে
আমার সমস্ত সুরে কথা বাসা বাঁধে।
বকুলের গালিচায়
তোমাকে গ্রহণ করার অপেক্ষায়
আমার ছন্দগুলি তৈরি হয়ে থাকে।


তুমি থেকো। আমি নিজের মাপে
তোমাকে রাখিনি। তোমার মাপেই
নিজেকে গড়েছি।