ভাত দে

 
আমাকে সভ্য করতে এসেছিস, শালারা?
আগে ভাত দে! ভাতের সাথে নুন মিশিয়ে
তোদের সভ্যতা আমি গিলে খাব এখুনিই!
তোদের সাহিত্যের পিঠে হাতমুখ মুছে
আমি ঘুমিয়ে পড়ব তারপর।
আমার ক্ষুধা পেয়েছে। ভাত দে, ভাত!


তোরা তোদের গোটা সমাজ বেচে খা! আমার শুধু ভাত চাই, ভাত!


আমি তোদের সমাজ-সংস্কৃতিকে পাপোশ বানিয়ে
পা মুছে একথাল ধবধবে ভাত খাব।
আমার অনেক ক্ষুধা! আমার ক্ষুধার থালায়,
তোদের সমাজকে, তোদের সভ্যতাকে দেখায়...
পাতেপড়া জোঁকের চাইতেও কুৎসিত!


যা আছে সব তোরা নিয়ে যা! ছারখার করে খা!
শুধু একথাল সাদাভাত দিয়ে যা, ভাত!
আমার শরীর এখন শুধুই ভাত চাইছে!
পৃথিবীর ললিতসৌন্দর্যকে গোনার সময় আমার নেই!
আমার ক্ষুধা পেয়েছে, প্রচণ্ড ক্ষুধা!


ইট, কাঠ, লোহা, পাথর,
গাছলতা, মাটিকাদা,
আগুন কিংবা কয়লা,
যা-ই পাস শালারা, তা হলেও দে!
আমাকে যা-ই দিবি, আমি তা-ই আস্ত গিলে খাব এখন!


আমাকে ভাত না দিলে
তোদের সমাজকে সাহিত্য দিয়ে মাখিয়ে সভ্যতার ঝোলে চুবিয়ে...চিবিয়ে চিবিয়ে খাব, শালারা!
ভাত দে ভাত, ভাত!


টাকার বালিশে মাথা রেখে তোরা ইচ্ছেমতো ঘুমা!
বড়ো বড়ো দালানবাড়ি, দামিগাড়ি…সব কিছু খা!
তোদের দালান থেকে আমাকে একটা-দুইটা ইট দে,
সিমেন্টের একচামচ ঝোল দে,
নয়তো গাড়ির চাকার একটা টায়ার হলেও দে,
…সাথে একটু নুন দে!
আমার অনেক ক্ষুধা, অনেক…!


এক ভাত ছাড়া দুনিয়ার বাকি সবই তোদের দিয়ে দিলাম, যা!
তোরা…পিরিতির বাঁধ, সভ্যতার কাঁধ, সংস্কৃতির সাধ…ওসব নিয়ে মর!


শুনে রাখ শালারা! আমার ক্ষুধার সীমান্তে এক ভাত বাদে,
আর কোনও কিছুরই বিন্দুমাত্রও প্রবেশাধিকার নেই...কখনওই!


এই সীমান্ত পেরিয়ে তোদের একটুকরো সভ্যতাও যদি
আমার ঘরের ত্রিসীমানায়ও আসে,...ভুলক্রমেও,
শালার এই সমাজটাকে লাত্থি মেরে তোদের সবকটার চোখ আমি একটানে উপড়ে ফেলব!
তোদের সাহিত্যের দানবটাকে গলা টিপে, পায়ের তলায় পিষে পিষে মারব চোখের পলক পড়ার আগেই!
তোদের সভ্যতার…ওই শালা বেয়াড়া ঘোড়াটাকে নাড়িভুঁড়িসহই কাঁচামরিচ দিয়ে...
চিবিয়ে চেটেপুটে…একগ্রাসেই...জ্যান্ত গিলে খাব!
ভদ্দর শালারা, ভাত দে, ভাত!


তোদের পচনধরা সভ্যতাকে কেটেকুটে ডিপফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখ তোরা!
আমাকে শুধু ভাত দে, ভাত!
আমার শুধু ভাত চাই, ভাত!