ক্যারিয়ার আড্ডা @ গুলজার টাওয়ার (২য় অংশ)

প্রিলিমিনারির বিভিন্ন টপিক নিয়ে….. 

  •   ভাষাঃ আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+ জব সল্যুশন+ ৯ম-১০ম শ্রেণীর ব্যাকরণ বই+ হায়াৎ মামুদের ভাষা-শিক্ষা+ গাইড বই
  •   সাহিত্যঃ আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+ জব সল্যুশন+ সৌমিত্র শেখরের জিজ্ঞাসা+ গাইড বই
  •   Language: আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+ জব সল্যুশন+ English for the Competitive Exams+ Oxford Advanced Learner’s Dictionary+ গাইড বই
  •   Literature: আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+ জব সল্যুশন+ গাইড বই
  •   বাংলাদেশ বিষয়াবলী+ আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+ জব সল্যুশন+ পেপার+ ইন্টারনেট+ গাইড বই
  •   ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ নতুন গাইড বই
  •   সাধারণ বিজ্ঞানঃ আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+ জব সল্যুশন
  •   কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিঃ জব সল্যুশন+ আগের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও টীকা+ নতুন গাইড বই
  •   গাণিতিক যুক্তিঃ আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+ জব সল্যুশন
  •   মানসিক দক্ষতাঃ আগের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন+ গাইড বই+ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক
  •   নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনঃ কমনসেন্স+ নতুন গাইড বই 

  ৩৫তম বিসিএস প্রিলিঃ কিছু পর্যবেক্ষণ 

  •   কখগঘ এই সিরিয়ালটা বাম থেকে ডানে না দিয়ে উপরেনিচে দেয়াতে অনেক ক্যান্ডিডেটই অন্তত ৩-৪টা জানা প্রশ্নের উত্তর ভুল দাগিয়েছেন।
  •   প্রশ্নটি ‘এসো নিজে করি’ টাইপ কোনো প্রশ্ন না। পরীক্ষার হলে কথা বলেও তেমন কোন লাভ হয়নি।
  •   কোচিং সেন্টার আর গাইডবই পড়েটড়ে তেমন কোনো কাজই হবে না, যদি না নিজের ‘হেডঅফিসে’ কিছু থাকে। ভাল প্রস্তুতি নেয়া অপেক্ষা ভাল পরীক্ষা দেয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
  •   ‘অমুক কোচিং সেন্টারের সাজেশন এত পার্সেন্ট কমন’, ‘তমুক গাইডের এত সংখ্যক প্রশ্ন কমন’ এসব কথা বলার দিন শেষ হতে চলেছে, এটা মনে হল।
  •   একেকভাবে ভাবলে একেকরকম আনসার হয়, এমন প্রশ্ন অন্যান্যবারের তুলনায় এবার একটু বেশি ছিল। পিএসসি ইচ্ছে করেই এই গেমটা খেলে যাতে কেউ সেগুলো আনসার না করে সেজন্য। লোভে পাপ, পাপে নেগেটিভ মার্কস।
  •   প্রশ্নটি ভালভাবে দেখলে খেয়াল করবেন, আপনার অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড যা-ই হোক না কেন, আপনি কোনো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন না।
  •   এখন থেকে সবসময় পরীক্ষা এই স্টাইলেই হলে প্রশ্নব্যাংক, ডাইজেস্ট, জব সল্যুশন, কোচিং সেন্টারের রাজত্ব কমে যাবে কিংবা ওদেরকে সেবাদানের ধরণ বদলাতে হবে। স্রেফ মুখস্থবিদ্যার জোরে আমলাতন্ত্রে আসার দিন শেষ। 

মাই এক্সপেরিয়েন্স উইথ বিসিএস প্রিলি + রিটেন

  •   ১০ম থেকে ৩৪তম বিসিএস, ২-৩টা জব সল্যুশন কিনে পিএসসি’র নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নগুলো (সম্ভব হলে, অন্ততঃ ২৫০-৩০০ সেট) বুঝে বুঝে solve করে ফেলুন। দাগিয়ে দাগিয়ে রিভিশন দেবেন অন্তত ২-৩ বার। Read the mind of the question setter, not the mind of the guidebook writer. ৪ ঘণ্টা না বুঝে study করার চাইতে ১ ঘণ্টা questions study করা অনেক ভালো। তাহলে ৪ ঘণ্টার পড়া ২ ঘণ্টায় পড়া সম্ভব। Apply the POE. বেশি বেশি প্রশ্নের প্যাটার্ন study করলে, কীভাবে অপ্রয়োজনীয় টপিক বাদ দিয়ে পড়া যায়, সেটা শিখতে পারবেন। এটা প্রস্তুতি শুরু করার প্রাথমিক ধাপ। এর জন্যে যথেষ্ট সময় দিন। অন্যরা যা যা পড়ছে, আমাকেও তা-ই তা-ই পড়তে হবে—এই ধারণা ঝেড়ে ফেলুন। Invent your own style.
  •   দুই সেট রিটেনের গাইড বই কিনে আগের বছরের প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলুন। বইতে দেয়া সাজেশনগুলো ভাল করে পড়ে নিন। যে টপিকগুলো প্রিলির সাথে মিলে সেগুলো সিলেবাস ধরে পড়ে শেষ করে ফেলুন। এতে করে আপনার রিটেনের অর্ধেক পড়া হয়ে যাবে। রেফারেন্স পড়ার সময় আদৌ বইটি পড়ার দরকার আছে কিনা, সেটা বুঝে পড়ুন।
  •   বেশিরভাগ স্টুডেন্টই প্রথমে রেফারেন্স বই পড়ে, পরে প্রশ্ন সলভ করা শুরু করে। এখানে ২টা সমস্যা আছে। এক। বেশি বেশি প্রশ্ন সলভ করার সময় পাওয়া যায় না। যত বেশি প্রশ্ন সলভ করবেন, ততই লাভ। দুই। রেফারেন্স বইগুলোর বেশিরভাগ অংশই বিসিএস পরীক্ষার জন্যে কাজে লাগে না, অথচ পুরো বই পড়তে গিয়ে সময় নষ্ট হয় এবং বিসিএস নিয়ে অহেতুক ভীতি তৈরি হয়। তাছাড়া অতকিছু মনে রাখার দরকারও নেই। তাই, উল্টো পথে হাঁটুন। আমিও তা-ই করেছিলাম। একটা প্রশ্নকে আরো ৩টি প্রশ্নের সূতিকাগার বানান। রেফারেন্স বই উল্টাতে কষ্ট হয়, এটা ঠিক। কিন্তু কষ্ট করে এই কষ্টটা করতে পারলে আপনার প্রিলি আর রিটেন দুটোতেই লাভ হবে, এটা আরো বেশি ঠিক।
  •   আজাইরা ফালতু জিনিসপত্র পড়া বাদ দিন৷ বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্যে আপনি কী কী পড়বেন, সেটা ঠিক করার চাইতে অনেক বেশি জরুরী আপনি কী কী পড়বেন না, সেটা বুঝতে পারা৷ রেফারেন্স বই পড়ুন আর না-ই পড়ুন, বেশি বেশি প্রশ্ন সলভ্ করা ফরজ৷ যে জানে, সে সফল নাও হ’তে পারে; কিন্তু যে সফল, সে নিশ্চয়ই জানে৷ (না জানলেও জানে) অসফল পণ্ডিত অপেক্ষা সফল গর্দভ উত্তম৷ যাঁরা বিসিএস নিয়ে থাকেন, তাঁরা দুই টাইপের হয়ে ওঠেন৷ এক। বিসিএস বিশেষজ্ঞ৷ দুই। বিসিএস ক্যাডার৷ …… ক্যাডার হোন৷
  •   একটা বুদ্ধি দিই৷ বিসিএস পরীক্ষার জন্য যেকোনো বিষয়ের রেফারেন্স পড়ার একটা ভালো টেকনিক হচ্ছে, জ্ঞান অর্জনের জন্য না প’ড়ে, মার্কস্ অর্জনের জন্য পড়া৷ জ্ঞান অর্জন করলে জ্ঞানী হবেন, মার্কস অর্জন করলে ক্যাডার হবেন। এটা করার জন্য আগে বিগত বছরগুলোর প্রশ্নগুলো পড়ে পড়ে কোন টাইপের প্রশ্ন আসে না, সেই আইডিয়াটা নিন৷ আরো ভালো হয়, প্রিলি আর রিটেনের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখে, এরপর রেফারেন্স বই ‘বাদ দিয়ে বাদ দিয়ে’ পড়ুন৷ যেমন, বাংলা সাহিত্যের জন্য যদি কেউ মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কিংবা সৌমিত্র শেখরের জিজ্ঞাসা (কথার কথা) পড়তে চান, আগেই প্রিলিতে সাহিত্যের প্রশ্ন + রিটেনে সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন কী কী টাইপের আসে মাথায় ম্যাপিং করে ফেলুন৷ এরপর পড়ুন৷ কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় ভালো করার বেস্ট ওয়ে, আগে রেফারেন্স বই পড়ে তারপর প্রশ্ন সলভ্ করা নয়; বরং প্রশ্ন সলভ্ করতে করতে রেফারেন্স বই পড়া৷ সবকিছু পড়ার সহজাত লোভ সামলান। একটি অপ্রয়োজনীয় topic একবার পড়ার চেয়ে প্রয়োজনীয় topic গুলো বার বার পড়ুন৷
  •   প্রিলির জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, আজকের বিশ্ব, অর্থনৈতিক সমীক্ষা টাইপের বইপত্র পড়া বাদ দিন৷ একেবারেই সাম্প্রতিক বিষয় থেকে প্রিলিতে প্রশ্ন আসে বড়জোর ৫-৬টা, যেগুলো শুধু ওই বইগুলোতেই পাওয়া যায়৷ এরমধ্যে অন্তত ২টা পেপারটেপার প’ড়ে আনসার করা যায়৷ বাকি ৪টাকে মাফ ক’রে দিলে কী হয়?! এই ৪ মার্কসের এ্যাতো পেইন কোন দুঃখে পাব্লিক নেয়, আমার মাথায় আসে না৷ আসলে, ওই যন্ত্রণাদায়ক বইগুলো প’ড়লে নিজের কাছে কেমন জানি পড়ছি পড়ছি মনে হয়৷ এটা অতি উচ্চমার্গীয় ফাঁকিবাজির পর্যায়ে পড়ে৷ একটা ফ্যাক্ট শেয়ার করি৷ কিছু কঠিন প্রশ্ন থাকে যেগুলো বার বার পড়লেও মনে থাকে না৷ সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা বাদ দিন৷ কারণ এই ধরণের একটি প্রশ্ন আরো কয়েকটি সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয়৷ প্রিলিমিনারি হাইয়েস্ট মার্কস্ পাওয়ার পরীক্ষা নয়, স্রেফ কাট-অফ মার্কস পেয়ে পাস করার পরীক্ষা৷ আপনি ১৯০ পেয়ে প্রিলি পাস করা যে কথা ৯০ পেয়ে প্রিলি পাস করা একই কথা। অপ্রয়োজনীয় মার্কসের বাড়তি শ্রম রিটেনের প্রিপারেশন নেয়ার পেছনে দিন, কাজে লাগবে। কে কী পারে সেটা নিয়ে কম ভাবুন। আপনি যা পারেন সেটার চাইতে অন্যরা যা পারে, সেটা শেষ পর্যন্ত বেশি কাজে আসবে, এরকমটা নাও হতে পারে।
  •   বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করা মূলতঃ চারটি বিষয়ের উপর অনেকংশে নির্ভর করে—ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলা৷ এই চারটি বিষয় বেশি জোর দিয়ে পড়ুন৷ শুধু সাধারণ জ্ঞানে সুপণ্ডিত তোতাপাখিসদৃশ ব্যক্তিবর্গ বিসিএস পরীক্ষায় সাধারণত ফেল করে অথবা অতি সাধারণ মানের রেজাল্ট করে৷ সাধারণ জ্ঞানে বেশি পণ্ডিত হয়ে লাভ নাই, কারণ ওই segment-টাতে সাধারণত average marks আসে, তাই অন্যান্য ক্যান্ডিডেটের তুলনায় আপনি খুব বেশি marks পেয়ে কোনো competitive advantage পাবেন না, যেটা ওই চারটা বিষয়ে পাওয়া সম্ভব।
  •   প্রিপারেশন নিচ্ছি নিচ্ছি—নিজেকে এবং অন্য সবাইকে এটা বোঝানোর চাইতে সত্যি সত্যি প্রিপারেশন নেয়া ভালো। ‘প্রিপারেশন প্রিপারেশন ভাব, প্রিপারেশনের অভাব।’ কম্পিটিটিভ এক্সামের প্রিপারেশন নেয়ার ক্ষেত্রে এটা হয়। অনেক পরিশ্রম করে ফেল করার চাইতে, বুঝেশুনে পরিশ্রম করে পাস করা ভালো। আপনাকে প্রত্যেকটা segment-এ খুব ভালো কিংবা মোটামুটি ভালো করতে হবে। কাজেই preparation নেয়ার সময় আপনি যা পারেন, শুধু সেটার উপরেই পুরো effort দেয়া যাবে না। আমার টেকনিক হল, আমি যা পারি সেটার বেশিবেশি যত্ন নিই, যাতে অন্যদের চাইতে অনেকবেশি সুবিধা আমি সেটাতে নিতে পারি। তবে তার আগে দেখে নিই, যেটা বেশি পারি, সেটা আদৌ সুবিধা নেয়ার মতো কিছু কিনা। ধরুন, ক্লিনটনের ওয়াইফের বান্ধবীর পোষা কুকুরের নামও আপনার মুখস্থ, কিন্তু আমার নানার একটা কালো কুকুর ছিল’কে ইংলিশে লিখেন, My grandfather was a black dog……… কোনো কাজ হবে না।
  •   বিসিএস পরীক্ষা বার বার দেয়া যায়, এটা সত্যি। কিন্তু তার চেয়ে বড় সত্যি, এটা একবারে পাস না করার পানিশমেন্ট হল, এই বিরক্তিকর ক্লান্তিকর পড়াগুলো আরেকবার পড়তে হবে। আমার বেলায় এই ভয়টা মোটিভেশন হিসেবে কাজ করেছে। এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষাও তো ৪ বার দেয়া যায়। ওইসময়ে কেউ যদি আপনাকে বলতো, ১ম বার এক্সপেরিএন্স হোক, পরেরবার ভালো করে দিয়ো। এটা শুনলে কি রাগ হতো না?
  •   প্রথমবারের কাজ ভালো হয় না? কে বললো একথা? আমি প্রথমবারে ক্যাডার হয়েছি। এরকম আরো অসংখ্য নজির আছে। পথের পাঁচালি (বিভূতি ও সত্যজিৎ), নাগরিক, The 400 Blows কিংবা Wuthering Heights, The Catcher in the Rye, To Kill a Mockingbird, The Kite Runner-এর গল্প। বিসিএস পরীক্ষার মতো বিরক্তিকর পরীক্ষা আরেকবার দিতে হবে, এটা ভাবতে ভয় লাগে না? শুধু এইজন্যেই তো পড়াশোনা করা যায়। সবার মতো আপনাকেও বারবার বিসিএস দিতে হবে কেনো? তবে এখানে luck favour করা না-করার কিছু ব্যাপারও ঘটে। যারা ক্যাডার হয়, তারা একই সাথে যোগ্য ও সৌভাগ্যবান।
  •   যে প্রশ্নগুলো একটু কঠিন মনে হয়, সেগুলো একাধিকবার পড়ুন৷ তাতেও কাজ না হলে সেগুলো পড়া বাদ দিন। একটা ফ্যাক্ট শেয়ার করি৷ কিছু কঠিন প্রশ্ন থাকে যেগুলো বার বার পড়লেও মনে থাকে না৷ সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা বাদ দিন৷ এই ধরণের একটি প্রশ্ন আরো কয়েকটি সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয়৷ মনে রাখবেন, কঠিন প্রশ্নেও ১ নম্বর, সহজ প্রশ্নেও ১ নম্বর।
  •   বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি—এই বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় চিহ্নিত চিত্র ও ম্যাপ আঁকুন৷ যথাস্থানে বিভিন্ন ডাটা, টেবিল, চার্ট, রেফারেন্স দিন৷ পরীক্ষার খাতায় এমন কিছু দেখান, যেটা আপনার খাতাকে আলাদা করে তোলে।
  •   কোন কোন সেগমেন্ট-এ ক্যান্ডিডেট’রা সাধারণতঃ কম মার্কস্ পায় কিন্তু বেশি মার্কস্ তোলা সম্ভব, সেগুলো নির্ধারণ করুন এবং নিজেকে ওই সেগমেন্ট’গুলোতে ভালোভাবে প্রস্তুত করে কম্পিটিশনে আসার চেষ্টা করুন৷ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা, শর্ট নোটস্, সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ,  ব্যাকরণ ইত্যাদি ভালোভাবে পড়ুন৷ অনুবাদ কীভাবে পড়বেন? এরকম আরো আছে।
  •   দাগিয়ে দাগিয়ে রিটেনের গাইড বই পড়ুন৷ সম্ভব হলে, কমপক্ষে ৩-৪ সেট৷ তবে খেয়াল রাখবেন গাইডে অনেক ভুল থাকে৷ এটা স্বাভাবিক৷ তাই পড়ার সময় সংশোধন করে নিতে হবে৷
  •   বিসিএস’এর জন্য নিয়মিত পেপার পড়ুন৷ সম্ভব হলে অন্তত ৫-৬ টা৷ অনলাইনে পড়তে পারেন৷ এই সময়টাতে পুরো পেপার না পড়ে শুধু যে অংশগুলো পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়,  সেগুলোই পড়ুন৷ খুব দ্রুত চোখ বুলিয়ে যা যা বিসিএস পরীক্ষার জন্যে দরকার, প্রয়োজনে সেগুলো ওয়ার্ড ফাইলে সেভ করে রাখুন। কী কী দরকার, সেটা কীভাবে বুঝবেন? বেশি বেশি প্রশ্ন স্টাডি করুন। Question-mapping আপনার পরিশ্রম কমিয়ে দেবে।
  •   নোট করে পড়ার বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই৷ এতটা সময় পাবেন না৷ বরং কোন প্রশ্নটা  কোন সোর্স থেকে পড়ছেন, সেটা লিখে রাখুন৷ রিভিশন দেয়ার সময় কাজে লাগবে৷ বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখুন৷ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে রাখুন৷ প্রয়োজনমত  পরীক্ষার খাতায় রেফারেন্স উল্লেখ করে উপস্থাপন করুন৷ (মনের মাধুরী মিশিয়ে নোট করলেই যে মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতে পারবেন, এমনটা নয়। আর যেটা নোট করছেন, সেটা পরীক্ষায় না আসলে তো পুরোটাই লস। আমি একটা প্রশ্নও নোট করে পড়িনি। সেরা উত্তরটা লিখলেই যে সেরা মার্কসটা পাবেন, এমন কোনো কথা নাই।)
  •   বিভিন্ন রেফারেন্স, টেক্সট ও প্রামাণ্য বই অবশ্যই পড়তে হবে৷ বিসিএস পরীক্ষায় অনেক প্রশ্নই কমন পড়েনা৷ এসব বই পড়া থাকলে উত্তর করাটা  সহজ হয়৷ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময়  বিভিন্ন লেখকের রচনা, পত্রিকার  কলাম ও সম্পাদকীয়, ইন্টারনেট, বিভিন্ন সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা, বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে  উদ্ধৃতি দিলে মার্কস বাড়বে৷ এই অংশগুলো লিখতে নীল কালি ব্যবহার ক’রলে সহজে পরীক্ষকের চোখে পড়বে৷ চেষ্টা করবেন, প্রতি পেজে অন্তত একটা কোটেশন, ডাটা, টেবিল, চার্ট কিংবা রেফারেন্স, কিছু না কিছু দিতে। জানি, অত কোটেশন তো মনে থাকে না। তাহলে কীভাবে কাজটা করবেন? আমি যে টেকনিকগুলো ফলো করেছিলাম, সেগুলো বলছি। সেগুলোর অনেকগুলোই ফাঁকিবাজি। বেড়াল সাদা কী কালো, সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা, ইঁদুর ধরতে পারে তো? ভালো কথা, পুরো সংবিধান মুখস্থ করার কোনো দরকারই নাই। আমি করিনি।
  •   লেখা সুন্দর হলে ভালো, না হলেও সমস্যা নেই৷ লিখিত পরীক্ষায় অনেক বেশি দ্রুত লিখতে হয়৷ তাই প্রতি ৩-৫ মিনিটে ১ পৃষ্ঠা লেখার প্র্যাকটিস্ করুন৷ খেয়াল রাখবেন, যাতে লেখা পড়া যায়৷ সুন্দর উপস্থাপনা মার্কস বাড়ায়৷ বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় লিখতে খুব বেশি কষ্ট হয়। আমার মাঝে মাঝে মনে হতো, আঙুলের জয়েন্টগুলো বুঝি এখুনি খুলে পড়ে যাবে। ভাবতাম, I’ve to really perform when I’m performing! আমি তো স্রেফ আমার বাবা-মা আর টেন্ডুলকারের কথা ভেবে ভেবেই রিটেন পার করে দিলাম। একটা গল্প শেয়ার করি। ১৬ বছরের বালকের ‘Main Khelega’ অ্যাটিচিউডের গল্প৷ হারিয়ে না যাওয়ার গল্প৷ আমার লাইফে শেখা সেরা অ্যাটিচিউড৷ আমার মতে, জীবনে বড় হতে হলে habitual ‘selfish’ weakness to greatness থাকাটা জরুরি। বড়ো মানুষকে ছোটো করে দেখলে উনার কিছুই এসে যায় না। হুমায়ূন আহমেদকে লেখক হিসেবে না দেখে শাওনের স্বামী হিসেবে দেখাটা আমাদেরই মানসিক অসুস্থতা। আপনার নিজের স্বার্থে যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তাদের গুণগুলোকে replicate করার চেষ্টা করুন। যে লক্ষ্যেই পৌঁছাতে চান না কেনো, সেই লক্ষ্যের প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাবোধ রাখুন। নাহলে প্রিপারেশনে ঠিকমতো আন্তরিকতা আসে না। আল্লাহ বিনয়ী ব্যক্তিকে সম্মানিত করেন।
  •   কোনভাবেই কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসবেন না৷ উত্তর জানা না থাকলে ধারণা থেকে অন্তত কিছু না কিছু লিখে আসুন৷ ধারণা না থাকলে, কল্পনা থেকে লিখুন। কল্পনায় কিছু না এলে প্রয়োজনে জোর করে কল্পনা করুন! আপনি প্রশ্ন ছেড়ে আসছেন, এটা কোন সমস্যা না৷ সমস্যা হল, কেউ না কেউ সেটা উত্তর করছে৷ নিজের সাজেশনস্ নিজেই তৈরী করুন৷ কারো সাজেশনস্ ফলো করবেন না৷ এই প্রশ্নটা আসবেই আসবে — এ জাতীয় মিথ্যে আশ্বাসে  কান দেবেন না৷ আমি অন্তত ৪ সেট সাজেশনস রেডি করেছিলাম। আর এটা মাথায় রাখুন, রিটেনে (৪০-৫০)% এর বেশি প্রশ্ন কমন পাবেন না। (এইটুকু পেলেও অনেক!)
  •   মাঝে মাঝে বিভিন্ন topic নিয়ে ননস্টপ লেখার প্র্যাক্টিস করুন৷ বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার অভ্যাস বাড়ান৷ এতে আপনার লেখা মানসম্মত হবে৷ কোনো উত্তরই মুখস্থ করার দরকার  নেই৷ বরং বারবার পড়ুন, বিভিন্ন সোর্স থেকে৷ ধারণা থেকে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন৷ কেউই সবকিছু ঠিকঠাক লিখেটিখে ক্যাডার হয় না। রিটেনে সবাই-ই বানিয়ে লেখে। এটা কোনো ব্যাপার না! বরং ঠিকভাবে বানিয়ে লেখাটাও একটা আর্ট। কতো বুদ্ধিটুদ্ধি করে কতোকিছু ভুলভাল লিখে ক্যাডার হয়েছি, সেটা বলে বোঝানো যাবে না! (আমি আসলে অতি সৌভাগ্যবানদের দলে!)
  •   বিসিএস পরীক্ষায় কোন ভাষায় উত্তর লিখবো? ইংরেজিতে? নাকি, বাংলায়? এ প্রশ্ন অনেকেরই৷  আমি বাংলায় লিখেছি, পরীক্ষায় প্রথম হ’য়েছি৷ এ  ভাষায় ‘আসি’ বলে  স্বচ্ছন্দে চলে যাওয়া যায় … কী আশ্চর্য রহস্য! তাই না? তবে, আপনি ইংরেজিতেও লিখতে পারেন৷ এক্ষেত্রে সাবলীলতা ও প্রাঞ্জলতাই মুখ্য৷ অনেক অনেক লিখতে হবে, যেটা খুব ভালোভাবে পড়ার সময়ই হয়তো পরীক্ষকের নেই, এটা মাথায় রাখুন।
  •   অনেকেই বলবে, আমার তো অমুক অমুক প্রশ্ন পড়া শেষ! ব্যাপারটাকে সহজভাবে নিন৷ আপনার  আগে কেউ কাজ শেষ করলেই যে শেষ হাসিটা উনিই হাসবেন—এমন তো কোন কথা নেই৷ আর কেউ আপনার চাইতে বেশি পড়াশোনা করলে সেটা তো আর আপনার দোষ না। আমি বিসিএস পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি শুরু করতে গিয়ে দেখলাম, অনেকের অনেককিছু পড়া শেষ। 3 Idiots তো দেখেছেন। বন্ধুর খারাপ রেজাল্টে যতোটা মন খারাপ হয়, বন্ধুর ভালো রেজাল্টে তার চেয়ে বেশি মেজাজ খারাপ হয়। যখন দেখলাম, আমি অন্যদের তুলনায় বলতে গেলে কিছুই পারি না, তখন আমি ২টা কাজ করলাম। এক। বোঝার চেষ্টা করলাম, ওরা যা পারে, সেটা পারাটা আদৌ দরকার কিনা? দুই। ওদের সাথে নিজেকে কম্পেয়ার করা বন্ধ করে গতকালকের আমি’র সাথে আজকের আমি’কে কম্পেয়ার করা শুরু করলাম।
  •   মাঝে মাঝে পড়তে ইচ্ছে করবে না, আমারও করত না৷ সারাক্ষণ পড়তে ইচ্ছে করাটা মানসিক সুস্থতার  লক্ষণ না৷ Why so serious? Job for Life, not Life for Job. বিসিএস ক্যাডার হতেই হবে, এমন তো নয়! আপনার রিজিক আগে থেকেই ঠিক করা আছে। কতোকিছুই তো করার আছে! তাই, ব্রেক নিন, পড়াকে ছুটি দিন৷ মাঝেমধ্যেই৷ রুমের দরোজাজানালা বন্ধ করে ফুল ভলিয়্যুমে মিউজিক ছেড়ে সব ভাবনা ঝেড়ে ফেলে নাচুন! ইচ্ছেমতো গলা ফাটান! কী আছে আর জীবনে! দু’দিন পড়া হ’লো না বলে মন খারাপ করে আরো দু’দিন নষ্ট করার তো কোনো মানে হয়না৷ ভুল না করে শিখেছে কে কোথায় কবে? অনুশোচনা করার সময় কোথায়? আপনি তো আর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভুলটি করে বসেননি! আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী মানুষটিও নন!
  •   গ্রুপ স্টাডি করা কতোটুকু দরকার? এটা আপনার অভ্যেসের উপর নির্ভর করে। আমার নিজের এই অভ্যেস ছিলো না। আমি গ্রুপ স্টাডি করতাম না ২টা কারণে। এক। যখন দেখতাম, সবাই অনেককিছু পারে, যেগুলোর কিছুই আমি পারি না, তখন মনমেজাজ খারাপ হতো। আমি পারি না, এটা ভাবতে ভালো লাগে না। The Pursuit of Happyness এর ডায়লগটা মনে আছে তো? আপনি পারেন না, সবার কাছ থেকে এটা শুনে, বুঝে আপনার কী লাভ? সবাই এটা বললে তো আর আপনি বেশি পারতে শুরু করবেন না, বরং আপনার বেশি পারার ইচ্ছেটা কমে যেতে পারে। দুই। সবার সাথে পড়লে বেশি বেশি গল্প করতে ইচ্ছে করতো, আর মনে হতো, ওরা যেটা করছে সেটা ঠিক, আমার নিজেরটা ভুল। অন্ধ অনুকরণ করতে ভালো লাগে না।

বিসিএস রিটেনের নতুন টপিকগুলোঃ কী পড়বেন? কোথা থেকে পড়বেন

  •   বাংলা দ্বিতীয় পত্রঃ অনুবাদ (ইংরেজি থেকে বাংলা), [পেপারের সম্পাদকীয়] কাল্পনিক সংলাপ, [পেপার+টকশো] গ্রন্থ-সমালোচনা
  •   ইংরেজি প্রথম পত্রঃ

 Reading Comprehension  a number of thematic questions that will test their understanding of the passage (30) [IELTS]  a number of questions related to grammar and usage (30) [পুরোনো সিলেবাস]  summary /précis of the given passage in your own words within 100 words (20) [পেপার+গ্রামার বই]  a letter relating to the thematic issue of the given passage to the editor of an English newspaper (20) [পেপার+গাইড বই]

  •   আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ

 Short Conceptual Notes : 10 out of 12 10 x 4 =40 [গাইড বই+ ইন্টারনেট+ রেফারেন্স বই]  Analytical Questions: 3 out of 4 questions 3 x 15 =45 [গাইড বই+ ইন্টারনেট+ রেফারেন্স বই]  Problem-solving question 1 x 15 =15 [ইন্টারনেট+ রেফারেন্স বই+ পেপার]

  •   গাণিতিক যুক্তিঃ সিলেবাস দেখে আগের বছরের প্রশ্ন+ গাইড বই
  •   মানসিক দক্ষতাঃ গাইড বই+ আইকিউ টেস্টের বই+ ডিইউ ইএমবিএ’র প্রশ্ন ব্যাংক
  •   সাধারণ বিজ্ঞানঃ

  Part – B: Computer and Information Technology (25) [গাইড বই+ পিটার নরটনের বই+ উচ্চমাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা ১ম পত্রের বই]  Part – C: Electrical and Electronic Technology (15) [গাইড বই+ উচ্চমাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্রের বই]

আড্ডা শেষ হোক গল্পে ……..

প্রথম গল্প:

একটা কাক গাছের উঁচু ডালে কোন কাজ না করে অলসভাবে বসে ছিল৷ ঠিক সে সময়ে ওই পথ দিয়ে এক খরগোশ যাচ্ছিলো৷ খরগোশ কাককে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা ভাই, আমিও কি তোমার মতো কোন কাজ না করে এই গাছের নীচে বসে থাকতে পারি?” কাক বলল, “নিশ্চয়ই পারো!” খরগোশ তা-ই করল৷

কিছুক্ষণ পর সেই পথ দিয়ে এক শেয়াল যাচ্ছিল৷ শেয়াল খরগোশটাকে বসে থাকতে দেখে খপ্ করে ধরে খেয়ে ফেলল৷

এই গল্পের lesson কি? lesson হলো, যখন আপনি এতটা উঁচু আসনে বসে আছেন যে, কেউ আপনাকে ছুঁতে পারবে না, তখন আপনি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন৷ তবে, এর আগে পরিশ্রম করে আপনাকে সেই আসনে বসার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে৷ ভাবুন, আপনারা এখন কোন আসনটাতে বসে আছেন৷

দ্বিতীয় গল্প:

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে একটা ছোট্ট পাখি সাইবেরিয়া ছেড়ে যাচ্ছিল৷ হঠাৎ পাখিটা জমে গিয়ে বরফের টুকরোর মতন টপ্ করে মাটিতে পড়ে গেল৷ বেশ কিছু সময় পড়ে সেই পথ দিয়ে একটা গরু হেঁটে যাওয়ার সময় পাখিটার উপর মলত্যাগ করল৷ কিছুক্ষণ পর গোবরের উষ্ণতায় পাখির গায়ের সমস্ত বরফ ঝরে গেল৷ পাখিটা তখন খুশীতে গান গাইতে শুরু করল৷ কাছেই একটা বেড়াল বসেছিল৷ গান শুনে বেড়ালটা গোবর থেকে পাখিটাকে বের করে খেয়ে ফেলল৷

এই গল্পের lesson গুলো কি কি?

প্রথম lesson হলো, Not everyone who drops shit on you is your enemy. এর মানে হল, যারা আমাদের উপরে ময়লা ছিটিয়ে দেয় অর্থাৎ আমাদের বকা-ঝকা করেন, তাদের সবাই কিন্তু আমাদের শত্রু নন; অনেকেই আমাদের ভালো চান৷ এই দলে আছেন, আমাদের বাবা-মা, সিনিয়ররা, স্যাররা৷

দ্বিতীয় lesson হলো, Not everyone who gets you out of shit is your friend. এর মানে হল, অনেকেই আছেন যাঁরা আমাদের বিপদ থেকে মুক্ত করার কথা বলে হাত বাড়িয়ে দিয়ে আরো বড় বিপদে ফেলে দেন৷ এই দলে আছেন, আমাদের আশে-পাশের সেইসব মহাপণ্ডিত ব্যক্তিরা, যাঁরা বলেন, “বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে আর কি হবে? তার চেয়ে অন্য কিছু কর৷” অথবা বলেন, “তোমাকে দিয়ে বিসিএস হবেনা৷”আমি মনে করি, If you cannot help a person to do something, you have no right to demoralize him/her saying that he/she cannot do it.

আমার মনে হয়, তৃতীয় lesson টাই সবচেয়ে important. সেটি হলো, When you are in the shit, always keep your mouth shut!! এর মানে হল, যখন আপনি বিপদে আছেন, তখন সবসময় আপনার মুখ বন্ধ রাখবেন৷ Success talks the loudest. Success can buy silence. আপনার সাফল্য সবার মুখ বন্ধ করে দিতে পারে৷ তাই, নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিন; অন্যদের প্রতি নয়৷

  no easy day, the only easy day was yesterday

Good Luck!

প্রশ্নোত্তর পর্ব