মেয়েদের নিয়ে আরও কিছুমিছু:

এক।
একটা মেয়ে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে যে কথাটা সে ভাবছে, সেই কথাটাকে। কথাটায় সত্যতা থাক বা না থাক, তা একবার ভেবে ফেললে আর নিস্তার নেই। সেটা সত্য হয়ে ওর ভেতর থেকে ওর সামনে চলে আসবে। আর সেখান থেকে এক চুলও সরানো যাবে না ওকে। মেয়েরা সত্যিই বড্ডো বেশি ছেলেমানুষ। ওদের হারিয়ে দেয়ার অন্ততঃ একশো' টেকনিক আছে, যার একটাও কাজ করে না। তাই ওদের জিতিয়ে দেয়াটাই আর্ট। এর শান্তিপূর্ণ চর্চাই পৌরুষ।
বিবাহিত, প্রায়-বিবাহিত এবং অর্ধ-বিবাহিত বন্ধুরা কী বলেন এ ব্যাপারে?
দুই।
ধান ভানতে শিবের গীত। মহিলারা গীত-গীবত জাতীয় বিষয়ে আরও এক কাঠি বেশি সরেস। শুধু শিবকে তুষ্ট করলেই তাদের চলে না। তাদের সাদর আমন্ত্রণে, ঐকান্তিক ভক্তিতে অন্যান্য লৌকিক দেব-দেবীও দূরে থাকতে পারেন না। ফুল ফ্যামিলি নিয়ে পার্বতী চলে আসেন, উনার আত্মীয়-স্বজনরাও আসেন প্রায়ই। এতে ধান ভানা আর হয় না, হলেও দেরীতে হয়। জি টিভি, স্টার প্লাসের আত্মপ্রচারমূলক, পরচর্চাধর্মী, সংসার-ভাঙানিয়া উদ্ভট অসহনীয় সিরিয়ালের কল্যাণে মহিলাদের এই আশ্চর্য স্বাভাবিক প্রতিভা বিকশিত হয়েছে বহুগুণ!
বিবাহিত, অর্ধ-বিবাহিত এবং প্রায়-বিবাহিত পুরুষ---এই তিন প্রজাতির প্রাণীর সহনশীলতা এবং শ্রবণ-অত্যাচার-সংবেদনশীলতা এপিক লেভেলের।
হ্যাঁ, ব্যতিক্রমও আছে। সেটা তেমনিই আছে, যেমনি থাকে খড়ের গাদায় সুঁই।
তিন।
যখন আমি প্রেমিক হই, আমার প্রথম অনুভূতি, আমি সামান্য নই। নিজ সম্পর্কে খুব দক্ষতার সাথে অবিরাম মিথ্যে বলতে থাকি, জ্ঞান থাকুক কিংবা না-ই থাকুক, বিশ্বাসযোগ্য করে তা ফলাতে চেষ্টা করি, হাস্যকরভাবে নিজের স্মার্টনেস জাহির করি। কাক হয়েও ময়ূরের মতো নাচি। নিজের কাছে সবাই তো ঋত্বিক রোশন। প্রেমিকাই বা বাদ যাবে কেনো? হোক না সে অন্যের প্রেমিকা। স্রেফ প্রেম-ই তো, ভালোবাসা তো আর নয়।
মেয়েদের ২টা স্বভাব মজ্জাগত। কনফিউসড্ হওয়া। ইমপ্রেসড্ হওয়া। ওরা হয়-ই। মাঝেমাঝে কারণে, প্রায়ই অকারণে।
চার।
দুধরনের পুরুষমানুষ ঠকে। এক। যার সুন্দরী প্রেমিকা বিয়ে করে অন্য কোনও পুরুষকে। দুই। যে অন্যের সুন্দরী প্রেমিকাকে বিয়ে করে না জেনেই।
আচ্ছা, কোনও সুন্দর ফুলই কি অনাঘ্রাত নয়? মেয়েরা বড়ো অদ্ভুত। ওরা ছেলেদের চিনে নেয় খুব সহজে, অথচ নিজেরা নিজেদের কখনও চিনতে পারে না। ছেলেরা বড়ো অসহায়। মেয়েদের চিনতে পারে না কখনওই, আবার নিজেরা নিজেদেরও না। মেয়েরা ওদের বলে, তুমি এমন, তুমি অমন। ওরা তা-ই বিশ্বাস করে নেয়, সেভাবেই কাজ করে।
মানুষ পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট পায়, আর পুরুষমানুষ সার্টিফিকেট পেয়ে পরীক্ষা দেয়।