ভাঙা আয়না

সময়কে বদলাতে জানলে, আলোতে অন্ধকারটাও,
শক্তির উৎস হয়েই আসে, এবং আলোকে আবার নতুন করে,
আর‌ও উদ্দীপিত করে আলোকিত করেই রেখে দেয়।
ইট ডিপেন্ডস!


আয়নাঘর---বাস্তবতায়, এখন আর এমন কিছু খোঁজার মানেই,
জেনে বুঝে অনিশ্চয়তায় পা বাড়ানো, কিংবা
খানিকটা জেনে শুনেই বোকা বনে যাওয়া!
এমন আয়নাঘরের কথামালা পরিপক্ব কোন‌ও লেখকের
লেখার পাতাতেই পড়তে আজ ভালো লাগে শুধু।


এখন, চোখ মেললেই সবাই একেকটা জ্যান্ত কাপুরুষ!
কাপুরুষেই ছেয়ে গেছে আজ গোটা পৃথিবী।
সেখানে আয়নাঘর শুধু ডায়েরির পাতাতেই মানায়, বুঝলেন!
অন্তত আপনার তো এটা বোঝা উচিত!


অথচ এই কাপুরুষগুলোই পৃথিবীতে শেষপর্যন্ত মহামানব এবং উদার!
আর তাদের বোকা প্রিয়তমারাই শেষকালে স্বার্থপর!
কী অদ্ভুত!
অবশ্য অদ্ভুত হলেই-বা কী?
বাস্তব যা, তা তো বাস্তব‌ই!

ভুল মানুষকে নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসার মতো
বড়ো শাস্তি পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি কিছু হয় না।
এতটা কষ্ট হয়,...এতটাই যে, তা বলে ঠিক বোঝানো তো দূরস্থ,
নিজেকে শেষ করে দিলেও কণামাত্রও বোঝানো যায় না!
আহা, এ যে কী অসহ্য রকমের এক কষ্ট!


ভাঙা আয়না কখনও জোড়া লাগে না।
আর যদি সেটা ইচ্ছে করেই ভেঙে দেন, কিংবা
আগে থেকেই ভাঙা থাকে, তবে সেই ভাঙা কাচ নিয়ে
কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে জোড়া কাচ বলে চালিয়ে দিয়ে
বোকা বানোনোর কাজটা করে থাকেন যদি, আর
ভাঙা কাচের জোড়া লাগানোর কৌশল এবং উদ্দেশ্য সামনে চলে আসে যদি ভুল করেও,
তবে তো কোন‌ও উপায়েই সে কাচ আর জোড়া লাগানো যায় না!


কাচের জোড়া লাগানোর দাগটা কখন‌ওই পুরোপুরি আড়াল করা যায় না।
আর তা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলে,
জোড়া লাগানোর জন্য টুকরোগুলোকেও আর
একজায়গায় জড়ো করাও যায় না,
জোড়া লাগানো তো অনেক দূরের কথা!
ভাঙা আয়না শেষমেশ ভাঙাই থেকে যায়।