পুরনো দোকানের খণ্ডপসরা/ দুই

 
সময়
-----------------


সময়, তুমি বয়ে যাচ্ছ আবহমান কাল ধরে,
যুগ যুগ ধরে,
তুমি এক পা এগোচ্ছ, আর
বাজাচ্ছ মৃত্যুর ঘণ্টা।
তুমি কারও কাছে আনন্দ,
কারও কাছে প্রিয় বন্ধু,
তুমি কারও কাছে-বা নিষ্ঠুর অতি,
কারও কাছে প্রিয় শত্রু।
সময়, তুমি নিয়ে যাচ্ছ মোদের
ক্রমশ মৃত্যুর দিকে,
মনে হয়, যেন এখন দেখি কাকডাকা ভোর,
আবার একটু পরেই বিকেলের রোদ।
সকালে ঘুম থেকে উঠলে মনে হয়,
যখন দেখি ঘড়ি,
এই তো যেন একটু আগেই শুয়েছি,
ভোর হয়ে গেল এত তাড়াতাড়ি!
তুমি কারও কাছে ধরা দাও পড়াশোনার ব্যস্ততায়,
কারও কাছে-বা খেলাধুলায়,
টোকাদের কাছে তুমি যেন
পলিথিন-কুড়ানো সারাবেলা!
সময়, তুমি এই আস, এই যাও,
নদীর স্রোতের মতো,
মনে হয়, কিছুই যেন পারিনি করতে
মাথায় জমে কাজের ভিড় যত।
সময়, তুমি চলেছ বয়ে,
যেন ঘড়ির টিকটিক আওয়াজ,
মনে হয়, এই বুঝি গেল,
গেল যেন এক ঘণ্টা।
সময়, তুমি যাচ্ছ দ্রতগতিতে
নানা মুহূর্তের মধ্য দিয়ে,
মনে হয়, যেন এই বুঝি জন্মালাম,
আবার এই বুঝি গেলাম
মৃত্যুর দিকে এক ধাপ এগিয়ে।


…………………………………………
২৮ আগস্ট ১৯৯৭


বাংলার ভাষার বর্তমান অবস্থা
------------------------------------


এই খোকা, এদিকে এসো,
তোমার বাবা কই?
তোমার বাবাকে গিয়ে বলো, আমি এসেছি,
আমি তোমার কাকা হই।
বাবা তো নেই, বাইরে গেছেন,
বসুন একটু আপনি,
দেরি হবে না বেশিক্ষণ,
হয়তো এসে পড়বেন এখনিই।
আচ্ছা খোকা, নাম কী তোমার?
কোন ক্লাসে পড় তুমি?
নামটি আমার নরেন্দ্র,
ক্লাস থ্রি-তে পড়ি আমি।
বেশ সুন্দর নাম তো!
আচ্ছা খোকা, জানো কি তুমি
কোনও সুন্দর ছড়া?
জানব না কেন?
প্রায় সব সুন্দর ছড়াই
আমার আছে পড়া!
বেশ দেখি বলো তো
একটি বাংলা ছড়া,
দেখি, কেমন আছে তোমার পড়া!
না না, আমি তো বাংলা ছড়া জানিনে,
আমি জানি শুধুই ইংরেজি ছড়া।
বাংলা তোমার মাতৃভাষা,
তবু একটাও বাংলা ছড়া
তোমার নেই পড়া?
বাংলা ছড়া যে আগে শিখতে হবে,
পাশাপাশি শিখবে ইংরেজি ছড়া।
বাবা বলেছেন, “বাংলা যারা শিখে, তারা অশিক্ষিত।
তারা মূর্খ, যারা বাংলা বলে।
বাংলা শিখে নাকি নেই কোনও কাজ?
তিনি আমাকে বলেছেন ইংরেজি শিখতে,
কারণ ইংরেজিতেই নাকি দুনিয়া চলে,
ইংরেজি শিখলে নাকি হওয়া যায় স্মার্ট।”
একথা শুনে অতিথি মনে পেলেন বড় দুঃখ,
তাঁর চশমার নিচ দিয়ে,
পাঞ্জাবির বোতামের উপর দিয়ে
গড়িয়ে পড়ল দু’ফোঁটা অশ্রু।
ভাবলেন তিনি, “এইজন্যই কি
’৫২-তে দিয়েছিল শত শহীদ রক্ত?”
ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি
অশ্রুসিক্ত হলো তাঁর দু’নয়ন,
ভাবলেন তিনি, “এ কি হলো মোদের স্বাধীন বাংলাদেশ?
এ কি ছিল মোদের স্বপন?”


(বাবা ছেলেকে: বাবা, কালকের সিনেমা হতে তুমি কি কিছু শিখেছ?
ছেলে: হ্যাঁ বাবা, শিখেছি।
বাবা: কী শিখলে?
ছেলে: মারামারির সময় কোন কোন জায়গায় মারলে বেশি ব্যথা দেওয়া যায়।)


……………………………………………
২৯ আগস্ট ১৯৯৭


আমার মা
-------------------------


আমার মা সেরা মা,
ত্রিভুবনে মেলা ভার,
তাঁর মত ভাল মা যে
পাবে নাকো আর।
তাঁর স্নেহের, তাঁর মমতার
নেই যে কোনও তুলনা,
তাঁর স্নেহ না পেলে যে
হয়তো আমি বড়ই হতে পারতাম না।
ছোটবেলায় তিনি যে আমায়
ঘুম পড়াতেন জেগে,
চাঁদের ওই স্নিগ্ধ হাসি
মোর মুখে দিতেন এঁকে।
দিন-রাত জেগে করেন সেবা
কোনও অসুখ হলে মোর আজি,
আমি চাই মা,
চিরকাল থাকুক আমার কাছে,
ঝরুক স্নেহরাজি।
তিনি আমাকে কত কী
রান্না করে খাওয়ান,
মায়ের হাতের রান্না যেন
অমৃতসমান!
তাঁর মতো মা যে আমি
পাব নাকো কোথা,
যখন মায়ের কোলে মাথা রাখি,
জুড়ায় বুকের ব্যথা।
মা যখন থাকে না কাছে,
বুক যে যায় তখন ফেটে,
ফুলের হাসি, চাঁদের হাসি
থাকে যেন তাঁর মুখে লেপটে।
মায়ের কোলে যখন শুই,
তখন দূর হয়ে যায় ক্লান্তি,
মায়ের নাম জপলেও যেন
মনে পাই শান্তি।
জন্মেছি আমি তাঁর কোলে,
শিখেছি তাঁরই ভাষা,
চলে যেতে পারি যেন তাঁরই কোলে---
এই হলো মোর আশা।


……………………………………
২৯ আগস্ট ১৯৯৭


মহাযাত্রা
---------------------------


সেদিন ছিল হয়তো আগস্টের ৮ তারিখ,
আমার মৃত্যুর দিন।
প্ল্যান করেছিলাম, যাব সেন্টমার্টিন।
উঠেছিলাম সেই কাকডাকা ভোরে…
শুরু হবার আগে দিন,
প্রথমে, একটু মর্নিংওয়াক করলাম,
তারপর ব্রাশ করে স্নানটা সেরে নিলাম,
“খোকা খাবার খেয়ে যা…”
রান্নাঘর থেকে মায়ের ডাক শুনতে পেলাম।
(খাওয়া-দাওয়া সেরে)
আমার জাহাজ ছাড়বে ৮টায়,
তখন ঘড়িতে বাজছিল ৭.০০টা।
মা আমাকে কয়েকটা পিঠা দিয়ে
বললেন, “বাছা, খিদে লাগলে খেয়ে নিস,
শুধু আনন্দই করিস না,
সেই সাথে নিজের প্রতিও যত্ন রাখিস।”
বললাম, “মা, আশীর্বাদ করো,
যেন তোমার কোলে ফিরে আসতে পারি আবার!”
একথা শুনে মা কেঁদে ফেললেন ঝরঝর করে,
আমার কপালে চুমো খেলেন বারবার।
আমি পৌনে আটটায় জাহাজে উঠলাম,
বসলাম একটা সিটে,
জাহাজ ঠিক আটটায় ছাড়ল।
ঠিক যেন সেই মুহূর্তে,
একফালি সোনালি রোদ এসে
আমার মুখের উপর পড়ল।
এরপর দু’টাকার বাদাম কিনলাম,
একটু সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করি, একটু খাই,
এভাবে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি,
তাও ঠিক টের পাই নাই।
ঘুম যখন ভাঙল তখন বোধহয় সন্ধ্যা ছ’টা,
এমন সময় আকাশ হয়ে গেল কালো,
দেখা দিল মেঘের ঘনঘটা।
এমন সময় শুরু হলো টর্নেডো,
বাতাস বইতে লাগল খুব জোরে।
জাহাজটি মুখরিত হয়ে গেল
যাত্রীদের ভয়ার্ত চিৎকার আর হাহাকারে,
এমন সময় জাহাজটি যেতে লাগল ডুবে,
এভাবে জাহাজটি গেল ডুবে আস্তে আস্তে করে।
প্রায় দু’একজন ছাড়া
প্রায় সবাই গেল মরে।
আমিও পড়লাম মৃতের তালিকায়,
চলে এলাম পরপারে,
পৃথিবীর আলো-বাতাস, পৃথিবীর মায়া,
ছেড়েছুড়ে চিরতরে।
মা, আমি এখানে আছি মহাসুখে,
তুমি আমার জন্য কোরো না কোনও চিন্তা,
হয়তো সেদিন বেজেছিল,
বেজেছিল আমার ‘মৃত্যুর ঘণ্টা’।
সেদিন তোমায় চুমো খেয়ে আমি করেছিলাম ‘যাত্রা’,
হয়তো সেটাই ছিল আমার ‘মহাযাত্রা’!
জানি, হয়তো তুমি চেয়ে আছ আমার পথপানে,
আর বলছ, “খোকা আয়, খোকা আয়,
খোকা আয়…”


(ক্যাপ্টেন: আপনারা সবাই তাড়াতাড়ি লাইফবোট নিয়ে জাহাজ হতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন, কারণ জাহাজ ডুবে যাচ্ছে।
জনৈক যাত্রী: কেন? টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছি, জাহাজ চড়ে যাবার জন্য, ভেসে যাব কেন?


শিক্ষক: ইমন, একটি জলচর প্রানীর উদাহরণ সংজ্ঞাসহ দাও।
ইমন: স্যার, যারা জলে চরে, তাদের জলচর প্রাণী বলা হয়। যেমন জাহাজ।)


……………………………………………
৩০ আগস্ট ১৯৯৭


মশা
----------------


মশা, মশা, মশা!
তার জন্য একটুও যায় না তো বসা!
মশা, মশা, মশা,
সব জায়গাতেই মশা,
তার জ্বালায় আর বাঁচি না,
এমন কোন জায়গা পাবে না,
যেখানে মশা থাকে না।
নিঃশব্দে আসে তারা, নিঃশব্দে যায়,
চামড়ার ভিতরে হুল ফুটিয়ে
রক্ত চুষে খায়।
ঘরে মশা, বাইরে মশা,
মশা হতে নিস্তার নাই,
তোর কারণে ম্যালেরিয়ায়
কত লোক মারা যায়।
পড়ার সময় পায়ে কামড়াস,
যেখানে পড়ি সেখানে এসে,
তোর জন্য পড়ায় আমার
মন যে না বসে।
যদি তোকে এভাবে কেউ কামড়াত,
তবে তোর কেমন লাগত বল?
তুই রক্ত কেন খাস?
খেতে পারিস না ভিটামিনযুক্ত
শাকসবজি ও ফল?
চেষ্টা কর রক্ত-খাওয়া ছেড়ে দিতে,
চেষ্টায় কি না হয়,
আমাদের একটু শান্তি দে,
দূর কর আমাদের ভয়।


(শিক্ষক: বল তো মশারা কেন ভনভন করে?
ছাত্র: ওরা খুব ধার্মিক কিনা, তাই রক্ত খাওয়ার আগে একটু সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে।)
…………………………………………………
৩০ আগস্ট ১৯৯৭


একজন ছাত্রের আশা
--------------------------------


গ্রাম হতে একটি ছেলে আসল শহরে,
উদ্দেশ্য, পড়া-লেখা শিখে মানুষ হতে
চেষ্টা করবে প্রাণপণ।
এভাবে সে বড় হবে,
বড় হয়ে হবে
দেশ ও দশের একজন।
শহরে এসে প্রথমে তার পরিচয় ঘটল
ট্রাফিক জ্যামের সাথে,
তার পর কে কাকে ঠকাবে,
যাবে কে কার আগে!
তার পর সে গেল কলেজে ভর্তির জন্য,
গিয়ে দেখল ঠগবাজি থেকে মুক্তি পায়নি কিছু,
এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান---
ওখানেও চলে অন্যায়-অবিচার,
দেওয়া-নেওয়া চলে ঘুষ,
যাকে নাকি ভদ্র ভাষায় বলে ‘ডোনেশান’,
দেখল সর্বত্র এমনকি কলেজেও
সন্ত্রাস, অত্যাচার চলছে।
খাতা-কলম পুস্তকের বদলে ছাত্ররা
অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে।
“ছাত্ররা স্যারদের সম্মান করে।”
একথা সে আগে থেকে জেনে আসছে,
কিন্তু সেখানে সে দেখতে পেল,
“স্যাররাই ছাত্রদের সম্মান করছে।”
একদিন কলেজে কী একটা কারণে
বাধল মারামারি, সে থেকে বন্দুকযুদ্ধ।
আশ্চর্য হয়ে সে দেখল,
কলেজে যেন রক্তের হোলিখেলা চলছে।
হঠাৎ একটা বুলেট এসে
তার বুকে বিদ্ধ হলো,
সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল,
বুঝতে পারল মৃত্যুযন্ত্রণা কত ভয়াবহ, দুর্বিষহ।
তখন একটু থেমেছে বন্দুকযুদ্ধ,
তবে দু’একটা গুলির আওয়াজ তখনও
যাচ্ছিল শোনা মুহুর্মুহু।
এভাবে প্রতিদিন অনেক ছেলেই
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যায়,
যায় সুশিক্ষিত হয়ে মানুষ হবার
বুকভরা আশা নিয়ে,
আবার একসময় সে ফিরে ঘরে,
ফিরে, তবে জ্যান্ত মানুষ নয়,
রক্তাক্ত দেহ নিয়ে,
ফিরে লাশ হয়ে।


…………………………………………
৩১ আগস্ট ১৯৯৭


প্রার্থনা
----------------------


মোদের তুমি ক্ষমা করো প্রভু,
মোরা অকৃতজ্ঞ, মোরা অসহায়।
মোদের তুমি সুপথে পরিচালিত করো,
মোদের সুদিনে, দুর্দিনে তুমিই একমাত্র সহায়।
মোরা আশ্রয়হীন, মোরা হিংসা-দ্বেষে কলুষিত,
মোরা সর্বত্র শান্তি খুঁজে মরি,
তুমি মোদের দাও আশ্রয়, দাও তোমার চরণে স্থান।
তুমি মোদের শেষ সম্বল,
তাই তোমায় মনেপ্রাণে স্মরি।
তুমি মোদের ক্ষমা করো,
মোরা পারছি না জানাতে তোমায় কৃতজ্ঞতা,
তুমি মোদের অন্তরে সুবুদ্ধি দাও,
দাও মোদের অকপটতা।
তুমি মোদের প্রভু, মোদের সর্বস্ব,
তুমি মোদের তোমার প্রতি করো অনুগত।
চিরদিন যেন তোমার চরণে
মোদের শির থাকে অবনত।
তুমি মোদের দান করেছ এ সুন্দর ধরণী,
তুমি অকৃপণ, মোদের আলোর দিশারী।
তুমি মোদের দিয়েছ আলো-বায়ু-জল,
মোদের কৃপা করো, ধন-সম্পদে থেকেও যেন
মোরা তোমায় স্মরিতে পারি।
তুমি অগতির গতি, জগতের পতি,
তুমি মোদের মধ্যে দিয়েছ সদ্ভাব সম্প্রীতি।
তুমি মোদের সকলের সখা,
তুমি মোদের জ্ঞান-বিদ্যা-বুদ্ধি দাও,
মোদের কৃপা করো যেন
কুকর্ম মোদের হৃদয়ে
না দেয় কভু দেখা।
কৃপা করো,
যেন মোরা সর্বদা নিয়োজিত হই পরের কল্যাণের তরে,
যেন পৃথিবীকে কিছু দিয়ে যেতে পারি,
হই যেন মোরা প্রাতঃস্মরণীয়
মরণের পরে।
তুমি মোদের দাও সৎচিন্তা,
মোদের অন্তরে দাও স্নেহ-মায়া-মমতা।
তুমি মোদের সুশক্তি দাও, সৎসাহসী করো,
দাও মোদের মানবতা।


(১ম ব্যক্তি: কী হে, লটারীতে ৪০ লক্ষ টাকা পেয়ে কেমন লাগছে?
২য় ব্যক্তি: একটু একটু আফসোস হচ্ছে।
১ম ব্যক্তি: কেন?
২য় ব্যক্তি: ভাই, আমি দুটো টিকিট কিনেছিলাম, তন্মধ্যে একটা মিলল। শুধু শুধু ২য় টিকিট কিনে ১০ টাকা জলে ফেলে দিলাম।)


…………………………………………………
১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭


দুর্গাপূজা
----------------------


দুর্গাপূজা যাচ্ছে এসে
আনন্দ নিয়ে সাথে,
সাথে নিয়ে আসছে হই-হুল্লোড়
আর বাজনার শব্দ দিনে-রাতে।
দুর্গাদেবী আসছে মহাসমারোহে
লক্ষ্মী-সরস্বতীকে নিয়ে,
আরো আছে কার্তিক-গণেশ আর
শান্তি সাথে বয়ে।
হে দুর্গা, তুমি শক্তির দেবী,
তুমি মহাশক্তিধারী।
কৃপা করো যেন ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’
মোরা ঠিকভাবে করতে পারি।
সরস্বতী, তুমি বিদ্যার দেবী,
আসছ হাঁসের পিঠে চড়ে,
কৃপা করো যেন মানুষ হতে পারি
লেখা-পড়া করে।
লক্ষ্মী, তুমি ধনের দেবী,
পেঁচা তোমার বাহন,
তুমি আমাদের ধন দাও,
তবে কৃপা করো যেন কভু ধনী হয়ে
অহংকারী না হয় মোদের মন।
কার্তিক, তুমি যুদ্ধের দেবতা,
আসছ ময়ূরের পিঠে চড়ে,
কৃপা করো যুদ্ধ যেন হয় শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য,
তাতে যেন অন্যায়ভাবে লোক না মরে।
গণেশ, তুমি শান্তির দেবতা,
বাহন তোমার মূষিক,
কৃপা করো বিশ্বশান্তি যে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়,
শান্তির বাণী প্রচারিত হয়
দিক হতে দিক।
মা, তুমি তোমার ত্রিশূল দিয়ে
বধ করেছিলে মহিষাসুর,
এখন মা, ভালো করে দাও
পৃথিবীর সব মানবরূপী অসুর।
দুর্গাপূজা আসছে মহা জাঁকজমকের সাথে,
আনন্দে ভরপুর সবার প্রাণ,
তাই আজ আনন্দে মোরা
গাইছি আনন্দের গান।


………………………………………………
২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭