ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না

 আপনাকে আমাদের বাড়ির গল্প বলি। আমার দাদুর খুব গাছের শখ। দাদুর ধারণা, গাছেরা মানুষের কথা বুঝতে পারে। দাদু, প্রায়ই গাছের নিচে বেঞ্চিতে বসে কী যেন বলতেন ফিসফিস করে। এমন কোনও গাছ নেই যা দাদু লাগাননি। আমাদের বাড়িতে সব গাছ আছে, একদম সব! আমি পরীক্ষার খাতায় বাঁশবাগান দেখার অনেক আগেই প্রথম বাঁশবাগান দেখি আমাদের বাড়িতে। হিহি...... ওই বাগানের মাথার ওপর এখনও সেই ছোটোবেলার কাজলা দিদির চাঁদটা ওঠে। কোন গাছটা নেই আমাদের বাড়িতে? আম, জাম, কাঁঠাল, নারকেল, সুপারি থেকে শুরু করে রাজ্যের যত ফুলের গাছ, ঔষধি গাছ, কাঠের গাছ সবই পাবেন। আমরা বাড়ির ছাদে উঠে জাম পেড়ে ঠোঁটমুখ রাঙিয়ে জাম খেতাম। মালীদের বাড়ির টিনের চালে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে লবনমরিচের গুঁড়া মাখিয়ে কামরাঙ্গা খেতাম। গুলতি দিয়ে আম আর পেয়ারা পাড়তাম। আম খেয়ে আমের আঁটি ভেজামাটিতে ফেলে দিলে দেখতাম, কোমল বাদামিরঙের পাতার আমের চারাগাছ বের হতো। বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে কাজিনরা মিলে দৌড়ের কম্পিটিশন দিতাম। দুপুরবেলা নির্দয়ভাবে বড়বড় শামুকগুলো কে পাথর ছুঁড়ে-ছুঁড়ে ভেঙে ফেলতাম। বিকেলবেলা ঘটা করে গাছের নিচে পুতুলের বিয়ে দিতাম। আমাদের বাগানে রাতেরবেলা ঝিঁঝিঁ পোকারা ডাকতো। আমরা লাফিয়েলাফিয়ে জোনাকিপোকা ধরেধরে বুকপকেটে আটকে রাখতাম। জামার সাথে জোনাকিপোকাগুলো ঘষে দিলে কেমন যেন আলোর রেখা জামার সুতোয় মিশে যেত। আমরা ওদেরকে ধরে বোতলের ভেতর আটকে উঠোনে দৌড়াতাম। রাতের উঠোনকে মনে হতো, প্রকাণ্ড এক শান্ত নদী। আমরা সেই উঠোনে চাঁদের আলোয় গড়াগড়ি খেতাম।
আমাদের বাগানবাড়িটায় পিকনিক করতে এখনও অনেকেই আসে। আমি ঘুমাতে যাওয়ার সময় ওই সাদাসিধে ভালমানুষ গাছগুলোর ফাঁকেফাঁকে জ্যোৎস্না দেখি। সকালে উঠে ব্রাশ করতে-করতে ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে পাখিদের সাথে কথা বলি। ওরাও বলে। মানে, এটা আলাপচারিতা। একটা আমগাছের ডালে শালিক দম্পতি বাসা বেঁধেছে। ওদের ছোট্টো বাচ্চাদুটো শুধু ঠোঁট আর মাথা নাড়ে। তালগাছের আগায় বাবুই পাখির বাসা হাওয়ায় দোলে। ওরা ঠোঁটে করে কোত্থেকে যেন বাসা বানানোর খড়কুটো নিয়ে আসে। দেখতে অনেক ভাল লাগে। আমি সবকিছুতেই অনেক ভাললাগাতে পারি। এটা সেই ছোটোবেলায় মায়ের কাছে শেখা। মা বলেন, ছোটোছোটো সুখগুলোতে ভাল লাগাতে শিখতে হয়। ওই সুখগুলোই অনেক বড়। আমি শিখেছি। এই যেমন ধরুন, এই সামনের হাল্কা সবুজ রঙের কচিকচি দূর্বাতে একটু ভোরের শিশির ঝলমল করে উঠলেও খুশি হয়ে উঠতে আমার আর কিছুই লাগে না। সবচে’ মজা লাগে শালিকের ঝগড়া দেখতে। ওরা সবাই মিলে ইচ্ছে করে ঝগড়া বাধায়। একটা অন্যটাকে ঠোকরাতে-ঠোকরাতে বাসা থেকে নামানোর চেষ্টা করে। আমি ভাবতে থাকি, ওরা তো আর মানুষ নয়। তাহলে, ওরা এই ঝগড়া শিখল কীভাবে? আমাদের বাড়ির দোয়েল পাখিগুলো একেক সময় একেক রকমের মধুর সুরে ডাকে। টুনটুনি, চড়ুই ওদের ফুড়ুৎফাড়ুৎ দেখলে ওদের মতো করে বাঁচতে বড্ডো ইচ্ছে করে। হতচ্ছাড়া কাঠঠোকরারা গাছগুলোকে কাঁদিয়ে ঠুকরে-ঠুকরে ঠোঁটে শান দেয় যেন! পেয়ারা গাছে-গাছে দুষ্টু কাঠবেড়ালিগুলো নিমিষেই কেমন করে যেন চোখের আড়ালে সরে পড়ে। আগে আমাদের বাড়ির পাশের পাতাবাহার গাছে টুনটুনিরা বাসা বাঁধত। ওরা নাচানাচি করত আর ছোটোছোটো বাচ্চা দিত। প্রতিদিন ওদের দেখতাম, শুধু ভাল লাগতো আর কুটকুট করে হাসতাম। হায়! একটু ঝড় হলেই সবকিছুই লণ্ডভণ্ড হয়ে যেত। ঝড়ের পরে ওদেরকে আর কিছুতেই খুঁজে পেতাম না। একটা খেলার কথা খুব মনে পড়ে। আচ্ছা, আপনি কোকিলের মতো করে ডেকেছেন কখনও? আমি ডেকেছি, মানে ডাকতাম; প্রায় দুপুরেই। কোকিলের মতো করে যদি কোকিলের সাথে ডাকা যায়, তাহলে কোকিল আরও ডাকতেই থাকে, ডাকতেই থাকে। যতোই জোরে ডাকতাম, ও আরও ততোই জোরে ডাকতে থাকতো। ও ভাবে, বুঝি ওর সঙ্গী ডাকছে। ও ডাকে আর ডাকেই, ওর গলা ধরে আসে, কাশি পেয়েও যায় হয়তোবা, কিন্তু ও আর ওর সঙ্গীকে খুঁজে পায় না। পাবেই বা কেমন করে? ডাকি তো আমি! ওরা কী বোকা! আর আমরা মানুষেরা এটা কাজে লাগিয়ে কী সুখেই না ঠাট্টা করতেই থাকি, করতেই থাকি। ওরা যে খুব ভালমানুষ, তাও কিন্তু না। ওরা কী করে, জানেন? ওরা তো নিজেরা বাসা বানাতে পারে না, তাই চুপিচুপি কাকের বাসায় গিয়ে ডিম পেড়ে আসে। ওই কাকগুলোও বড্ডো হাঁদা। নিজের ডিম ভেবে কোকিলের ডিমে তা দিতে লেগে যায়, বাচ্চা ফোটায়। ওই বাচ্চাকে মানুষ করে, এরপর যখন বুঝতে পারে, ওমা! এ তো আমার বাচ্চা না! তখন ঠোকরাতে-ঠোকরাতে বাচ্চাগুলোকে নিচে ফেলে দেয়। ব্যাপারটা বেশ মজার, আবার কষ্টেরও।
আমার দাদুর ধারণা, একজন আদর্শ বাঙালির বৈশিষ্ট্য হল, ওর বাড়িতে গোয়ালভরা গরু আর পুকুরভর্তি মাছ থাকবে। দাদু সেটা করেছিলেনও। কিন্তু এখন তো আগের মতো কাজের লোক পাওয়া যায় না, তাই এখন দাদুর গোয়ালটা আর আগের মতো ভরা নেই। তবে কিছু গরু এখনও আছে। ওরা দুধ দেয়, আমরা খাই। ছোটোবেলায় দেখতাম, আমাদের বাড়িতে আমাদের বিশাল-বিশাল গরুগুলোকে দেখার জন্য মানুষ আসতো। গরু মানুষের ভাষা বোঝে, আদর বোঝে। ওদের গলার নিচে আদর করলে ওরা চোখ বন্ধ করে চুপচাপ থাকে, গলাটা আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে ছেলে গরুগুলো বেশ পাজি। আদর করতে গেলে শিং দেখিয়ে তেড়ে আসে। আমি গরুর বাছুর হওয়া দেখেছি। ওরাও একদম মানুষের মতোই কষ্ট করে, শুধু পশু বলে ওদের কষ্টটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। জানেন, জন্ম হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বাছুরটা উঠে লাফাতে থাকে! মা গরুটা বাছুরের গায়ে জিভ দিয়ে একটু চেটে দিলেই ব্যস! ও উঠে দাঁড়াতে পারে। অথচ মানুষের বাচ্চাদের একটুখানি দাঁড়াতে কতো মাস লাগে বলুন তো? আমার দাদু গরুকে খুব আদর করতেন, নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন। প্রতিবার ওদের বিক্রি করে দেয়ার সময় দাদুর সে কী কান্না! আমার ওইসময়ে বারবার ‘মহেশ’ গল্পের গফুরের কথা মনে হতো।
আমাদের বাড়িতে কুকুরবেড়ালের অভাব হতো না। ওরা কোথা থেকে যেন এমনি-এমনিই চলে আসে। ওরা অবশ্য সুখের পায়রার মতো। যেখানে খেতে পায়, আদর পায়, সেখানেই থেকে যায়। ছোটোবেলায় কুকুরবেড়াল নিয়ে যে কী করতাম! কুকুরছানাগুলোকে পুকুরে স্নান করাতাম। আমার একটা ছোট্টো লেপ ছিল, সেটা দিয়ে কুকুরছানাগুলোকে জড়িয়ে রেখে আমাদের বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে দিতাম। গুনগুন করতাম, খোকা ঘুমাল, পাড়া জুড়াল, বর্গি এল দেশে......... মা হাসতেন। আর বেড়ালগুলোকে ধরে-ধরে আটকে রাখতাম, ভয় পেলে বেড়ালের চোখের মণি কেমন হয় দেখার জন্য। আপনি দেখবেন, স্বাভাবিক অবস্থায় বেড়ালের চোখের মণি একটা সরু দাগের মতো দেখায়, কিন্তু ভয় পেলে ওই মণিগুলো গোল হয়ে যায়, তখন সেগুলোকে মানুষের চোখের মণির মতোই দেখায়। ঐযে আপনাকে বলেছিলাম না, পুজোর সময় একটা বেড়ালের জীবন বাঁচিয়েছিলাম? জানেন, সেই বেড়ালটার সাথে আমার দুদিন পরেই দেখা। আমি ডাক দিতেই একটু সময়ের জন্য থেমে আমার দিকে তাকিয়ে মিয়াঁও-মিয়াঁও করে কী যেন বলে চলে গেল। ওটাই হয়তো ওর সেকেন্ড থ্যাংকস ছিল, যেমনটা ও ওর জীবন বাঁচানোর সময় খুব অসহায়ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ঠিক একইভাবে মিয়াঁও-মিয়াঁও করে প্রথমবারে দিয়েছিল। মানুষ থ্যাংকস দিতে ভুলে যায়, ওরা কখনওই তা ভুলে যায় না। ওরা বোকা তো, তাই। হয়তো বেশি বুদ্ধি হলে থ্যাংকস দিতে ইচ্ছে করে না। বেড়ালের বাচ্চা হলে ওরা কিছুদিন পরপর জায়গা বদল করে। জায়গা বদলের সময় ওরা ওদের বাচ্চাগুলোর গায়ে খুব আলতোভাবে কামড় দিয়ে ধরে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। ওদের ভালোবাসা দেখলে বড় ভাল লাগে। হুলো বেড়ালগুলো আপনার মতোই খুব পাজি হয়। ওরা খাবার চুরি করে খেয়ে ফেলে। বিশেষ করে মাছ আর দুধ। এর চেয়ে কুকুরগুলো অনেক ভাল। ওদেরকে কেউ আদর করে ডাক দিলে ওরা কী যে করে! আদর করলে একেবারে চার পা ছড়িয়ে দিয়ে শুয়ে থেকে লেজ নাড়াতে থাকে, কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে আরও কাছে এসে চুপচাপ শান্ত হয়ে মাথা বাঁকিয়ে মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে কথা শুনতে থাকে। ওরা কোনও অপরিচিত লোককে আমাদের বাড়ির ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেয় না, ঘেউঘেউ করে তাড়িয়ে দেয়। অথচ আমি কতদিন পরপর বাড়িতে যাই, ওরা আমাকে কিছুই বলে না। ওরা আমার গায়ের ঘ্রাণ বুঝতে পারে। রাতের অন্ধকারে ওরা আমাকে দূর থেকে চিনতে না পারলেও কাছে এসে গন্ধ শুঁকে ঠিকই চিনে নেয়, চুপচাপ লেজ নাড়তে থাকে। ওদের বাচ্চা হলে, ওরা বাচ্চাদের কাছে কাউকেই যেতে দেয় না। ওরা ওইসময়ে কেমন যেন খ্যাপাটে হয়ে যায়। ওরা ভাবে, মানুষ বুঝি ওদের বাচ্চাদের ক্ষতি করবে। কিছু মানুষ আছে যারা সত্যিই অমানুষ। ওরা কী করে, জানেন? ওরা ওই ছোট্টো বাচ্চাগুলোকে বস্তায় ভরে অন্যখানে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসে। তখন মা কুকুরটা ওর বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে না পেরে অসহ্য যন্ত্রণায় করুণ সুরে ডাকতে থাকে। কুকুরছানারা কুঁইকুঁই করে ডাকে। শুনতে বেশ আরাম লাগে, ভাল লাগে। কাঁটাবনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমি রাস্তার পাশের পেটশপগুলোর দিকে তাকিয়ে-তাকিয়ে দেখি, ওদের ডাক শুনি আর মনেমনে হাসতে থাকি। রাতের আঁধারে কুকুরবেড়ালের চোখগুলো কীভাবে জ্বলজ্বল করে দেখেছেন কখনও?
যখন বেশ বৃষ্টি হয়, তখন আমাদের বাড়ির পুকুরের জল অনেকটা বেড়ে যায়। এতে বোকাসোকা মাছগুলোর সে কী আনন্দ! ওরা মনের সুখে একটু পরপরই লাফিয়ে-লাফিয়ে ওঠে। পুকুরঘাটে বসেবসে এইসব দেখতে-দেখতে ইচ্ছে হয়, আর ঢাকায় ফিরবো না। আমার সবচেয়ে পছন্দের ফুল বেলী, তারপর শিউলি, সাথে আরেকটা আছে---কাঠবেলী । কাঠবেলী ফুল নিশ্চয়ই চেনেন, বিশাল বড় গাছ হয়। দুইরঙের কাঠবেলী দেখা যায়, হালকা হলুদ রঙমাখা আর আরেকটা গোলাপি রঙমাখা। আমার প্রিয় রঙ সাদা। আমার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে একটা ফুলের বাগান করব, যেখানে থোকায়থোকায় সব সাদা ফুল ফুটে থাকবে। বাগানের একপাশে থাকবে শিউলি ফুলের গাছ, আর অন্যপাশে থাকবে বিশাল বড় কাঠবেলী ফুলের গাছ। সকালবেলা ফুলের গন্ধেই ঘুম ভেঙে যাবে, আর চোখ মেলে দেখবো, আমার সাদা ফুল বাগানটা লাল, নীল প্রজাপতিতে ভরে গেছে। বাগানে হাসনাহেনা ফুলের গাছও থাকবে। আমার সন্ধ্যাগুলো হবে মাতাল-মাতাল সন্ধ্যা। এতকিছু ভাবতেই মন ভাল হয়ে যাচ্ছে। জানেন, আমার ছোটো বোন পুকুরপাড়ে একটা শিউলি ফুলের গাছ লাগিয়েছে। দুর্গাপুজোয় বাড়ি গিয়ে প্রতিদিন ভোরবেলায় আমরা দুই বোন মিলে শিউলি কুড়াতাম। ছোটোছোটো শিউলিভরা গাছের নিচটাকে দেখলে মনে হয়, কে যেন একটা শুভ্র চাদর বিছিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা দুই বোন মিলে গাছে ঝাঁকা দিয়ে আরওকিছু শিউলি নিচে ফেলতাম। একটা চাদরের ওপরে আরেকটা চাদর হতো। আমার মা ওটার একটু দূরে পুকুরঘাটে একটা কামিনী ফুলের গাছ লাগিয়েছেন। পূর্ণিমার রাতে ওই শানবাঁধানো ঘাটে বসেবসে গান গাইতে কী যে ভাল লাগে! আকাশের চাঁদের ছবি পুকুরের জলের ছায়ায় খেলে। পুকুরের সমস্ত জলকে মনে হয় প্রকাণ্ড একটা আলোর থালা। কখনও-কখনও ফসল কেটে নেয়ার পরের শাদা ধূধূ মাঠটা। জলের ঢেউয়ে-ঢেউয়ে মায়াবী চাঁদটাও যেন দুলতে থাকে, পাশের কামিনী ফুলের গন্ধে ওই চারদিকটাকেই মনে হয়, অসুন্দর বড়ো পৃথিবীর ভেতরে হঠাৎ জন্ম-নেয়া আরেকটা খুব সুন্দর ছোট্টো পৃথিবী। এরই মধ্যে একটু দূরের বাঁশবাগান থেকে জোনাকিরা নরোম-নরোম রুপোলী আলোর লণ্ঠনের মতো আলো ছড়াতে-ছড়াতে বের হয়। আমার মুঠোফোনে বাজতে থাকে: চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে ............. সন্ধ্যার ছায়া নামে, এলোমেলো হাওয়া..............এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় ......... আবার এলো যে সন্ধ্যা ........ কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে ......... ও চাঁদ সামলে রাখো জ্যোৎস্নাকে ........ এই রাত তোমার-আমার .......বিমূর্ত এই রাত্রি আমার ........ চাঁদ কেন আসে না আমার ঘরে ......... দুটি মন আজ নেই দুজনার ...........মনে কর যদি সব ছেড়ে হায়............ সে তারাভরা রাতে...........এখন অনেক রাত............ আকাশের ওই মিটিমিটি তারার সাথে কইবো কথা..........সবকটা ট্র্যাকই আমার নিজের পছন্দের। শুধুই মনে হতে থাকে, মনে হতে থাকে, এমন চাঁদের আলো, মরি যদি সেও ভালো............ কিন্তু শালার মশার কামড়ে শান্তিতে মরতেও পারি না। তাই বাধ্য হয়ে ঘরে ফিরে আসি।
আচ্ছা, আপনি তো প্রচুর গান শোনেন। আপনার জন্য একটা ক্যুইজ: আকাশের ওই মিটিমিটি তারার সাথে কইবো কথা .......... এই গানটা কার?