তুমি মানে

 তুমি আমার সমুদ্র বিকেলবেলা,
সাদা জ্যোৎস্নায় রাত্রিক্ষয়ের খেলা।
তুমি আমার টুপুরটাপুর বৃষ্টি,
পুরনো প্রাণে নিত্যনতুন সৃষ্টি।
 
তুমি আমার কুয়াশামোড়া চাদর,
বলা না বলা আবেগঘেরা আদর।
তুমি আমার শিশিরছোঁয়া ভোর,
হৃদয়খোঁড়া শহরের এক দোর।
 
তুমি আমার আবোলতাবোল সন্ধে,
কী স্পর্ধায় প্রহর কাটে ধন্দে!
তুমি আমার অবাধপ্রকাশ চূর্ণ,
তোমাকে পেয়ে হয়েছি আমি পূর্ণ।
 
তুমি আমার একটা তুমুল ঝড়,
আটকে আছ ভালোবাসার পর!
তুমি আমার দারুণ প্রাচীন যত্ন,
তুমি আমার জ্বর, আমার রত্ন!
 
তুমি আমার একটা প্রবল সন্ধি,
বেশ তো আছি তুলোকফিনে বন্দি!
তুমি আমার সানকিভরা খাবার,
হলই উপোস, ভাবনা কেন আবার?
 
তুমি আমার হাজার কথার প্রশ্ন,
জবাবও তুমি, সূক্ষ্ম বোধে উষ্ণ।
তুমি আমার প্রিয় কোনও রাগ,
ফুরনো দিনের বাঁধনভাঙা ভাগ!
 
তুমি আমার প্রথম রঙের ধুনো,
তুমি এলে তাই রাত্রি হল বুনো।
তুমি আমার আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা,
তুমি মানেই বাঁচার ছলে কাঁদা।
 
তুমি আমার গোধূলিবেলায় তেমন,
সন্ধ্যারাগে সুরের আবেশ যেমন।
তুমি আমার চাঁদে মোড়ানো ছবি,
আত্মা খুঁড়ে জেগেওঠা এক রবি।
 
তুমি আমার স্মৃতির আলতো ঘর,
মনে তুমি এলে হাসিমুখে হই পর।
তুমি আমার কবিতাযাপন, দেখি,
কখনও ভাবি, ভাবছি আমি একি!