তিন প্রহর, তিন ঠিকানা

 
সকাল।



এ তোমার কেমন খেলা…
খেলে চলেছ আমার সাথে!
বিধাতা খেলেন পৃথিবী নিয়ে…
আমি যে পুতুল তোমার হাতে!


এ কোন মায়ার বাঁধনে…
জড়িয়ে আমায় জ্বালিয়ে বেড়াও!
বাঁধন ছিঁড়ে যাব ভাবলেই…
রুখে আমার সামনে দাঁড়াও!


কেন এত রহস্য ধরো…
তুমি তোমারই আপন কায়ায়!
কখনও ভাবি, হারিয়েই যাব…
তোমার ওই রঙিন ছায়ায়!


হঠাৎ তোমায় মিষ্টি লাগে…
অনবদ্য সৃষ্টি লাগে!
হৃদয়ে তখন তৃষ্ণা জাগে…
কেন যে তোমায় চাইনি আগে!


দুপুর।


আমার মনের ইচ্ছেঘরে…
যখনই ভাবি, একলা আমি,
ঠিক সে ক্ষণে আড়াল ছেড়ে
আমায় ছুঁয়ে দাঁড়াও তুমি!


বলো তখন মধুর স্বরে,
এই তো তোমার আমিই আছি!
খেলো তখন আমার সাথে…
ভালোবাসার এক কানামাছি!


ক্ষণিকের সেই খেলার ঘরে,
ভালোবেসে টানলে কাছে…
এলাম যখন, তখন দেখি, উধাও তুমি!
আর এদিকে আমার শুধু ‘আমি’ই আছে!


সন্ধ্যা।


এই শোনো না, ভালোবাসাটা…
এভাবে আমায় প্রাণে মেরো না!
সাথেই আমার থেকো তুমি,
ভুলেও আমার হাত ছেড়ো না!


শুধু একবার বলো আমায়,
ছেড়ে কখনও যাবে না তুমি!
জেনো, তখন এই পৃথিবীমাঝে,
সুখ ছড়াবে আমারই ভূমি!


একই ধাঁচে গড়া দুজন,
তুমি প্রকৃত, আমি ছায়া…
স্রষ্টার কত সৃষ্টিমাঝে
একই আত্মা, ভিন্ন কায়া!