তিন আঁচড়ের বছরশেষে

 এপারের ইচ্ছেগুলি
যন্ত্রণা নেয়, নীরবে গিলে।
ওপারের যাত্রা যত, অথর্ব আর নিরর্থকই!
 
আমার উঠোন হয়ে সে যায় চলে!
সে চলে যায়...আমারই উঠোন হয়ে!
সমস্ত জল প্রকাণ্ড এক বরফ হয়ে
চারিপাশ থেকে খুব চেপে ধরে.....
নাহ্‌! তারে বলব না কিছু, কিছুই তারে নেই যে বলার!
তবু নিজেকে বোঝাই, যত অনুভবে বেঁচে আছি আজ,
সেটুক নিয়ে বলতে পারিই--ছিঃ! তুমি আজো এমন কেন!
 
তিন আঁচড়ের দাগ রেখে যাকে যত্নে রেখেছি, সে আসে মনে...
বছর ঘুরেছে সেই সে কবেই,
দাগ তিনটি এখনো যে আছে!
কেন ওরা আছে? রাখতে চেয়েছি? হবে হয়ত! চেয়েছি, থাকুক; মিলায়নি তাই!
মন বলে ওঠে, এই দাগগুলি ভালোবাসামাখা!
আমি তো জানি, ভালোবাসা নয়, আদরও সে নয়,
এ উপহার কামে কিবা হেলায় মাখা!
তবে উপহার কেন ডাকছি ওদের?...কী করবো, বলো, সে দিলো যে!
 
সব বুঝেও
না বুঝে থাকা,
সব জেনেও
অভিমানে বাঁচা--
এ যদি হয় ভালোবাসা, বলব তবে
ভালোবাসা হায় সত্যি একা--রাতের বেলায় দুপুর বাড়ে!
 
জীবন বুঝি
আবছা জলে
ভাবনা-ভেলায়
এমনি করেই শ্বাস গুনে যায়...