এক ব্যক্তিগত ‘যাচ্ছেতাই’

 তুমি হচ্ছ এক যাচ্ছেতাই!
আমি শুনব না তো কোনও কথাই,
মানবই না কিছু…যা বল তুমি, মিথ্যে তা-ই!
আমার গল্পের নায়ক, সে যে তুমিই শুধু,
ভিলেনও আছে একটা, খুব দুষ্টু…সেও তুমিই!
তুমি কত কষ্ট দাও, এ দুচোখে জল ঝরাও,
অবহেলাটা তুমিই কর, অজুহাতও দেখাও তুমিই,
তুমিই রাগাও, অস্থির করে তুমিই তোল,
পাগল কর, মানও ভাঙাও,
তুমি কাছে টেনে নাও, আহ্লাদও কর…
আবার সেই তুমিই কিনা ভালোবেসে মেরেই ফেল!
 
সব দেখি নিজেরই হাতে রাখছ তুমি!
ময়দান তোমার, সৈন্য তোমার, অস্ত্রও তোমার!
সেখানটায় আমি কীসের মানুষ? দামই-বা কী তার?
সত্যি বলছি, খুব যাচ্ছেতাই তুমি একটা!
আমার কিছুই চাই না তো আর, চাই না আমি আর তোমাকেই!
তুমি সময় দাও না, অথচ বল, মন ভালো রাখো, একটু হাসো!
আরে বাবা, আমি কি রোবট নাকি?
আমার ভালো থাকতে লাগবে তোমায়! এইটুকুই ব্যস! বুঝেছ, বোকা?
তুমি নিজেকে কেমন লুকিয়ে রাখ, দাও না বুঝতে এতটুকুও;
চাও অথচ, আমিই যেন তোমাকে বুঝি আমার মতন! হয় ওরকম?
 
তুমি কিছুই বল না কেন? তবে ভালোবাসো বল কেমন করে?
এভাবে কেউ বাসে কি ভালো? এটাকেই বলে ভালোবাসা নাকি?
লোকে ভালোবাসলে করে যে কী কী, জানো না তাও?
সত্যিকারের যাচ্ছেতাই তুমি একটা!
আমি মানি না তোমায়,
গুনেগুনে একশোবারই ঝগড়া করে ছাড়ব তবে,
হবই না আর শান্ত আমি!
এবেলাতে শুনব না তো একটিও বারণ!
রাজ্যে যা-কিছু হয়, তার সবই বোঝার দায়টা যেন একা আমারই!
পৃথিবীসুদ্ধ মানুষ আছে…ওরা বুঝুক আর না-ইবা বুঝুক, আমাকেই সব বুঝতে হবে!
এমন কেন? বুঝি না আমি অতশত! আমি যে এক ছোট্ট মানুষ!
 
আমার কোনও চাহিদাই নেই,
শুধু তোমার বুকে মাথা রেখে ভালোবাসাটা নেব শুষে!
আমার যে কেবল চাই এটুকুই!
এক তোমাকে ছাড়া তোমার কিছুই লাগবে না আর! ওসবে আমার নেই যে মোহ এতটুকুও!
আর কেউ হবে না তুমি! তোমার মতন আর এক আছে---কেউ যদি বলেও অমন,
সে কেবলই মিছে প্রলাপ! ঢের বুঝেছি!
 
ওসব আমায় বোঝাতে এসো না!
দেখেছি অনেক, কেউ পারে না ‘তুমি’ হতে! আমার শুধুই লাগবে তোমায়!
আমার একটা ‘তুমি’ আছ! সেই ‘তুমি’টা বাদে…আমার কাছে মিথ্যে সবই!
আমার পৃথিবীটাও খুবই ছোটো!
সেই ছোট্ট পৃথিবীর সূর্য তুমি, চাঁদও তুমি!
তুমি আমার ক্লান্ত দুপুর, বিকেল-পেরোনো প্রশান্ত সে-রাত!
আমি পারব না আজ শান্ত হতে, চুপ থাকতে!
অত গুছিয়ে পারব না আজ বলতে কিছুই!
হয় বুঝে নাও, নতুবা নাকটা বাড়াও…মারব ঘুসি!