দেখা হওয়ার আগে

 
যদি কখনও ইচ্ছে হয়,
আমরা কোথাও বসব, আড্ডা দেবো, আমাকে জানিয়ো।
আমি অপেক্ষায় থাকব তোমার ওই সময়টার জন্য।


আমরা কোথায় দেখা করব?
পার্কে? কফিশপে কিংবা বুকশপে? রেস্তরাঁয় কিংবা টংয়ের দোকানে? তোমাদের গলির মুখে?
না কি রাস্তার পাশে কোথাও? তুমি কেন কিছুই বলছ না স্পষ্ট করে?
এখনও…আমি বলি, তুমি বলো…এই শব্দগুচ্ছের মধ্যে তুমি আটকে আছ!
কেন এমন করছ, বলো তো?


মনে হচ্ছে, একজন মানুষকে মুহূর্তের মধ্যে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য,
মন খারাপ করে দেওয়ার জন্য, যা যা গুণ লাগে,
তার সবটাই তোমার মাঝে আছে!
তুমি কেন আমার ফোনটা ধরছ না? নিজেও কেন করছ না?


তুমি বারবার টেক্সট দিচ্ছ। বলছ, আমি যা বলব, তা-ই হবে।
আবার সেখান থেকে পরমুহূর্তেই সরে আসছ। এর মানে কী?
আমার ইচ্ছেটাই যে তোমার ইচ্ছে,
ব্যাপারটা আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি।


এই যে এত করে বললাম, আমার সাথে কথা বলো, বললে না।
এখন আমি টিউশনিতে বের হয়ে যাচ্ছি, ফিরব সন্ধের পর।
এর মাঝখানে তোমার ইচ্ছে হলেও কথা বলা যাবে না,
আমার ইচ্ছে হলেও, না। এটা সত্যিই ঠিক হয়নি!
শুধু শুধু আমার একটা অপেক্ষার রেশ রয়ে গেল তোমার কাছে।


কিছু জানতে চাও তুমি? তুমি কেন আমাকে সরাসরি না করে দিচ্ছ না?
আমি তো তোমাকে বলেছি দেখা করতে। তোমার সময় হয়নি।
ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলাম, তা-ও তোমার সময় হয়নি।
এর বেশি আর কী করব, বলো।


কখনও আমাদের দেখা হলে
আমার সাথে খুব সাধারণভাবে কথা বলবে।
কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করে, বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে
এটা সেটা জানতে চেয়ো না, আমি কিন্তু ভয় পেয়ে যাব।
পরে দেখবে, আমি নেই হয়ে গেছি। আমি এটা পারি। বেশ ভালো পারি।


তুমি দেখা করবে না।
তুমি সেটা বলেও দেবে না।
তুমি এরকমই!
আমি সব বুঝতে পারছি।
আমি তারপরেও কিছু বুঝতে চাইছি না।
আমি এরকমই!