নীরব আবাহন

ভালোবাসি গো! বড়ো ভালোবাসি…
আমার প্রতিটি রক্তবিন্দু জানে,
জানে আমার প্রতিটি অশ্রুকণাও,
আমি যে তোমায় খুব ভালোবাসি!


বোঝো না কি তুমি এই হৃৎপিণ্ডের টান?
ঝরে-পড়া প্রতিটি ফুল জানে,
শিয়রে থাকা খোলা জানালা দিয়ে
আমি রোজ রাতে যে আকাশটা দেখি,
অনেক বলেছি তাকেও তোমার কথা, জানে সেও,
আমি তোমারই মোহে এমন অবশ হয়ে
তোমার অনুভবেই করেছি প্রতিদিনই নিবিড় রাত্রিবাস,
আমার এ জীবনে তোমার অমন প্রিয়জন হয়ে আসার প্রয়োজনটা
আজ এক কাঙালিনীর ভিক্ষাচর্যাই শুধু!


আমি কী করে যে তোমাকে বোঝাই,
ও গো, আমি যে তোমায় বড়ো বেশি ভালোবাসি!
তুমি কেন বোঝো না পোড়া এ মনের দহনের গান,
জেনে গেছে যা হাওয়ার প্রবাদ!
সে জানে ঠিকই, আমি যে কতটা বিসংবাদে
তোমায় বলেছি বিদায়,
কতটা অপারগতায় মেনেছি পরাজয়
নিয়তির বিচ্ছেদপন্থি অবয়বের সামনে এসে
নতজানু হয়ে!


জানে গো জানে, এ জগতের প্রতিটি,
হ্যাঁ, প্রতিটিই লেখনশৈলী জানে,
কতটা, ঠিক কতটা ভালোবাসায় আর পরমযত্নে
আমি লিখেছি তোমায় নীহারের চিরন্তন রেখায় প্রজ্বলিত প্রেমবসন্তের সূচনাপর্ব!


আজ আমার উপসংহারভাগটুকুই চায় সম্পূর্ণ হতে!
আমি কী করে যে বোঝাই তোমাকে
তোমার অভাবে হয়েছি আমি আত্মঘাতী কত কত বার!
আমি কোন সে ভাষায় আজ বলে দিই
আমি তোমাকে বড়ো ভালোবাসি বড়ো ভালোবাসি বড়ো ভালোবাসি!
তুমি বোঝো না কেন আমার এই নীরব আবাহন?