বোবাদের ঘর

 
এত অবহেলা কর, অবিরামই তো কর…
ভাবো, হালের গরু, আর যাবেই-বা কই!
দিন ফুরোলে ফিরতে হবে এই ঘরে ঠিকই,
পরদিন আবার নামবে মাঠে, আজকে যেমন!…
যাবে আর কই?


মাঠে না গেলে পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলব,
আর নিয়ে যাব ঠিকই!
হালের গরু, তার আবার ফেরার জায়গা কীসের?


বাসি কি পচা, যা খুশি দাও, ঠিক খেয়ে নেবে সে,
ঘরে জায়গা না হলে হোক, উঠোনটা আছে কী করতে তবে?
যাও ওখানে, বেঁধে রাখো কোণে…হয়ে গেল তো!


রাত নামলে মশা ভনভন, আরও কী কী পোকা…
সে সয়ে নেবে’খন!
বলি, বোবা জীব তো…
ওরা সয়ে নেয় সবই সময় হলে!


ওরা চষে যায় হাল, কাঁধে লাঙল বাঁধে,
খররৌদ্রে শুকোয়, গায়ে বৃষ্টি মাখে,…
তুমি তো দেখ, ওরা ভালোই থাকে!


আমি বোবা তো, তাই আমি জানি,
বোবাদের সবই পারতে যে হয়…!
ওদের সব সয়ে যায়,…যা দেবে দাও!


তুমি, তোমরা…অনেকই জানো, তবু
জানোই না ঠিক…অনেক কথাই!


সবই যদি জানতে ভায়া, জানতে এ-ও…
বোবাদেরও, কোনও একদিন ঘর হয়ে যায়!
বোবাদেরও হয় আশ্রয়…পরম সুখের, গভীর স্নেহের!
ভালোবাসা প্রেম, লোকে বোবাদেরও দেয়!