যে যাপনের কোনও ছুটি নেই

 
এক।



কতকাল ধরে যাচ্ছি ভেবে, এবার দারুণ প্রেমের কবিতা হবে!
সেই কবিতার গায়ে থাকবে এক টুকটুকে লাল পাহাড়ের সাজ,
সে-সাজ দেখে পাগল হয়ে তুমি এক ভীষণ তুমুল ঝড় আনবে!


সেই কবিতার চোখ দুটি হবে মায়াবী ভীষণ,
ডাগর সে-চোখ হাজারো প্রেমে সিক্ত হয়ে প্রশ্ন ছুড়ে বলবে তোমায়,
এতকাল তবে কোথায় ছিলে?
বুঝি ভালোবাসতে সবে এই এলে?
এখন তোমার সময় হলো ফিরে আসবার?


দুই।


এ কেমন চালাকি তোমার?
যতবার আমি চলে যাই মিছে,
ততবারই আমায় মুড়ে দাও পিছে!
যতবারই আমি দিই ধিক্কার,
কাছে ডেকে নাও ঠিক ততবার!


এ কেমন পোড়াও আমায়?
যতবার বলি, আরও কাছে চাই,
ততবারই বল, আর ঠিক নাই।
যতবার বলি, তবে ছেড়ে যাই?
বল ততবারই, বড় ভয় পাই!


এ কেমন অগ্নিতে বলো ফেললে আমায়?
যতবার বলি, ঠিক লড়বই,
ততবারই বল, কেন? কে হই?
যতবার বলি, যুদ্ধ তো শেষ,
ততবারই বল, থাকছিই, বেশ!


তিন।


সংসারটা তুমিও তবে করলে এবার!
বুঝলে তো বেশ, এ যে সংসার নয়,
এখানে কেবলই এঁটো-বাসনের ঠোকাঠুকি হয়!


বলেছিলে না, দেখিয়ে দেবে?
এবার নাহয় আগে দেখোই নিজে,
কোন শোধবোধটা ঠিক বেছে নেবে!


ইনিয়ে-বিনিয়ে বলেছ তো রোজ,
কে-ইবা রাখে ভেতরের খোঁজ?
যেন যেচে গেছি ভাত কুড়োতে,
তাড়াবে তুমি? মালিকটা কে?


তবু এ ভুল বড়ই যুক্তিযুক্ত!
আমায় থুতু দিলে, অথচ আশ্চর্য কী,
তোমার গায়েই হুল ফুটল…সে কী!


আগ বাড়িয়ে বলেছিল কে…দেখিয়ে দেবো?
কে দিয়েছিল কথা, দেখো, মিলিয়ে নিয়ো,
ঠিক সবটাই কেমন গুছিয়ে নেব?


এখন পুতুলখেলা জমেছে তো বেশ!
হাঁড়িপাতিল ছোড়াছুড়ির চলছে তো রেস?
তো বুঝলে এবার, সংসারটা একেই বলে!


রোজ একবার ভাবতে বসো কম করেও---
পারছি না তো, এবার দেবোই ছেড়ে!
যত যা খুশি হয়, হোক তো এবার!
এবার তবু ঠিকই আমি ছাড়বই ঘর!