ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৫১ৎ অংশ)

ভাবনা: তিনশো একান্ন

………………………………………

এক।

আমি তো হরিণ নই, ছেলে!

তবে শ্বাপদ হয়েই আস কেন?

পার তো ভালো বেসো হৃদে,

এ শরীরে কিছু নেই, তা জেনো।

দুই। I believe life is more beautiful than we can imagine. So, I always enjoy it with others!

তিন। Being happy alone is much better than being happy with someone, because in the first case, you’re often in charge of your unhappiness as well.

চার। When I speak about my life, you learn about your life.

পাঁচ। তোমার উপর রাগ করে থাকতে পারি না কেন? তোমার মুখটাকে দেখলেই সরল মনে হয় কেন? তোমাকে ছাড়া স্বপ্ন দেখতে পারি না কেন? পৃথিবীর সবচাইতে বিশ্বস্ত সম্পর্কের চাইতেও তোমার জন্য ভালোবাসাটাকে বড় মনে হয় কেন? তোমার কথা মাথায় এলে আমার চোখ হাসতে থাকে কেন? তোমার সব অপরাধকে অবলীলায় ক্ষমা করে দিতে ইচ্ছে করে কেন? কিছু খেতে গেলেই তোমার কথা মনে হয় কেন? তোমাকে পাইইনি, অথচ তোমাকে হারিয়ে ফেলবো ভেবে এলোমেলো হয়ে যাই কেন?

একদিন সময় করে উত্তরগুলি দিয়ো। প্রতীক্ষায় রইলাম।

ছয়। মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত। বড়ই অসময়ে, কোনও কারণ ছাড়াই এমন কারও প্রেমে পড়ে, যার প্রেমে পড়া ঠিক নয়। সে আকাশের তারা জেনেও ছুঁতে ইচ্ছে করে। যখন সে মিথ্যে করেও ‘ভালোবাসি’ বলে, তা সত্যি ভাবতে ইচ্ছে করে। মানুষটিকে নিজের করে পেতে ইচ্ছে করে। ভুল জেনেও স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে। তার জন্য হাসতে ইচ্ছে করে, এমনকি কাঁদতেও। এটা কি নিছকই সামান্য আবেগ? নাকি অন্য কিছু??

সাত। এই পৃথিবীটা সবার জন্য সুখকর হয় না!

সবাই ভাল থাকতে পারে না!

সবাই ভাল থাকলে স্রষ্টার একটু প্রবলেম হয় বোধ হয়!

আমি ভাল, অথচ আমি কতো খারাপ আছি। অমুক খারাপ, তমুক খারাপ, অথচ ওরা কতো ভাল আছে!

এসবই তো মাথায় আসে, না?

সত্যিই কি আমরা কখনো সুখে থাকি না? সুখ আর দুঃখ, দুইই তো জীবনে স্থায়ী সত্য। একটার পর আরেকটা আসবেই আসবে। দুঃখ নিয়ে দুঃখের শেষ নেই, অথচ সুখ নিয়ে অভিযোগ কিংবা সংশয় কেউ কি কখনো প্রকাশ করে? কেন করে না? সুখ যদি হাসিমুখে নেবো, তবে দুঃখে কেন ধৈর্যহারা হবো? ভালোথাকার শুকরিয়া নেই, অথচ খারাপথাকার ফরিয়াদ অসংখ্য। কেন? অনর্জিত সুখে কোনো আপত্তি নেই, অথচ অর্জিত দুঃখ মানতে নারাজ! মুহূর্তের কষ্টে বিহ্বল হয়ে, আমার কপালে কেবলই দুঃখ—-কী সহজেই বলে ফেলি! অসীম সুখে আত্মহারা হয়ে, আমার কপালে কেবল সুখ আর সুখ—কখনো বলেছি কি? কেন বলিনি? এটা কি নিজের জীবনের দুটি সত্যের একটির প্রতি কপট দৃষ্টিভঙ্গির নির্লজ্জ প্রদর্শন নয়?

আসুক কষ্ট, সুখ সামনেই। আসুক যন্ত্রণা, আনন্দ অপেক্ষমাণ। নিশ্চয়ই কষ্টের পর সুখ আসবে। জীবনে সুখ আসে কষ্টের রূপ ধরে, হাসি আসে কান্নার মুখোশ পরে। সবসময়ই, বর্তমানের সাময়িক যন্ত্রণা ভবিষ্যতের স্থায়ী সুখ রচনা করে। বর্তমানের দুঃখ যতো তীব্র, ভবিষ্যতের সুখ ততো নিশ্চিত। আপনাকে বর্তমানের অপমান যতো কষ্ট দিচ্ছে, ভবিষ্যতের সম্মান ততোধিক আনন্দ সুদেআসলে ফেরত দেবে। এখন মাথা নিচু করে মুখবুজে সহ্য করুন। যেদিন আনন্দের দিন ঝলমল করবে, জীবনে সৌভাগ্য আসবে, সেদিন মাথাউঁচু করে সম্মানের সাথে বাঁচবেন। দেখবেন, সেদিন নিজের জীবনটার দিকে তাকিয়ে অনেক শান্তি পাচ্ছেন। স্রষ্টা আপনার অন্ধকারের দিনগুলি নিয়ে আলোর গান লিখবেন। নিশ্চয়ই লিখবেন।

খুব বেশি খারাপ অবস্থায় আছেন? সত্যিই? একটু ভাবুন তো, আপনি যে অবস্থায় আছেন, অনেকেই সে অবস্থায় থাকার স্বপ্নে বিভোর। আপনার দুঃস্বপ্নের আঁধার অনেকেরই স্বপ্নের আলো। হ্যাঁ, আপনি অনেকেরই স্বপ্নের জীবনে বেঁচে আছেন। আপনার খাবার পছন্দ হয় না বলে খান না, অনেকেই খাবার পায় না বলে খায় না। ভেবে দেখেছেন কখনো? স্রষ্টা কিন্তু আপনাকে ওদের দলেও রাখতে পারতেন। রাখেন তো নি! স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিন। উনি নিশ্চয়ই আপনার প্রতি দয়াশীল। আমরা ঘরহীনদের ঘরে থাকি, নিরন্নদের খাবার খাই, অকালমৃতদের আয়ু চুরি করে বাঁচি, বস্ত্রহীনদের পোশাক পরি, নিরক্ষরদের অক্ষর ছিনিয়ে বাহাদুরি করি, রোগগ্রস্তদের সুস্থতা ভোগ করি। কার অনুগ্রহে? এরপরও বলবো, আমরা ভীষণ খারাপ আছি?

স্রষ্টা দুঃখ দিয়েছেন, বিপদ দিয়েছেন। কতোটা? এসব না দিয়ে উনি মৃত্যুও তো দিতে পারতেন। এই পৃথিবীর জন্য কেউই এতোটা অপরিহার্য নয় যে তাকে মৃত্যু দেয়া যাবে না। এমনও তো হতে পারে, উনি যে আমাদের মৃত্যু না দিয়ে অসীম কষ্ট দিচ্ছেন, সেটাই আমাদের জন্য পুরস্কার। বাঁচতে হলে সহ্য করতে হয়। ধৈর্যের চাইতে বড় শক্তি আর হয় না। স্রষ্টা খুব পরীক্ষা নেন! বর্তমানের পরীক্ষা যতো কঠোর, ভবিষ্যতের সুখ ততো অপার। স্রষ্টার পরীক্ষা ও পুরস্কার, দুইই অসীম রহস্যময়। সে রহস্য বোঝার ক্ষমতা আমাদের দেয়া হয়নি। আমরা আমাদের সীমিত ক্ষমতায় মাত্র দুটো কাজ করতে পারি। এক। ভবিষ্যতের সৌভাগ্যের উপর অগাধ বিশ্বাস রাখা। দুই। বর্তমানের দুর্ভাগ্যের প্রতি অসীম সহনশীলতা দেখানো।

স্রষ্টা মানুষ বুঝে সৌভাগ্য দান করেন।

স্রষ্টা মানুষ বুঝে সৌভাগ্য কেড়ে নেন।

আগে সৌভাগ্য উপভোগ করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন, এরপর সৌভাগ্যের আশা করুন। আপনার বর্তমানের কষ্ট কিছুতেই বৃথা যাবে না। আজকের নির্ঘুম রাতগুলির দাম মৃত্যুর আগেই প্রকৃতি আপনাকে কড়ায়গণ্ডায় মিটিয়ে দেবে। নিজের শক্তির উপর বিশ্বাস রাখুন, আপনার জীবনে সুন্দর দিন আসার আগে কোনোভাবেই আপনার প্রয়োজনীয় শক্তি ফুরিয়ে যাবে না। বর্তমান শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন। আপনার চেষ্টা কিংবা আপনার ফাঁকিবাজি—দুইয়ের হিসাবই স্রষ্টার খাতায় লেখা হয়ে যাচ্ছে। এর পুরস্কার কিংবা তিরস্কার আপনার অবশ্যপ্রাপ্য, এবং আপনি সেটা জীবদ্দশায়ই পেয়ে যাবেন। অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা যতোটা কষ্ট দেয়, অপেক্ষার ফল তার চাইতে বহুগুণে স্বস্তি দেয়।

(একটা সত্য ঘটনা শেয়ার করি। এই লেখাটি আমাকে দুইবার লিখতে হয়েছে। প্রথমবার আমি লিখি মোবাইলে। লেখা শেষ করে পোস্ট করবো, ঠিক সেই সময়ই একটা ফোন এল। কথা শেষ করেই দেখি, লেখাটি আর নেই। কীভাবে যেন টাচ্‌ লেগে লেখাটি হারিয়ে গেছে। খুব মনখারাপ হল। হোক, লেখাটি ক্ষুদ্র তুচ্ছ নগণ্য, তবু তো আমার কষ্টের লেখা! আমার সন্তান তো আমার চোখে সবচাইতে সুন্দর। মনে হতে লাগল, লেখাটি আর লিখতে পারব না। একই ভাবনা আরো একবার মাথায় আনার কষ্ট সত্যিই অনেক। কিছুটা হাল ছেড়ে দিলাম। আবার ওদিকে আমার ভাবনা আপনাদের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছেটাও মনের ভেতরে ক্রমাগত ধাক্কা দিতে লাগল। কী আর করা! অগত্যা, ল্যাপটপ খুলে আবারো লেখাটি লিখতে শুরু করলাম। শেষ করে দেখলাম, মোবাইলে যা লিখেছিলাম, তার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ লিখে ফেলেছি। আবার নতুন লেখাটি হারিয়েযাওয়া লেখার চাইতে অনেক ভাল। এর মানে কী দাঁড়াল? আমি রাগ করি, অভিমান করি স্রষ্টা কিন্তু যা আমার জন্য ভাল তাই নির্ধারণ করে দেন। )

ভাবনা: তিনশো বায়ান্ন

………………………………………

এক। বিবাহিত ও অবিবাহিত যুগলদের প্রতি—

যদি বেসে থাকো ভালো, বন্ধু তবে ঘুমাতে দিয়ো,

ঘুম আগে প্রেম পরে, ঘুম ভাঙলে খবর নিয়ো।

দুই। এ দুনিয়া কখনওই আপনার নিয়মে চলে না, এ দুনিয়া চলে দুনিয়ার নিয়মে। আপনি কী ভাবেন, কী ভাবেন না, সেটা সম্পূর্ণই আপনার নিজের ব্যাপার। সেটা দিয়ে দুনিয়া চলবে না। হয় দুনিয়ার নিয়মে চলুন, নতুবা নিজে এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে উঠুন যে দুনিয়া আপনার নিয়মে চলতে বাধ্য হয়। —এটা বোঝাই মানসিক পরিপক্বতার প্রথম ধাপ।

তিন। Girl With No Arms Sings & Plays Piano With Her Feet | Romania’s Got Talent | Got Talent Global

Passion overcomes limitations. What are your excuses, Sir?

চার। ক্যাম্পাসে লাফায়, চাকরিতে হাঁপায়। মুখ ছোটে যতো যার, মাথা ফাঁকা ততো তার। অসময়ে ভাঙে বেল, সময়ে করে ফেল। পেশিতে মারে হাতি, মগজে খায় লাথি।

পাঁচ। পৃথিবীতে আসলে কোনও কাজই easily করে ফেলা যায় না। কাজটা করে ফেলতে পারার পর কাজটাকে easy মনে হয়।

ছয়। জলাধারের জল—জলকেলিতে মত্ত বেলিফুলের সমস্ত ঘ্রাণ শুষে নিয়ে, আমারই মতোন—তার প্রতীক্ষায়…..

সে আসুক…….এই প্রার্থনা।

নিশ্চুপ রাতের নীরবতা, জলের আদুরে শব্দ ছাপিয়ে দুই অস্তিত্বের স্বস্তিতে অস্থির, অস্ফুট স্বরে ভাসুক……..

……..রাত

সাত। কারওর কাছ থেকে সাহায্য নেয়ার বুদ্ধি হল, আপনার যা দরকার, তা নয়, বরং উনি যা বলতে ভালোবাসেন, সেটা উনাকে বলতে দেয়া। বাজি ধরে বলতে পারি, আপনি যতটুকু সাহায্য চাচ্ছেন, তার চাইতে অনেক অনেক বেশি পাবেন। অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন, আপনি যা চাচ্ছেন তা নিশ্চয়ই পেয়ে যাবেন। (দেখি বলুনতো, লাইনগুলি আমার কোন লেখা থেকে নেয়া?)

আট। (কিছু ছবি পোস্ট করার সময় লেখা) প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পর এত মজা করে ছবি তুললাম। ছবিগুলি কোনও এডিট করা ছাড়াই যেভাবে আছে, সেভাবেই পোস্ট করে দিলাম। এভাবে ছবি তোলার প্ল্যানটা ছোটভাই হাসানের। তাই এই অ্যালবামের কোরিওগ্রাফার Hasan। ফটোগ্রাফার? আমার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা। ক্যামেরার পেছনের ব্যক্তিটি কে? পরিচয় কিছু থাক না গোপন! আমার নামে কিছু ফেইক পেইজ আছে। তাই অনেকেই কনফিউজড হয়ে পড়েন, কোন পেইজটা আমি নিজে চালাই! স্বাভাবিক! যে মহোদয়/মহোদয়াগণ আমার নাম ব্যবহার করে পেইজ চালাচ্ছেন, কুকুরের বিষ্ঠাতুল্য লেখা পোস্ট করছেন সুশান্ত পালের লেখা বলে, তাদের লজ্জা দেবো না, কারণ আপনাদের ভিক্ষুক-জীবনের একমাত্র মূলমন্ত্রই হল— নেমেছি রাস্তায় থালাহাতে, লজ্জা কেন রাখব সাথে? তবে এইটুকু বলব, আপনি তো শালার Sushanta Paul, তো স্যার/ম্যাম, ওই ব্যাটার আজকের ছবিটা পোস্ট করে দেখান দেখি! কিছু মানুষও আছে খুব বোকা! খুঁজে নিতেই পারে না, কোনটা রিয়েল, কোনটা ফেইক! এই পেইজে আমার প্রায় সব লেখাই আছে, যা অন্য কোনও পেইজেই নেই; ওরা শুধুই আমার ক্যারিয়ার বিষয়ক কিছু লেখা পোস্ট করে আর কিছু বালের সস্তা লেখা আমার নামে চালিয়ে নোংরামি করে। আমার প্রিয় লেখা মূলত আমার যে লেখাগুলি ক্যারিয়ার নিয়ে নয়, সেগুলি। ওগুলি ওরা দেয় না, কারণ ওই বরাহশাবকরা খুব ভাল করেই জানে, মার্কেটে পাবলিক কোনটা বেশি ‘খায়’। আরেকটা কথা। এই ছবিগুলি দেখে যদি কারও মনে হয়, ছবিগুলি আমার সাথে যায় না, তবে আমি আপনাকে বলব, দয়া করে আমাকে জাজ্ করতে আসবেন না। আমি যেমন, তেমনই। পোষালে ওয়েলকাম, না পোষালে গুডবাই। এখানে মাস্টারি করার জন্য আপনি কোনও বেতন পাবেন না। আমি জানি, আমি কী। আপনি চুপচাপ দেখবেন, লাইক দেবেন, আর কমেন্ট করবেন—ওয়াও! ব্যস্। এরপর চলে যাবেন। এগুলির কোনওটাই না করলে আরও ভাল। (যে প্রোফাইলটা ট্যাগ করেছি, এর বাইরে আমার আর কোনও ফেসবুক আইডি নেই। এটা বুঝতে হলে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না। আমার সব লেখাতেই আমি আমার ফেসবুক আইডি’টিকে ট্যাগ করে দিই।) ধন্যবাদ

নয়। এদেশে— ধর্মের চেয়ে অধর্ম বড়, গ্রেডের চেয়ে বিসিএস দড়!

দশ।

বন্ধু, আমায় করলে ছোট,

কষ্ট গিলে সয়েই গেছি তোমার তীব্র আঘাত যতো!

ওতে তুমি হলে বড়,

খুশিই হতাম!

আমায় বন্ধু কষ্ট দিলে,

বলিনি কিছুই,

আসল হিসেব আসলে মেলে,

দেখছি, এখন বুঝে পেলে।

বড় যদি হতে চাও তো,

কাউকে বন্ধু কোরো না ছোট,

নিজে সত্যি বড় হয়ো!

আঘাত তুমি যতোই কর নির্বিচারে,

সুদেআসলে ফেরত পাবে, জেনে রেখো।

নীরবে আমার চোখের জলে রক্ত ঝরে—হেসেছ দেখে,

রক্তের হিসেব দিতেই যে হয়, গভীরে বুকের—রক্ত মেখে!

অভিশাপ আমি দিইনি মুখে,

অভিশপ্ত যদি হয়েই থাকো, হয়েছ অমন আমার দুখে!

কেঁদো না বন্ধু, পেয়েছ যেটুক—সেটুক তোমার প্রাপ্য ছিল!

এগারো। পরিচয়টা যে কী জিনিস, যার নাই, একমাত্র সে-ই জানে।

বারো। ভয় পেলে আজ, চোখদুটোকে বন্ধ করে তোমার কথা ভাবি,

ভয়গুলো কী দৌড়ে পালায়, নস্যি ওরা………তোমার কাছে—সবই!

তেরো। আমরা অনেকেই জানি আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো কোথায়৷ অথচ, আমার মনে হয়, আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই, আমাদের শক্তির জায়গাগুলোকে চিনতে ভুল করি৷ তাই, আমরা সাহস করে বড় কিছু চাইতে পারি না৷ এমনও তো হয়, ভালো-কিছু’র জন্যে অপেক্ষা ক’রতে ভয় লাগে, অথচ সেই ভালো-কিছু’ই অপেক্ষা ক’রে থাকে আমাদের জন্যে৷

চৌদ্দ। লোকে বলে, সফল হ’তে চাও তো আত্মবিশ্বাসী হও। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, সাফল্য না থাকলে তো আত্মবিশ্বাসই আসে না! বটম লাইন কী? সাফল্যের বাঁধা-ধরা কোনো ফর্মুলাই নেই আসলে। যে রাস্তা কেউ কেউ দৌড়ে পার হয়, সেটা দৌড়েই পার হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। হাঁটা যায়, হামাগুড়ি দেয়া যায়। রাস্তা বদলেও নেয়া যায়। নিজেকে না বদলে বরং রাস্তাটাই বদলে নেয়া সহজ। সাফল্য হ’লো আফসোস না ক’রে বাঁচা। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া না হোক, অন্তত নিজের সব দরোজায় একটু কড়া নাড়া।

পনেরো। আমি আশা এবং নিরাশা দু’টোরই চরম সীমানায় থেকেছি। আমি জানি, সামনে যখন শুধুই শূন্যতা থাকে তখন কেমন লাগে। কতটা আশায় মানুষ স্রেফ বেঁচে থাকে, তাও জানি। লাইফ অব পেন্যান্স কী, তা আমাকে কোনো থিওসোফিক্যাল লেকচার প’ড়ে শিখতে হয় নি৷ খুব কষ্টে আছেন, এর চেয়ে বেশি কষ্টে থাকা যায় না, এইরকম দাবী যাঁদের, তাঁদের ব’লছি, একটা সময়ে মৃত্যুর প্রহর গোনার ব্যাপারটা পর্যন্ত আমার কাছে বিলাসিতা মনে হ’তো৷ ওরকম প্রহর গুনতে হ’লে তো অন্তত বেঁচে থাকতে হয়; সেই বেঁচে থাকাটাও কী এক ভীষণ যন্ত্রণার বিলাসিতা!

আমি দেখেছি, শুধু বেঁচে থাকলেও অনেককিছু হয়৷ হারিয়ে গেলে, খুব কাছের মানুষ ছাড়া কারোরই কিছু এসে যায় না৷ তাই, বেঁচে থাকুন। আপনার মৃত্যু কিছু লোককে দারুণ অস্বস্তিতে ফেলে দেবে, যারা আপনার মৃত্যুকামনা ক’রে স্বস্তি পায়। অন্তত তাদের কথা ভেবে হ’লেও . . . . . . . বাঁচুন!

বেঁচে থাকাটাই সবচে’ বড় প্রতিশোধ। তাই, অন্তত নিজের কথা ভেবে হ’লেও . . . . . . . বাঁচুন!

বাঁচুন, নিজের জন্যে। বাঁচুন, অন্যের জন্যে।

ভাবনা: তিনশো তেপান্ন

………………………………………

এক। অনলাইন ফুটানি, অফলাইন ফইন্নি।

দুই। দুইটি জিনিস দুইজন ভিন্ন মেরুর মানুষের মধ্যেও বন্ধুত্ব তৈরি করে দিতে পারে: বদভ্যাস আর ব্যর্থতা।

তিন।

বাবার কাছে পেয়েছি মাথা, পাইনি ঘিলু—তাতে কী?

যোগ্য আমি কমটা কীসে? আমার দারুণ পেশির জোরে, ফালতু কথা ফেরে ঘোরে।

পাইলে ইস্যু, আটকে হিস্যু, ছুটতে থাকি পিছু-পিছু।

বিনা পয়সার ফেসবুকে, বিষ্ঠা ছাড়ি সেই সুখে!

মূর্খ মোরা, গবেট বড়ো, ইস্যুপ্রিয় প্রাণ, মুখোশ-পরা মুখের নীচে শয়তান ঘুমান।

সবাই ছোটে, আমিও ছুটি,

সবাই হাসে, আমিও হাসি,

সবাই কাঁদে, আমিও কাঁদি,

সবাই নাচে, আমিও নাচি,

সবাই পাদে, আমিও পাদি।

সকলের পরে সকলে মোরা, মগজ মোদের আঁস্তাকুড়ে।

কোনটা আসল, কোনটা নকল—অতো বোঝার নিই না ধকল,

মাথা খালি, তাই বাঙালি!

ফেসবুক আছে তাই আমি বাজে বকে যাই,

বকে-বকে ভেতরের ছাগলটা চেনাই। ম্যা ম্যা ম্যা করে যাইইইইই……………!!!

ম্যা ম্যা ম্যা করে যাই মিথ্যার রাস্তায়, অনেক ভুয়ার ভিড়ে সত্যের নীরবতায়।

হুজুগ এসে গেছে বালের এই ফেসবুকে, ঘিলুহীন দেয়ালে—

ভণ্ডামি একাকার!

চার। প্রথম প্রেমকে দূরে ঠেলার শাস্তি পেতে হয়—সচেতনে, কিংবা অবচেতনে।

পাঁচ। If you don’t have money to spend on your life, you’ve to spend your brain. If you don’t have brain to spend on your life, you’ve to spend your time on Facebook. That’s why, I’ve a Facebook account.

ছয়। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কর্মক্ষেত্রে যে সকল কর্মকর্তার দক্ষতা ও অর্জন বেশ ভাল, তাঁদেরকে ফেসবুকে নিজের চাকরি নিয়ে তেমন কোনও শোঅফ করতে কখনও দেখিনি। প্রকৃত কর্মবীরের কর্মযজ্ঞ সবসময়ই ফেসবুকের বাইরে। তাঁরা নীরবে কাজ করে যান, কাজের সরব ফিরিস্তি দেয়া তাঁদের ধাতে নেই। সাধারণ লোকজন ফেসবুকে লাফানো কর্মকর্তাদের খুব কাজের ভাবেন। দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, আসলে কার্যক্ষেত্রে উনাদের যোগ্যতা, ক্ষমতা ও অর্জন সাধারণত নগণ্য। কখনও সত্যিই বিপদে পড়লে তাঁদের নক করে দেখুন। বেশিরভাগ সময়ই দেখবেন, আপনাকে হেল্প করার কোনও মানসিকতা কিংবা ক্ষমতা উনার নাই। তবে যদি উনি এমন কিছু করার মওকা পেয়ে যান, যা ফেসবুকে শেয়ার করলে অনেক লাইক আর কমেন্ট আসবে, ফলোয়ার বাড়বে, তবে তা করার জন্য উনি ঝাঁপিয়ে পড়বেন। বিশ্বাস করুন, ওরা যতোটা মানবিক, তার চাইতে ঢের বেশি প্রচার-উন্মাদ। এসব ভণ্ডদের কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ, আপনি বাইরে থেকে দেখে ধরতে পারবেন না। প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টেই কিছু রত্ন আছেন, যাঁদের ফেসবুক প্রোফাইল খুব লো, তাই আপনি তাঁদের চেনেন না। তাঁরা নিজেকে আড়াল করে রাখেন, কারণ তাঁরা চাকরিকে এত বেশি ফেস করেন যে চাকরিকে ফেসবুক করার সময়ই পান না। ক্ষমতাধরদের ক্ষমতা ফেসবুকের বাইরে।

সাত। “ওগো প্রিয়, বলো নাগো সত্যি করে, ভালোবাসা কাকে বলে?”

“যে বাসার টয়লেট ফিটফাট সুন্দর, ঠিকঠাক ফ্লাশ চলে!”

“বললে একি! ছিঃছিঃ! শেইম শেইম!”

“আরে ছাড়ো! হাগা আগে, পরে প্রেম!”

আট। বাবার আগে ছেলে মরে, মা জন্মায় মেয়ের পরে।

যাপিত জীবন ধ্রুব এমন, তেমন জন্ম মৃত্যু যেমন।

নয়।

প্রার্থনায় শান্তি আসে,

অর্থ আসে শ্রমে।

বিশ্বাসে শক্তি আসে,

জ্ঞান আসে উদ্যমে।

ধর্ম যখন বাইরে,

ধর্ম তখন নাইরে।

দেখায় ধর্ম, বোঝে না—মূর্খ সে জন—ঠিক জেনো।

বোঝে ধর্ম, দেখায় না—ধার্মিক সে মন—ঠিক মেনো।

সুখে থাকুন, স্বস্তিতে থাকুন, শান্তিতে থাকুন।

ভাল থাকুন, ভাল রাখুন।

দশ। একজন নির্ভুল মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখার চাইতে বড় দুঃখ আর হয় না।

এগারো। দুএকটি সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বলে— কলেজ কিংবা ভার্সিটির ক্যাম্পাস আর ফেসবুক দাবড়াইয়া বেড়ানো আর চাকরির বাজার দাবড়াইয়া বেড়ানো এক কথা না।

বারো। সময়ের দৌড়ে…….সময় ক্লান্ত……. সময়ের অপেক্ষায়…….সময় অস্থির…….

তেরো। এক রাধা, এক মীরা। সংগীতের দেবী লতা মঙ্গেশকরের আশ্চর্য সুন্দর একটা গান! এ গানের কম্পোজার রবীন্দ্র জৈন ছিলেন জন্মান্ধ। প্রচণ্ড পরিশ্রম ও সাধনার জোরে তিনি ভারতের অন্যতম সেরা সংগীত পরিচালক হয়েছিলেন। ‘সওদাগর’ মুভির রেকর্ডিং সেশন চলাকালীন উনার বাবা মারা যান। পিতার মৃত্যু সংবাদ পেয়েও উনি স্টুডিয়ো ছেড়ে যাননি। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে নির্বিকারভাবে পুরো রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর উনি মৃত পিতার কাছে ছুটে যান। পরবর্তীতে ‘সওদাগর’ মুভির মিউজিক কম্পোজিং উনার ক্যারিয়ারের সেরা কাজগুলির অন্যতম হয়েছিল। একাগ্রতা, সততা ও আন্তরিকতার জন্য পৃথিবী রবীন্দ্র জৈনকে সবসময়ই শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখবে।

চৌদ্দ। আমি লিখি, তুমি পড়। তুমি লিখ, আমি পুড়ি।

পনেরো। প্রিয় মানুষ, পরের জন্মদিনে হয়ো ফানুস! শুভ জন্মদিন! (একজন ভালমানুষের জন্য লেখা)

ষোলো। ভালো স্মৃতিশক্তি যতটা দেয়, তার চাইতে অনেক বেশি কেড়ে নেয়। ভুলতে পারাই ভাগ্যের। যে যত মনে রাখে, সে তত কষ্টে থাকে।

সতেরো। রবীন্দ্রসংগীত নিজের ইচ্ছেমত গাওয়া যায় না। এ নিয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথই কতটা বিরক্ত ছিলেন, সেটা দেখতে পাই ১৯৩৮ সালে জানকীনাথ বসুকে লিখিত পত্রে—

আমার গান তাঁর ইচ্ছামত ভঙ্গি দিয়ে গেয়ে থাকেন, তাতে তাদের স্বরূপ নষ্ট হয় সন্দেহ নেই। গায়কের কণ্ঠের উপর রচয়িতার জোর খাটে না, সুতরাং ধৈর্য ধরে থাকা ছাড়া অন্য পথ নেই। আজকালকার অনেক রেডিয়োগায়কও অহংকার করে বলে থাকেন তাঁরা আমার গানের উন্নতি করে থাকেন। মনে মনে বলি পরের গানের উন্নতি সাধনে প্রতিভার অপব্যয় না করে নিজের গানের রচনায় মন দিলে তাঁরা ধন্য হতে পারেন। সংসারে যদি উপদ্রব করতেই হয় তবে হিটলার প্রভৃতির ন্যায় নিজের নামের জোরে করাই ভালো।

(শেষ ২ বাক্যে রবীন্দ্রনাথ যে চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিয়েছেন, ওতেও যদি ওদের একটু লজ্জা হতো! পরজীবীরা তবু গাইবেন: তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার লজ্জাশরম নাই!)

আঠারো। যে তোমায় গালিগালাজ করতে চায়, সে-ই আবার তোমার কাছে চাকরি চায়!

বুঝে দেখো তবে, ইমোশনে নয়, চাকরিতে ভরে পেট এ ভবে!

উনিশ। There are three kinds of lies: lies, damned lies, and statistics. ~~ Attributed to Benjamin Disraeli by Mark Twain in “Chapters from My Autobiography — XX”

There are three kinds of lies: lies, damned lies, and facebook. ~~ Bangladeshi ফেসবুক ছেলেবেটি Sushanta Paul

বিশ। বাদল বসুর ‘পিওন থেকে প্রকাশক’ পড়ছি। শিবরাম চক্রবর্তীকে নিয়ে লেখা অংশটির শেষ দুইতিন পৃষ্ঠা পড়ে দেখুন। আমাদের প্রকৃত চরিত্র এখানে উঠে এসেছে।

একুশ। জীবন আবর্তে অল্প বিত্তে অধিক চিত্তে সুখের নৃত্যে মনের বৃত্তে।

ভাবনা: তিনশো চুয়ান্ন

………………………………………

এক। ছেলেরা ভালোবাসার কাঙাল, মেয়েরা ভালোবাসার প্রকাশের কাঙাল। ছেলেরা ভালোবাসাকে যতটা দাম দেয়, মেয়েরা ‘ভালোবাসি’ কথাটাকে তার চাইতে অনেক বেশি দাম দেয়। মেয়েদের কাছে বরাবরই ভালোবাসার চাইতে ভালোবাসার বাহ্যিকতা কিংবা অভিনয় বেশি আদর পায়। ছেলেরা যত সহজে ফস্ করে আইলাভ্যু বলে ফেলতে পারে, মেয়েরা অত সহজে তা বলতে পারে না। মেয়েদের ভালোবাসা অনুভব করার বস্তু, ছেলেদের ভালোবাসা দেখার আর শোনার বস্তু। এ কারণেই, কে তাকে সত্যিই ভালোবাসে, সেটা একটা ছেলে যতটা বুঝতে পারে, একটা মেয়ে ততটা বুঝতে পারে না। অথচ, মিথ্যে ভালোবাসাকে সত্যি বলে বিশ্বাস করে ফেলার ব্যাপারে মেয়েদের গোঁয়ার্তুমি প্রবাদপ্রতিম। ২৪ ঘণ্টায় ২৪ বার ফোন করে ভালোবাসি ভালোবাসি চিৎকারে গলা ফাটালেই মেয়েদের চোখে ভালোবাসার মজবুত এক-এক পিস তাজমহল গড়ে ওঠে। যে ছেলে তার ভালোবাসা শোঅফ করতে পারে না, মেয়েদের কাছে তার সত্যিকারের ভালোবাসারও দুই পয়সার দাম নেই। মেয়েরা এ ব্যাপারে বেকুব, তাই ঠকে।

দুই। পরীক্ষায় ভীত ঈশ্বরচন্দ্রকে রচনা লিখিয়েছিলেন শিক্ষক। যে মানুষ প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে লিখে ১৫ দিনে ভ্রান্তিবিলাস লিখতে পারেন, তাঁর পক্ষে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ‘জোর করে’ এমন চমৎকার প্রবন্ধ লিখে ফেলা খুব সম্ভব। এতে আশ্চর্যের কী আছে? আমাকে লিখতে দিলে ওইসময়ে বড়জোর একজন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কে অজস্র বাজে কথা প্রসব করে ফেলতে পারতাম, যেমন করে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়রা নমস্যদের মল ঘেঁটে বাঁচেন। কিছুকিছু বুদ্ধিজীবী মলজীবী। ছিঃছিঃ! আর সাধারণরা? ওরা তো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, কিছু না বুঝেই লাফায়। কেন লাফায়? সবাই লাফায়, তাই। আশেপাশের সবাইকে লাফাতে দেখলে অর্ধেক বুঝে, না বুঝে নিজেও লাফানোটা মূর্খদের সাধারণ ভদ্রতা।

তিন। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা বাদ দিন। এতোদিন যা করে এসেছেন, সেটাই যদি করে যান, তবে এতোদিন যেমন ছিলেন, তেমনই থাকবেন।

কথা শোনানোর চাইতে কথা না শোনানোর শক্তি অনেক বেশি। কাউকে কথা শুনিয়ে দেয়ার ইচ্ছে থাকলে মুখে নয়, আপনার কাজ দিয়ে শুনিয়ে দিন। একদিন আপনারও দিন আসবে। এর আগপর্যন্ত লোকজনকে বলতে দিন।

চার। He falls, he trolls.

পাঁচ। হ, তুমি টাংকি মারবা, দুই পয়সার ছাগল হইয়াও লাখ টাকার ফাল মারবা, ধুমাইয়া মজা নিবা, আর লাস্টে আইসা কইবা, ভাই, আমার সব শ্যাষ, আমারে কয়েক ছটাক মোটিভেশন দ্যান, পানিত গুলায়া খাই। আমিও আপনার ন্যায় লাইফকে ল্যাং মারিব। লাইফটারে কী মনে কর মিয়া? মুর্গির আণ্ডা যে মন চাইল আর অমনিই ফাটায়া অমলেট বানায়া খায়া ফালাইলাম! ফূর্তি করার সময় মাথায় ছিল না? বহুত মাস্তি মারসো, গলাবাজি করসো, এখন লাত্থি খাও। সিম্পল!

ছয়। To make the laws, you’ve to be a parliamentarian. To remake the laws, you’ve to be a candidate. Laws are made in the parliament, remade in the exam hall. I can write on all the laws if needed—laws already enacted, laws to be enacted. To pass an exam, a kind-hearted examiner is more important than a good preparation.

সাত। রাজ্জাক চলে গেলেন। আমাদের শৈশব পরিচ্ছন্ন আনন্দে কেটেছে যাঁদের যাদুতে, তাঁদেরই একজন আজ না-ফেরার দেশে চলে গেছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আনন্দবেদনার সঙ্গী হয়ে চলচ্চিত্রের এ মহারাজ চিরকাল বেঁচে থাকবেন। ভাল থেকো, ভালোবাসার মানুষ।

আট। ছাত্রজীবনের আধুনিক যুগ:

অনার্স ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার, ফোর্থ ইয়ার—পড়াশোনার দিনগুলিতে মূর্খতা

অনার্স ফিফ্থ ইয়ার, সিক্সথ ইয়ার, সেভেন্থ ইয়ার, এইট্থ ইয়ার—মূর্খতার দিনগুলিতে পড়াশোনা

নয়। ​যেসব মেয়ে প্রবাসী ছেলে বিয়ে করে, তাদের সবাইই যে ছেলেটিকে বিয়ে করে তা নয়, কেউকেউ প্রবাস জীবনযাপনটাকেই বিয়ে করে। কত বিয়েই তো বিদেশে থাকার বুদ্ধি ছাড়া আর কিছু নয়।

দশ। Better people are judged, worse people judge.

এগারো। (যাঁরা গত ৭ দিনে একটাও মুভি দেখেননি, এ পোস্ট তাঁদের জন্য নয়।)

গত এক সপ্তাহে আপনার দেখা সেরা বাংলা মুভি এবং আপনার কাছে সেরা ডায়লগটি শেয়ার করুন।

আমারটা করছি:

মুভি: নীল আকাশের নীচে (১৯৫৯)

ডায়লগ: ~এত দম্ভ কি ভাল, রাজাসাহেব? ~দম্ভ যাকে মানায়, তার পক্ষে ভাল। (ঝড় (১৯৭৯) মুভির)

মানুন আর না-ই মানুন, অহংকার এবং প্রতিভার মধ্যে এক ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। বাস্তবতা তা-ই বলে। দেখি, আগামী ২৫ তারিখের পর বেঁচে থাকলে এ ব্যাপারটি নিয়ে পড়াশোনা করে একটি বড় লেখা লিখব। আপাতত, ‘অহংকার পতনের মূল’ আপ্তবাক্য নিয়ে জগতের সকল প্রাণী সুখী থাকুক, মঙ্গললাভ করুক।

বারো। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর দিনটা আমার মনে আছে, সেদিন আমার জ্বর হয়েছিল, আমি ইস্কুল যাইনি—আমার দাদা ইস্কুলে গিয়ে কিছুক্ষণ পরেই ফিরে এল। আমার মা জিগেস করলেন, ‘ফিরে এলে কেন?’ বলল, ‘স্কুল ছুটি হয়ে গেল।’—‘কেন?’—‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা গিয়েছেন।’ সেই ছোট্ট মফস্বল—আমার এইটুকুন মনে আছে—মা বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন—মা সেই বারান্দার রেলিংগুলো ধরে কাঁদতে লাগলেন। তো এই কবি—তাঁর কী বলব—আলোই বল আর ছায়াই বল, সেটা এতদূর বিস্তৃত যে একজন গৃহবধূকে পর্যন্ত ওইরকম বিচলিত করে শোকের মধ্যে নিয়ে যেতে পারে! একটা ব্যক্তিগত ক্ষতির মতন তাঁর মনে হয়েছিল নিশ্চয়ই—নাহলে তিনি কাঁদতে লাগলেন কেন? কেউ দেখছিল না, কিছু না—আমি দূর থেকে শুধু দেখছিলাম। এখানে—যে কথাটা দিয়ে শুরু করেছিলাম—তিনি যাঁকে হারালেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর পাশে হাঁটছিলেন না কিন্তু—তিনি—তাঁর মন এই মানুষটাকে নিয়ে চলছিল।

—সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

গুরু সৌমিত্রের কিছু সাক্ষাৎকার পড়ছি আর ভাবছি, কিছুকিছু ঈশ্বর যেমনি মানুষের সমান, তেমনি কিছুকিছু মানুষ ঈশ্বরের সমান।

তেরো। দুনিয়ার পাবলিক ফ্রি খাইতে ইনবক্সে নক দেয়। আমি তো জনেজনে জন নির্বিশেষে জনসেবা করার অফুরন্ত পিনিক আর টাইম নিয়া হাঁ কইরা বইসা আছি! সকল ফ্রি খাতিরযত্ন অবশ্যই-অবশ্যই ইনবক্সের বাইরে। এক্সট্রা খাতিরের জন্য এক্সট্রা রিজন লাগেই। খাইট্টা খা। আর খাটাইয়া খাইতে চাইলে ঘিলু খাটা। ভাল জিনিস ফ্রিতে কোনও কারণ ছাড়া হুদাই পার্সোনালি পাওয়া যায় না। এটাই নিয়ম।

চৌদ্দ। মরদের মুরোদ অর্থে, আওরাতের বুলিতে।

পনেরো। You need haters in your life. You don’t have any? Well, it means, you’ve not achieved anything that challenges anyone, so you better create some through your achievements. They hate you as they want to be what you’re, but can’t. You don’t hate them as you simply don’t have to care about whatever they’re or aren’t. Haters are basically losers. Losers talk with words, achievers talk with actions. Achievers even don’t have that much time to know about the existence of the losers. Now it’s your choice what you wanna see yourself as–an achiever? Or, a loser? Haters hate you but can’t ignore you. Be that much tough & worthy!

ভাবনা: তিনশো পঞ্চান্ন

………………………………………

এক। তা বাপু, অনার্সের আগে যখন অত ফূর্তিটুর্তি করেইচো; অনার্সের পর এখন চাকরিটাকরি পাচ্চো না, ফ্যাফ্যা করে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্চো, আর ওদিকে তোমার খ্যাতমার্কা বন্ধুটি একেকটা একজামে বসচে আর অমনিই দুম্ করে চাকরি বাগিয়ে নিচ্চে, নিজেই বুঝতে পারচে না কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবে—এমনই তো হওয়ার কতা, কী বলো, রিটায়ার্ড গলাবাজ? চৌধুরী বাহাদুর, ফূর্তি করবেন আর ফূর্তির দাম দেবেন না, তা কী করে হয়, স্যার? জীবন এতই সোজা? ওই গোবেচারা গাধারা যে অত কষ্ট করল, তার কি কোনও পুরস্কারই নেই? কই গেল তোমার সেই সেয়ানাসেয়ানা দিনগুলি? এখন একটু দেকাও না দেকি ওই পুরানা বাহাদুরি!

দুই। Wives suspect their husbands and thus ruin their happiness. Husbands try to understand their wives and thus ruin their happiness.

তিন। ডিরোজিওর জীবন নিয়ে নির্মিত ‘ঝড়’ দেখলাম। সবাইকে বলব, মুভিটা দেখুন। বাঙালির চরিত্র সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন। নিরপেক্ষ মননে মিলিয়ে দেখবেন, সে ধারণা সত্যি। সাধারণত বাঙালি হুজুগে, বিস্মৃতিপরায়ণ, অকৃতজ্ঞ, কৃতঘ্ন, ভণ্ড, নির্বোধ জাতি। আপনি মানুষের উপকার করবেন, অথচ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না—বাঙালি সমাজে এটা অসম্ভব! যদি নিরাপদে বাঁচতে চান, তবে সজ্ঞানে নিঃস্বার্থভাবে কখনও কারও উপকার করবেন না।

চার। 2-minute silence for those who think that I’m here to help them build their career.

পাঁচ। P@ul’s Coaching Home নামে আমার একটা কোচিং সেন্টার ছিল। কোচিংয়ের স্টুডেন্টদের লেকচার শিট দিয়ে পরাতাম। কিছু শিট এখনও আমার কাছে রয়ে গেছে। সেগুলি এক-এক করে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। কিছু ভুল থাকতে পারে। ক্লাসে পড়ানোর সময় শিটের ভুলগুলি শুধরে দিতাম। তবে এখন সময়ের অভাবে সেটা করতে পারলাম না। আপনারা পড়ার সময় একটু কষ্ট করে শুধরে নিয়ে পড়বেন। আরেকটা কথা। এক্সারসাইজগুলির কোনও সল্যুশন শিট আমি কখনওই বানাইনি। ক্লাসে ইন্সট্যান্টলি সল্ভ করে দিতাম। তাই, আপনাদের কষ্ট করে নিজে সল্ভ করে-করে পড়তে হবে।

ছয়। If you’re already happy with your life, don’t fall in love or don’t fall in love again. Love is a trap. Once you’re into it, your happiness vanishes. Do anything your heart desires, but not in the name of love.

সাত। কিছু-কিছু সম্পর্কে একসাথে থাকতে-থাকতে ভালোবাসা গড়ে ওঠে। কিছু-কিছু সম্পর্কে একসাথে থাকতে-থাকতে ভালোবাসা মরে যায়। ভালোবাসার জন্ম ও মৃত্যু, দুইই বড় রহস্যময়।

আট। You can never expect justice in a country where the gravity of an incident depends upon the degree of its sensitization.

নয়। Sometimes you need a disaster in your life to know the truth about yourself.

দশ। পথেপথে চলতে-চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবো। আমার শোনা খুব ‘স্মার্ট গান’গুলির মধ্যে একটি। এত ভাল লাগে শুনতে!! কমেন্ট থ্রেডে আরও ৫টা (আমার চোখে, মানে কানে!) ‘স্মার্ট গান’-এর লিংক দিলাম। (একাএকা এই বেশ থাকা। এই আছি বেশ, শুরুতেই হোক শেষ। আমি তার ঠিকানা রাখিনি। ঠিকানা যা দিয়েছি, খুঁজে পাইনি। যদি তারে না-ই চিনি গো সে কি।)

এগারো। ভালোবাসা জিনিসটাই ভুয়া, শুধু ভালোবাসার গানগুলি আসল। ভাল কথা, এই গানটার প্রেমে পড়ে গেছি। কোনটা? খবর দিয়ো হঠাৎ কান্না পেলে।

বারো।

জানা কিছু অনুভব

অকারণ অবহেলায়

অজানায় ফেলে রেখো না…….

ওতে যে পাপ হয়!

যে বোঝে না, তাকে নাহয় বোঝালাম,

যে বোঝে, তাকে বোঝাই কী করে, বলো!

বুঝেও

মিথ্যে ছলের টানে

অবুঝ হয়ে বেঁচো না!

অতোটা ঘৃণায় কেন

রেখেছ বাঁচিয়ে—

আজও জানা হল না।

এভাবে আমায়

বারবার তুমি

স্তব্ধ কোরো না……আমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি!

ভালোবাসায় অন্ধ কষ্টমন না হয় ক্ষমা করে দেবে,

কষ্ট যে ক্ষমা করবে না…….

মনে রেখো,কখনওই না।

কষ্টের দয়া তোমার চেয়ে কম।

আমার কষ্ট—তোমায় বাঁধে না, জানি।

তোমার কষ্ট—আমায় ঠেলে না, মানি।

বাঁচতে না দাও, তবু বাঁচিয়ে রেখো—ভালোবাসতে।

বালের অনুভূতি—বালের কষ্ট—বালের ভালোবাসা—বালের মায়া—বালের যতসব ইচ্ছা—বাল যত্তসব!!

তেরো। Winning is a very very very bad habit.

Even when a girl sees she is nearly losing or has already lost an argument, she still can’t accept the defeat. She loves to invite more and more problems by continuing the argument. She never spares an inch as she can’t see herself lose an argument. No matter, whatever the truth is, the only truth she wants to establish is what she thinks the truth is. A girl’s truth lies only in her heart.

A boy does the opposite. He either wins an argument or simply runs away like a wise dog! Retiring is better than arguing. For winning he never spares an inch, but for losing he can spare even miles after miles! He thinks, let the fucking truth rest in peace, let the worthless argument rest in peace. A girl is happy when a boy says, “Sorry! You’re right!” Just saying sorry often gives a boy the passport to a girl’s mind and so to her body.

Trust me, winning is a hoax, so is losing. The only thing that matters in the end, is living. You can never win every argument and live your life at the same time. You can never lose every argument and live your life at the same time. Maturity is knowing when to win and when to lose, as sometimes to win is to lose and sometimes to lose is to win.

চৌদ্দ। পার্থিব জীবন ভীতিকর (Wordily life is frightening)

Into the Wild মুভিটা দেখেছেন তো? না দেখলে আজকেই দেখে নিন। IMDb’র টপ রেটেড মুভিজ-এর তালিকায় ২৫০টির মধ্যে এর অবস্থান ১৮১ নম্বরে।

(উল্লেখ্য, এই মুভিটা মোটিভেশনের আণ্ডা পাড়বে না। মোটিভেশন অমলেট আস্বাদন করতে এ মুভি দেখবেন না। যাদের অরণ্যপ্রীতি আছে, তারা মুভিটা দেখতে পারেন। মনে হয়, ভাল লাগবে। আমার পেইজে বেশিরভাগ মানুষই আসেন মোটিভেশনের আণ্ডা খেতে, তাদের ধারণা আমার সকল পোস্টই মোটিভেশনের আণ্ডাপাড়া মুরগি। ফাক্!)

পনেরো।

: আপনি কাজটা মোটেও ঠিক করেননি, একজনকে খুব কাছে টেনে তারপর একটু-একটু করে অনেক দূরে সরিয়ে দিলেন!
কাছেথাকার মানেই যে স্পর্শ থাকতে হবে, তা নয়! অযাচিত যে ছোঁয়া সেটা তো কখনওই কারও মনে থাকে না। যেখানে হৃদয় হৃদয়কে ছোঁয়, সেখানে অনুভূতির তীব্রতা নিমেষে আলোকবর্ষ ঘোচায়। স্পর্শের প্রেম তো ক্ষণিকের! আমরা থাকবো পরস্পরের হৃদয়ে, ওভাবে বাঁচব অনন্তকাল।

: আপনার কাছেথাকার ব্যাকরণ আপনার কাছে, আমারটা আমার কাছে। আমরা কাছে থাকব, অথচ কেউ কাউকে ছোঁব না, এমন কাছেথাকা তো অত্যাচার! অনন্তকাল কষ্টে বাঁচার কী মানে? তার চাইতে মুহূর্তের সুখ অনেক দামি। জীবনটাকে আমি এভাবেই দেখি। বলছি না, আপনাকে ওই ভাবেই দেখতে হবে; শুধু বলছি, আপনার চোখে আপনাকে দেখবে এমন কাউকে খুঁজে নিন। দূরে সরতে বাধা? যেকোনও সময়ই দূরে সরে যাওয়া যায়। কখনওই এতোটা দেরি হয়ে যায় না যে দূরে সরে যাওয়ার সব সময় শেষ হয়ে যায়। আপনাকে কাছে টেনেছি—-ও আচ্ছা! আপনি আসেননি? জোর করে কাছে টানা যায় নাকি? আপনার যন্ত্রণা আপনাকে অসৎ করে দিচ্ছে। এটা বুঝতে পারছেন?

ভাবনা: তিনশো ছাপান্ন

………………………………………

এক। জেদি মেয়েদের কাছে আবেগ বা ভালোবাসার চাইতে তাদের জেদের দাম বেশি।

দুই। প্রায় সব সম্পর্কেই ব্রেকাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা (পড়ুন, আশংকা) অন্তত ৯০%। তাও ওরা স্বপ্ন দেখে, কাজ (মানে, প্রেম আরকি) করে যায়।

আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করলে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা অন্তত ৯০%। তাও আপনি স্বপ্ন দেখেন না, কাজ করেন না।

আপনার আশেপাশে প্রেম করছে, এমন ছেলে বা মেয়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিন। ওরা যদি একটা নিশ্চিতপ্রায় ঘোড়ার ডিমের পেছনে ছাগলের মতো ছুটতে পারে, তবে আপনি একটা নিশ্চিতপ্রায় সোনার হরিণের পেছনে পাগলের মতো ছুটতে পারবেন না?

তিন। কখনও-কখনও প্রিয় কিছু অপ্রিয়দের কাছ থেকে পেলে মানুষ অপ্রিয়দের কাছে টেনে প্রিয়দের দূরে ঠেলে দেয়। তখন অপ্রিয়রা প্রিয় হয়ে ওঠে, প্রিয়দের বড় অপ্রিয় লাগে।

চার। অন্যের সাফল্যে— সক্ষমরা হয় অনুপ্রাণিত অক্ষমরা হয় ঈর্ষান্বিত

পাঁচ। বিয়েগুলি টিকে থাকে পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার উপর। কীরকম? খুব সহজ। স্ত্রী স্বামীকে কখনওই বিশ্বাস করে না। স্বামী স্ত্রীকে কিছুতেই বোঝে না।

ছয়। Single—It’s not a relationship status, it’s a feeling. People being in a relationship, still feeling single are not so few in number as we think. Being single is bliss.

সাত। Do you know when we grow up? Only when we needn’t share our pains with others to feel OK with them. No use of bothering others by our mistakes or miseries. Face your problems instead of facebooking them. Even thousands of sad reactions never lessen your pain. You insult yourself every time you give others the chance of just knowing about your pains and completely ignoring it later. Trust me, no one really cares about your life. Why? Let me ask you frankly, why should they? Never expect to hear a Yes from a stranger if you don’t have any reason to hear a Yes from them. Accept it. No one really disappoints you. You disappoint yourself every time you expect. Grow up. Grow strong. Stop showing your emotions to a wrong person. On earth, you’re the only right person to deal with your sufferings.

সাত। (‘স্বেচ্ছানশন—ধর্মে, কর্মে, মর্মে’ লেখাটি শেয়ার করার সময় লিখেছিলাম।) দুএকটি কথা: পুরো লেখা না পড়ে দয়া করে মন্তব্য করবেন না। এ লেখা সবার পড়ার মতো নয়। লেখাটিকে দীর্ঘ মনে হলে এড়িয়ে যান। আপনার ব্যস্ততা সবার আগে। অনেক পড়াশোনা ও পরিশ্রম করে লেখাটি লিখেছি। অবান্তর/ অনর্থক মন্তব্য না করলে আমার ভাল লাগবে। গঠনমূলক পরামর্শ দিন, কৃতজ্ঞ থাকব। বাংলা ভাষায় এ বিষয়ের উপর আর কেউ লিখেছেন বলে আমার জানা নেই। ভাল লাগলে শেয়ার করুন, আমার অনুমতি নিতে হবে না। ভাল থাকবেন।

আট। In my life, I’ve been into walking workout 3 times till date: During my boyhood days with my father (with pleasure) During my PATC training days for 4 months (under compulsion) Since 30 May 2017 (being forced by nothing) Never have I attended any gymnasium in my life. Now I’m interested to attend, but there’s no such scope in my place. Today I have covered a distance of 26.86 km in 4 hr 20 min with a speed of 6.1 km/h having burned the calories of 1202. My S Health software records today’s workout result like that. I’ve no idea about the accuracy of this software. Unfortunately, there’s no plane walking-track free of traffic in Kurigram town. So, you’ve to use the road adjacent to the govt offices leading to the railway station for walking workout purpose. Dear friends, what’s your highest record? Please share here.

নয়। বাংলা—কী লিখবেন, কেন লিখবেন। বেশিই অসাধারণ একটা বই! বইটা সবারই সংগ্রহে রাখা উচিত; যারা লেখেন, পড়ান, তাদের তো বটেই! এই বই পড়া দরকার। পাঁচ বছর আগে কিনেছি, অথচ আজ পড়া হচ্ছে। ছিঃ ছিঃ! এতদিন কী ভুলভাল লিখছি! পড়ছি আর লজ্জা পাচ্ছি। আমার ভদ্র দয়ালু পাঠকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

দশ। কিছু-কিছু মিথ্যে আছে, যেগুলি সত্যিকারের সত্য ভালোলাগা দেয় ঠিকই, কিন্তু সে ভালোলাগাটুকু মিথ্যেভাবে গ্রহণ করতে না পারলে সত্য জীবন, সত্য পৃথিবী, সত্য অনুভূতি—সবকিছুই ভীষণ বিশ্রী রকমের সত্যিভাবে মিথ্যে আর অর্থহীন হয়ে যায়।

এগারো। কোনোকিছু নিয়ে বা কারো ব্যাপারে অতি কৌতূহল বা অতি আগ্রহ বা অতি ভাবনা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে নষ্ট করে দেয়। বাঁচতে হয় হাঁসের মতো করে—জল ঝেড়ে জলে সাঁতরে। স্পর্শ করা যাবে, তবে নিজেকে আটকে ফেলা যাবে না।

বারো। অন্য কারও পথে পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চাইতে নিজের স্বপ্নের পথে কুকুরের মতন পড়ে থাকাও আনন্দের।

তেরো। আমার ধারণা, কোনো মেয়ে বা মহিলাকে খুশি করার চাইতে ৫বার বিসিএস এ ফার্স্ট হওয়াও অনেক অনেক সহজ। পেন্নাম রমণীমোহন পুরুষগণ!!

চৌদ্দ। ইঁদুর। সোমেন চন্দের গল্প। অসামান্য গল্পটা! এই গল্প পড়ে আমাদের আদরের হুমায়ূন আহমেদ লেখালেখির অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। গল্পের লেখক রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। রাজনীতি তাঁকে কী দিয়েছিল? মাত্র ২২ বছর বয়সে তাঁকে মিছিলের সামনের সারিতে ঢাকার রাস্তায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন। যারা তাঁকে খুন করেছিল, তারাও কমিউনিস্ট ছিল। রাজনীতি শুধু নষ্টই করে—বিবেক, বোধ, বুদ্ধি। আজ হতে ঠিক ৯৭ বছর আগে তিনি জন্মেছিলেন। শুভ জন্মদিন, শব্দের যাদুকর।

পনেরো। Showing the contents of your inbox to anyone is like showing the private parts of your body to them. If you do it, you don’t have the minimum personality and you don’t deserve any respect. Marketing your privacy is something like masturbating or having sex in public.

You find anyone annoying? Well. Then why the Hell do you continue chatting with them? If you don’t like their presence in your inbox, just block them, or block messages from them, or just ignore. Who told you you would be hanged if you didn’t reply a seen message? Come on! Even, what’s wrong in leaving an unwanted message unseen? Why so curious, huh? Why didn’t you restrict your messaging setting? You continue replying anyone means you are enjoying their virtual company. There’s nothing wrong with them. You’re just having the fruit of your choice. No one can ever annoy you or waste your time in your inbox without your consent. Never!

By keeping your windows open, you can never enjoy the outside air and prevent mosquitoes from entering your room at the same time. Grow up, kids! Stop hypocrisy! NOW! Better to be a scoundrel than be a hypocrite.

ষোলো। You missed it? OK now tell me your sweet excuses. Dear guardians, be really strict before it’s too late. The world doesn’t care about your blind affection.

সতেরো। দুর্বল মানুষ অদৃষ্টের হাতে চলে, সবল মানুষ অদৃষ্টকে হাতে নিয়ে চলে। Don’t be carried by your luck; instead, be strong enough to carry your luck.

আঠারো। One very simple rule: Learn from everything you do and everything others do. Never criticize or judge. I mean NEVER. Either accept or don’t accept, but don’t don’t and don’t criticize or judge. It’ll simply destroy your power.

ভাবনা: তিনশো সাতান্ন

………………………………………

এক। আপনার হাতে মাত্র দুটো অপশন : হয় রাতে দেরিতে ঘুমাতে যান, অথবা সকালে ভোর হওয়ার আগে উঠুন। যদি রাতে সত্যিই একা থাকতে না পারেন, তবে সেকেন্ড অপশনটাই বেটার, কারণ বেশিরভাগ লোকই রাতে জাগে আর গল্প করে সময় নষ্ট করে। ভোরের আগে উঠতে পারলে, আপনাকে বিরক্ত করার কেউ থাকবে না, তাই আপনি পড়াশোনা করা ছাড়া আর তেমন কোন কাজই পাবেন না।

আমরা যা-ই করি না কেন, সেটা যদি খুব উল্লেখযোগ্য কিছু হয়, তবে সেটা নিশ্চয়ই অন্তত ১০ বছরের ১০ হাজার ঘণ্টার পরিশ্রমের ফলাফল। পৃথিবীতে কেউই রাতারাতি কিছু করতে পারে না।

দুই। একই শার্ট, অথচ একজনকে মানায়, আরেকজনকে মানায় না। অন্তত লোকে তা-ই বলে। কেন এরকম হয়? প্রথমজন দেখতে খুব সুন্দর বলে? নাকি, ওই শার্ট আর ওই ব্যক্তি একেবারে Rab Ne Bana Di Jodi, মানে Made for each other? সবসময়ই যে এরকম হয়, সেটা নাও হতে পারে। এমনই বেশি হয় যে, প্রথমজনের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। এতে দ্বিতীয়জনের রাগ কিংবা অভিমান আসতেই পারে, কিন্তু একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখলে বোঝা যাবে, শার্ট মানায় শার্টের গুণে নয়, ব্যক্তির গুণে। সবাই শার্টটিকে দারুণ বলে ওই শার্ট যে পরে আছে, সে দারুণ বলেই। তাই সুন্দর পোশাক পরতে হলে সবার আগে সুন্দর মানুষ হতে হবে। নাহলে আপনি যা-ই পরেন না কেন, “আপনাকে ওটাতে মানিয়েছে” এটা বলার মতো কাউকেই পাবেন না। সফল মানুষের রংঢংও ভাল লাগে, আর ব্যর্থদের হক কথা শুনলেও গাজ্বালা করে। ওদেরকে সবাই বলে, “দুপয়সার মুরোদ নেই, শুধু মুখে বড় বড় কথা!” জীবনটা এমনই। কিচ্ছু করার নাই! Success is the sweetest excuse!

পৃথিবীতে সবাই সবকিছু পারে না। জীবনে সবাই সবকিছু পায় না। সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না। এর জন্য মনখারাপ করে থাকার কিছুই নেই। হাতি গাছে চড়তে পারল না বলে হাতি বানরের চাইতে নিকৃষ্ট, এমনটা কিছুতেই নয়। দেখতে হবে, যে যে কাজটি ভাল পারে, সে কাজে ওর পারফরম্যান্স কেমন। ক্রিকেট খেলায় আমি ছিলাম নালা থেকে বল নিয়ে আসার খেলোয়াড়। যারা আমাকে খেলা পারতাম না বলে খেলায় নিতে চাইত না, দুই পয়সারও পাত্তা দিত না, আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে শান্তি পেত, তারা কিন্তু আসলেই বেশ ভাল খেলত। ওরা ক্রিকেটের পেছনে অনেক সময় দিত, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ওরা ভাল খেলোয়াড় হয়েছিলো। আমি ক্রিকেট খেলা পারতাম না, তাই নালায় বল আনার বদলেও যদি ওরা আমাকে খেলায় নিত, “আমিও খেলছি” এটা ভেবে শান্তি লাগত। আমি নালা থেকে বল তুলে আনার বিনিময়ে আরও একটা জিনিস পেতাম, সেটা হল পরীক্ষায় ওদের চাইতে অংকে ৩৮ নম্বর বেশি পেতাম। ওরা পেত ৬০, আমি পেতাম ৯৮। তাতেও আমার কিছু বলার ছিল না যদি ওরা বড় হয়ে একেকজন সৌম্য সরকার হতো। যদি ওরকম কিছু করে দেখাতে পারতো, তবে পুরো পৃথিবীই ওদেরকে সমীহ করতো। সেটা তো আর হলো না! তাহলে ওরকম পড়াশোনা বাদ দিয়ে ক্রিকেট খেলে জীবনে ওরা কী পেলো? ক্রিকেটও থাকুক, যদি পড়াশোনাটা পুরোপুরি ঠিক থাকে। নাহলে ক্রিকেট দেখেই সারাজীবন হাততালি দিয়েই কাটাতে হবে, নিজের কপালে আর হাততালি জুটবে না। আমাকে যারা ছোটবেলায় মারত, ওদের সব শক্তি ছিল গায়ে, মাথা ছিল ফাঁকা। শরীরের জোর আর মগজের জোরের মধ্যে বন্ধুত্ব আমি নিজে খুব বেশি দেখিনি। যারা মাথা দিয়ে কাজ করার ক্ষমতা কম, ভগবান দয়াপরবশ হয়ে তাকে বাহুতে আর মুখে কিছু ক্ষমতা দিয়ে দেন। তাই আপনি যা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তার পেছনেই সময় দিলে সবচাইতে ভাল। Do what you love. Love what you do.

তিন। শুভ নববর্ষ

১৪২৪ সালে কারো উপকার করতে পারি না পারি, প্রাণ থাকতে কারো বিন্দুমাত্রও কোনো ক্ষতি করবো না।—এই হোক আমাদের নতুন বছরের শপথ। আপনি হয়তো কারো ক্ষতি করার উপলক্ষ দিনে ১০টাও পেয়ে যাবেন, কিন্তু কারো উপকার করার সুযোগ ১০০ দিনেও ১টা পাবেন কিনা সন্দেহ। যদি পান, অবশ্যই তা কাজে লাগান। যদি না পান, আর যা-ই করুন, কারো ক্ষতি অন্তত করবেন না। আপনার কৃতকর্মের ফল আপনাকে কিংবা আপনার সবচাইতে প্রিয় মানুষটিকে মৃত্যুর আগেই বহুগুণে ভোগ করতে হবে। বাঁচুন, বাঁচতে দিন। ভাল থাকুন, ভাল থাকতে দিন।

চার। কাউকে ভালোবাসেন, অথচ বিশ্বাস করতে পারেন না—এর চাইতে বড়ো কষ্ট আর হয় না।

পাঁচ। কাদের সমালোচক হতে হয়? যাদের সমালোচিত হবার কোনো যোগ্যতা নেই। এই কারণেই একজন সজনীকান্ত কখনোই একজন রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠতে পারেন না, সজনীকান্ত হয়েই জীবন কাটাতে বাধ্য হন। একজন রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়কে রবীন্দ্র-ব্যবসায়ী হয়েই অন্ন-সংস্থান করতে হয়। যাকে যেভাবে বেঁচে শান্তির খোঁজ করতে হয় আরকি! বিল গেটসকে গালি দিয়ে আমার বাসার গলির পানবিড়ির দোকানদারটারও তো মাঝেমধ্যে জাতে উঠতে ইচ্ছে করে। বেচারার আর কী দোষ, বলুন?

ছয়। ভালোবাসায় কিংবা প্রেমে নয়, সংসার টেকে ধৈর্যে আর সহ্যে।

সাত। You can never claim you’re passing through the right track, even if it seems pretty OK to you until and unless you reach the right destination you started for. Often it so happens that you interpret it in the wrong way (or, in most cases, the way you feel comfortable with) when you come to know how only a few others made their journey already. The road not taken by you yet, is the road you better stay foolish about, smartly foolish. Whatever suggestion you receive or refuse from whomever, be sure first it does not allude any of their self-interests.

আট। When someone does not give you time, not always it means they are busy. Maybe sometimes they simply do not want to give you time as you cannot afford to buy their time in some way or another. Show them a reason to shake off the luxury of sitting idle for you. I have often found that attitude shown by others is often something you earn, rarely something you deserve. Leave the things you cannot afford to keep. Simple! We do not need everything we have even to have almost everything we need.

নয়। One of the secrets of power is giving your subordinates every kind of protection even sometimes at the cost of your own vulnerability. Do something for them whenever possible that compels them to put the highest level of trust upon you. Take them to task seriously whenever required, NEVER let others do it. If you can’t take the irresponsibility, you can’t expect to take their credit either. Managing your office very well is just managing your subordinates very carefully. Never let them understand what you’re not telling. Hiding is an art.

দশ। The best way to manage the people you find difficult to deal with on Facebook is just to ignore them, I am happy, so they are. Everyone thinks he is right. If you think, he is not, better be happy with what you think right and let him stay happy as well. Some people consider showing arrogance in some situations their birth right. Also, you are arrogant in some of your thoughts even if you are tactful enough in expressing them in a polished manner. Not everyone is that tactful. It’s your strength, man! In fact, there is hardly anyfact, there is just accepted or acceptable interpretation. Everyone feels comfortable to think things right he feels comfortable with. So, LIVE & LET LIVE.

এগারো। Three lessons:

When two strong entities enter your mind, one entity makes the other one weaker and tries to kick it out. Two weak entities can exist together, but two strong ones can’t.

When you decide to mix with SMALL people, you decide to show and tolerate SMALLER attitudes. Now, it’s your choice!

You can’t eat the fruit you achieved and keep your mouth open at the same time. Let them talk who have failed to achieve it and hate to see you eat it. Just eat and enjoy.

বারো। ভাললাগা গানের একটা অসাধারণ গুণ হলো, ওটা সময়কে ধরে রাখতে পারে। আজ থেকে অনেক অনেক বছর পরও যখন ভালোলাগার একটি গান শুনব, তখন মনে পড়ে যাবে জীবনের অনেক পুরোনো একটা মিষ্টি মুহূর্তের গল্প যে সময়ের জন্যই হয়তো গানটা বেজে উঠেছিল। তুমি পাশে থাক, আর না-ই থাক, তোমার কিছু রেশ মাথায় রয়ে যাবে সুন্দর কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে। তোমাকে ধন্যবাদ দিয়েই যাবো স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর কিছু কল্পিত সময় উপহার দেয়ার জন্য…

তেরো। Let me suggest you a very very simple rule: Never ever open your BIG mouth about yourself before you pass 10 years after passing the HSC exam.