পরার্থ

 তুমি--
এত স্বার্থ কেন পুষো?
কোন সে সুখে বয়ে বাঁচো,
এই যে তুমি--শুধুই তোমায়?
পরিবারটা বাদই দিলাম--
ওদের নিয়ে, তুমিই ভেবো।
‘ওর’ কথাও বলছি নাকো;
ওটাও তুমি বুঝে নিয়ো।
 
বলবো শুধু--
অদৃশ্য ওই মানুষগুলোর কথা,
ভাবছে যারা, তুমি আছো--
থাকবে, সাথে মিশে...
জানোই তুমি ভালো--
তোমার হাসি কেমন মায়ায়,
ছড়ায় খুশি ওদের মাঝে,
কাঁদলে তুমি, সে খুশিটা--
অশ্রু হয়ে ঝরায়, ঝরে।
যেমনই হও তুমি--
কত মানুষ ভাবছে বসে,
তোমার মতো হবে।
স্বপ্নটাকে দেখবে ছুঁয়ে,
হাতটা তোমার ধরে।
এক জন্মে আর কী-ই বা লাগে?
দামি যে তুমি--বুঝবে কবে?
কোন ইশারায়, মাতছো অবহেলায়,
নিজের সাথে নিজে?
অনেকটা পথ হয়নি হাঁটা,
হাঁটতে হবে সেটুকখানি।
ছাড় নেই তো!--বোঝো তুমি?
 
আচ্ছা, আমরা মানুষ কীসে?
নিজের জন্য নয়কো শুধুই,
পরেরটাতেও। কেন...?
দেখলে সবাই, সবার ভালো,
সেই ভালোটাই চক্রে ঘুরে,
নিজের ভালোয় পড়ে এসে,
গায়ের ওপর--আজ, নয়তো কাল।
আসেই আসে, ভুল হয় না কোনো!
 
তবে--
পরের ভালো করতে গেলে,
নিজের ভালোই আসুক আগে...
নিজের দিকে ওই উদাসীন
চোখটা কবে, কীসে লাগে?
এই কখনো,
পৃথিবীটা উল্টো ঘোরে,
মেঝেটাও ছোঁয় তোমাকে--
খুব সহজেই।
আস্পর্ধা ওর জন্ম থেকেই!
ওতেও তুমি, দিব্যি থাকো।
 
অভিমানেতে, যতোই ভাবো,
নাতো! কোথায়? কেউ ভাবে না!
কে আর তুমি!
ভাববে কেন?...রেখো জেনে,
কেউ তোমাকে ভাবেই ভাবে!
নেই তো এমন কেউই--
যাকে, নেইকো কিছু ভাবার।
মানো না মানো,
এর বাইরে, নেই তুমিও!
তবে, একটু বোঝো--
হারলে তুমি,
মনটাতে ওর,
কেমন লাগে!
 
জানতে তুমি--
কত কেউ, ভালো যে থাকে...
এই তোমাকেও ভালোবেসে?
মন্দ হও না যতোই তুমি,
অমন মানুষ, থাকেই থাকে!
তবুও কি তুমি,
বলতে পারো--
তুমি শুধু তোমারই আছো?
ভালো থাকো, খারাপ থাকো,
যেমনই বাঁচো--
শুধুই নিজের?
 
জানি তুমি, বোঝো সবই!
তবে কেন এমন করো--
কোন সে দ্রোহে,
নিজের সাথেই নিজে?
কোন অতলে,
লুকোও তুমি, এই নিজেকে?
বোকা নাকি?
অবুঝ হওয়ার, ছলটা মেকি।
দোহাই লাগে,
একটুকুও, করো দয়া,
এই তোমাকেই!
জোর করেও, থেকো ভালো--
আর কারো নয়,
এই নিজেতেই।
ওতে সবার, ওই ‘তুমি’টা,
থাকবে ভালো, উঠবে হেসে--
সবার সাথেই!
ক্ষতি তাতে?