কুয়াশার খাম খুলে/চার

আপনি কি কখনও খেয়াল করসেন, আমি যে কথা বলার সময় অত্যধিক হাহাহিহি করি? করলে, হাহাহিহি কমায়ে করতে বলেন নাই কেন? তার মানে কি আপনারও হাহাহিহি পছন্দ? তাহলে আপনি নিজে রামগরুড়ের ছানা হয়ে ঘুরেন কেন? না করলে, খেয়াল করেন নাই কেন? তার মানে কি আমি কী বলি, সেটা আপনি পাত্তাই দেন না? যদি না দেন, কেন দেন না? আচ্ছা, মানুষের কত কিছু থাকে, মানুষ কত বড়লোক! আমার শুধুই প্রশ্ন আছে, তাই আমি কত ছোটলোক। (ছোটলোক মানে কিন্তু ইতর না, বড়লোকের উল্টাটা।) আমি আবার হাইটের দিক দিয়ে সেইইই বড়লোক! আমার এত প্রশ্ন মাথায় আসে কেন? (এটাও তো একটা প্রশ্ন হয়ে গেসে। প্রশ্ন করা ছাড়া মানুষ বাঁচে কীভাবে?……আবারও……ইয়াক্কক্কক্‌!)

আচ্ছা ডাগাস, তীব্র শীতের সকালে অফিসে যাওয়ার আগে গোসল করতে আপনার কেমন লাগে? এটা অনেক বড় একটা শাস্তি না, বলেন? কত চ্যালেঞ্জ নিয়ে মানুষ কাজটা করে, ঠিক বলসি না? শাওয়ারের নিচে অনেক দুরুদুরু বুকে যাওয়া, এরপর শাওয়ারের কল না ছেড়েই আবার সেখান থেকে টুক্‌ করে সরে আসা, মগে পানি নিয়ে পায়ের পাতায় পানি ঢেলে মিছেই দেখা পানি কতটা ঠাণ্ডা, বেসিনের কল ছেড়ে হাত ভেজানো, ঠাণ্ডা পানিতে ঢং করে উঃউঃ করা, অতঃপর সিদ্ধান্ত নেয়া, শাওয়ার না, বালতিতে পানি ভরে মগ দিয়েই শরীরে পানি ঢেলে গোসল করব। ছাড়লাম না শাওয়ার, বালতির উপরের কলটাই ছাড়লাম। সেখানেও কত কাহিনি! কল থেকে পানি পড়ার সময় পানির ধারার সাথে হাত দিয়ে কুলুক খেলা যাতে পানি হাত স্পর্শই করতে না পারে (কুলুক খেলা বুঝেন তো? এটা হল লুকোচুরি খেলা), মগে পানি নিয়ে খুব সাবধানে আর সংকোচে (!) হাঁটু থেকে পানি ঢেলেঢেলে শরীর কাঁপিয়ে গোসলের রিহার্সাল দেয়া, এরপর দাঁতমুখ খিঁচিয়ে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানি গায়ে ঢেলে, রিইইইইই……! দুম্‌ করে মাথায় কয়েক মগ পানি ঢেলে বিশ্বজয়ের গৌরবে সমানে চিল্লায়ে-চিল্লায়ে পরবর্তী মগগুলা অতিদ্রুত গায়ে ঝপাতঝপাত ঢালতে থাকা—যেন কিছুই হয় নাই, অতো ঠাণ্ডাফাণ্ডাও লাগতেসে না, এমন একটা ভাব। আবার অন্য পাত্রে জমানো পানি থাকলে সেটা তো আরও ঠাণ্ডা হয় সারারাত ধরে, সেখান থেকে পানি নিয়ে তা গায়ে ঢাললে মনে হয় যেন গায়ের চামড়া অনুভূতিশূন্য হয়ে গেসে, এখন ব্লেড দিয়ে ফালিফালি করে চামড়া চিরে ফেললেও একটুও ব্যথা লাগবে না……ঠিক এ সময়ই আবার কলের পানি, মানে যেগুলা বালতিতে পড়তেসে, সেগুলা গায়ে ঢাললে কেমন জানি একটু গরমগরম আরাম লাগে দুই পানির তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য—ফিজিক্সে এটা নিয়ে কী জানি পড়সিলাম, ছাতার মাথা মনেও নাই। গোসল করার সময় এমনভাবে সমানে হাত-পা ছুঁড়তে থাকি, যেন কোনও শত্রুর সাথে যুদ্ধ করতেসি—এমন শীতের সকালে গোসল যুদ্ধ ছাড়া আর কী! অতো হিমশীতল পানির কাছে নিজেকে এমনিএমনি কোনও প্রতিবাদ না করেই সঁপে দেয়া যায় নাকি? শীতের পানি ধর্ষণে ওস্তাদ! ভদ্রলোকরা এমন শীতে প্রতিদিন গোসল করে, আর আমি করি সপ্তাহে তিন-চারবার। আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু কখনওই গরম পানিতে গোসল করি না, তা যতই শীত পড়ুক না কেন, ঠাণ্ডায় জমে গেলেও না! গরম পানিতে গোসল করাটাকে আমার কেমন জানি ঢং আর ন্যাকামি মনে হয়। সেখানে যুদ্ধজয়ের কোনও আনন্দই নেই, শীতের প্রতি একটুও রেস্পেক্ট দেখানো হয় না, নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার উন্মাদনা সেখানে কই পাবেন, বলেন? আমার তো নিজেকেই খোঁচাতে ভাল লাগে। ওই যে গেইযার না কী জানি বলে মেশিনটাকে, ওটা দেখলেই মেজাজখারাপ হয়। ওইটাতে ঢিল ছুঁড়ে মেরে ভেঙে ফেলতে ইচ্ছা করে। কী দরকার! ওই মেশিন কেনার টাকা বাঁচিয়ে কিছু খেজুরের রস আর চালের গুঁড়া কিনে পিঠা বানিয়ে খেলে কী হয়, ভাই? জানেন, আমার না তুষারবৃষ্টি দেখার অনেক শখ। কিন্তু আবার ভাবি, এই শীতেই তো কত লোকের কত কষ্ট! কত গরীব লোক ঠাণ্ডায় কাঁপতে-কাঁপতে মারা যাচ্ছে। আমার অমন শখ পূরণ হলে তো বাংলাদেশে হাজারহাজার মানুষ নিমিষেই মারা যাবে! দরকার নাই আরও শীতের! আমার যে শখের দাম অতগুলা মানুষের জীবন, আমার সে শখ আজীবন অপূর্ণই থেকে যাক। আচ্ছা, আপনি শীতে কি হ্যাঁচ্চো-হ্যাঁচ্চো করেন সারাদিন? আপনার ওইরকম অবস্থার একটা সেলফি তুলে পাঠাইয়েন তো! হিহিহি……

শীতের সকালে বাথরুমে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে একটা লাভ কিন্তু আছে—শরীরের ঠাণ্ডা কমে যায়, কারণ পানির তাপমাত্রা তো বাইরের বাতাসের তাপমাত্রার চাইতে অনেক কম, তাই শরীরে ওই পানি ঢেলে এরপর বাতাসে আসলে বাইরের বাতাসটা একটু গরমই লাগে। এটা ভেবে একটা কথা মনে হইসে হঠাৎ, বলে ফেলি, কেমন? শীতে যেমনি শীত কাটে, তেমনি কষ্টে কষ্ট কাটে। কথাটা ভাল হইসে না, বলেন?

আচ্ছা শোনেন, খ্যাতের লিস্টে কিন্তু আমার পেছনেও আমার দুএকটা বান্ধবীও আছে। তো আমি যতই খ্যাত হই, সবার শেষে কিন্তু না। আবার আমাকে সবাই বলে যে আমি নাকি বোকা, আমার ফ্রেণ্ডরা নাকি আমাকে এক পকেটে ঢুকায়ে আরেক পকেট দিয়ে বের করবে, এই টাইপ কী কতগুলা জানি বলে ওরা। আচ্ছা, ওদের এত কষ্ট করার দরকার আছে? ওরা যা-ই হোক, আমি তো ওদের ভালোবাসি! আর আমি নিজ থেকেই তো হেসেহেসে ওদের পকেটে ঢুকি! বলাও লাগে না! ক্যান ওরা বুদ্ধি করে আমাকে পকেটে ঢুকানোর পেইনটা নিতে যাবে? ওই কাম তো আমি নিজেই করি! আমি সবার সাথেই মিশি। আমি জানি যে, আমি প্রভাবিত হব না, আমার মনে ছাঁকনি আছে। একসাথে তিনটা বয়ফ্রেন্ডওয়ালিকে দেখেও প্রেম করতে মন চায় না, আবার হিজাবপরা অতিপবিত্র মেয়েকে দেখেও বন্দী হতে মন চায় না, কিন্তু ওরা সব্বাইই আমার প্রিয়। হইসে কী জানেন, আমি কী কারণে জানি একটু বিষণ্ন অবস্থায় আছি। আমি মাঝেমাঝেই এমন হই। কিচ্ছু ভাল লাগে না। আচ্ছা অনেক বকবক করলাম, কিন্তু কথা দিসিলাম, আপনাকে সহনশীল হবার মন্ত্র শিখাব, কিন্তু সরি ভাই, মন্ত্রটা এখন শেখাতে ইচ্ছা করতেসে না। অন্যদিন, মানে পরে কোনও একসময় বেঁচে থাকলে বলবনি, আপনার কাজে দিতেও পারে। আমি আপনার সাথে দালালগিরি করতে ভালোবাসি। আপনাকে তো আরও অন্নেএএএক্কদূর যেতে হবে, না? তাই সহনশীল হতে হবেরে ভাই। আচ্ছা, এই ‘ভাই’ কিন্তু সেই ‘ভাই’ না! এটা এমনি ভাই। মিছামিছি ভাই। এটা মাথায় রেখে আমার কথা শুনবেন। পরে আবার বইলেন না যেন আমি আপনাকে মায়ের পেটের আপন ভাই বানাইসি। কিন্ত একটা কথা বলি? আমার কাছে ডার্লিং আর হটিমটি এইসব বালছাল শোনার চেয়ে ‘বোন’ শোনা অনেক ভাল। উত্তমকুমারকে দেখসি সিনেমায় নায়িকাকে দুষ্টুমি করে সিস্টার বলে। দেখে আমার কাছে কিউট লাগসে। আমাকে যদি কেউ ডার্লিংফার্লিং বলে তো খোদার কসম, ওর গা ভরে বমি করে দিব। সবুজরঙের বমি! ক্যান? শুদ্ধ বাংলা কথা বা অন্য সুন্দর কথা নাই? কারও মুখে ডার্লিং ডাকটা শুনলেই ওর পাছায় লাত্থি মারতে ইচ্ছা করে। অবাক হচ্ছেন? আপনার গায়ের উপর বমি করি নাই, তাই? আপনার একটাই ব্লেজার যে! ওইটা নষ্ট হয়ে গেলে সেমিনারে যেয়ে ঠকঠক করে কাঁপবেন আর আপনার উপর মেয়েদের মায়া আরও বেড়ে যাবে (তাদের মধ্যে কেউকেউ ঢং করে গায়ের শালটাল খুলে আপনাকে দিয়ে দিতে পারে!) আর তখন আমার রাগ লাগবে। খুব বেশি রাগ। তাই সবুজ বমিটা ইচ্ছা করেই করলাম না। আচ্ছা সরি, এমনিতেই করি নাই, আবেগে ভুলে গেসিলাম। হাহাহা…..সত্যি সরি।

এখন একটু সিরিয়াস কথা বলি? আমি তো খাবারদাবার চরম কন্ট্রোল করে খাই। মানে, দুপুরে শসামসা খাই, ডালফাল খাই, ভাত একেবারেই অল্প বা খাইই না, কিন্তু সন্ধ্যায় ঢোকসা ভরে নাস্তা খাই আর রাতের খাবার খাই কয়েক দফা! হাহাহা……তো যা-ই হোক, ডায়েটফায়েট করেই হোক আর ডায়াবেটিসের জন্যই হোক, আমি একটু হলেও শুকাইসি। তো আমি যে শুকালামমমমম তো আমার ওজন কেন এক কেজিও কমে নাআআআআআ? পারলে উত্তর দেন তো দেখি! ডাগাসকে এই প্রত্থম কোনও প্রশ্ন করলাম যার উত্তরটা আমি জানি। উত্তর হচ্ছে যে, না খেতে পেয়ে একটা হাতি যতই চিকনা হয়ে যাক, সে তো একটা হাতিই থাকবে! নাকি? তাকে তো আর কেউ ছাগল বলে চিনবে না? তাই না? আমি হাতি ছিলাম, হাতিই আছি, হাতিই থাকব। না খেয়ে মরে গেলেও হাতি হয়েই মরব। আইচ্ছা খোদা হাপেইজ। আইচ্চা ছেচ রিকুয়েচটো: আপনি কুকুর, শুয়োর, বান্দর, হনু কত্ত কিছু নিয়ে অন্তত একটা শব্দ হলেও লিখসেন, কিন্তু হাতিকে নিয়ে কিছু লেখেন নাই ক্যান? হাতি কিন্তু অনেক কুউল একটা প্রাণী! ‘বাবলি’ পড়সেন না? একটা ঐরাবতমার্কা নায়িকাকে নিয়ে বুদ্ধদেব গুহ কত্ত মিষ্টিমিষ্টি কথা লিখসেন! এই জন্য উনাকে আমার খুবই পছন্দ। আপনিও লিখবেন, আচ্ছা? ‘দাম লাগা কে হাইসা’ দেখসেন? একটা মোটকু মেয়েকে আয়ুষ্মান খুররানা কত্ত ভালোবাসে। দেখলেই তো শান্তিশান্তি লাগে। দার্দ কাররারা গানটা শোনার সময় আমি নিজেকে ওই নায়িকার জায়গায় কল্পনা করে কত্তবার যে নাচসি! আমি কিন্তু আয়ুষ্মানের সাথে খারাপ নাচি না! (এইটা একটা সত্যি কথা! আচ্ছা, আপনি কেন আমার কোনও কথাই বিশ্বাস করেন না, সিরিয়াসলি নেন না? নাকি নেন? আমি গাধী বুঝি না!) শুনেন না, আয়ুষ্মানকে আমার হায়রে পছন্দ হইসে! দেখি, ওকে আমার বয়ফ্রেন্ড হওয়ার একটা সুযোগ দেওয়া যায় কি না! যা-ই বলেন না কেন, হাতি খুবই ভাল, কুউল আর সুইট একটা প্রাণী। ওইটা আমার প্রিয়। কারণ, ওর সাথে আমার কী জানি মিল পাই। কিন্তু ওর মতন আমি অত কিছু মনে রাখতে পারি না! ওই এক কারণেই ওকে দেখলে আমার একটুসখানি হিংসাআআআও হয়।

আচ্ছা, যাদের কিছু মনে থাকে না তাদের জন্যে দুইটা আমল আছে, যেগুলা আমি প্রায়ই মনেমনে বলি:

১। রাব্বি জিদনি ইলমা- রাব্বি ইয়াসসির, ওয়ালাতুআসসির ওয়া তামমিম আলাইনা বিল খাইর।

২। রাব্বিস রাহলি ছাদরি ওয়াইয়াছছিরলি আমরি ওয়াহ্লুল উক্বদাতাম মিল্লিছানি ইয়াফ ক্বাহুকাওলি।

আমি আমার অভিজ্ঞতায় দেখসি, এইগুলা বললে আমার কাজ হয়। আপনি আপনার মত করে এইগুলার বাংলা অর্থ দুইটা মনেমনে বলতে পারেন, সকালে সন্ধ্যায়, যখন খুশি, যতবার খুশি। অর্থ দুইটা লিখে দিচ্ছি:

প্রথমটা: হে আমার প্রভু! আপনি আমার বিদ্যা বৃদ্ধি করুন। হে আমার প্রভু! আপনি আমার জন্য বিষয়টি সহজ করে দিন, কঠিন না করুন এবং কল্যাণের সঙ্গে বিষয়টির সমাপ্তি ঘটান।

দ্বিতীয়টা: হে আমার প্রভু! আমার হৃদয় প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন, আর আমার জিহ্বা থেকে জড়তা দূর করে দিন, যাতে লোক আমার কথা বুঝতে পারে এবং আমার জন্য একজন সহায়ক নিযুক্ত করে দিন আমার পরিবার-পরিজন থেকে।

আচ্ছা ডাগাস, আবার ভেবে বইসেন না আমি এসবে পণ্ডিত। আমি কিন্তু আরবিপড়া জানি না, এমনকি অনেকগুলা অক্ষরও চিনিও না। এই আমল দুইটা আব্বা শিখায়ে দিসে আমাকে। এগুলাতে স্মরণশক্তি বাড়ে। আমার ভুলেযাওয়া রোগ দিনদিন চরম আকার নিচ্ছে যে! তাই আব্বা বলল এই ব্যবস্থা নিতে। অনুগ্রহ করে এইটা ভেবে আমাকে এত গাধাও ভাইবেন না যে, আপনি সব ধর্মের প্রতি উদার বলেই আপনাকে এইসব বলসি! কেন জানি মনে পড়ল, তাই বললাম। কোনও কারণই নাই। কী করব? ভাল লাগতেসে না! ঘুম আসতেসে না আর পাইসি এক ভদ্র বাচ্চা। সেই বাচ্চার সাথে পকরপকর করতেসি আরকি! আম্মাও ঢাকায়, আবার আব্বাও কালকে ঢাকায় চলে যাবে! এবার প্রথম একাই থাকতে হবে! কেউ নবাবগঞ্জেও নিয়ে বেড়াতে যাবে না, আবার কেউ পুঠিয়াতেও বেড়াতে নিয়ে যাবে না! আমাকে ফেলে সবাই ক্যাম্পে যেয়ে মজা করবে! উইয়া…… উইয়া…… উঁউঁউঁউঁ……

আচ্ছা, মিছামিছি একটু আহ্লাদ করলাম কিন্তু আবার সত্যি ভাইবেন না। হ্যাঁ? এমনি একটু আহ্লাদ করতে ইচ্ছা হল আপনার সাথে। আমার তো আর আহ্লাদ করার কোনও মানুষ নাই, কী করব! আচ্ছা যান, আর জ্বালাব না। সত্যি বলতেসি! টাট্টট্টটা……উইয়া……উইয়া……উঁউঁউঁউঁ……

এই চত্তুর পখাআআ! কেম্মুন আস্বো তুম্মি? কী অবস্থা তুম্মার? ঠাণ্ডা কেমুন লাগে? সবকিসু ঠিকঠাক আছে তো? তুমি অ্যাত্ত ছুন্দল করে লেখ কীভাবে? হুঁউউউউ……? আমি তো মুগ্ধ হয়া গ্যাসি! আর মুগ্ধ হয়া তিন্ডা ডিগবাজিও খায়া ফ্যালাইসি! এখন কী হপ্পে? খিক্ষিক্ষিক্ষিক……আসসা যাও, সত্যি বলতেসি। আর যৌবনেও, থুউক্কু! মানে জীব্বব্বনেও দুত্তুমি কলব না, আল জীব্বনেও জ্বালাব না। ও জান, যানগা! সত্যি!? আমি এখন ভাল মেয়ে হতে চাই। ভদ্র মেয়ে। পরপুরুষের সাথে নো কথাকথি। কিন্তু যদি থাকতে না পারি? জ্বালায় ফেলি যদি আপনাকে? তখন? আচ্ছাআআআআ…… আমাকে একটা বোরকা কিনে দিয়েন তো ডাগাস! ভাবতেসি বোরকা পিন্দে লিখব। হবে না? আর আপনি জুব্বাটুব্বা পরে আর মাথায় টুপিমুপি পরে আর চোখে সুরমাটুরমা দিয়ে তলচোখে আমার লেখাগুলা পড়ে নিলেন! হবে না? এটা খুব্বি ভাল বুদ্ধি বের করসি। এটাই হবে। টাটা। আর শোনেন, আপনার ওই ক্যাম্পফায়ারের লিখাগুলা খুব সুন্দর হইসে। ওই যে……এটা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে, হাওয়া বইছে, ছাই উড়ছে, কী জানি……কী জানি! ওটা খুউব, মানে সব থেকে বেশি ভাল লাগসে, ইক্টুটুক হিংসা লাগসে ওইখানে আমি যেতে পারি নাই, তাই, কিন্তু ওইটাই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগসে। অবশ্য আমিও একটা মানুষ! আমার আবার ভাললাগা! আমার যা ভাল লাগে, অনেকের সেটা ভাল লাগে না। যা-ই হোক, ডাগাস, আজকে আমার একটা গাধার মত কাজ হইসে। আপনাকে নিয়ে গল্প বলতে গিয়ে আমার ছোটবোনের সামনে আপনার নামটা মুখ ফসকে বের হয়ে গেসে! ছিঃহ্‌! কী আর করা! সব বলে ফেললাম তারপর। অনেক কিরা-টিরা কাটাই নিসি অবশ্য। ও কাউকে বলবে না বলসে। আপনার সম্পর্কে একটু বেশি বাড়ায়ে বলে ফেলসি তো! ওর খুব শখ হইসে আপনার আওয়াজ মানে ক্কক্কক্কক্কণ্ঠসসসসস্বস্বস্বর শোনার। উফ! আজকালকার ছেলেপেলে! আর বলবেন না! ওরা অ্যাত্তগুলা ইয়া! আচ্ছা, কোনও একদিন শোনাবেন তো আমি ফোন করলে! ঠিক আছে? আপনি তো ভাল পুং, ছোটদের সাথে তো আর ভাব নিবেন না! তাই না?

আচ্ছা, একটা দরকারি কথা। আমি হয়তো আপনাকে এখনকার মত এত ঘনঘন দেখতে আসতে পারব না। বিদেশ থেকে আমার বাঘমামা আসতেসে তো। মানে এসে গেসে, কাল রাজশাহী আসবে। আমার ঘর-বাথরুম-কম্পিউটার সব, এমনকি আমি নিজেও মামার দখলে চলে যাব। মামা আমাদেরকে খুব ভালোবাসে (আমরাও উনাকে) আর সবসময় উনার সাথে গল্প করতে হয়। নয়তো মন খারাপ করবে যে! এতদূর থেকে শুধু আমাদের জন্যই তো আসে! তো আমি কিন্তু আপনাকে মিস করব সবসময়। এই ব্যাপারটা আপনার জন্য কিসু না, ঠিক না, বলেন? এরকম মিস আপনাকে সবাই করে, না? আসলে যার মনে অনেকেই বাস করে, তার মনে আলাদা কোনও স্থান আশা করাটা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না। সমস্যা নাই, আমি মেনে নিসি।

এই শোনেন না, আমি কিন্তু সুযোগ পেলেই আপনাকে দেখতে আসব। চুউউউপটি করে। আপনি লক্ষ্মী ভদ্র কিউট বাচ্চা হয়ে থাকবেন, হ্যাঁ?

একটা, মানে দুইটা চোখ আপনাকে ফলো করবে, মনে রাখবেন। তবে আমি এখন আপনাকে যতটা ফলো করি, ফেসবুকে ফ্রেন্ড হবার আগে আরও বেশি খুঁটায়ে-খুঁটায়ে করতাম। পেয়ে গেসি তো তাই আকুলতা ব্যাকুলতা ছটফটানি ধকধকানি একটুসখানি কমে গেসে। মামা আসাতে ভালই হইসে, গ্যাপ দিয়ে-দিয়ে দেখলে আপনার আরও বেশি লেখা পড়তে পারব। আর….আরেকটা জরুরি কথা। এফবিতে কিছু ফালতু খেলাতে আপনার নাম পাইসি আমার সাথে, তাই মজা করে শেয়ার দিসি, যদিও আপনি দেখবেন না, তাও বলতেসি, ভয় নাই, কেউ ওসব দেখতে পাবে না। ওগুলা এমনি মজা। আপনি কিন্তু আবার ভয় পেয়ে বসবেন না। ওগুলা পুরাই ফালতু অ্যাপস, নইলে বড়মামাকে আমার নেক্সট ভ্যালেন্টাইন বানায়? আমার সম্পর্কে আরেকটা তথ্য দিই। আমি কারও মাথায় উঠে নাচি কম, মানে মাথায় উঠতে চাই না। আমার যেখানে থাকার কথা, সেইখানেই থাকি। আপনি কিন্তু আমার সব কথায় ভয় পাবেন না, আমার সব কথার অর্থ নাই কিন্তু, আমি এমনিই প্রচুর কথা বলি। আমি বাচাল তো, তাই! আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা তো আছেই। সব বছরের চেয়ে এই বছর আরও সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ্‌, তার পরের বছর আরও আরও, পরেরটা আরও আরও আরও……। এই বছরে আপনাকে শুভেচ্ছা দিলাম, সামনে বছরে পারব তো!? আল্লাহ্‌ই জানে। আচ্ছা খোদা হাপেইজ। আর আমাকে মিস করবেন, আচ্ছা? আরে একটুখানি মিসই তো! একটু করলে কী হয়? একটা রহস্য আছে, দিনদিন আমার বয়স মনে হচ্ছে কমে যাচ্ছে। আপনি জানেন না আর জানলেও বিশ্বাস হবে না, কিন্তু কথা সেটা না। কথা হচ্ছে, আমি একটা বাচ্চা মেয়ের মত আচরণ করতেসি। এর পিছনে কিন্তু কোনও কারণ নাই। এমনিতেই! নিজের উপর রাগও লাগে, আবার ভালও লাগে। আপনি বুঝবেন না। এটার মানে কী, আমি জানি না। জানতে ইচ্ছাও করে না। যদি জানতে গেলে এই সময়টা হারিয়ে যায়, সে ভয়ে! আরররররর…… ধন্যবাদ ডাগাস। টাটা!

ইয়ে মানে, একটা কথা……আপনার কি ওওওওই ঢঢঢঢংপত্রওওওয়ালির সাথে প্পপ্পপ্পপ্পেপ্পেপ্রেম-ট্রেম হয়ে গেসে? আচ্ছা, হলে ভাল। ঠিকাসে। আমার কোনও অসুবিধা নাই। এমনি বললাম আরকি। ওই যে……আমাকে আপনার জন্য রাজশাহীর মেয়েটেয়ে দেখতে বলসিলেন তো, তাই বললাম। আপনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে তো আমাকে আর কষ্ট করে আপনার জন্য পাত্রী খুঁজতে হবে না। তাই আরকি! সত্যি-সত্যি কিন্তু! টাটা তাহলে।

দ্য গ্রেএএএএএএএএট গ্রন্থিক, আসসালামুয়ালাইকুম। আজকে আপনার উপর দিয়ে কি অনেক বড় ঝড় গেল? এখন কি আপনি অনেক বেশি রেগে আছেন? আরেকটু রাগলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে? রেগেথাকা অবস্থায় একটা ছবি দ্যান তো দেখি! খুব দেখতে ইচ্ছা করতেসে! আপনাকে রাগন্ত (এই শব্দ ডিকশনারিতে অ্যাড করে দিতে বইলেন তো, পিলিইইজ!) অবস্থায় দেখি নাই তো কখনও, তাই। অন্য কিছু না আবার। আমারও আপনার দেখাদেখি কিছু একটা দিতে ইচ্ছা হল, কিন্তু ভাবতেসি, আপনার মন আরও বেশি খারাপ হবে নাকি! যদিও এখানে আপনাকে কিছুই বলা হয় নাই, অন্যদের বলসি। আপনার সম্পর্কে আমি কী-বা এমন জানি, বলেন? আপনার লেখা, তাই ওইখানে কী লিখবেন না লিখবেন, সেটা আপনার স্বাধীনতা, কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে যে, আপনার কাছ থেকে দেখে আমারও কিছু লিখতে ইচ্ছা করল। কিন্তু আমি অশিক্ষিত গাঁইয়া তো, নিজ থেকে লিখতে পারব না, তাই আপনার লেখাই কপি করে একটু চেঞ্জ করলাম। ইশট্যাটাস হিসেবে দিতে ইচ্ছা করতেসে। কিন্তু চুরির লেখা কীভাবে দিব? তাই ভাবতেসি, চুরিকরা লেখাটা একবার দেখায়ে এরপরই দিই। কলমি আপা তো দেখি আপনাকে রাগাতে মানা করল, তাও বলি। কী করব বলেন, পেটের মধ্যে কথা নিয়ে থাকতে পারি না। পেট ফেটে চৌচির হয়ে যাবে! আপনি একটা অনুরোধ রাখেন। পইড়েন্না নিচের লেখাটা। আপনার খারাপ লাগলে আমার খারাপ লাগবে। আপনার লেখার মা-গুলা যেমন আমি না, তেমন এই চুরি করা লেখার বাবা-গুলাও কিন্তু আপনি না। তো? মন ক্যান খারাপ হবে আপনার? আপনি কি পিচ্চি মানুষ? আপনি না বড় হয়ে গেসেন? বড় হয়ে গেলে টাইমে-বেটাইমে মনটন খারাপ করে থাকা ঠিক মানায় না। অতএব, নো কান্নাকান্নি! ঠিক বলসি না, বলেন?

আপনার লেখার প্যারোডিটা অর্ধেক থেকে শুরু করলাম, কেমন?

বিনে পয়সায় ইন্দ্রিয়সুখের সহজ পসরা, তৃপ্তির অফুরান বেসাতি। সবাই দেখতেসে, অথচ কেউই দেখতেসে না।

বাবা খেয়ালই করবেন না। ব্যস্ত তো! ওর খবর নেয়ার সময় কই? ও তো বড় হচ্ছে। চোখের সামনে পুতুলটা বেড়ে উঠতেসে। কীভাবে উঠতেসে? সারাদিনের ক্লান্তি; পরেরদিন অফিসের কাজগুলাও তো গুছায়ে নিতে হবে। আরও কিছু চাহিদাও থাকে তো! নিজের, বউয়ের। মেয়েটা সুস্থ আছে, সারাদিন কী কী করসে, স্কুলে ম্যামরা কীভাবে হাসে কীভাবে বকে, তাও খুব গুছায়ে বলসে, শরীরের কোথাও কিছু হইসে কি না, সেটার খোঁজ কে রাখে! আমি এক বাবার কথা জানি, যিনি উনার বন্ধুর বউয়ের পিরিয়ড কবে হবে, তা বলে দিতে পারেন। বন্ধুর বউয়ের কাছে তার মেয়ের পিরিয়ড মিস হয়ে যাওয়ার খবর শুনে নিজের ৮ বছরের মেয়ের মাকে জিজ্ঞেস করেন, কেউ ওর সাথে কিছু করে নাতো! মা মেয়েকে জিজ্ঞেস করে, মেয়ে বলে, না মা। কী বলবে ও? সত্যি বললে মারও তো খেতে পারে। মা সেটাই বাবাকে যেয়ে বলে। বাবা যে মিথ্যে শুনলেই খুশি। কত ব্যস্ত বাবা! কাজ করতে হবে, কাজ। কত্ত কাজ! বন্ধুর বউয়ের সাথে শপিং, আড্ডা, বন্ধুর অভাব মেটানো……আবার ওদিকে বন্ধুর বউ তো আর একটা না! তার উপর কলিগ-টলিগ আর কত পরিচিত-অপরিচিত মেয়ে তো আছেই! সবার কাছে হিরো হতে হবে, নইলে মেয়েরা নাক সিটকাবে যে! হিরো না হলে তো কেউ পাত্তা দিবে না, কাছে আসবে না। অনেক উপরে উঠতে হবে। ইঁদুরদৌড়ে কে হারতে চায়? বউয়ের কাছ থেকে পয়সা চাওয়া যাবে না। পয়সা চাইতে গেলে বউ দুনিয়ার জেরা করা শুরু করে। হুহ্‌! ও কি ফকির নাকি? এত কষ্ট করে পড়াশোনা করসে আরেকজনের উপর ডিপেনডেন্ট হয়ে থাকার জন্য? আবার, সংসারে টাকা কম দিলে বউ ওর সিক্রেটগুলা নিয়ে ঘাঁটে। ছেলেদের বড় চাকরি করার সুবিধে আছে, কেউ তাকে তার সিক্রেট-ওয়ার্ল্ড নিয়ে অতো ঘাঁটায় না। বউয়েরও সিক্রেট আছে। থাকুক! ওরকম থাকে! দুটো মানুষ নিজেদের মত করে সুখের অভিনয় করে চলে। একই নদীর দুটো পাড়। সেতুও আছে। সেতু আছে, শুধু এইটুকুই সান্ত্বনা। সেতুটা ভাল নেই। শুধু ভাল আছে সেতুর খেলনাগুলা, ভাল আছে সেতু যাদের খেলনা, সেই নোংরা বড়রা। এটা ভাববার সময় নেই কারও। অনেক কাজ। ব্যাংক ব্যালেন্স শক্ত করতে হবে। সেতু আছে, এ-ই বেশ! সবাই দেখে ভাবে, ওরা সুখে আছে। সোসাইটিতে চলতে গেলে এই ভাবনাটাই দরকার। সেতুতে ঘুণ ধরছে। সেটা খেয়াল করার সময় নেই। সেতুটা ঘুণে নড়বড় হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। সময় নেই। নিয়ন আলোর স্বপ্নে বোনা কর্পোরেট সংসার। (আচ্ছা, সেতু কে? আমি কিন্তু বুঝি নাই। আমার মাথায় বুদ্ধি কম। সেতু কি নচিকেতার ‘খোকন’ গানের সেতু? নাকি ওই মেয়ের নামই সেতু? বকা দিয়েন না, আমাকে বকা দিতে হয় না; একটু আদর করে বুঝায়ে দিলেই আমি বুঝে ফেলব।)

এভাবে করেই অনেক মেয়েশিশু বড় হচ্ছে। চাকরিজীবী বাবারা, ব্যাপারটা ভেবে দেখসেন কখনও? ওকে ঘিরেই তো আপনাদের ছোট্টো টোনাটুনির ঘর, না? পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর পুতুলটি ঈশ্বর আপনাদের ছোট্টো ঘরে পাঠাইসেন। এই শ্রেষ্ঠ উপহারটি এত অবহেলায় পড়ে থাকবে কেন? শিশুরা বড় হয়। ওরা কী শুধু শরীরেই বেড়ে ওঠে? দামি-দামি ফল, দুধের কৌটা, পুতুল, জামা কিনে দিলেই বুঝি আপনার জীবন্ত পুতুলটা খুব ভাল থাকে? ওকে যে ছবির বইটা কিনে দিসিলেন, সেটাতে ছোট্টো পুতুলটার ক’ফোঁটা চোখের জল শুকায়ে মরে পড়ে আছে, সে খবর রাখবার সময় হইসে কখনও? ওর চারপাশের বড়দের এত ভাল ভাবতেসেন কেন? নিজেকে দিয়েই বিচার করেন না! আপনি তো পুরুষ, আপনি বুদ্ধিমান, আপনি জ্ঞানী, আপনি লিডার, আপনি চালাক, আপনি শক্তিমান। আপনি যেভাবে বাচ্চাকে আগলে রাখতে পারবেন আপনার বোকা, গাধা বউ কি সেটা পারবে? মাছিমারা কেরানির মত কোনওরকমে যে চাকরি করতেসে, এ-ই তো কত, না? এসব নিরাপত্তা দেবার কাজ কি মেয়েদের সাজে? পুতুলরা কত নিষ্পাপ নিষ্কলুষ পবিত্র সরল। ওরা কীভাবে বুঝবে পুরুষের শয়তান মন? আপনি কি মেয়ে দেখলেই কাছে টানতে মুখিয়ে থাকতেন না কখনও? মেয়েদের দেখে আপনার মাথায় প্রথমে কী আসত, সেসব কথা ভুলে গেসেন? নাকি, ভুলে আছেন? নাকি, ভুলে যেতে ইচ্ছে করতেসে? নাকি, ভুলে থাকার অভিনয় করা শিখে গেসেন? নাকি, আজকের স্বস্তিতে কালকের অস্বস্তি নিয়ে ভাববার সময়টুকু হচ্ছে না? কোনটা?

হে মহান পিতা! আপনি যদি বলেন যে, স্ত্রীর বর্তমানে ছেলেমেয়ে মানুষ করসে কোন বাঙালি পিতা কোথায়, কবে? তো বলব, আপনি আজকালকার সব বাঙালিকে এখনও দেখেনই নাই। আপনার দেখা শুধু কিছু মধ্যযুগের বাঙালি পরিবারেই সীমাবদ্ধ। আর যদি বলেন, সাধারণত ছেলেরা এই ব্যাপারে প্রকৃতিগতভাবেই উদাসীন আর আনাড়ি, তো এ যুগের মহান পিতাদের বলতেসি, দয়া করে নিজেদের অলসতা, অক্ষমতা, ফাঁকিবাজি এসব বদগুণ প্রকৃতির ঘাড়ে চাপায়ে চোরের মত লুকাবেন না। বাচ্চা পয়দা করতে ভাল লাগে, (কষ্ট পেতে হয় না যে!) কিন্তু দায়িত্ব নিতে ভাল লাগে না? বাচ্চার অধিকার দাবি করতে চান, আর বাচ্চার যত্ন নিতে চান না! আবার বাচ্চার কিছু হলে বউই দায়ী। মানে, আমি করবও না, আবার দোষও দেখে বেড়াব। অবিবেচকের মত বউয়ের ঘাড়ে বাচ্চাকে চাপাতে ভাল লাগে, কারণ নাকি মেয়েরা প্রকৃতিগতভাবেই উদাসীন না! বাব্বাহ্‌! (উদাসীন হবে কীভাবে? ছেলেরা জোর খাটায়ে ওদের মনোযোগী করে রাখসে যে! সংসারে মনোযোগী তো হতেই হবে, ছেলেরা বাচ্চাপালার ব্যাপারে যতই উদাসীন হোক, খুঁত ধরার ব্যাপারে আর অন্যের উপর দোষ চাপানোর ব্যাপারে তাদের চেয়ে এক্সপার্ট তো কেউ নাই!) ফুর্তি করতে ভাল লাগে, মজা করতে ভাল লাগে, পরকীয়া করতে ভাল লাগে, নিজের সব শখ মেটানোও চাই, কিন্তু নিজের বাচ্চার দিকে তাকায়ে দেখতে ভাল লাগে না, বাচ্চাটার দেখাশোনা করতে ইচ্ছা করে না, তাহলে পৌরুষ দেখানো হবে না আর পুরুষত্বও চলে যাবে যে! বউয়ের কষ্ট কমে যাবে যে! বাচ্চার যত ক্ষতিই হোক, বাচ্চাকে তো সময় দেওয়া যাবেই না, তখন যদি বাই চান্স বউ তার নিজের চাকরিতে আরেকটু আগায়ে যায়! একে তো মানুষ প্রকৃতিগত ভাবেই দুর্বলদের সঙ্গ পছন্দ করে, গাধার সাথে জিততে ভালোবাসে, বউ চাকরি করলে সে গাধা থেকে একটু ঘোড়া হয়, তাতেই ছেলেরা ভয়ে বাঁচে না, তার উপর তারা যদি বাচ্চাকাচ্চা দেখাশোনা করে বৌকে সাহায্য করে ওকে আগায়ে যেতে সাহায্য করে তো কে জানে বউ সিংহ হয়ে যায় যদি! সিংহের সাথে থাকার সাহস কার আছে? কে রিস্ক নিতে চায়? তার চেয়ে ছেলেরা ঘরের কাজ পারে না, ছেলেদের দিয়ে ঘরটর সামলানো হয় না, ওসব অজুহাত দেখালে দায়িত্ব থেকেও মুক্তি পাওয়া গেল, বউকেও সংসারের চাপে রেখে নাস্তানাবুদ করা গেল আর নিজেও ফুর্তি করে বেড়ানো গেল! তবুও একটা রিস্ক থেকে যায়, ফুর্তি করতে গিয়ে ধরা খেলে বউ চলে যেতে পারে, যেহেতু সে চাকরি করে। আহা, বউয়ের চাকরিটা ছাড়াতে পারলে ভাল এটা হত যে, বরকে ছেড়ে যাবার তো প্রশ্নই আসে না বরং বর ছেড়ে দিলেও পিছেপিছে কেন্দেকেটে ঘুরে বেড়াবে আর পটায়েপুটায়ে সব কিছু মেনে নিয়ে বরকে আবারও কলিজার মধ্যে ঢুকায়ে রাখবে। বউকে ভালোবেসে এমনিতেই রাখার যোগ্যতা পুরুষের নাই যে! তাইতো হাত-পা-পাখা-চোখ-জিহ্বা সব কেটে নিয়ে রাখতে চায়!

এ তো বললাম আমাদের সমাজের আজকালকার গ্রেট বাপ আর সুয়ামিদের কথা। এখন গ্রন্থিককে ছোট্ট করে একটা কথা বলি। আপনার ব্যাপারগুলা তো ভাল করে জানি না, তবে আপনি যা-ই লিখেন ভাই, অন্য ছেলেপেলেদের টাইনেন না। সাহস করে বলবেন যে, হ্যাঁ, আমি এই জিনিসটা পছন্দ করি বা করি না। দয়া করে বলবেন না যে, অন্যজনরা এটা মনেমনে বলে বা অনেকেই বলে, আমি মুখে বললাম বলে বা আমি বললেই দোষ হয়……ব্লা ব্লা ব্লা……এসব কইরেন না। নিজের দোষ ঢাকতে এসব বাচ্চারা বলে। আর দুই, সব কিছু মুখে বলতে হয় না। আপনি পার্সোনাল লাইফে কী করবেন আর করবেন না, এটা কেউ অতটা দেখতে যাচ্ছে না। আপনি পাবলিক ফিগার, ছেলেপেলেদের আদর্শরে ভাই। সবাই আপনাকে ফলো করে তো, তাই মিথ্যা না বললেও যেকোনও কথা একটু ভেবেচিন্তে বইলেন। (যদি ভাবেন, কে আমাকে ফলো করল কি আইডলফাইডল বানাইল, এসব তো তার সমস্যা, আমার না, তবে আমি বলব, আপনি কী ভাবতেসেন, সেটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক আপনাকে কী ভেবে কী করতেসে বা কী করতেসে না, সেটা। আপনারটা আপনার ভাবনা, ওদের কাজটা ওদের বাস্তবতা। কোনটা আগে কনসিডার করা দরকার, বলেন?) আপনি একটা সমস্যা নিয়ে কথা বলসেন, আমি মা না হয়েই ভয় পেয়ে গেসি, তো যারা মা-বাবা তাদের কী হবে? কিন্তু আবার দেখেন, সেই সমস্যাটার সাথে আপনি একটু ল্যাজ লাগায়ও দিসেন। এটা না করলেও পারতেন। অবশ্য মেয়েদের কাছে বকাও খাইসেন, ওইটা দেখে আমার মিথ্যামিথ্যা একটু খুশিখুশিও লাগসে, কিন্তু কথা সেটা না, আমি জানি না আসলে কথাটা কী। আমি আসলে কথা গুছায়ে বলতে পারি না। আচ্ছা ভাল। ভাল থাইকেন। আপনার লেখার ল্যাজটা আমাকে খুব জ্বালাচ্ছে। আমি কেন আপনাকে পছন্দ করি? ধুউউউর! আচ্ছা কী-ই বা এমন হবে? করলামই নাহয় একটু! আমার তো আর কিছু না! কিন্তু আপনি এটা কী করলেন? এটা একটা কথা? ভাল হইসে সবাই বকসে। খুশি হইসি। কিন্তু একটা ‘কিন্তু’ও আছে এইখানে। আপনাকে আমি বকব, মারব, যা মন চায়, করব। কিন্তু সবাই কেন? আপনি কি সবার? আচ্ছা, সব ঠিক হয়ে যাবে। মন খারাপ কইরেন না। অমন করে খোলাখুলি বললে তো একটু খোলাখুলিই শুনতে হবেরে ভাই! আর প্লিজ প্লিজ প্লিজ মানুষের কথায় মনখারাপ করে থাইকেন না। আচ্ছা? টাটা।

সেঁল ফোঁন থেঁকে মেঁইল কঁরছি কিঁন্তু! ইঁইইইই……!!! দেঁখসেন, কঁত্ত ইঁশমাট আঁমি! আঁমার নাঁক বঁন্ধ, তাঁই এঁভাবে লিঁখতে হঁচ্ছে! আঁমি তোঁ লিঁখি নাঁ, কঁথা বঁলি। নাঁক বঁন্ধ রেঁখে কঁথা বঁললে তোঁ এঁইরকমই শোঁনানোর কঁথা! কীঁ? ঠিঁক বঁলসি নাঁ?

ডিয়ার পীর সাহেব, আপনার এই মুরিদের একটা ইচ্ছা পূরণ করেন না, পিলিইইইজ। আপনার ওই মজার স্যারের (যার কথা আপনি আপনার লেখায় লিখসেন) একটা পিক তুলে আমাকে দেন না! দেখতে মঞ্চায়! সেই সাথে আপনারও একটা দিয়েন্নি। ক্লাসে ফোন নিতে দেয় না? তো যখন ফেসবুকে লিখেন, তখন একটা সেলফি তুলে আমাকে দিয়েন, আচ্ছা? দিয়েন, হ্যাঁ? এরপর আর জ্বালাব না, দেইখেন। আচ্ছা, আপনি আজকাল ফেসবুকেও কম বসেন কেন? আপনার কি মনখারাপ থাকে? কেন? আচ্ছা, আপনার কি চুল পাকসে? দাঁত পড়ে গেসে? আপনি কি সত্যিসত্যি বুড়া হয়ে যাচ্ছেন? জানেন, আমার না চুলটুল পাকে নাই, কিন্তু আমি না গ্রামের এক আত্মীয়ের দিক দিয়ে কীভাবে-কীভাবে জানি এক বাচ্চার নানিও হয়ে গেসি। ইল্লিইইক্কক্ক! এটা কাউকে বইলেন না যেন! তাইলে আমার দিকে যে দুইএকজন তাকাত, তারাও নানা ডাক শুনতে হওয়ার আগাম ভয়ে পালাবে! পীর গ্রন্থিক! একটা গোপন কথা বলি। আপনার নাম গ্রন্থিক না হলে কিন্তু আমি আপনার সাথে এত কথা বলতাম না। যে নাম আমার ডাকতে ভাল লাগে না, সে নাম নিতান্ত দরকার না হলে আমার ডাকতেই ইচ্ছা করে না। যদিও আমার নামটা শুনে অনেকেই বিশ্রী বলে। বলে, শানায়া খান! এইটা একটা নাম হল? ছ্যাঃহহ্‌! শানায়া খান, মুড়ি বানায়া খান! এক কাজ করেন, আপনার নাম হাবলুটাবলু কিছু একটা রেখে দেন! তাইলে হয়তো আমি আর কখনও জ্বালাতে নাও পারি! পীর সাহেব, আপনার কি কিছু হইসে? মানে, গোপন কিছু, যেটা কাউকেই বলা যাচ্ছে না? আপনার ডায়রি সিরিজটা সুন্দর, মানে ভয়ংকর সুন্দর হচ্ছে, কিন্তু আপনি আর আগের মত হাসেন না কেন? এতো গম্ভীর মুডে থাকতে আপনাকে কে শিখাইসে? কী হইসে আপনার, বলেনতো? নাকি আপনার বাসার জন্য খারাপ লাগে? এই জন্য মনখারাপ? ছিঃ! এইটা কী বললেন? আপনি না পুরুষমানুষ? পুরুষমানুষরা কি বাসার জন্য কাঁদে? আচ্ছা, আপনার জন্ম যদি ১৯৪৮-এ হত, তবে আপনি কি যুদ্ধে যেতেন? মানে মুক্তিযুদ্ধে? বাসা থেকে যেতে দিত? কিছু মনে করবেন না আমার কথায়। এমনিই জানতে ইচ্ছা হল। ওঃ! নাহ্‌! যেতেন না! আপনি তো আবার মরাকে ভয় পান! আবার একসময় নাকি ‘নোবডি’ হওয়ার কারণে আপনি মরতেও চাইসিলেন! ছিঃ! কী সস্তা একটা ছেলে ছিলেন আপনি! মরবেন, ঠিক আছে, তাই বলে, ওইভাবে? পেয়ার মোহাব্বত কি সব উড়ে গেসিল ওই টাইমে? আপনার পরিবারের কারও কথাই মাথায় আসে নাই? আজব তো! আমি অবশ্য এক দিক দিয়ে নোবডি হয়েও আপনার চেয়ে একটু হলেও মহৎ আছি। কোনদিকে, বলা যাবে না। বললে আমি মাইর খাব। অতএব, নো রিস্ক, নো মাইর! এই যে বাংলিশে এই লেখাটা লিখতেসি, এই জিনিস আবার আপনি সত্যিসত্যি পড়তেসেন নাতো? সরি পীরভাই, ভুল হয়ে গেসে। আমি না, আপনি মহৎ। মহত্ত্বের ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ আপনি। আমি তো একটা দালাল, আরও খারাপ-খারাপ যা আছে, সবই আমি। আমার কথা শুইনেন না। প্লিজ রাগে ফেটেমেটে যাইয়েন না। ফেটে গেলে আপনাকে জোড়া লাগানো মুশকিল হবে। এত্ত সেলাই কে করবে, বলেন! অতো সূতাই বা কোথায় পাওয়া যাবে? আচ্ছা, খোদাহাপেজ! মুয়াফি! সেলামালকি!

গ্রন্থিক! গ্রন্থিক! এই গ্রন্থিক……এই!

কিছু না। এমনিই। ভোগা দিলাম।

উরিবাপ্রে! একটা খুব গোপন কথা আছে! এক্কেরে খুফিয়া কথা! চুপ করে, মানে একদম ফিসফিসিয়ে বলতে হবে! বলতেসি, শোনেন। ইয়ে মানে, আপনাকে না আমি একটুও ভয় করি না! আর…আর…আর…হচ্ছে যে….কখনওই করি নাই! হেজিটেশন তো আলাদা জিনিস, তাই না? আচ্ছা, আমি যতই সাধারণ হই, আপনার মতন একটা পুচকিকে আমার মতন একটা ধাড়ি বেটি কেন ভয় পাবে? বলেন তো? আপনিই বলেন না! ইসস্‌! বোল্ড হয়ে গেলেন? আচ্ছা সরি। আপনার কথা মাথায় এলে আমার ভয় আসে না। আমি কী করব? আমার কী দোষ? আচ্ছা, আপনি বলসিলেন না যে আপনার ডায়রি লিখতে খুব কষ্ট হয়? একটা বুদ্ধি দিব? খুব কষ্ট হলে, কথাগুলা না লিখে মোবাইলে রেকর্ড করে দিয়ে দেন! হয়ে গেল! আর যতটুকু লিখলে বেশি কষ্ট হয় না, কিন্তু একটু কষ্ট হয়, শুধু ততটুকুই লিখলেন! ব্যস্‌! তাই না? ওরররেহ্। আমার কত বুদ্ধিরে! প্রেমে পড়ে গেলাম—নিজের কিন্তু! আচ্ছা, মন খারাপ কইরেন না, আপনারও পড়বনি। সময় হোক, তারপর। এখন না। পরে পড়ব। এখন একটু ব্যস্ত আছি। আর……খুব যন্ত্রণায়। কীসের? আপনি বুঝবেন না। বাসার সব কন্ট্রোলফ্রিকদের জ্বালায় মাঝেমাঝেই কিছুক্ষণের জন্য মরে যেতে ইচ্ছা করে! এখনও, মানে ঠিক এখন না, একটু আগে ইচ্ছা করতেসিল। আপনাকে মনেমনে একটু বকাটকা দিয়ে সব ঠিক হয়ে গেল। তেমন বকা না, এমনি। আসলে এইগুলা সব ঢং! আপনি কিছু করেন নাই, তাও বকা দিসি। আসলে ঠিক আপনাকেও না। কাকে যে! স্রষ্টাই জানে! পরে কথা বলব। ভাগ্যিস, এটা ফোনপত্র! কম্পিউটারপত্র হলে তো……আচ্ছা, আমি তো আর আগের মত আপনাকে বিরক্ত করতেসি না! তাই না? করতেসি, বলেন? অবশ্য মামা চলে গেলে করব। আগাম বুকিং দিয়ে রাখলাম কিন্তু! আর এখন আসসালামুয়ালাইকুম। আচ্ছা, আপনি যে এত্তওওওগুলা পরহেজগার মানুষ, তো আমি যে আপনাকে ফ্রিতে এত সালাম দেই, তো আপনি উত্তর দেন তো? দিয়েন কিন্তু! এটা ফরজ। না মানলে কবিরা গুনাহ্ হয়! আচ্ছা, ওইটা কি ফরজ? নাকি আমি আন্দাজে মারসি? আমি জানি না কিন্তু! তবে মনে হচ্ছে ফরজই হবে। আচ্ছা গুড নাইট। এখন আপনার আমাকে গুড নাইট বলার দরকার নাই, কারণ, এটা ফরজ না। এটা আমি শিওর! উরররে! আমি কত্ত কিছু জানি! আবার প্রেম আসলোরে—আত্মপ্রেম! আচ্ছা, নিজের প্রেমে আর বেশি পড়তে চাচ্ছি না, তাই আপনাকে বাঁচায়ে দিয়ে আমি এখন পালালাম। নিজের প্রেমে পাগল হয়ে গেলে আবার মহাক্যাঁচালে পড়ব। নিজের প্রেমে পাগল হয়ে কত্ত লোক ছাগল হয়ে ঘুরে! নিজের প্রেম থেকে ছুটা অতো সোজা না!

জনাব ডাগাস! আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছেন? আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেমন আছি, প্লিজ! আপনার এই ভদ্রতাবোধ নাই কেন? এটাও শিখায়ে দিতে হয় কেন? আপনি না বড় হইসেন? অনেকদিন হল আমি আপনাকে জ্বালাতে পারতেসি না, তাই মনটন খুব খারাপ হয়ে আছে। আপনাকে জ্বালায়ে-জ্বালায়ে একটা মজা পেয়ে গেসি। আমি এমন জায়গায় এমনভাবে বন্দি হয়ে আছি যে বাইরে বের হতেও পারতেসি না, মডেমে টাকা ভরতেও পারতেসি না আর আপনাকে জ্বালাতেও পারতেসি না আর এই সুযোগে আপনিও মহানন্দে আছেন আর আমি আছি মহাদুঃখে। আসলে আমি অন্য একটা কারণে দুঃখে আছি, কিন্তু দোষ চাপালাম অন্য কিছুর ঘাড়ে। আচ্ছা, পরে কথা বলব। এখন আর কী করা! ঘুমায়ে যাই তাহলে! একটা কথা শুনসি। আজ নাকি আমার মনখারাপ, তাই নাকি রাজশাহীতে সেইরকম বৃষ্টি হইসে! রাজশাহী আমাকে অ্যাত্ত ভালোবাসে, এইটা তো আগে জানতাম না। আগে জানলে কী হত? আসলে কিছুই হত না! এইসব কাহিনি আগে জানলেও যা, পরে জানলেও তা। আচ্ছা, টাটাযযয! পরে কথা বলব। ভাল থাইকেন।

টিজিএসপি দাদ্দাআআআ! দাদা বলে ডাকলাম একটু খুশি করানোর জন্য, আর কিছু না। তো দাদু, আপনার সাথে আমার খুবই জরুরি একখান কথা আছে। আসলে কোনও কথাটথা নাই, গল্প আছে। কিন্তু সেটা করতে পারতেসি না। নেট পাইসি, কিন্তু শক্তি পাই না। আমি এতই ক্লান্ত যে শুলেই মরালাশের মত (মরা, আবার লাশ, দুইটাই!……শানায়া, তুই একটা গাধী, হুহ্‌!) হয়ে যাব। কোনওরকমে চোখের পাতা জোর করে হাত দিয়ে খুলে রেখে এতক্ষণ লিখলাম। আসসালামুয়ালাইকুম! আর আমার এখনও খালি আপনার কথা মনে পড়ে। যদিও মনে পড়ার মত কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না, তাও পড়ে। আর হচ্ছে যে, আপনার সাথে গল্প না করে শান্তি পাচ্ছি না। হাহাহা……আন্দাজে হাসলাম কিন্তু, কোনও কারণে না। এ হাসির ব্যাখ্যাট্যাখ্যা খুঁজতে যাইয়েন না আবার! আসলে হাসির মানে, আমার মনটা ভাল আছে। আমার মন ভাল থাকলে আমার না একটা মুদ্রাদোষ হয়। সবাইকেই আই লাভ ইউ বলি, কিন্তু আপনাকে বলতে পান্নুনাখো! (মানে, পারলাম নাতো!) কারণ আপনি একটা বুড্ডা দাদু! আপনাকে বুড়া বলসি, তাই রাগ হইসে? অক্কে, আমারে ব্লক মাইরা দেন। তবে এক সেকেন্ড! আরেকবার গল্প করব, তারপর গল্প শেষ হলেই বুলোক মেইরে দিয়েন গো, জ্যাঠামশাই! হ্যাঁঅ্যাঅ্যাঅ্যা? আমি বুঝতেই পারব না, আর পারলেও কিছু মনে করব……নাখোওওও, মানে, নাকো। একদম কসম! আচ্ছা, আসি। কই যান? দাঁড়ান! এক মিনিট! আপনি আঞ্চলিক ভাষা বোঝেন না কেন যে? রাগ লাগে যে একদম! এতো ঢং কীসের যে আপনার? সাহেব-সাহেব ভাব! এহহহ্‌ আসছেন উনি! আর বলব না, শক্তি দই খেয়ে শক্তি করে এরপর লিখতে হবে। ওকে, আমি এখন তাইলে মরালাশ হলাম। বাআআই! ঘ্রররর্‌……ও নাহ্‌! মড়ারা তো নাক ডাকে না। মিচটেক! মিচটেক! ভুলে মিচটেক হয়ে গেসেগা! আই অ্যাম ছোওওওও ছরি! তাইলে, মড়াদের ডাক কেমন? শহহহ্‌……উফফফ্‌! মড়ারা তো আবার নিঃশ্বাসও নেয় না! তাইলে ওরা কী করে? যা করে, কেমন করে সেটা লিখে? কী লিখব? ঘটঘট? না গোঁগোঁ? মড়ারা কেমনে থাকে? কেমনে ডাকে? আপনি একটু পড়াশোনা করে জেনে নিয়েন তো, জ্ঞানী দাদু! আমি পারব না। ছারেন্ডার! আমার খুব জানতে মন চাচ্ছে, কিন্তু বুঝতেসি নাতো! আমার একটাও মনের চাওয়া আপনি পূরণ করতে পারেন না। হায়রে পুরুষ! জানেন, আমার না খুব ‘পোড়ামন’ বইটা (বই মানে মুভি। নাকি, এইটাও জানেন না? অসহ্য! কিসসু জানে না। বেছিঃ বেছিঃ ইছমাট হওয়া ঠিকনাঠিকনা!) দেখতে ইচ্ছা করতেসে। ওই বইটার পোস্টার দেখে মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেসি। হায়রে মেয়েটার হাসিইইইই! আমাদের দেশে অনেক কুৎসিত চেহারার ছেলে আছে, কিন্তু সেই তুলনায় মেয়েরা বেশিরভাগই সুন্দর। কী? ঠিক বলসি না? সুন্দর ছেলেরা কোথায় যে লুকায়ে থাকে, এক আল্লাহ্‌ই জানেন! (শুনেন, টিজিএসপি নিয়ে গবেষণা কইরেন না। এই জিনিসের কোনও অর্থ নাই, জাস্ট আপনার মাথাটা খারাপ করার জন্য লিখসি, আর কিসু না। মাথা খারাপ হইসে না? থেঙ্কু! থেঙ্কু!)