ডোন্ট ওয়ার্ক হার্ড!

কোনও এক সুন্দর সন্ধ্যায় এক ভদ্রলোক উনার দুষ্টুমিষ্টি আদুরে বেড়ালটির পেছনপেছন ছুটতে-ছুটতে হঠাৎ করে একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে পড়ে গেলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ট্যাংকের ঢাকনা খোলা ছিল, উনি অন্ধকারে খেয়াল করেননি। জায়গাটি এতই অন্ধকার যে আশেপাশে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। উনি অসহায় হয়ে স্থির দাঁড়িয়ে আছেন, কাঁধ পর্যন্ত মলমূত্রের ছোটখাটো ঘনসাগর, গা গুলিয়ে-আসা দুর্গন্ধ সহ্য করেও স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য অনেক কষ্ট করে শ্বাস নিচ্ছেন। ভয়ে হাঁটছেন না, নড়াচড়াও করছেন না, যদি পা পিছলে পড়ে যান! চারিদিকে ঘুটঘুটে অস্বস্তিকর অন্ধকার। সারাগায়ে লেপটেথাকা ঘন থ্যাকথ্যাকে নোংরার স্তূপ সরিয়ে যে সামনের দিকে একটু-একটু করে এগিয়ে যাবেন, সে উপায়ও নেই। ওদিকে রাজ্যের মশামাছি আর হাজার-হাজার নাম-না-জানা বিশ্রী পোকামাকড় চোখে-মুখে-নাকের ওপরে এসে পড়ছে, সারাক্ষণই বিরক্তিকরভাবে ভনভন করছে। (Friends! Stop, reread up to this, close your eyes and just imagine yourself in that situation!!……lol) ওই আবর্জনার সাগরে আটকা পড়ে ওই মুহূর্তে উনার নিজেকে মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর সবচাইতে হতভাগ্য মানুষ। উনার মাথায় তখন একটা ভাবনাই ঘুরপাক খাচ্ছিল, যে করেই হোক যতক্ষণ সম্ভব সেন্সলেস না হয়ে টিকে থাকতে হবে। এক চুলও না নড়ে উনি এই মলমূত্রের সমুদ্রের তীব্র ঘ্রাণ সহ্য করে যাচ্ছেন, এমন সময় হঠাৎ দূর থেকে আসা একটা গাড়ির হেডলাইটের আলোয় উনি আবিষ্কার করলেন, কাছেই একটা ছোট হাট আছে। কিছু না ভেবেই উনি গলার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেঁচাতে লাগলেন, Fire! Fire!! Fire!!! এতে কাজ হল। কিছুক্ষণের মধ্যে হাট থেকে বাড়িফেরা কিছু লোক এসে ওখানে জড়ো হলেন এবং উনাকে অনেক কষ্টে সেখান থেকে টেনে উদ্ধার করলেন। দুর্গন্ধময় নোংরা সারা শরীর নিয়ে উনি সেই অচল ঘন সাগর থেকে মুক্তি পেলেন। উদ্ধারের পর উনি একটু সুস্থবোধ করলে সবাই উনাকে জিজ্ঞেস করল, এখানে তো কোথাও আগুন লাগেনি। তাহলে আপনি ওরকম Fire Fire!! বলে চেঁচাচ্ছিলেন কেন? উনি সাথে-সাথেই উত্তর দিলেন, আমি যদি চেঁচাতাম, Shit shit!! তাহলে কি আপনারা আমাকে উদ্ধার করতে আসতেন?

সেই ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাথায় এটা ঢুকিয়ে দেয়া হয়, Study hard…..Work hard…….. মানে, যা কিছুই করি না কেন, সেটা অবশ্যই Hard হতে হবে! আমাদের বড়রা সবকিছু Hard করতে-করতে নিজেদের জীবনটাকে কেরোসিন বানিয়ে আমাদের জীবনটাকেও কেরোসিন বানানোর বুদ্ধি দেন। আচ্ছা, ভাবুন তো, ওই ব্যক্তি যদি ওই ‘শক্ত পানি’র সাগর থেকে মুক্তি পেতে Hard work শুরু করতেন, তাহলে কী হত? হয়তো বা হাত-পা ছোঁড়াছুড়ি করতে-করতে প্রচণ্ড দুর্গন্ধে দম আটকে মারাই পড়তেন! অমন পূতি দুর্গন্ধময় মৃত্যু! জীবনে যা করা প্রয়োজন সেটি হল, Doing the right thing in the right time. এখানে বলে রাখা ভাল, Right thing মানে কিন্তু Real thing নাও হতে পারে। যা কিছু সত্য, তা কিছু সঠিক নাও হতে পারে। সত্য কথা বললে ওই ভদ্রলোকের দেরি-হয়ে-যাওয়া’র আগেই প্রাণে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল অল্প। ওইসময়ের জন্য ওটাই ছিল The right thing to do, মানে মিথ্যা কথা বলা। যখন উনি এটা বুঝতে পারলেন, আশেপাশে হয়তো কেউ আছে, তখনই ছিল Right decision নেয়ার সময় এবং মিথ্যা কথা বলার সিদ্ধান্তই ছিল সেই Right decisionটি. এর চাইতে দেরি হয়ে গেলে হয়তো অনেক দেরি হয়ে যেতে পারত। সবসময়ই যে অনেক দেরি মানেই অনেক সময়ের দেরি, এমনটা নাও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে স্রেফ ৫ মিনিটের দেরি করলেই হয়তো উনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতেন আর মারা পড়তেন। তাই শুধু Hard work নয়, Right workটি পরিশ্রম করে করাই হল সাফল্যের মূলসূত্র। যদি Right workটি করার বুদ্ধি সময়ের পরে মাথায় আসে, তবে সেটি কাজে নাও লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে Right timeটি বুঝতে হবে এবং ঠিক সে সময়েই সুযোগটি গ্রহণ করার মানিসিকতা তৈরি করতে হবে। আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা যেমনই হোক না কেন, আপনি যদি সুযোগ গ্রহণ করতে না জানেন, তবে আপনি যা deserve করেন বলে আপনি নিজে কিংবা অন্যরা ভাবে, সেটি আপনার কাছে নাও আসতে পারে। সাফল্য নির্ভর করে কোনও কাজ কঠোর পরিশ্রম করে করার উপরে নয়, সঠিক কাজটি সঠিক সময়ে কঠোর পরিশ্রম করে করার উপরে। বুঝেশুনে কাজ করতে না জানলে, আমরা যতই পরিশ্রম করি না কেন, কোনও কাজ হবে না। তাই কোন সময়ে কোন কাজটি কীভাবে করব, সেটি ঠিক করা কাজ শুরু করার প্রাথমিক ধাপ।

ধরুন, আপনি চাকরির পরীক্ষা দেবেন। সবচাইতে ভালভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার বুদ্ধি এবং কৌশল আপনি আত্মস্থ করলেন আপনার বয়স ৩০ পেরুনোর পর। এতে কী হবে? কী লাভ সে চাকরির জন্য বিশ্বের সবচাইতে যোগ্য ক্যান্ডিডেট হয়েও? ৩০ বড় নিষ্ঠুর একটা বয়স। হায়! ৩০ পেরুলে কেউ চাকরি দেয় না! ৩০ পেরুলে কেউ হৃদয় দেয় না!

আচ্ছা, প্রস্তুতি নিলেন। পরীক্ষা দিচ্ছেন। মনেমনে এই শপথ করে বসে আছেন, “যাহা সত্য, তাহা লিখিব। সত্য বই মিথ্যা লিখিব না।” খুবই ভাল কথা। কিছু-কিছু প্রশ্ন কমন আসেনি, মানে, আপনি সেগুলির উত্তর জানেন না। অতএব পবিত্র পরীক্ষার খাতায় বিন্দুমাত্রও মিথ্যাচার না করার অটল সিদ্ধান্তে আপনি সে প্রশ্নগুলি ছেড়ে আসলেন। ব্ল্যাংক খাতায় তো আর নম্বর দেয়া যায় না। আপনার বন্ধুরও সে প্রশ্নগুলি কমন আসেনি। কিন্তু সে প্রশ্নগুলি একেবারে ছেড়ে না এসে ধারণা থেকে চাপাবাজি করে কিছু না কিছু লিখে দিয়ে এল। Precisely লিখতে না পারার কারণে স্যার বিরক্ত হয়ে প্রত্যেকটা উত্তরেই কমকম নম্বর দিলেন। ভুলভাল লেখার কারণে সে পেল কম নম্বর, না লেখার কারণে আপনি পেলেন শূন্য। কোনটা ভাল, চাকরিটা পাওয়ার জন্য? পরীক্ষার খাতায় কিছুই না লিখে শূন্য পাওয়ার চাইতে চাপাবাজি করে মনে যা আসে কয়েক পেইজ তা-ই লিখে আধা নম্বর পাওয়াও অনেক ভাল। পরীক্ষার হল ভাব নেয়ার জায়গা না, ভিক্ষা করে হলেও মার্কস নেয়ার জায়গা। আপনি পরীক্ষার সাথে ফাজলামো করলে চাকরিও আপনার সাথে ফাজলামো করবে। কিংবা ধরুন, পরীক্ষার খাতায় কোনও একটা প্রশ্নের উত্তরে কোটেশন দিতে হবে। কিন্তু আপনার প্রাসঙ্গিক কোনও কোটেশনই জানা নেই। আন্দাজে কারওর উক্তি লেখার মহা অন্যায়টি না করে কোটেশন ছাড়াই উত্তর লিখলেন। আরেক পরীক্ষার্থী ধারণা থেকে পূর্বের প্রচুর Reading habit কাজে লাগিয়ে কিছুটা সততা বিসর্জন দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে বানিয়ে-বানিয়ে কিছু উদ্ধৃতি দিয়ে দিলেন। রেফারেন্স কিংবা সোর্সে এমন কিছু লিখে দিলেন, যেটা যাচাই করতে যাওয়াটা অনেকবেশি কষ্ট আর সময়সাপেক্ষ বিষয় এবং স্যাররা সেটা করতে যাবেনও না। এতে উনি কিছু বাড়তি মার্কসও পেয়ে গেলেন। হোক তা ৪-৫, টোটাল মার্কসে যোগ হবে তো! উনি চাকরিটা পেলেন, আপনি পেলেন না। এক বুক সততার সান্ত্বনা নিয়ে বেকারত্ব আর সিস্টেমকে গালাগালি করতে-করতে আপনি সর্ব সুখে সুখী হয়ে গেলেন! বলতে পারেন, অমন মিথ্যাচার করে চাকরি পাওয়ার কী দরকার? ওটা ঘোরতর নীতি বহির্ভূত কাজ! আচ্ছা, ওইটুকু নীতিবর্জিত হলে কি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছু শতাংশ কমে যাবে? নাকি তৃতীয় মহাযুদ্ধ বেধে যাবে? আপনার চাকরি নেই, আপনার বন্ধুটির চাকরি আছে—দিনের শেষে একমাত্র এটাই ম্যাটার করে, আর কিছুই না। তবে হ্যাঁ, আপনি সততার সুখ আর বেকারত্বের অ-সুখের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে হাসিমুখে বেঁচে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে অবশ্য ভিন্ন কথা।

যুদ্ধে, প্রেমে আর পরীক্ষায় ভাল করার টেকনিক কোনওকালেই একেবারে শুদ্ধতম ছিল বলে আমি শুনিনি। আপনি বাসায় ইঁদুর মারার জন্য বেড়াল কিনবেন। আপনি ভাবতে শুরু করলেন, কী রঙের বেড়াল কিনবেন? সাদা? নাকি, কালো? আমি বলব, বেড়াল সাদা কী কালো, সেটা বড় কথা নয়; আসল কথা হল, ইঁদুর মারতে পারে কিনা। তবে আপনি শখ পূরণ করার জন্য বেড়াল কিনলে রঙের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে পারেন। একইভাবে, আপনি পরীক্ষাটা শুধু আত্মতুষ্টির জন্য দিলে, শুধু ঠিক-ঠিক কথাগুলিই লিখে দিয়ে আসতে পারেন। আরে বাবা, নাহয় লিখলেন কিছু ভুলভাল, যদি স্যার না জেনেই মার্কস দিয়ে দেন, অসুবিধাটা কোথায়? স্যার জানেন না, ভুল তথ্যে মার্কস দিয়ে দিয়েছেন, সে দোষ কি আপনার, নাকি স্যারের? আমি বিশ্বাস করি, পরীক্ষায় আমি যে উত্তরগুলি লিখি, সেগুলি নিশ্চয়ই Classic texts নয়। আমি কখনওই এই দুরাশা করি না যে, আমার পরীক্ষার খাতার লেখাগুলি পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে থাকবে। আমার পরীক্ষার খাতার সম্ভাব্য শেষ গন্তব্যগুলির মধ্যে যে গন্তব্যটির কল্পনা আমাকে সবচাইতে বেশি স্বস্তি দেয়, সেটি হল, কোন নীরব পার্কের নিভৃত কোণায় বসে-বসে একান্তে প্রেমমগ্ন কোন যুগলের যাপিত মাহেন্দ্রক্ষণের সহস্র শতাব্দীপ্রাচীন নৈঃশব্দ্য ভঙ্গকারী অসূয়াবিদ্ধ চীনাবাদামের ঠোঙা। আমি ক্লাসিক টেক্সট রচনা করতে পরীক্ষা দিই না, আমি মার্কস পেতে পরীক্ষা দিই। আমার এই নীচ প্রবৃত্তির মানসিকতার জন্য I am not sorry. আমি বরাবরই দেখে আসছি, প্রেম এবং পরীক্ষা, এর কোনওটাতেই সবচাইতে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা সবচাইতে বেশি সফল কখনওই হয় না।

আপনি চাকরির জন্য অনেকবেশি পরিশ্রম করেও অনেকবেশি হতাশ হতে পারেন। আপনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ভাল কথা। কিন্তু যেভাবে করে প্রস্তুতিটা নিচ্ছেন, সেটা শেষ পর্যন্ত আপনাকে কতটা স্বস্তিতে রাখবে, সেটাও ভাবতে হবে। বেশি বোঝা বড় কথা নয়, যা বেশি বোঝা দরকার সেটি বেশি বোঝাই বড় কথা। পৃথিবীর তাবৎ বিষয়ে জ্ঞানীরা পৃথিবীকে দূরে থাক, নিজেকে কিংবা নিজের পরিবারকে খুব বেশি কিছু দিতে পেরেছে বলে কে কবে কোথায় শুনেছে? আপনি রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটাচ্ছেন এমনকিছুর পেছনে, যেটার আদৌ কোনও দরকার নেই। এতে করে Hard work করার কী-ই বা ফল পাবেন? আগে জানুন, কেন কীভাবে কখন ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এরপর ঝাঁপিয়ে পড়ুন। নাহলে সেই নির্বোধ পতঙ্গের মতো মিথ্যা আগুনের দুর্নিবার আকর্ষণে ছুটে-ছুটে অবশেষে নিরর্থক মৃত্যু ছাড়া আর তেমন কোনও অর্জন আসবে বলে মনে হয় না।

কোন একটা কাজ Best possible wayতে করলেই যে Best possible resultটাই আসবে, এমনটা নাও হতে পারে। ধরুন, আপনি Job interview দিতে যাবেন। পোশাক নির্বাচনের সময় সিদ্ধান্ত নিলেন, পৃথিবীর সবচাইতে দামি পোশাকটা পরে আপনি Interview board-এ ঢুকবেন। অনেক যত্ন আর আগ্রহ নিয়ে দোকানে গিয়ে কিনলেন বিশ্বের সবচাইতে দামি-দামি ব্র্যান্ডের সবুজ প্যান্ট, লাল শার্ট, হলুদ জুতা আর কমলা টাই। এরপর যা হওয়ার কথা, তা-ই হল। চাকরিটা যদি এত ভালভাবে প্রস্তুতি নেয়ার পরেও না পান, তবে তার পেছনে যে কয়টি কারণ দায়ী, অবশ্যই সেগুলির মধ্যে একটি হল: আপনি যে ব্যাপারগুলিকে ঠিক বলে ধরে নিয়েছিলেন এতটাই যে, কারওর ভিন্ন মতামতকে আমলে নেয়ার কথা ভাবতেই পারেননি কখনওই, সেগুলির মধ্যে বেশ কিছু অর্ধসত্য আর মিথ্যা ছিল।

আরেকটা কথা। শুধু Hard work দিয়েই সবকিছু হয় না। তা-ই যদি হত, তবে গাধা হত বনের রাজা, সিংহ নয়। একটা কাজ করার Smart wayটা জানতে হয়। এতে সময়ও বাঁচে, দরকার নেই, এমন কাজও করতে হয় না। শুধু ঠিক কাজটি নয়, ঠিকভাবে ঠিক কাজটি করাই বড় কথা। বাকি ১০ জন যেভাবে করে কোনও একটা বিষয়কে নিয়ে ভাবে, আপনি যদি সেভাবেই ভাবেন, তবে বাকি ১০ জনের মতই average কিছু একটা পাবেন। গল্পের ভদ্রলোক যদি অন্য ১০ জনের মতই সত্য কথাটা বলে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতেন, কিংবা শুরুতেই হাত-পা ছোঁড়াছুড়ি করতেন, তাহলে হয়তো বা সেটা Genuine work কিংবা Hard work হত, কিন্তু Smart work হত না। কোনও একটা ঘটনাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্র্যাকটিস করলে সে ঘটনার শেষটা ভিন্নভাবে দেখার অভিজ্ঞতা হতে পারে। যে ছেলেটি আগে Thomson & Martinet কিংবা Nesfield কিংবা Swan পড়ে পরে Living English Structure সলভ করে, তার ইংরেজির বেসিক, আর যে Living English Structure সলভ করার সময় বারবার ওসব প্রামাণ্য বইগুলি উল্টে-উল্টে দেখে, তার ইংরেজির বেসিক একই রকমের না হওয়ারই কথা! আমার মতে, সেকেন্ড অ্যাপ্রোচটাই বেটার। ছোটবেলায় আমরা বন্ধুরা একই স্যারের একই নোট শিখে পরীক্ষা দিতাম, কিন্তু ভিন্ন-ভিন্ন মার্কস পেতাম। এখানে লেখার ধরনের ভিন্নতার কারণেই মার্কসটা ভিন্ন ভিন্ন হয়। উপস্থাপনার কৌশলের উপর নির্ভর করে কে কার চাইতে হাফ মার্কস হলেও কম-বেশি পাবে। পরীক্ষায় উত্তর লেখাই কাজ নয়, বেশি মার্কস পাওয়ার জন্য উত্তর লেখাই হল কাজ।

যে গল্পটি দিয়ে শুরু করেছিলাম, সে গল্পটি কোনও কাজ শুরু করার আগে মাথায় রাখুন। কাজের প্রতি আন্তরিকতা আর সদিচ্ছা মানুষকে সফল করে না; বরং সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, সঠিক কাজের প্রতি আন্তরিকতা আর সদিচ্ছাই মানুষকে সফল করে। ভাল থাকুন, এগিয়ে যান।