নিঃশ্বাসকে, নাকছাবি

 
দিন দিন যতই মানুষ চিনেছি, ততই বুঝেছি,
আমরা মানুষকে যেরকম করে দেখি, মানুষ ওরকম নয়।
আমাদের সমাজে অনাড়ম্বর ও নির্লোভ মানুষের
উষ্ণসান্নিধ্য পাওয়া বড়োই মুশকিল।


মানুষের সঙ্গ রেখে, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে,
মানুষের সব শোক-কষ্টকে শক্তিতে পরিণত করে
ভালোবাসাকে উজাড় করে দেওয়া সত্যিই কঠিন।


যখন থেকে তোমাকে দেখেছি, একটু একটু জানছি ও বুঝতে শিখছি,
আমি সত্যিই মুগ্ধ হচ্ছি।


স্নায়ুর সকল ইচ্ছাশক্তি একত্রিত করে
শুধুই তোমাকে বিশ্বাস করতে মন চাইছে।
খুব সাহস করে তোমার পাশে থেকে
তোমার বিশ্বাসের কেউ হয়ে উঠতে মন চাইছে।


দূরে, কাছে বিশ্বাসের অনিশ্চয়তা থেকে পালিয়ে
শুধুই তোমার বিশ্বাসের আশ্রয়ে থাকতে চাইছি।
নিজের বিশ্বাসটুকুও শুধু তোমারই কাছে জমিয়ে রাখতে চাইছি।


কারও পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কখনও ভুল করেও
তার বিশ্বাসটুকু ভেঙে দিয়ো না।


হঠাৎ কোনও নতুন বন্ধন তোমাকে টানলেও
অভিনয়ের ছলে আমার সাথে পরিচয়হীন হয়ে যেয়ো না।


অন্য কারও মোহে আবিষ্ট হয়ে
আমাকে সুগভীর, অন্তরঙ্গ আঘাত কোরো না।


হঠাৎ, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
দূরে চলে যাওয়ার আর বিচ্ছেদের কথা বোলো না।


নতুন প্রেমউদ্‌যাপনে ব্যস্ত হয়ে
আমার সমস্ত দৃষ্টিজুড়ে বর্ণহীন নিস্তব্ধতা ছড়িয়ো না।


অশ্রুহীন পলক ছুড়ে ছুড়ে
আমার আবেগকে তুচ্ছ ভেবো না কখনও।


আমার তো আছেই---
প্রত্যহের নিদারুণ যন্ত্রণায় হৃদয়ে রক্তবর্ণ-ক্ষুধা!
কিছু নিত্যদাহ, সাথে বুকের মাঝে চিহ্নিত এক পাহাড়সম বিস্মৃতি!


সেসবের পাশে তোমার ঘৃণার কিছু, উপেক্ষার কিছু
যুক্ত কোরো না।


যদি করো,
তবে এক স্বপ্নহীন মরুচরে কখন আমার মৃত্যু হবে, তুমি জানতেও পারবে না।


যদি আমার মৃত্যু হয় তেমন কোনও চরে,
তবে সেই মৃত্যু তোমাকে দুদণ্ড কাঁদাবে, এটা তুমি জেনো।