ভাবনাদেয়ালের পলেস্তারা (৮৮তি অংশ)

ভাবনা: ছয়শো দশ

……………………………………………………

3 January 2015

কিছু অদ্ভুত প্রশ্ন। সাথে আমার উত্তর। কয়েকটা মনে পড়লো। শেয়ার করছি:

ভাইয়া, আপনি কীভাবে আইবিএ’তে চান্স পেলেন, আবার বিসিএস’য়েও ভাল করলেন?

পড়ে।

আচ্ছা, আপনার রিটেনের মার্কসের রেকর্ডটা ভাঙতে হলে আমাকে কী করতে হবে?

টোটাল ৬৪৫ পেতে হবে।

ভাইয়া কী ড্রেস পরে ভাইভা দিতে যাব?

সবুজ শার্ট, হলুদ প্যান্ট, লাল জুতা পরে।

ভাইয়া, একটুও পড়তে ইচ্ছা করে না। কী করতে পারি?

বাবা-মা’কে বলেন বিয়ে দিয়ে দিতে। কী দরকার! আপনার জন্যই তো কেউ পড়ছে।

আপনি পরীক্ষায় কোন কোম্পানির কলম দিয়ে লিখেছিলেন?

বাংলাদেশি কোম্পানির।

পরীক্ষায় কোন কালির কলম দিয়ে লেখা ভাল?

সাদা কালির।

কোন প্রকাশনীর গাইড বই সবচাইতে ভাল হবে?

বাজারের প্রকাশনীর।

ভাইয়া, আপনি বলেছেন, আপনি বিসিএস পরীক্ষায় বাংলায় উত্তর করেছেন। আপনি কি সব সাবজেক্টই বাংলায় লিখেছেন?

না, ইংরেজি পরীক্ষা ইংরেজিতে দিয়েছি, আর অংক পরীক্ষা অংকে।

প্রথমবারে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় কী?

প্রথমবারে ভালোভাবে পরীক্ষা দেয়া।

আপনি পড়ার সময় ঘুম এলে কী করতেন?

ঘুমাতাম।

আপনি পড়তে ইচ্ছা না করলে কী করতেন?

কাউকে এরকম একটা ফেসবুক টেক্সট পাঠাতাম।

আমাকে একটা ভাল বইয়ের নাম বলেন, যেটা পড়লে আমি ভাল ইংরেজি শিখতে পারব।

ইংরেজি অভিধান।

অক্সফোর্ড ডিকশনারি ইংলিশ-টু-বেঙ্গলি’টা কিনলে হবে?

না, বেঙ্গলি-টু-ইংলিশ’টা কিনেন।

আপনি দিনে কয় ঘণ্টা পড়তেন? কয় ঘণ্টা ঘুমাতেন?

এটা কেউ জিজ্ঞেস করবে, এটাই জানতাম না। আগে যদি জানতাম, স্টপওয়াচ দিয়ে মেপে রাখতাম।

আমার গার্লফ্রেন্ড খুব সম্ভবত অন্য একটা ছেলেকেও ভালোবাসে। আমার কী করা উচিত?

আপনার খুব সম্ভবত অন্য একটা মেয়েকেও ভালোবাসা উচিত।

ভাইয়া, আজকে আমার গার্লফ্রেন্ডের বার্থডে। ওর জন্য খুব সুন্দর একটা মেসেজ লিখে দেবেন? ওকে পাঠাবো।

ওর নাম্বারটা দিন। আপনাকে কষ্ট করতে হবে না, আমি নিজেই পাঠিয়ে দিচ্ছি।

আপনি বেছে বেছে মেয়েদের ছবিতে লাইক দেন কেন?

মেয়েদের আমার ভাল লাগে, তাই।

ভাইয়া, আপনি বিয়ে করছেন না কেন?

কেউ আমাকে বিয়ে করছে না, তাই।

আচ্ছা, আপনার গার্লফ্রেন্ড নেই কেন?

আপনি আমাকে ভালবাসেন না, তাই।

ভাইয়া, আমিও আপনার মত লিখতে চাই। আমাকে কী করতে হবে?

অভ্র কিবোর্ড ব্যবহার করতে হবে।

আপনি কি কাউকে ভালবাসেন? বাসলে, কাকে?

বাসি। আপনাকে।

ভাইয়া, আমিও আপনার মত সুন্দর করে কথা বলতে চাই। আমাকে কী করতে হবে?

আপনাকে সুন্দর করে কথা বলতে হবে।

ভাইয়া, কীভাবে ফেসবুক থেকে আমি নিজেকে সরিয়ে আনতে পারি?

আপনার ইন্টারনেট কানেকশনটা বন্ধ করে দিয়ে।

ভাইয়া, আমার মাঝেমাঝে মরে যেতে ইচ্ছা করে। আমি বাঁচতে চাই।

আচ্ছা, বাঁচেন।

ভাইয়া, আমাকে গ্রহণ করলে খুব খুশি হতাম।

কী হিসেবে?

ভাইয়া, আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে সিভিল সার্ভিসে আসলেন কেন?

সরি ভাই, ভুল হয়ে গেছে। এই ভুল আর হবে না।

আপনি মেয়েদের রিকোয়েস্ট ঝুলিয়ে রাখেন কেন?

ওরা ঝুলে থাকে, তাই।

আমি মাঝে মাঝে আপনাকে অংকের প্রশ্ন পাঠালে আপনি সলভ করে দেবেন?

মাঝে মাঝে না, প্লিজ, সবসময়ই পাঠাবেন।

আপনি আমাদের জন্য ১০-১২ সেট মডেল টেস্টের প্রশ্ন তৈরি করে দেবেন, প্লিজ?

ভাই, কম হয়ে গেল না?

ভাইয়া, আপনি বলেছিলেন, আপনি লেখক হতে চান। আপনি আমাদের জন্য একটা বিসিএস গাইড লিখবেন, প্লিজ?

শুধু বিসিএস? ব্যাংক জব কী দোষ করল?

আপনি তো সারাদিন অনেক বিজি থাকেন। আপনি কি কাইন্ডলি মাঝে মাঝে রাত ১২:০০টার পরে আমার সাথে ১৫ মিনিট কথা বলবেন?

আমি ছেলেদের সাথে এত রাতে কথা বলি না।

আপনি আমার ফোন ধরেন না কেন?

আপনার ফোন আমাকে ধরতে হবে কেন?

এরকম আরো অনেক!! বিসিএস’য়ে ফার্স্ট হওয়ার শাস্তি। এই মুহূর্তে আর মনে পড়ছে না। মাঝে মাঝে মনে হয়, সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে সংসারি হয়ে যাই।

6 January 2015

কালকের স্ট্যাটাসটা নিয়ে বলছি।

# আমি লেখাটাতে নারীস্বাধীনতা খর্ব করে কিছু বলিনি। বলবোই বা কেন? আপনাদের মত অতোটা বিদ্যেবুদ্ধি না থাকলেও ছোটোবেলা থেকে মা’কে দেখে এইটুকু তো অন্তত শিখেছি, পরিবারের স্ত্রীর পারিবারিক, সামাজিক আর রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার উপর নির্ভর করছে অনেককিছু।

# আমি সমাজের একটা কুৎসিত পীড়াদায়ক সমস্যার কথা বলেছি। এটাকে নিয়ে কথা বললে সবার কাজে লাগত। কেউ কেউ বলেছেন, এই সমস্যাটা শুধু মেয়েশিশুদেরই না, ছেলেশিশুদের ক্ষেত্রেও ঘটে। পুরোপুরি মেনে নিচ্ছি। মেয়েশিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যাটার চিত্র খুব অহরহ এবং ভয়াবহ। দুটো ক্ষেত্রেই একটা শিশুর সুষ্ঠু মনোদৈহিক বিকাশ ব্যাহত হয়। এটা দেখে চোখ বন্ধ করে থাকলেই কিন্তু সমস্যাটা ভ্যানিশ হয়ে যাবে না।

# আমি বলিনি, মেয়েদের চাকরি করাটা ঠিক নয়। আমি বলেছি, ওদের সন্তানের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে। আবার বলে বসবেন না যেন, আমি মায়ের চাইতে মাসির দরদ বেশি ফলাতে এসেছি। আমি বলেছি, ওই কুৎসিত সমস্যাটা এমনই একটা সমস্যা যেটা আপনি দেখেও হয়তো বুঝবেন না, যেটা আপনার অগোচরেই ঘটে, ভিকটিম নিজেই যে সমস্যার কথা চেপে যায়।

# আমার মা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াতেন। কেন পড়াতেন? পয়সার জন্য? হ্যাঁ, সে তো কিছুটা বটেই। তবে প্রয়োজনটা পয়সার ছিল না, প্রয়োজনটা ছিল আত্মসম্মানের। বাবার কাছ থেকে সবসময় পয়সা চাইতে আমার মায়ের সংকোচ হত। আবার ভেবে বসবেন না যেন, বাবা মাকে পয়সা দিতেন না। আমরা ছোটোবেলায় মায়ের কাছ থেকে পয়সা চাইতাম। শুধু ছোটোবেলায় কেন? একটু বড় হওয়ার পর আমার বইকেনার নেশা চেপে যায়। প্রায়প্রায়ই প্রচুর বই কিনতাম। বাবার কাছ থেকে পয়সা চাইতে কেন জানি লজ্জা লজ্জা লাগত। মা সেটা নিজের উপার্জন থেকে কিংবা বাবার কাছ থেকে চেয়ে এনে দিতেন। মা কিন্তু এখনো স্টুডেন্ট পড়ান। এখন কেন পড়ান? মা তখন কেন স্টুডেন্ট পড়াতেন? মা ফ্রিতেও অনেককে পড়িয়েছেন। ওরা কত বড় হয়ে গেছে! ভাল ভাল জায়গায় আছে। ওরা এখনো মা’র কথা মনে রেখেছে। মা পড়াতে খুব ভালবাসেন। মা একা মানুষ। আমার তো বোন নেই, আমরা দুই ভাই। আমি কিংবা আমার ছোটোভাই কেউই বিয়ে করিনি, তাই আমাদের বউও নেই। মা গল্প করবেন কার সাথে? মা এটা করতে পছন্দ করেন। মা’র সময় কাটে না, আগেও কাটতো না। সময়টা সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য মা স্টুডেন্ট পড়াতেন। মনও ভাল থাকে। অন্যের নিন্দে করার সময় জোটে কম। আমি স্বাবলম্বী, এই অনুভূতিটা আনন্দ দেয়। এখন কথা হচ্ছে, মা কীভাবে মেইনটেইন করতেন? অনেকবেশি মানিসিক আর শারীরিক পরিশ্রম করে। মায়ের দুনিয়াটা ছোটো ছিল তো! চাওয়াপাওয়া কম ছিল। স্বামী, সন্তান, পরিবার আর কিছু বইটই-গান-মুভি —এই নিয়েই আমার মা’র ছোট্টো দুনিয়া, ছেলেদের সুখই উনার সুখ। আমাদের পরীক্ষার আগে আগে মাঝেমাঝে পড়ানো ছেড়ে দিতেন। আমাদের টিচারদের বাসায় নিয়ে যেতেন। বাবা খুব লাজুক স্বভাবের মানুষ। মা-ই সব স্যারদের সাথে কথা বলতেন। প্রতিদিন ভাল করে ৫ ঘণ্টাও ঘুমাতেন কিনা সন্দেহ! এতটা খেয়াল রাখতে পারলে চাকরি করতে মেয়েদের সমস্যা কোথায়? মা এই ব্যাপারে বাবার কাছ থেকে সবধরনের সাপোর্ট পেয়েছেন। আমরা যেমন মা’কে মা ডাকি, তেমনি বাবা’কেও তো বাবা ডাকি। সন্তান তো মায়ের একার না।

# কিছু বন্ধু আমাকে একেবারে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। সবিনয়ে বলছি, আপনারা আমার লেখার সূত্রটাই ধরতে পারেননি। ধরা যাক, আমি একটা সামাজিক সমস্যার কথা বলব। ভাল কথা। সমাজের এলিমেন্টগুলোকে বাদ দিয়ে কীভাবে ওটা বলব? আমি ওগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করেছি লেখার প্রয়োজনে। আপনারা সমস্যাটাকে নিয়ে আলোচনা করলে ভাল লাগত। সমাধানের কিছু উপায় নিয়ে বললে সবার লাভ হত। ভাই, আমি ক্ষুদ্র মানুষ। আমাকে লাত্থি মারলেও আমি আমিই থাকব। সমস্যাটাকে লাত্থি মারলে কিন্তু সমস্যাটা আর সমস্যা হয়তো বা থাকত না। থাকলেও এর মাত্রা কিছুটা কমানোর বুদ্ধি বেরিয়ে আসত। কী, আসত না? সেটা না করে আপনারা কী করেছেন? লিখেছেন, আমার মত বিসিএস ক্যাডারদের মাথায় ঘিলু নাই। (বোন, সব বিসিএস ক্যাডারকে টানছেন কেন? ওরা কী করেছে? গালি দিতে হলে আমাকে দিন। দয়া করে বলুন, আমার মাথায় ঘিলু নাই।) আমার মত পড়ুয়া মানুষরা খুবই নিম্ন চরিত্রের। আমি একটা লুজার শিট। আমি একটা ছাগলা। আমি শ্রদ্ধার যোগ্য না। আমার মানসিকতা মধ্যযুগীয়। আমি তেঁতুল তত্ত্বের সার্থক উদাহরণ। (ছিঃ আপু ছিঃ! আমার লেখাটাতে কোথাও এই কমেন্ট করার মত কিছু বলেছি? আপনার কমেন্ট আমাকে আপনার বিদ্যের দৌড় জানিয়ে দিয়েছে।) আরো আছে। আমি ভদ্রসমাজে বলা যায় এরকম কিছু কথা তুলে ধরলাম। আপনারা শুধু এটা করেই ক্ষান্ত হননি, আশেপাশের সবাইকে জড়োও করেছেন। আমার লেখা না বুঝলে লেখা নিয়ে একটাই কমেন্ট করবেন, “ভাই, কী লিখেছেন, বুঝিনি। বুঝিয়ে দিন।” আমি খুশি হব, কষ্ট পাব না, আপনার প্রতি সম্মানবোধটাও কমে যাবে না। ইনবক্সে কী কী যে লিখে পাঠিয়েছে বন্ধুরা! থাক, এটা নিয়ে আর না বলি। রুচিতে বাধছে। আর তাছাড়া মেজাজ এখনো অতোটা খারাপ হয়ে যায়নি যে ওগুলোর কথা তুলে আবারো মেজাজ খারাপ করতেই হবে।

# জীবনের প্রয়োজনে জীবিকা। এইটুকু ঠিক আছে। কিন্তু যেন জীবিকার প্রয়োজনে জীবন না হয়ে ওঠে। এতে কতকিছুই তো হারিয়ে যায়, না? ভালোবাসা হারায়, সুখ হারায়, আদর হারায়। পরিবারটা আরো সুন্দর হতে পারত, হয় না। না-বলা এবং বলা-যায়-না এমন সমস্যাগুলো বাড়তে থাকে। সংসারের তাগিদে মেয়েরা চাকরিতে যায়। এই ক্ষেত্রে ছেলেটাকেও অনেকটুকু ছাড় দিতে হবে। ওর কিংবা ওর পরিবারের জন্যই তো মেয়েটা সন্তানদের দিকে ঠিকমতো নজর দিতে পারছে না, তাই না? বাবা-মা দুজনেরই ভূমিকা আছে এই ক্ষেত্রে। এসব কথার বিপক্ষে কোনোকিছু কি আমি আমার লেখায় বলেছি? মনে হয় নাতো! কেন বলব? আমিও যে এভাবেই ভাবি। যদি ওরকম কিছু বুঝে থাকেন, তবে সেটা আপনার বোঝার ভুল, কিংবা আমিই আপনাকে বোঝাতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করবেন, আমি সরি। আচ্ছা, এটা কি আমাকে জিজ্ঞেস করা যেত না? আমার লেখাটার সমালোচনা করা যেত না? আপনাদের ওই শক্ত পাথরগুলো আমাকেই ছুঁড়ে মারতেই হল? আপনারা এমন নিষ্ঠুর কেন? এই হিংস্রতা কোন অহংবোধ থেকে আসে?

কষ্ট পেয়েছি। আর কিছু বলব না। এখন আর কিছু বলবার সময় নেই। এখন আমি মন খারাপ করায় ব্যস্ত। মন খারাপ করার ব্যস্ততা সবসময়ই বেশি থাকে।

খুব রেগে আছি। হ্যাঁ, এই আমার রাগ আছে বেশি বেশি। কী করবো, বলুন! মানুষ তো! মিচকা শয়তান হতে পারলে বেঁচে যেতাম।

আচ্ছা, এই পোস্টটি একটু আপনার ওয়ালে শেয়ার করবেন, প্লিজ? কালকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত ভাবছিলাম, শুধু আজকের দিনটাই দিন। আজ সকালে ঘুমভেঙে দেখি, Ahhh! It’s another day! তবু জানি, আমার লেখা অনেকেই আর পড়বে না। (ইস! কী কষ্ট কী কষ্ট!) এই লেখাটাও ওরা ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাবে। যাবে না-ই বা কেন? ওদেরকে কত কত বকা দিয়েছি কালকে! কী করবো, বলুন! বকা খেয়েছিও যে! বকা দেবো না? দিয়েছি, বেশ করেছি!

ভাবনা: ছয়শো এগারো

……………………………………………………

6 January 2015

ইয়ে মানে, আমার না আবারো ঝগড়া করতে মঞ্চাইতেসে, বাট কুনু ইস্যুই তো পাইতাসি না। কী করা যায় কী করা যায়! ভাবতাসিই তো ভাবতাসি।

আইচ্ছা, আরেক্খান ইশটিটাশ দিলে কেমুন হয়:

ছেলেরা মেয়েদের অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে আর মেয়েরা ছেলেদের বর্তমান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে।

ইস্যু পসন্দ হইসে? তো, ডিয়ার বাইবইনেরা, শুরু করেন। শুভ কামে দেরি কইরা কাম কী?

সুকুমার রায়ের ‘নারদ নারদ’ ছড়াটার কথা মনে আছে? মনে না থাকলে আবারো পড়েন, আপ্নাগো পিলিজ লাগে। ঝগড়া চাই ঝগড়া! তাজা তাজা ঝগড়া! কী আছে জ্যাবনে! আমি করি সরকারি কাম, আমারে গালি দিতে বড়ই আরাম। গুরু, হোক তবে শুরু!

ইশশশরে পইদ্দদুখান অয় নাই। এই বান্দার পইদ্দছ্যান্ছ একটু কমাসে। আই অ্যাম বেরি বেরি চরি।

6 January 2015

feeling মজা পাইসি!

একটা ইনবক্স মেসেজ শেয়ার করছি।

“bdnews এ এই হেডিংটা দেখে প্রথমে একটু অবাকই হয়েছিলাম দাদা……শেষ পর্যন্ত আপ্নিও জীবিত থেকে অজীবিত হয়ে গেলেন…..

পরে পুরোটা দেখলাম আর নিজের বোকামিতে হাসলাম কিছুক্ষণ।”

আহা! অংকিতা প্লিজ ‘হ্যাঁ’ বলে দাও। প্লিজ অংকিতা ……………

so was my ex-gf!!

…………. আমিও খুশি হইসিলাম রে পাগ্লা।

দাদা আপনারে আপু রা যে পরিমাণ ভালুবাসে, আমার ভুয় লাগে আপনি বিয়ের দিন দুর্বৃত্তা দ্বারা আক্রান্ত হইতে পারেন। সম্প্রতি কোন একটা জেলায় এমন ঘটনা ঘটিয়াছে। তাই দাদা বিবাহ করিলে গোপনীয়তা বজায় রাখিয়া করিবেন। ইহা ছুডুভাই হিসেবে আমার পুরামর্শ।

বিয়া করি নাই, জানলি ক্যাম্নে??

না দাদা আপনি বিবাহ করেন নাই। ইহা আমরা বুজি। বিবাহ কইললে আপনি বউদিকে নিয়ে হানিমুনে যাইতেন। এক মাস আপনি পেইজবুকে আস্তে পাইততেন না। আই মিন আপনারে পেইজবুকে আসতে দিত না। অতএব আপনি বিবাহ কইচ্ছেন এই ভুয় লাগাইলে আমাদের আপুরা ভুয় পাবে না। বিয়ে কইরা বউদিকে নিয়ে একটা পিক দিয়েন

হানিমুনে যাই নাই, বুঝলি ক্যাম্নে? বউরে নিয়া থাকলে ইশটিটাশ দেওন যায় না?

7 January 2015

I’m single, so are my girlfriends!

Some are married but available, some are single but available!!

did I just speak your mind? Oops!!!

I m a big fan of susant.

ম্যারেড/কমিটেড পার্টির দিকে নজর না দেয়াই উত্তম বৎস! কী দরকার অন্যের দুঃখের কারণ হবার?

abba, married men……got it?

Let all the married, committed people be happy in their own ways!!!

8 January 2015

সেমিস্টার ফাইনাল চলছে। ফিফথ সেমিস্টার মনে হয়। আমার কোচিং থেকে সময়ের আধ ঘণ্টা আগেই ৮:৩০টায় পড়ানো শেষ করে আন্দরকিল্লায় বুক গার্ডেনে গেলাম। (আধ ঘণ্টা আগে স্টুডেন্টদেরকে ছুটি দিলাম কেন? এটা একটা ভদ্রতা কিংবা সান্ত্বনা। কীসের? সেকথায় পরে আসছি।) ওখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বই কিনতাম। প্রায়ই কিনতাম অনার্সে লাগে না, এরকম ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ আর লিটারেচারের বই। সেদিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটা বই কিনবো। কী বই, মনে নেই। গিয়ে দেখি, নতুন কনসাইনমেন্ট এসেছে, সবাই ব্যস্ত। দোকানের মালিক বইয়ের নাম এন্ট্রি দিচ্ছেন। দোকানের ২ কর্মচারী বইয়ের নাম বলে যাচ্ছে, আর তাকে তুলে রাখছে।

ভাল আছেন? *** বইটা দেন।

ভাইয়া, কেমন আছেন? বসেন। এই এদিকে এক কাপ চা দে। বইটা এই মুহূর্তে নাই। কালকে বিকালের পর আসেন, পাবেন।

কিন্তু ভাই, আমার তো এখনই লাগবে।

কালকে নিলে হবে না, বস?

কালকে সকাল ১০টায় আমার পরীক্ষা।

(দোকানের মালিক এতক্ষণ মাথা নিচু করে এন্ট্রি দিচ্ছিলেন। আমার কথা শুনে স্প্রিংয়ের মত চট করে মাথা তুলে…..) এ্যাঁ! কালকে পরীক্ষা! আজকে বই কিনবেন!

জ্বি ভাই। একটু কষ্ট করে যোগাড় করে হলেও দেন। অনেক পড়া, সারারাত পড়তে হবে।

দোকানের মালিক উনার কর্মচারীকে পাঠিয়ে পাশের একটা লাইব্রেরি থেকে তাড়াহুড়া করে বইটা আনিয়ে নিলেন। আমাকে বললেন, “ভাই, আপনি বাসায় চলে যান। ভাল করে পড়েন।” উনি আমাকে অনেক ভাল স্টুডেন্ট ভাবছেন, এটা ভেবেই আমার কেমন জানি সংকোচ হতে লাগল। আহা! বড় ভালমানুষ।

বই নিলাম, সারারাত পড়ব, একবুক এই আশা নিয়ে বাসায় এলাম, ফ্রেশ হলাম, ডিনার করলাম, ২ মগ গরম ব্ল্যাক কফি খেলাম, পড়তে বসলাম, বইয়ের আর স্যারের শিটের সব লেখা গ্রিক-ল্যাটিন মনে হতে লাগল, মনে মনে ভাবতে ইচ্ছে হল, বেশি কঠিন, তাই পড়ে কোনো লাভ নাই, বানায়ে বানায়ে লিখার ট্রাই করতে হবে, মহানন্দে ওটা ভেবেও ফেললাম, নিজে নিজে বুঝে গেলাম, স্যার এমনিতেই সবাইকে পাস করিয়ে দিবে, ঝিমাতে লাগলাম, এরপর, যেভাবেই হোক, পরেরদিন খুব ভোরে উঠে পড়া শুরু করবো, এই কঠিন শপথ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।

পরেরদিন ঘুম ভাঙলো ভোর ৬টায়। পড়তে বসলাম। কিছুই পারি না। সোহেলের (Abu Sayed Mohammad Khan E Alam) খাতা থেকে ফটোকপি করা ক্লাস লেকচার উল্টাতে লাগলাম। মনে হতে লাগল, চোখের সামনে পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন কঠিন জিনিস দেখছি। বইটই ছুঁয়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, আর না, পরেরবার থেকে অসম্ভব রকমের ভাল করে পড়াশোনা করবো। কোচিং সকল অনিষ্টের মূল। তাই কোচিং ছেড়ে দিব। এরপর ভাবলাম, এখন পড়লে আমি বুঝে ফেলবো, আমি কিছুই পারি না। এতে কনফিডেন্স নষ্ট হবে। কী দরকার! এর চাইতে পরীক্ষার খাতায় বানায়ে বানায়ে যা মনে আসে, তা-ই লিখবো। (বলে রাখি, আমি কখনো কারোর কাছ থেকে দেখে লিখতাম না। সততার জন্য না, ভয়ে আর লজ্জায়। হতদরিদ্র, প্রয়োজনে না খেয়ে মরে যাব, তবুও হাত পাততে পারব না। কিছুতেই না! মধ্যবিত্তের বুদ্ধিবৃত্তিক আত্মসম্মানবোধ।) সব বইখাতা বন্ধ করে ফেসবুক খুলে দেখতে লাগলাম, কে কী করে। এভাবে করে ৭:৩০টা বাজলে নাস্তা করে চুয়েটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।

প্রশ্ন হাতে নিয়ে দেখলাম, স্যাররা আমাকে নিরাশ করেননি। যা এসেছে, তার কিছুই পারি না। পারার কথাও নয়, তবে সবগুলো বাক্য আর শব্দের সঠিক বাংলা অর্থ জানি। মনে মনে ধরে নিলাম, এগুলো বানায়ে বানায়ে লিখলে একেবারে জিরো পাব না। সায়েন্সের স্টুডেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় এইটুকু করার অধিকার তো আছে! পরীক্ষা দিলাম অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বানায়ে বানায়ে, কল্পনা করে, কল্পনায় না আসলে কষ্ট করে জোর করে কল্পনা করে। যেভাবেই হোক, ফুল আনসার করতে হবে! আমি যে পুরো প্রশ্নটাই পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি। কলম থামল না। মনের মাধুরী মিশিয়ে যা মাথায় আসল এবং যা মাথায় আসল না, সব লিখতে লাগলাম। একবার ভাবলাম, বানায়ে বানায়ে কিছু কোটেশন দিয়ে দিই, খাতা খালি রেখে কী লাভ! পরে ভাবলাম, না থাক, ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার খাতায় কোটেশন দিলে দেখতে খারাপ দেখাবে। পরীক্ষার ফি যা দিয়েছিলাম, তার অনেকটাই লুস শিট নিয়ে উশুল করে ফেললাম। আমাকে যারা চেনে, তারা অতোটা অবাক হচ্ছিলো না। (ওরা জানে, সুশান্ত পড়ে না, ও শুধু লেখে আর ফেল করে।) আমি লুস শিট নেয়ার সময় ওদের কিছুমাত্র অবাক হতে না দেখে ভাবলাম, প্রশ্ন সহজ এসেছে বোধ হয়। ওরা কেউ লুস শিট নিচ্ছিল না। আমি ২বার নিলাম। মনে মনে খুব খুশি হয়ে উঠলাম, আমি সবচাইতে বেশি লিখেছি। এবং বলাই বাহুল্য, বরাবরের মতই ফুল আনসার!

পরে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে এসে জেনেছি, প্রশ্ন নাকি কঠিন হয়েছিল। যেহেতু আমি কিছুই পারি না, বুঝি না, তাই প্রশ্ন যে কঠিন হয়েছিল, সেটাই বুঝতে পারিনি। কাউকেই কিছু বলছিলাম না, কিন্তু বদ পোলাপান আমাকে নিয়ে তামাশা করার জন্য আমার কাছ থেকে খোঁচা মেরে মেরে বের করে নিল, সেদিনের একজামে আমার ফুল আনসার। কিন্তু ১০টা অপশন থেকে কোন ৮টা আনসার করেছি, সেটা বলার সাধ্য আমার ছিল না। ওদের সামনে থেকে কোনোরকমে পালিয়ে গেলাম। তাই, সবাই যখন পরীক্ষায় পাস নম্বর আসবে কিনা সেটা হিসাব করছে, তখন আমি ক্যান্টিনে শিঙ্গারা-পিঁয়াজুর বিল কত এল সেটা হিসাব করছি। কী দরকার টেনশন করার! শুধু স্যারের জন্য কষ্ট লাগছিল এই ভেবে যে, স্যারকে আমার ইঞ্জিনিয়ারিং-সাহিত্য পড়তে হবে। লজ্জা পাচ্ছিলাম কিনা তা মনে নেই। পাওয়ার কথা না, আমি এটাতে অভ্যস্ত ছিলাম।

রেজাল্ট বের হল। স্যার আমার ট্র্যাশ (পড়ুন, খাতা) কাটার পয়সাও পেলেন, অথচ একটুও দয়া করলেন না। প্রতি পেইজে ২-১ নাম্বার করে দিলেও কিন্তু আমি পাস করে যাই। হায়! সবচাইতে বেশি-লেখা ছেলেটা ফেল করল। ভাগ্যের কী রুটিনমাফিক নির্মম পরিহাস!

ভাবনা: ছয়শো বারো

……………………………………………………

8 January 2015

আমার লাইফের প্রথম ক্রাশঃ দিব্যা ভারতী।

১৯৯২। ক্লাস থ্রি-ফোরে পড়ি বোধ হয়। সে বছর মুক্তি পায় দিওয়ানা। শাহরুখ খানের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত মুভি। সহনায়িকা দিব্যা ভারতী। তখন সিডি ছিল না। সেইসময় ছিল ভিসিপি/ভিসিআর’য়ের যুগ। সেই বাচ্চা বয়সে ‘আয়সি দিওয়ানিগি’ গানটি যে কতবার কতবার করে শুনতাম! শুধু দিব্যা ভারতীকে দেখার জন্য। অপলক দৃষ্টিতে টেলিভিশনের খুব কাছে গিয়ে শুধু দেখতাম আর দেখতাম। মনে আছে, গানটি চলার সময়ে বাথরুম পেলেও আটকে রাখতাম। সেসময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনার সময় চাওয়ার লিস্ট ছিল বিশাল। সেই লিস্টে ‘আমি যেন পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে পারি’র পাশাপাশি দিব্যা ভারতীও ছিল। হাতজোড় করে চাইতাম, যাতে আমার বউটা দেখতে দিব্যা ভারতীর মত হয়। (সত্যিই চাইতাম!) এখন ভাবি, বাচ্চাদেরকে আমরা যতটা নিরাপদ আর ‘কিচ্ছু বোঝে না’ টাইপ ভাবি, ওরা আসলে ততটা ওরকম নয়। আপনি ওর সামনে ওর আন্টির চুল নিয়ে একটু খেললে ও কিন্তু ঠিকই মা’কে ওটা বলে দেয়। মাঝেমাঝে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে ঠিক ঠিক চকোলেট-আইসক্রিম খেয়ে নেবে। ওরা হল বাচ্চা ভয়ংকর!

আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার ক্রাশ। আমি প্রায়প্রায়ই ক্রাশ খাই।

আমার এখনো পর্যন্ত শেষ ক্রাশঃ নাম-না-জানা এক বিবাহিতা তরুণী।

কীভাবে বুঝলাম ও বিবাহিতা? ওর হাতে শাঁখা, কপালে সিঁদুর ছিল। এতে আফসোস আরো বেড়ে গিয়েছিল। ২ সপ্তাহ আগে ওকে দেখি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেনে ঢাকায় যাওয়ার সময়। হাইট অন্তত সাড়ে ৫ ফুট। (ছাগলটার হাইট হবে ৫-৭, বড়জোর। আমি ওইসময়ে ঈশ্বরকে খুব মিস করছিলাম। আসলে মানিকই ঠিক।) টানা টানা চোখ, কী যেন বলে চলে ওই চোখজোড়া। ও হাসলে সেটা একেবারে বুকের মাঝখানটায় এসে বিঁধে। ওই গোলাপি সরু ঠোঁটযুগল হাসে না, একেবারে খুন করে ফেলে যেন! ইরানি তরুণীদের মত হাতের মসৃণ আঙুলের যাদুমাখা সঞ্চালন। দেহপল্লবের মোহনীয়তাও মুগ্ধকর; দুলছিল যেন! ঘন রেশমের মত নরোম মোলায়েম চুল একটু একটু করে চোখজোড়া আড়াল করে তৃষ্ণা জাগিয়ে তুলে হাওয়ায় ওড়ে। ওর আশ্চর্য আভা যেন কী এক মায়াবী আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছিল ওর কপালে গালে চিবুকে ঘাড়ে……..সবখানে৷ ও যেনো তাকায় না, রীতিমতো ছোরা বসিয়ে দেয়; একেবারে বুকের মধ্যিখানে। উফফ্…!!! কী যাদু! কী মায়া!! অসহ্য!!! মাথায় যেন বেজেই চলছিল বেজেই চলছিল……… লালালালালা ……. লালালালালা ……. লালালালালা ……. লালালালালা ……. লালালালালা ……. লালালালালা ……. লাআআআ ……. লালালালাআআআ …….

যাহ্‌! অনেকখানি বলে ফেললাম! আর বলব না। আমার বুঝি লজ্জা করে না, হুঁ!

এবার আপনাদের পালা। প্রথম ক্রাশ? শেষ ক্রাশ? আজকের খেলা ক্রাশ ক্রাশ খেলা!!

ও আচ্ছা! একটু ক্যুইজ ক্যুইজও খেলি, কেমন? তো, হয়ে যাক!

এক। ‘দিওয়ানা’ কিন্তু শাহরুখের প্রথম মুভি হওয়ার কথা ছিল না। বলুন তো, কোনটা হওয়ার কথা ছিল?

দুই। আমার মাথায় যে মিউজিকটা বেজে চলছিল, সেটা একটা হিন্দি মুভির। বলতে হবে, কোন মুভির?

তিন। ‘ক্রাশ খাওয়া’ কথাটি কীভাবে এল?

আরেকটা ক্রাশের কথা বলিঃ ‘ব্যালাড অব অ্যা সোলজার’ মুভির নায়িকা। একটা মেয়ে এতো সুন্দর হওয়ার দরকার কী? আজব!! মানুষের কাজ আছে না??

9 January 2015

এই ট্র্যাকটি শোনার পর আমার যে বন্ধুরা আমার লেখা কপি করে নিজের বলে চালিয়ে দেন, তাঁদের প্রতি রাগ কমিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।

আচ্ছা, এই ট্র্যাকের কোনো অংশ আমাদের কোনো গানে শোনেননি কখনো? শুনেছেন শুনেছেন। দেখি, ভেবে বলুন তো কোন গানটাতে?

যাঁদের ইন্সট্রুমেন্টাল ভাল লাগে, তাঁরা এটা যেখান থেকে নেয়া হয়েছে, সেই সিল্ক রোড শুনে দেখুন। ট্র্যাকটি কিটারোর। উনি নিউ এজ মিউজিক’য়ের পুরোধা। আমি বিশ্বাস করি, উনার সৃষ্টি উনার নয়। এই সুর আসে এক দিব্যলোক থেকে। উনার শরীরমন ছুঁয়ে যাওয়ার সময়ে সেটাকে উনি ধারণ করেছেন মাত্র। আমি এই সুরস্রষ্টাকে প্রণাম করি।

আপনাকে বলছি, আপনি বিস্মিত হবেন, এই ভেবে যে কত কত মুভিতে, গানে সেই সুর নেয়া হয়েছে, অথচ বলাও হয়নি কোথাও। এতে স্রষ্টার কী এসে যায়! উনি যে মহান!

এই ছুটির দিনে ওটাতে ডুব দিন। একটাসময় পরে আমাদের বড় আদরের রবি ঠাকুরের মতই মনে হতে থাকবে…..রূপ সাগরে ডুব দিয়েছি/ অরূপ রতন আশা করে …….

11 January 2015

আমার পরের ক্যারিয়ার আড্ডার খোঁজখবরঃ

তারিখঃ ১৪ জানুয়ারি (বুধবার)

সময়ঃ ৩:০০টা থেকে ৯:০০টা

ভেন্যুঃ জেলা শিল্পকলা একাডেমী, চট্টগ্রাম

আড্ডায় যা যা থাকছেঃ

মোটিভেশনাল সেশন

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল (প্রিলি+রিটেন+ভাইভা)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল (রিটেন+ভাইভা)

প্রশ্নোত্তর পর্ব

ক্যারিয়ার আড্ডার প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বাংলাদেশের প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ডক্টর অনুপম সেন।

আড্ডাটির আয়োজনে আছে রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং, খুলশী।

আড্ডাটির অর্থায়নে আছে ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

আড্ডাটির সার্বিক সমন্বয়ে আছেন ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত কমিশনার আবু দাউদ স্যার (ফেসবুক নাম বাদল সৈয়দ)।

সমন্বয় কর্মকাণ্ডের সহযোগিতায় আছে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী কমিশনার ছোটোভাই আয়ান সরকার। আড্ডা সংক্রান্ত যেকোনো কিছু জানতে ওর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আড্ডায় আপনাদের সবার সাথে আমরা যারা কথা বলবঃ স্যার। আমি। আয়ান।

আমার সব আড্ডার মতোই সেদিনের আড্ডায়ও অংশ নিতে কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না, রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, শুধু ওইসময়ে এলেই হবে। আড্ডাটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

ক্যারিয়ার আড্ডাটির প্রচার ও প্রচারণায় সহযোগিতা করছে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া।

(এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।)

ভাবনা: ছয়শো তেরো

……………………………………………………

14 January 2015

কাল ঢাকায় যাচ্ছি। ৬ মাসের জন্য। সাভারে থাকব। পিএটিসি ট্রেনিং শুরু হচ্ছে এই ১৮ তারিখ থেকে। সিভিল সার্ভেন্টদের চাকরি স্থায়ী করার অন্যতম শর্ত হিসেবে এই ট্রেনিংটা করতে হয়। শুনেছি এই ট্রেনিংটা বেশ প্যারাদায়ক! এই শীতে ভোর ৫টায় উঠতে হবে! সারাদিন বিজি থাকতে হবে। আমার কাছে ট্রেনিং মানেই যন্ত্রণা! তবুও যেতে হবে। পালানোর পথ নেই। জানি না এই সময়টাতে ফেসবুকে কতোটা রেগুলার থাকতে পারব। দেখা যাক। শুক্রবার আর শনিবার ছুটি। ছুটি মানে, যাচ্ছেতাই (ভেঙে পড়ুন; আই মিন, ভেঙে ভেঙে পড়ুন, যা ইচ্ছা তা-ই) করতে পারার মত ছুটি, মানে, কেউ অফিসে ডাকবে না। আহ! এটাই শান্তি! আমি এই দুইদিন চরকির মত ঘুরে বেড়াব। আমি চাই, এই ট্রেনিং আমাকে কিছু দিক আর না-ই বা দিক, অন্তত আমার স্টাইলিশ শার্ট আর টিশার্টগুলো আবার পরতে পারার মত সুযোগ করে দিক। আমি আবার আগের মত ছিলিম হয়ে রংঢং করতে চাই। “আমার ছোটোভাই Prashanta কে একটা শার্ট পরতে দিলাম।” আমি চাই, এই বাক্যটা আর সম্প্রদান কারক না হোক। অনেক হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ! আমি গলা ছেড়ে গাইতে চাই, ভুঁড়ি একবারই এসেছিল জীবনে……………… সকলের দোয়াপ্রার্থী।

আজকের ক্যারিয়ার আড্ডা নিয়ে বেশকিছু রিকোয়েস্ট পেয়েছি। যেমন,

# সামনে তো প্রিলি। প্রিলি নিয়ে একটু বেশি কথা বলবেন।

# ভাইভার ডেট দিয়ে দিসে। ভাইভার টেকনিকগুলো নিয়ে একটু বেশি সময় নিয়ে বলবেন।

# রিটেন পরীক্ষার টপিকগুলো নিয়ে বেশি না বললে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে বেশি বলতে পারবেন।

# চাকরি করি তো, তাই ৩টায় আসতে পারব না হয়তো। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আসতে আসতে ৪টা বেজে যাবে। আপনার সেশনটা কাইন্ডলি ৪টার পরে শুরু করলে ভাল হয়।

# আমি আজকের প্রোগ্রামের জন্য ঢাকা (কিংবা আরো অনেক জায়গা) থেকে অনেক কষ্ট করে এসেছি। আপনার ক্যারিয়ার আড্ডায় যারা অনেক দূর থেকে কষ্ট করে আসে, আপনি তাদেরকে একটা থ্যাংকসও দেন না। আমাদেরকে একটা থ্যাংকস দিয়েন।

সকলের উদ্দেশ্যে বলছিঃ তথাস্তু!

আরো বলছি, আমার প্যানপ্যানানি তো অনেক শুনেছেন। আজকে Badal Syed স্যারের জীবনমুখী কথাগুলোও শুনবেন। আমাদের থিয়েটার ইন্সটিটিউটের প্রোগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, স্যারের কথাগুলো সত্যিই জীবনে অনেক কাজে লাগবে। আর আয়ানের কথা বলার আত্মবিশ্বাসী ধরনটার ভক্ত আমি নিজেই! ভাই, কীভাবে পারো ম্যান!

এখন আসল কথায় আসি। কাহিনী হইলো, আজকে সকালে ঘুম ভেঙে একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার করলাম। আমার গলা খুশখুশ করছে, ভেঙে যাবে যেকোনো মুহূর্তেই! শরীরে জ্বরও আছে। ব্যাপার না! আদাজল খেয়ে লাগছি! (আক্ষরিক অর্থেই!) মনে মনে অমিতাভ বচ্চনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নেয়ার চেষ্টা করছি। শরীরে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে উনি ‘ডন’ মুভিতে খাইকে পান বানারসওয়ালা গানটি শুটিং করেছিলেন। গানটা আরেকবার শুনে দেখুন তো! কিছু বোঝা যায়? শুধু পায়ের দুএকটা স্টেপ ফেলার সময় একটু খেয়াল করা যায় ব্যাপারটা। তাও আমি এটা জানি বলে মনে হয়েছে হয়তো! মাই স্যালুট টু অমিতাভ, দ্য গ্রেট আর্টিস্ট! ইউ হ্যাভ টু পারফর্ম হোয়েন ইউ আর পারফর্মিং।

বন্ধুরা! দেখা হবে, আড্ডা হবে! ৩টায় শিল্পকলা একাডেমীতে।

15 January 2015

কিছু কথাঃ

এক। আজকের প্রথম আলো’র ২য় পৃষ্ঠায় অনেকেই খেয়াল করেছেন খবরটা। যাঁরা করেননি তাঁদের জানাচ্ছি, আগামীকালকের প্রথম আলো’র চাকরিবাকরি পাতায় ৩৪তম বিসিএস ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমার একটা লেখা থাকবে। পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইলো। এই লেখাটা সবার মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রথম আলো’র সজীব ভাইকে ধন্যবাদ।

দুই। গতকালকের আমার ক্যারিয়ার আড্ডায় আমি নিজেই ছিলাম বড্ডো বেশি বেমানান। একথা কেন বলছি? গতকাল আড্ডায় যা শিখিয়েছি, তার চাইতে আমি নিজে শিখেছি ঢের বেশি!

প্রথমেই কথা বলেছে আমার ছোটোভাই ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী কমিশনার আয়ান। ও যে এত ভাল বলে! আমার খুব ভাল লেগেছে। চিটাগাং ভার্সিটি থেকে যে ছোটো ভাইবোনরা এসেছে, তাদের সবাইকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্গানাইজ করার কঠিন দায়িত্বটা ও খুব সুন্দরভাবে করতে পেরেছে। আয়ানকে ধন্যবাদ।

এরপর এলেন ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডক্টর মইনুল ইসলাম মাহমুদ। দেশ নিয়ে উনার ভাবনা মুগ্ধ করার মত। জাতি হিসেবে আমাদের অর্জন এবং আরো এগিয়ে যাওয়া নিয়ে উনার বিশ্লেষণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ। উনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এরপর মঞ্চে এলেন পিএইচপি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। উনার সাথে যতটা সময় ছিলাম তাতে আমার মনে হয়েছে, উনার বিনয়, জ্ঞান, ব্যবহার থেকে যদি সামান্যতমও কিছু শেখা যায়, তবে সেটা যে কারোর জন্যই অনেক বড় প্রাপ্তি। মানুষকে এতটা সম্মান দিয়ে কথা বলতে আমি খুব কম মানুষকেই দেখেছি। উনার বক্তৃতায় একটা কথা ছিল এই, “একটা মানুষ কতটা বড় হবে সেটা নির্ভর করে উনি প্রয়োজনের তুলনায় কতটা বাড়তি কাজ করতে পারেন, সেটার উপর।” আরেকটা কথা ছিল, “যে ব্যক্তি শিক্ষককে সম্মান করে না, সে ব্যক্তি বেশিদূর যেতে পারে না।” এই দুটো কথা এখনো আমার কানে বাজছে। আমার এই উদ্যোগকে প্রাণ খুলে প্রশংসা করলেন, দোয়া করলেন। আমি প্রায়ই বলি, “প্রশংসা করুন প্রাণ খুলে, প্রশংসা শুনুন বিনীতভাবে।” উনার কাছেও এটা দেখলাম। উনার কাছ থেকে কালকে অনেককিছু শিখেছি। উনাকে ধন্যবাদ।

কালকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ডক্টর অনুপম সেন স্যার যিনি আমাদের সবার কাছেই নমস্য। অনেক বছর ধরে উনি মানুষকে আলোর সন্ধান দিয়ে চলেছেন। আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে মঞ্চে এসে স্যার আমাদের সবাইকে আরো একবার আলোকিত করে গেলেন। স্যারের উপস্থিতি আমাদের সবাইকে সম্মানিত করেছে। স্যারকে উনার ব্যস্ত সময়ের কিছু সময় আমাদেরকে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

দর্শকদের সাথে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে কিছু মেসেজ দেয়ার কাজটা সহজ নয়। এই কঠিন কাজটা করে সবাইকে বিমোহিত করে রেখেছিলেন ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত কমিশনার আবু দাউদ স্যার। স্যারের বক্তৃতা সম্পর্কে একটা কথাই বলা যায়, “এলাম, বললাম, জয় করলাম।” নীরবে নিভৃতে কাজ করে কালকের প্রোগ্রামের সামগ্রিক আয়োজনের ক্ষেত্রে স্যারের ভূমিকা অগ্রগণ্য। শিল্পকলা একাডেমীর বাইরে মুক্ত চত্বরে প্রোগ্রাম করার প্ল্যানটাও স্যারের। এতে লাভ হয়েছে দুইটা। এক। প্রায় ১২০০+ দর্শক থাকলেও সবার বসার কিংবা আরাম করে দাঁড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিল। দুই। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে একটা নান্দনিক আবহ ছিল যেটা আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। প্যাপিরাস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ষ্টেজ সাজানো এবং আসন বিন্যাসে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। তাদেরকে ধন্যবাদ।

রেডিও পার্টনার রেডিও টুডে এবং অন্য সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে কালকের অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত কাল-পরশুর মত আজকেও অনেক স্থানীয় আর জাতীয় পত্রিকায় কালকের অনুষ্ঠানের কভারেজ এসেছে, অনেক চ্যানেল এবং রেডিও অনুষ্ঠানটির খবর প্রচার করেছে। তাদেরকে আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার কঠিন কাজটি খুব চমৎকারভাবে করার জন্য ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম কমিশনার শামিনা ইসলাম ম্যাডাম এবং দাউদ স্যারের সহধর্মিণী রাবেয়া ভাবীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আমরা যারা ছিলাম, তাদের সবাইকে আপ্যায়নের দায়িত্ব নেয়ার জন্য আবুল খায়ের গ্রুপ আর নেসক্যাফে’কে আমি সবার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।

সবার মধ্যে কালকের প্রোগ্রামটির কন্টেন্টসিডি বিতরণ করাসহ সার্বিক আয়োজনের অর্থায়নের জন্য ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্টকে আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং, খুলশী’কে কালকের ক্যারিয়ার আড্ডাটি সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য আমি অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রোটারীর আয়োজনে এটা আমার ২য় ক্যারিয়ার আড্ডা। প্রথমটা হয়েছিল থিয়েটার ইন্সটিটিউটে। এখন থেকে রোটারী ক্লাব এই আড্ডাটি দেশব্যাপী আয়োজন করবে বলে আমাকে জানিয়েছেন রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং, খুলশী’র প্রেসিডেন্ট এবং ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর মাহফুজুল হক ভাই। এই ধরনের ভাল কাজে আমাদের পাশে থাকার জন্য উনাকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কালকের ডিনারটার জন্যও উনাকে আর রোটারী ক্লাবকে ধন্যবাদ।

যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর নির্দেশনায় কালকের ক্যারিয়ার আড্ডাটি সার্থক হয়েছে, সেইসব ‘আনসাং হিরো’দের উদ্দেশ্যে স্যালুট জানাই।

অনেকদূর থেকে যেসব ছোটো ভাইবোন, গার্ডিয়ান, বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী এবং শ্রদ্ধেয়জনরা এসেছেন, সবার প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কালকের অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তির কারণে সময় স্বল্পতাহেতু আমার সেশনটাকে একটু সংক্ষিপ্ত করে সোয়া ২ ঘণ্টায় শেষ করেছি। আশা করছি, এতে ক্যারিয়ার আড্ডার মূল সুরের কোনো ছন্দপতন হয়নি। (আচ্ছা, কেউ কি ধরতে পেরেছিলেন, আমি ১০১ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে কথা বলছিলাম? যদি ধরতে না পারেন, তবে ক্রেডিট অমিতাভ বচ্চনের। যদি ধরে ফেলতে পারেন, তবে ব্যর্থতা সম্পূর্ণরূপেই আমার।) প্রশ্নোত্তর পর্বটি এবং ফটোসেশন পর্বও ছিল উপভোগ্য। সবাই আমাদের ঘিরে ধরেছিল, অনেকে পা ছুঁয়ে সালাম করেছে, জড়িয়ে ধরেছে; চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। রাতের আঁধার অনেককিছুই লুকিয়ে দেয়, আমাদের বাঁচিয়ে দেয়। কখনো কখনো অন্ধকারকেও ভালবাসতে বড্ডো ইচ্ছে হয়।

কালকের অনুষ্ঠানটি আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য আমরা শিল্পকলা একাডেমী আর জেলা প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমার সেশন শুরু হওয়ার আগে দাউদ স্যার আমার মা’কে স্টেজে এনে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। সবাই দাঁড়িয়ে মা’কে সম্মান জানালেন। মা যখন দর্শকসারিতে বসেছিলেন, অনেকে এসে মা’কে পা ছুঁয়ে সালাম করেছেন, দোয়া নিয়েছেন। কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করত, “কালকের ক্যারিয়ার আড্ডায় আপনার সবচাইতে বড় পাওয়া কী?” তবে আমি বলতাম, “আমার মা’কে সম্মানিত করতে পারা।”

কালকের অনুষ্ঠান নিয়ে দাউদ স্যার আর মাহফুজুল হক ভাইয়ের কথা দিয়ে আমার এই পোস্টটি শেষ করছি। ডিনারের এক পর্যায়ে দাউদ স্যার বললেন, “সুশান্ত, ১২০০ ইয়াং ছেলেমেয়েকে ছয় সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে রাখা কিন্তু সহজ ব্যাপার নয়। যদি ধরে নিই, ওই ছেলেদের টেন পার্সেন্টও স্মোকিং করে, ওরা কিন্তু এই দীর্ঘসময় ধরে স্মোকিং না করে বসেছিল।” তখন মাহফুজুল হক ভাই বললেন, “একটা প্রোগ্রাম দর্শকদের এভাবে চুম্বকের মত আটকে ধরে আছে এটা আমি দেখেছি শুধু জাফর ইকবাল স্যারের প্রোগ্রামে। আরে ভাই, ইদানীং তো গানের অনুষ্ঠানেও এত লোক এতক্ষণ ধরে বসে থাকে না।”

(এই পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।)

ভাবনা: ছয়শো চৌদ্দ

……………………………………………………

15 January 2015

সামনের রিক্সার পেছনে একটা বাচ্চা পোলা ঝুলতেসে। পিচ্চিটা দাঁতগুলা বাইর কইরা হাসতেসে। দেইখা মনে হয়, ব্যাটা মহানন্দে আছে। কথা সেইটা না। সমস্যা হইল, ওকে দেখে আমারও রিক্সার পিছনে ঝুলতে ইচ্ছা করতেসে। কী করব বুঝতেসি না। আচ্ছা, এখন গাড়ি থেকে নেমে রিক্সার পিছনে ঝুললে আমার ড্রাইভার কি মাইন্ড করবে? নাকি, রিক্সাটা উল্টায়ে যাবে? রিক্সাওয়ালার ঝাড়ি খাইতে ইচ্ছা করতেসে না। ম্যালা প্রবলেম! বড় হইলাম ক্যান?

ঝুলেন।

ঝুলুম না। ওই বান্দর পোলারে গাড়ির গ্লাস নামাইয়া ‘এই’ বলসি, আর পোলা আমারে ভ্যাঙাইসে। মাইন্ড খাইসি।

16 January 2015

ক্যারিয়ার আড্ডা — It’s free and always will be.

প্রথম দুটি কথা আমার, আর ট্যাগলাইনটা ফেসবুক থেকে ফেসবুকে মেরে দিলাম!

আজকে সকালে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত কমিশনার দাউদ স্যারের সাথে কথা হল। পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান আমার ক্যারিয়ার আড্ডায় এসে, আমাদের কথাগুলো শুনে, এবং তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ দেখে সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, এখন থেকে আমার সব ক্যারিয়ার আড্ডা আয়োজনের দায়িত্ব পিএইচপি গ্রুপ নিতে ইচ্ছুক। তরুণদের স্বপ্ন দেখানোর কাজে আমাদের সাহস, শক্তি আর সদিচ্ছা দেখে উনি চান, এই আড্ডা দেশের সব জায়গাতেই, এমনকি বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ুক। প্রয়োজনে উনার হেলিকপ্টার নিয়ে আমরা দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে তরুণদের মাঝে স্বপ্নের ফেরি করে বেড়াবো। আমি মনে করি, যদি এই প্রজন্ম স্বপ্ন নিয়ে আবেগ, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি আর সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যায়, তবে দেশের উন্নতি হবেই হবে! আমরা চাই, কেউই হারিয়ে না যাক। রোটারী ক্লাব এই ধরনের সকল আয়োজনে আমাদের পাশে থাকবে।

আমি খুব স্বপ্ন দেখি, আমার ক্যারিয়ার আড্ডা লক্ষ লক্ষ মানুষকে পথ দেখাবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি সেটা করতে পারি।

দাউদ স্যারকে সাথে নিয়ে স্যারের নির্দেশনায় সোশাল কমিটমেন্ট থেকে এই সমাজের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে যাব। আমি মন থেকে বিশ্বাস করি, আমি যা পেয়েছি, আমি কিছুতেই তার যোগ্য নই। তবে কেন এতকিছু পেলাম? উত্তরটা একটু ঘুরিয়ে দিই। আপনি যদি ১০ টাকা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন, আর আল্লাহ্‌ আপনাকে ২০ টাকা দেন, তবে এর পেছনে নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র কোনো ইশারা আছে। আপনি যদি বাড়তি ১০ টাকা থেকে অন্তত ৫ টাকা যারা কষ্টে আছে, তাদের মধ্যে বিলিয়ে না দেন, তবে আল্লাহ্‌ যে ব্যক্তির সাহায্য করার মানসিকতা আছে, তাঁকে ওই বাড়তি পুরস্কারে পুরস্কৃত করবেন, আপনাকে আর পুরস্কৃত করবেন না। তাই, আমার পাশে কেউ আসুক আর না-ই বা আসুক, আমি এভাবে করে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবোই! আবারো বলছি, ক্যারিয়ার আড্ডা — It’s free and always will be.

আমার সাথে যাঁরা থাকতে চান, তাঁদের অনুরোধ করছি, শুধু আমাকে এইটুকু বলুন, How can I help you? বাকি দায়িত্ব আমার। যদি আমার ক্যারিয়ার আড্ডাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার না করেন, তবে আমাকে ডাকলেই আমি নিজ দায়িত্বে চলে আসব।

21 January 2015

এই শুক্রবার প্রথমবারের মত জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঘুরতে যাব। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরব। আমার সাথে সারাদিন এই সবুজ ক্যাম্পাসে ঘুরবেন এমন কে কে আছেন হাত তোলেন। ভার্সিটি ক্যাম্পাসে যারা আছেন এবং সেদিন ফ্রি আছেন, তারা ***** এই নাম্বারে কালকে বিকেলে কিংবা এরপর ফোন করে আমার সাথে কথা বলতে পারেন। শুনেছি ওখানে নাকি ভুনা-খিচুড়ি আর হাঁসের মাংস পাওয়া যায়? আসুন একসাথে ঘুরি, এই শীতে ভুনা-খিচুড়ি আর হাঁসের মাংস খাই, প্রয়োজনে বিল আপনি/ আপনারা দেবেন।

23 January 2015

জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসে . . . . . . বেশি জোস!! গোধূলি পর্যন্ত থাকব।

এদিকটায় কেউ থাকলে আমাদের সাথে জয়েন করতে পারেন। ভাল লাগবে। আমি ****** এই নাম্বারে আছি।

25 January 2015

ভুনা খিচুড়ির সাথে লেবু চিপে সবজি (লাবড়া) আর টসটসে চমচম মেখে কচকচে কাঁচা মরিচ দিয়ে খেলাম।

(সরস্বতী পুজোর প্রসাদ।)

খেয়ে দেখতে পারেন। সত্যি বলছি, খেতে সিরাম লাগে! আমার আগের ৩টা রেসিপি নিশ্চয়ই আপনাদের ভাল লেগেছে। কী? লাগেনি? এবারও লাগবে।

বিশ্বাসে মিলায় টেস্ট, তর্কে বহুদূর!

বিস্তারিত ‘পিএটিসি ডায়রি’তে দেবো। আসিতেছে……

27 January 2015

“আপনার চাকরির বয়স কত?”

খুব বলতে ইচ্ছে করছিল, “স্যার, চাকরি হল মেয়েমানুষের মত। কথা শোনে না। পূর্বে যেতে বললে পশ্চিমে যায়, উত্তরে যেতে বললে দক্ষিণে যায়। যা বলি তা বোঝে না, যা বলি না তা আরো বেশি করে বোঝে। একটু এদিকওদিক করলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকে। দুটোর সামনেই হুজুর হুজুর করতে হয়। কত কায়দাকসরত করে মান ভাঙাতে হয়! থাকলে জ্বালা, না থাকলে তো আরো বেশি জ্বালা। মেয়েমানুষের বয়স জিজ্ঞেস করতে হয় না স্যার।”

বাহ! ভালোই তো, বিয়ে না করেই এত exprience…….ভালোই….

মরণ নিয়া লিখিতে মরিতে হইয়াইছিল কাহাকে কোথায় কবে??

6 February 2015

(‘পিএটিসি ডায়রি’ লিখছিলাম, হঠাৎ ওপরের কথাগুলো মাথায় এল। একটু ব্রেক নিলাম আরকি! লেখালেখি বড় দায়! কোদাল দিয়ে মাটি কাটতেও অত কষ্ট হয় কি? যাঁদেরকে লিখতে হয় না, ওদেরকে ইদানীং ঈর্ষা করতে বড্ডো ইচ্ছে করে।)

যাঁদের লেখার নৈর্ব্যক্তিকতা বুঝতে অসুবিধে হয়, তাঁরা সেটা কমেন্ট লিখে বুঝিয়ে দিলে কিন্তু সবাই ধরে ফেলবে। তারচে’ ভাল, লেখার সুর বুঝে কথা বলা কিংবা সুর না বুঝে কমেন্ট না করে দূরে গিয়ে স্প্রাইট দিয়ে মুড়ি খাওয়া। আমি ছাগপ্রজাতির, তাই বলিয়া তাহা লিখিয়া প্রকাশ করিতে হইবে কেন? পাবলিকের মাথায় পদার্থ আছে তো!

ভাবনা: ছয়শো পনেরো

……………………………………………………

7 February 2015

কালকে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বইমেলায় থাকব। বন্ধুরা কেউ ওদিকটায় থাকলে **** এই নাম্বারে ফোন করতে পারেন।

এই বইমেলায় বের হওয়া একটি সংকলনে আমার অনেক লেখা আছে। সংকলনটির নাম অক্ষর। বইটি সম্পর্কে আগেও আমার ওয়ালে লিখেছি। আমার একটি ফেসবুক নোটে লেখাটি আছে। বইটি বের করেছে সিঁড়ি প্রকাশন, পাওয়া যাচ্ছে ২১৪ নং স্টলে। বইটির সম্পাদক মায়মুনা লীনার সৌজন্যে একটি কপি পেয়েছি। লেখাগুলো পড়ে দেখেছি। আমার ভাল লেগেছে। আপনারাও পড়ে দেখুন, আশা করছি ভাল লাগবে।

কাল দেখা হবে, কথা হবে।

11 February 2015

এই যে ফুল ভালোবাসি, এটা মায়ের কাছ থেকে শেখা।

এই যে পাখি ভালোবাসি, এটা মায়ের কাছ থেকে শেখা।

এই যে গাছ ভালোবাসি, এটা মায়ের কাছ থেকে শেখা।

এই যে গান ভালোবাসি, এটা মায়ের কাছ থেকে শেখা।

এই যে বই ভালোবাসি, এটা মায়ের কাছ থেকে শেখা।

এই যে সুন্দর ভালোবাসি, এটা মায়ের কাছ থেকে শেখা।

এই যে মানুষ ভালোবাসি, এটা মায়ের কাছ থেকে শেখা।

আমার মায়ের বাগানে ফোটা কিছু ফুলের ছবি দিলাম। জানি, তেমন আহামরি কিছু নয়। তবুও আমার কাছে অনেকবেশি দামী। একটু আগে আমার ছোটভাই Prashanta ছবিগুলো পাঠাল।

মা, তুমি এরকম বুড়ো হয়ে যাচ্ছ কেন? চেহারায় বলিরেখাগুলো কেন পড়ছে? পাপ্পু, তোর ক্যামেরা মিথ্যে বলতে শিখে যায়নি তো? মা, তুমি কি সত্যি সত্যি বুড়ো হয়ে যাচ্ছ?

মা, তোমার বাগানের অন্য ফুলগুলো ভাল আছে তো? ওগুলোকেও ভাল রেখো, কেমন? তুমি আর বাবা খুব ভাল থেকো। তাহলে আমি আর পাপ্পু ভাল থাকব। আচ্ছা মা, বাবাও কি বুড়ো হয়ে যাচ্ছে? মা, আমরা অনেক ভাল আছি না, বল? ঈশ্বর আমাদেরকে অনেক ভাল রেখেছেন। তোমাদের চিন্তা কীসের? এখন যে তোমাদের একটাই কাজ: ভাল থাকা।

মা, তুমি কি জানো, হাসলে তোমাকে কী যে সুন্দর দেখায়?

মা-বাবা’রা আমাদের আগেই বুড়ো হয়ে যায় কেন? আচ্ছা, এমন যদি হতো, আমরা কাছের মানুষগুলো সবাই মিলে বয়সটাকে ভাগাভাগি করেটরে একই সময়ে বুড়ো হতাম, একই সময়ে মরে যেতাম, বেশ হতো না?

12 February 2015

এখনো, কখনো কখনো, অন্য আইডি থেকে ওর প্রোফাইলে ঢুকলে বুকের ভেতরে কেমন জানি মোচড় দিয়ে ওঠে, হাহাকার করে, মনে হতে থাকে, কী যেন নেই কী যেন নেই!

হুদাই!

ও কি কখনো ছিল আদৌ?

12 February 2015

এই স্ট্যাটাসটি যাঁরা আমার লেখা, বিশেষ করে, ‘পিএটিসি ডায়রি’ সিরিজটা পড়েন, তাঁদের জন্য।

# প্রায় প্রতিদিনই লেখা এই সিরিজের কোন অংশটা আপনার সবচাইতে ভাল লাগে?

# আরো কী কী অংশ আনলে ভাল হতো বলে আপনার কাছে মনে হয়?

# কোন কোন অংশের বর্ণনা পড়তে একটু বিরক্তিকর মনে হয় আর তাই ওটা কমিয়ে লিখলে ভাল হতো বলে আপনি মনে করেন?

# ভাষার কী ধরনের পরিবর্তন আনলে ভাল হতো? আরো সহজ করে লিখতে হবে? নাকি, আরো ঘুরিয়ে লিখব? নাকি, ঠিকই আছে?

# বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে রেফারেন্সগুলো দিই, সেগুলোতে পড়তে কি বিরক্ত লাগে কিংবা পড়ার সময় ভাবনার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়?

# লেখায় আর কী কী বিষয় আনলে এখানকার পুরো আবহটা আরো ভালভাবে ফিল করতে পারতেন বলে আপনার মনে হয়েছে?

# আমার লেখায় আমি ইচ্ছে করেই ব্যক্তির নাম খুব একটা দিই না। এ ব্যাপারে আমাকে অতীতে কখনো কখনো বিব্রত হতে হয়েছে। এটা কি দিলে ভাল হয়? নাকি, ঠিকই আছে?

আমি খুব একটা স্বচ্ছন্দে লিখতে পারি না। মানে, আমি লিখতে বসলেই লেখা বেরিয়ে আসে, এমন নয়। একেকটা লেখা লিখতে আমার অনেক সময় লাগে, খুব বেশি কষ্ট হয়। আবার যা ইচ্ছে তা-ই লিখতে পারি না। কারণ, আমার মনে হতে থাকে, যাঁরা আমার লেখা কিংবা আমাকে ভালবাসেন, তাঁদের অনেকেই আমার লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। কেউ ভালবাসলে তাঁকে তো আর অযত্নে রাখা যায় না, যেকোনো কিছু দেয়াও যায় না। আমি “দেবতারে যাহা দিতে পারি , দিই তাই প্রিয়জনে…….”

আমি জানি, এই সিরিজটা অনেকেই পড়েন না দুটো কারণে:

এক। ট্রেনিংয়ে প্রতিদিন অনেক কাজের চাপে থাকতে হয় বলে হাতে অবসর সময় পাওয়া যায় খুব কম। আমার লাইফের অনেক কাজ আমাকে বাদ দিতে হয়েছে স্রেফ এটা লেখার প্রয়োজনে। লেখালেখি আর পড়াশোনা করা আমার কাছে প্রার্থনা করার মত। এই প্রার্থনাটা করার সময় আমি মোবাইল ফোনটাও দূরে সরিয়ে রাখি। সময় পাই না বলে এই ডায়রি লিখতে গিয়ে পড়াশোনা, মুভি দেখা এসব প্রস্তুতি নেয়াটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ভাল প্রস্তুতি আর সময় নিয়ে লিখতে গেলে এখানে যে অবসর সময়টুকু পাওয়া যায়, ওতে এতকিছু লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রস্তুতির অভাবে লেখার মান কমে যায়। এই ডায়রির ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। যাঁরা অনেকদিন ধরে নিয়মিত আমার লেখা পড়েন, তাঁদের অনেকেই এটা আমাকে জানিয়েছেন। পড়তে ভাল লাগে না, তাই পড়েন না।

দুই। এই লেখাগুলো একটু বড় আর কখনো কখনো একই বিষয়ের প্রায় পুনরাবৃত্তি হওয়ার কারণে বিরক্তিকরও হয়ে থাকে। সময় পান না কিংবা ইচ্ছে করে না, তাই পড়েন না।

তবুও লিখি। কেন? দুটো কারণে:

এক। লিখতে ভাল লাগে, তাই। তাছাড়া এই একটা কাজ ছাড়া আর অন্যকোনো কাজটাজ তেমন একটা পারি না।

দুই। বন্ধুদের কেউ কেউ পড়েন, ভাল বলেন, লাইক দেন, কমেন্ট করেন, শেয়ার করেন, কিংবা কিছুই করেন না কিন্তু পড়েন, পরেরটা পড়ার অপেক্ষায় থাকেন, তাই।

‘পিএটিসি ডায়রি’ কিংবা আমার অন্য লেখার ব্যাপারে আমার বন্ধুদের মতামত পেলে আমার খুব খুব ভাল লাগবে। দয়া করে কমেন্টে কিংবা ইনবক্সে আপনার মতামত দিন। আপনি আমার লেখা পড়ার সময়ে যা ফিল করেন, তা-ই লিখুন। আমি সত্যিই খুব খুশি হব।

আচ্ছা, ভাল কথা। আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আমার লেখা শেয়ার করা যাবে কিনা। আগেও বলেছি, আবারও বলছি। আমার যেকোনো লেখা যা ইচ্ছে তা-ই করা যাবে, শুধু চুরি করা ছাড়া। মানে, লেখাটা যে আমার, আপনার না, সেটা যেন বোঝা যায়। আমার সন্তানকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেলে আমি তো আর তাকে থালায় নৈবেদ্য সাজিয়ে পুজো করতে পারি না। আমি আমার সৃষ্টির ব্যাপারে একেবারেই ছোটোলোক/ চামার প্রকৃতির। সরি। যার ধন যত অল্প, নিজের ধনের প্রতি মায়া তার তত বেশি। কী আর করব, বলুন! ধন্যবাদ।

ভাবনা: ছয়শো ষোলো

……………………………………………………

12 February 2015

কেউ তোমায় ফুল দিক না দিক

কাল বসন্ত

১২ বছর আগে বন্ধু Zunaeed- ই বোধহয় একবার পহেলা ফাগুনে লিখে পাঠিয়েছিলো,

বসন্ত বাতাসে …….. ভালোবাসি! বলো আবেগে৷

সবই তো আছে, তবু ……… কেনো একাএকা লাগে!

বন্ধু এখন আর একা নেই৷ সাথে পরীর মতো ফুটফুটে তার কন্যাও আছে৷ দোয়া করি, ও বড়ো হয়ে হুমায়ূন আহমেদের নায়িকাদের চেয়েও মায়াবী হোক৷

বন্ধু, সত্যি বলছি, ফাগুন এলে তোমাকে মনে পড়ে৷

আরো একজনকেও মনে পড়ছে। মন থেকে চাইছি, ও খুব ভাল থাকুক।

জুকারবার্গকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানাই৷ ফেসবুকে, ইটস্ ফ্রি, লেখাটা কখনোই যেন বদলে না যায়৷ ফেসবুককে ঘিরেই দিন-কাটানো যাদের শেষ হয়ে যায়নি এখনো, তারা বিনে পয়সায় ভালো থাক৷

সেই কখন থেকে রবি বাবু মাথায় বাজছেনই তো বাজছেন ……. সুখে আছে যারা সুখে থাক তারা . . . . . . .

জগতের কোনো যুগলই না ভাঙুক৷

ফুলের ব্যবসা বাড়ুক৷ টিস্যুর ব্যবসা কমুক৷

সুন্দর শব্দমিছিল ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জীবনে আসুক৷

কাল ঢাকায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। যাব না। পহেলা ফাগুনে ক্যাম্পাসে গেলে মন খারাপ হয়ে যায়। ইদানীং আর মন খারাপ করে থাকতে ভাল লাগে না। আমাকে দিয়ে হিপোক্রিসি হয় না। মন খারাপ করে রেখে দাঁত বের করে হাসতে পারি না।

পরশু যাব। যাব মানে, যেতে হবে। আইবিএ’তে এমবিএ’র ফাইনাল প্রেজেন্টেশন। প্রেজেন্টেশন শেষে বইমেলায় ঘুরে বেড়াব। ওরা ভালোবাসা নেবে। আমি বই নেবো, ডিগ্রি নেবো। ওরা পাবে একটা, আমি দুটো। সেদিনের পর থেকে আমি হয়ে যাবোঃ সুশান্ত পাল, বিএসসি ইন সিএসই (চুয়েট), এমবিএ ইন ফাইন্যান্স (আইবিএ, ডিইউ)

আরো একটা হতে পারতঃ এমডিএস (ডিইউ) ……..হয়নি, আমি ছেড়ে দিয়েছি। কেন? স্রেফ হেঁয়ালিতে। মাঝেমাঝে ভাবি, এই ছোট্টো জীবনটাতে এই জীবনটা নিয়ে অনেক খেলা খেলা হয়ে গেছে।

আচ্ছা, একটা সময়ে এই নেই-ভাবনা পাগলটাই না ডিসিশন নিয়েছিল অনার্স কমপ্লিট করবে না? ওর না ইন্টারমেডিয়েট-পাস দোকানদার হওয়ার কথা ছিল? মা, তুমি শুনছো? বাবা, একটু এসে দেখে যাবে? তোমাদের অনেক কাঁদিয়েছি, না? পাপ্পু, তোকে না কে কে যেন কথা শুনিয়ে দিত শুধু? তোর দাদা নাকি সারাজীবন অশিক্ষিতই থেকে যাবে? ওরা কোথায় এখন?

13 February 2015

কালকে আইবিএ’তে প্রেজেন্টেশন সকাল ১১টায়। মাস্টার্সের লাস্ট প্রেজেন্টেশন। ওটা এখনো রেডি করা শুরুই করিনি। আমার পুরোনো অভ্যেস, ইলেভেন্থ আওয়ার সিনড্রোম।

দুপুরে এক বালতি কাপড়ে ডিটারজেন্ট দিয়েছি। ওগুলো ধুতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু ওগুলো ধুয়ে শুতে হবে। ওখানে পরশু ভোরবেলার পিটি’র ড্রেসও আছে। আজকে রাতে না ধুলে শুকাবে না। কাল সকাল ৮টায় বের হব। কালকে ধোওয়াও হবে না।

মশা কামড়াচ্ছে। উঠে কয়েল জ্বালাতে ইচ্ছে করছে না। কামড়াক।

খিদে পেয়েছে। সামনেই আপেল রাখা। ওটা খেতেও আলসেমি লাগছে।

কালকে অনেক কাজ। প্রেজেন্টেশন দিতে হবে, বইমেলায় ঘুরতে হবে, আরো কী কী সব যেন করতে হবে………. মনে নেই। মনে করতেও ইচ্ছে করছে না।

এখন আমার অনেক কাজ। সারাদিন কাজের কাজ কিচ্ছু করিনি। তো, আজকে সারাদিন কী কী করলাম? সকালে উঠে ফুল দেখলাম, গাছ দেখলাম, কিছু পাখি দেখলাম, লেক দেখলাম, রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। সারাদিন ঘুমিয়েছি।ঘুমাতে ঘুমাতে চোখ ফুলে গেছে। আজকের দিনের সেরা অর্জন, গোলাপের পাপড়িতে জমে-থাকা ভোরের শিশির ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখা।

মাথায় অনেক কাজের বোঝা নিয়ে ল্যাপটপে বসে আছি। বসে বসে কী করছি? দুনিয়ার মেয়েরা সব পহেলা বসন্তের ছবি দিয়েছে। ছবিগুলো দেখছি। লাইকটাইক দিচ্ছি কম। দিলে যদি ওরা বুঝে ফেলে ওর ছবি লুকিয়ে দেখছি! তাই অতোটা দিচ্ছি না। শাড়িতে সাজলে মেয়েদের অপূর্ব লাগে! এদের কাউকে কাউকে ভালবাসতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা, এটা তো ভালোবাসা না, তাই না? এটা তো স্রেফ প্রেম।

পুরোনো দিনের বাংলা গান শুনছি। দুষ্টুদুষ্টু হাসিতে গান শুনতে ভাল লাগছে। গানগুলোকে বেশিবেশি করে ভালবাসতে মন চাইছে। গানগুলো যারা লিখেছে, সুর করেছে, গেয়েছে, ওদেরকে ভালবাসতে ইচ্ছে করছে। পৃথিবীর সবাইকে ক্ষমা করে দিতে ইচ্ছে করছে, কেউ আমাকে কষ্ট দিয়ে সুখে থাকলে তাকেও। সিলিংয়ের কোনার টিকটিকিটাকেও ভালবাসতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা, ওটার ডাকটা কি আগেও এরকম সুন্দর ছিল?

আমি যখন অনেক কাজের বোঝা নিয়ে বসে থাকি, তখন কী করি? মাথায় ফাঁকা হয়ে যায়। এমন একটা ব্ল্যাঙ্ক লুকে তাকিয়ে থাকি, দেখলে মনে হবে অনেককিছুই ভাবছি। আসলে কিছুই ভাবছি না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যেটা করতে হবে সেটার কোনোকিছুই না করে বসে থাকি। অন্যকিছু করতে থাকি। পৃথিবীর অন্যসবকিছুকেই প্রয়োজনীয় বলে মনে হতে থাকে। এভাবে করে একটাসময়ে রাত হয়ে যায়। সকালে উঠে কাজটা করতে পারব না জেনেও ‘অল ইজ ওয়েল’ জপতে জপতে ঘুমিয়ে পড়ি। অনেক কাজের বোঝা মাথায় নিয়ে এমন শান্তির ঘুম আর কে-ই বা দিতে পারে?

উফফ! আর লিখব না। কয়েল জ্বালাতে হবে। শালার মশারা ভালোবাসাও বোঝে না! ওরা পুরোনো প্রেমিকার মতোই অবুঝ!!

………… ভাইয়া, আপনার কমেন্টটা দেখে আমি আরো একবার এই অযত্নে লেখা স্ট্যাটাসটা পড়লাম। নিজের লেখা ভাল ভাবতে আবারো ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।

14 February 2015

পৃথিবীর সবচাইতে অপ্রতিরোধ্য ড্রাগের নাম: বই

বইমেলায় এলে ব্যাকপ্যাকের ভারে পিঠ নুয়ে যায়, বইয়ে বোঝাই ব্যাগগুলো হাতদুটোর শেষ জোরটুকুও কেড়ে নেয় যেন, ফর্সা ফর্সা তালুতে গোলাপী আভা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবুও এ বইয়ের নেশা কাটে শুধু বইয়েই। বই বইতে কষ্ট মরে বইতেই। শুধু এই এক বইয়ের ভারের প্রচণ্ড যন্ত্রণা সমস্ত শরীরে নিয়েও মেলায় ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয়ে যাওয়া পরিচিতদের হাসিমুখে হ্যালো বলা যায়। পাথরের মত ভারী বইয়ের বোঝা বহন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টলে স্টলে বইয়ে সাঁতরে বেড়ানো যায়। পাগলের মত বই কিনি, ছাগলের মত সাজিয়ে রাখি। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও একটা বই কিনতে না পারার অতৃপ্তি কয়েকটি মৃত্যুর সমান। বড়ো বেশি নেশাধরা ছোঁয়া এই বইয়ের ছোঁয়া। পৃথিবীতে ৩টি ঘ্রাণ একই রকমের: প্রেয়সীর চুলের ঘ্রাণ, ফুলের পাপড়ির ঘ্রাণ, আর বইয়ের পাতার ঘ্রাণ। ৩টিই নিঃসঙ্কোচ মাদকতা জাগায়।

আজকের বইমেলায় ভিড় ছিল কম। আজকের দিনে এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। হুট করেই প্রেম কমে গেছে নাকি? নাকি, ব্রেকআপ বেড়ে গেছে? নাকি, দুটোই?

হায়! ভালবাসা দিবসে ভালবাসা বাড়েনি, ধুলো বেড়েছে। লাবণী, সিফাত আর পাপ্পুকে ধুলো ছাড়া আর কিছুই খাওয়াতে পারলাম না। মেয়েরাও এই অতিবিরক্তিকর বইঘাঁটা মেনে নিয়ে গল্প করতে করতে ঘুরতে পারে! আমাকে সহ্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আজকের ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে হৃদয়ের বদলে ফুসফুস বিকিয়ে দিয়ে পিএটিসি’তে ফিরছি।

15 February 2015

এক মুসাফির হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে এক বাড়ির দরোজায় নক করে রাতের জন্য আশ্রয় চাইলেন। বাড়ির কর্তা দরোজা খুলে বিনীতভাবে বললেন, “আমার বাড়িতে বিবাহযোগ্যা মেয়ে আছে। আপনি দয়া করে অন্য বাড়িতে চেষ্টা করুন।” এরপরের ২টা বাড়িতেও একই ধরনের উত্তর এল। ক্লান্ত মুসাফির ভাবলেন, এভাবে করে লোকের বাড়ির দরোজায় কড়া নেড়ে নেড়ে বিরক্ত করাটা ঠিক না। তাছাড়া সে নিজেও বারবারই প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিব্রত হচ্ছে। তারচে’ অন্য বুদ্ধি বের করা যাক। উনি চতুর্থ বাড়ির দরোজায় কড়া নেড়ে বাড়ির কর্তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “জনাব, আপনার বাড়িতে কি বিবাহযোগ্যা মেয়ে আছে?” কর্তা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “কেন?” মুসাফিরের ঝটপট জবাব, “আমি রাতে থাকতে চাই, তাই।”

আজকের ক্লাসে স্যার কমিউনিকেশন প্রবলেম পড়ানোর সময় এই কৌতুকটা বললেন। কৌতুকটা আগেও শুনেছিলাম কিংবা দেখেছিলাম। আচ্ছা, দিলদারের কোন একটা মুভিতে এই কৌতুকের অংশটা আছে না? ঠিক মনে করতে পারছি না। কারোর জানা থাকলে একটু বলবেন?

15 February 2015

ডানে মৌচাক। সাবধান! ঢিল ছুঁড়বেন না।

ডরমেটরিতে আসার পথে আমবাগানের ঠিক পাশেই একটা পিলারের গায়ে ওপরের কথাটা সেঁটে দেয়া। কথাটা পড়ে ডানের আমবাগানে নেমে ‘ঢিল না ছোঁড়ার জন্য’ অনেকক্ষণ খুঁজেও মৌচাকের দেখা মিলল না।

16 February 2015

ঘোষণা! ঘোষণা!! ‘মৌচাকে ঢিল’য়ের রহস্য উদ্ঘাটন! ‘মৌচাকে ঢিল’য়ের রহস্য উদ্ঘাটন!!

গতকালকে লিখেছিলাম,

“ডানে মৌচাক। সাবধান! ঢিল ছুঁড়বেন না।

ডরমেটরিতে আসার পথে আমবাগানের ঠিক পাশেই একটা পিলারের গায়ে ওপরের কথাটা সেঁটে দেয়া। কথাটা পড়ে ডানের আমবাগানে নেমে ‘ঢিল না ছোঁড়ার জন্য’ অনেকক্ষণ খুঁজেও মৌচাকের দেখা মিলল না। “

আজকে পিএটিসি’র বিশেষ বিটলা গোয়েন্দা টিমের বৈকালিক ঝটিকা অভিযানে উদ্ঘাটিত হয়েছে যে, ওই পিলারের ডান পাশের আমবাগানে আসলে কোনো মৌচাক নেই। প্রকৃত ঘটনা হল এই, ওই পিলারটির ঠিক উল্টো দিকে, মানে করিডোরের ওই জায়গাটার বামের বরইবাগানের পাশেই অবস্থিত লেডিস ডরমেটরির দিকে যাতে আমরা রোমিওগোষ্ঠী ‘চোখ তুলে’ না তাকাই, সেইজন্যই এই বিশেষ বিভ্রান্তিমূলক সতর্কবাণী।

জাতি জানতে চায়, আমরা কি এই বেকুব পিএটিসি চেয়েছিলাম?

19 February 2015

শুভ বৃষ্টিস্নাত ফাগুনপ্রভাত

দিনের শুরু অভিমানী বৃষ্টি ছুঁয়ে

20 February 2015

ক্যাডার মানুষকে বড় করে না, মানুষই ক্যাডারকে বড় করে।

ক্যাডার মানুষকে ছোট করে না, মানুষই ক্যাডারকে ছোট করে।

Always beware of the people whom you can judge only by what they do, not by what they are as well. Judging someone by their job is one of the worst forms of judgement.

কিন্তু আমাদের সমাজে সবাই এই কাজটাই করে।

যারা ওরকম ভাবটাব নিয়ে থাকে, ওদেরকে না গুনলে কী হয়? জীবনে চলার জন্য সবাইকেই লাগে না। ওদেরকে ওদের মত থাকতে দাও, ওরা নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছে . . . . . . . Deciding whom not to make friendship with is more important than deciding whom to make friendship with.

20 February 2015

বালিয়াটি জমিদারবাড়ির পথে . . . . . . .