খড়ের আর্দ্রতায় ফুলকি

ব্যস্ততা দেখাচ্ছ?
কাকে দেখাচ্ছ?
যে কিনা তোমার প্রতীক্ষায় দিন গুনবে বলেই জন্মেছে, তাকে?
এই যে এখন এত এত ব্যস্ততা দেখাও তাকে…
যদি কখনও তার ব্যস্ত সময় আর তোমার অপেক্ষার অস্থিরতাকে
দুই সমান্তরাল রেখায় ঠাঁই দিতে হয়,
পারবে তো তখন সবটা সামাল দিতে?


অবহেলা করছ?
কাকে করছ?
যে কিনা তোমার হেলায় হারাবে বলেই আবেগের খেলায় হার মেনেছে, তাকে?
এই যে এখন এত এত অবহেলা করছ তাকে…
যদি কখনও তার খেয়ালের বশ আর তোমার অতীত আঁকড়ে বাঁচবার শখ
একই দাঁড়িপাল্লার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ওজন হিসেবে মেপে ফেলা হয়,
পারবে তো তার সবটুকু ভার সইতে তখন?


দূরে সরিয়ে রাখছ?
কাকে রাখছ?
যে কিনা তোমার দূরত্বের রঙ্গমঞ্চের রোমাঞ্চকর নায়িকা হবে বলেই
শত জন্মের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, তাকে?
এই যে এখন এত এত দূরে সরিয়ে রাখছ তাকে…
যদি কখনও তার হারিয়ে-যাওয়া সুর আর তোমার পুরনো গানের টান
একই নদীর দুই প্রান্তসীমায় আলাদা করা হয়,
পারবে তো তখন সেই পৃথকীকরণের সিদ্ধান্তে একমত হতে?


বিরক্তি প্রকাশ করছ?
কাকে প্রকাশ করছ?
যে কিনা তোমার বিরক্তিতে তার বিস্মিত মনকে স্থান দেবে বলেই
নক্ষত্রের কক্ষপথের গতিকে আপন করেছে, তাকে?
এই যে এখন এত এত বিরক্তিপ্রকাশ করছ তাকে…
যদি কখনও তার সহ্যসীমা আর তোমার ফিরে-আসা
কোনও একই সময়ের জোয়ার-ভাটায় স্থান পায়,
পারবে তো তখন তার ভারসাম্যহীনতায় সমস্ত ভালোবাসা বিসর্জন দিতে?