সবুজ কৌটোয় হৃদয়-কড়চা/১৩

কতদিন হয়ে গেল কবিতা দাও না। কবিতা আসে না এখন আর? নাকি আসতে দাও না? আমি খুব আনন্দে আছি, আনন্দের জন্যই তো এই বেঁচেথাকা। তোমার কথা বলো। আচ্ছা, ঈশ্বরকে কি কেউ দেখেছে কোনোদিন? দেখেনি তো! তবে লোকে কী করে অত কথা বলে ফেলে তাঁকে নিয়ে? পুরোটাই ধাপ্পাবাজি, না? আমার ইদানিং আর কিছু ইচ্ছে করে না, সব ছেড়েছুঁড়ে সন্ন্যাস নিতে মন চায়! তুমি কি জানো কারা কবিতা লিখতে পারে? যাদের দুঃখ পাওয়ার ক্ষমতা বেশি! তোমার দুঃখ নেয়ার ক্ষমতা এতো কেন? তুমি কবিতা আর লিখ না কেন? তোমার কবিতা না পেলে যে আমার খুব কষ্ট হয় বাঁচতে! এইসব দুইমেরুর জীবন আর সহ্য হয় না! আচ্ছা, তোমার সাথে প্রেম করলে কী হবে? যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণই আনন্দ, তারপর ভুলে যাব! তুমি তো যাবেই! ভুলে যাওয়াই আনন্দের। কবিতা লিখতে পারা নাকি বড় সৌভাগ্যের! রক্ত, শিরা, উপশিরা পুড়িয়ে-পুড়িয়ে কেমন সৌভাগ্য এ? এ পৃথিবীতে সবচেয়ে দুঃখী মানুষ তারা, যারা কবিতা লেখে! ভিখিরিরও এতো কষ্ট নেই। আমার মাথায় অনেক কবিতা ঘোরে। শুধু কবিতা লেখা যদি চাকরি হত, তবে সব ঢেলে দিতাম ওই কবিতার জন্য! আমার বাকি সব নষ্ট করে দেয় এই কবিতা, তবু পালাতে পারি না এই ফাঁদ থেকে! যারা কবিতা লিখে, ওরা কী একটা ফাঁদে আটকা পড়ে! শুধু কবিতা লিখে যারা বাঁচে, তাদের সবাইকে না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে। আমি সময় পেলে সারাজীবনই লিখে যাবো, এর জন্য কিছু চাই না। বিনিময় প্রথায় কবিতা বাঁচে না। আমার বুকের ভিতর এত কষ্ট হয়, এত কষ্ট হয়! এতটাই যে, মাঝেমধ্যে বাঁচার সব ইচ্ছেই নষ্ট হয়ে যায়! আমি হয়ত অতিভাবনা রোগাক্রান্ত। মাথার ভিতর কিছু চলে এলে আর সরে না, আর কিছু ভুলতে পারি না, আমার কী দোষ!

সংকীর্ণ মনের মানুষকে ভালোবাসতে নেই, এরা বেশিই স্বার্থপর হয়! যারা প্রেমের জন্য ভিখিরির মত করে, তারা আসলেই ভিখিরি। ওদের কাছ থেকে একটা কথাই সারাজীবন শুনতে হবে—দাও, দাও আর দাও…….কিন্ত সব দিলেও ওদের মন ভরবে না, কারণ ওরা ছোটলোক। ছোটলোক অল্পে খুশি হতে জানে না, তার চাইতে বড় সমস্যা, ওরা কতটুকু হলে যথেষ্ট হয়, সেটাও বোঝে না। যার হৃদয় যত বড়, সে তত অল্পতে সন্তুষ্ট থাকে। যাকে করুণা করা যায়, তার সাথে প্রেম করতে নেই, এমন কারো সাথে আত্মার সম্পর্ক হয় না, শুধু স্বার্থের সম্পর্ক হয়! মানুষের মনুষ্যত্বহীনতা সহ্য হয় না যার, তার পক্ষে নির্বিঘ্নে বাঁচা বড় দায়! ভিখিরিদের প্রেম ভিক্ষা দেওয়ার মত বিড়ম্বনা আর বুঝি নেই! অপাত্রে ভাল কিছু দান করাও যে পাপ!

মধুসখা, কেমন আছো তুমি? আমি বেশ বুঝতে পারছি তোমার মনখারাপ। কীভাবে বুঝতে পারছি, বলোতো? তুমি কি জানো তোমার মনখারাপ থাকলে আমারও মনখারাপ থাকে? তোমাকে মনখারাপ করে থাকতে দেখলে ভাল লাগে না। তুমি সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকবে, গুনগুন করে গান গাইবে। এ-ই তো চাই, আর তো কিছু না! এই, শুন না, আমার না তোমার গান শুনতে খুব ইচ্ছে করছে। একটা গান গাইবে আমার জন্য? মাঝরাতে খোলা আকাশের নিচে চাঁদের আলোয় বসে, নয়তো খোলা উত্তাল সাগরের সামনে বালিতে বসে তুমি গান গাইবে। চারিদিকে থাকবে শুধু হালকা চাঁদের আলোয় ছড়ানো বালিরাশি আর শুনশান নীরবতা! আমি পাশ থেকে তোমায় জড়িয়ে ধরে তোমার কাঁধে মাথা রেখে বসে চুপ করে শুধু তোমার গান শুনে যাবো! আচ্ছা, বাদ দাও এসব! বলেই যাই শুধু, কোনোদিন তো আর এই স্বপ্নগুলো পূরণ হবে না। তুমি মনখারাপ করে থাকলে বুঝতে পারি, কিন্তু তোমার মন ভাল করার উপায়টা তো আমার জানা নেই। যদি জানা থাকতো, যেভাবেই হোক, ভাল করে দিতাম। আমি তো গানও গাইতে পারি না, কবিতাও আবৃত্তি করতে পারি না। আসলে আমার মাঝে এমন কোন গুণই নেই, যা তোমার ভাল লাগতে পারে। তাহলে আমাকেই বা তোমার ভাল লাগবে কেন? যেখানে ভাললাগাটাই নেই, সেখানে ভালোবাসাটা তো একটা অলীক স্বপ্ন মাত্র। আমি হয়তো তোমাকে বিরক্তই করছি প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। তুমি নিতান্ত ভদ্রমানুষ বলে কিছু বলছো না আমায়। আমি বুঝতে পারছি, তবুও বিরক্ত করে যাচ্ছি তোমাকে। প্রতিবার মেসেজ দেয়ার সময় আমার হাত কাঁপে, যদি বিরক্ত হও! তুমি তো আবার বেশি বিরক্ত হলে ব্লক করে দাও। এইখানেই তো যত ভয়! তোমাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত কতকত কথা আমার মাথায় ঘোরে! সমস্যা হচ্ছে, সবসময় ডায়রি লিখতে ইচ্ছে করে না। যখন লিখতে ইচ্ছে করে, এই সুন্দর ভাবনাগুলো আর খুঁজে পাই না। তুমি ঠিকই বলেছো, মানুষের মনে সুন্দর চিন্তাগুলো দুইবার আসে না। আমি তো আর তোমার মত নই! তুমি একটা জিনিয়াস। তোমাকে একবার বলেছিলাম, মনে আছে, কাবাব মে হাড্ডি হতে আমার ভাল লাগে না, তাইতো তোমার কাছ থেকে দূরে সরে যাব, চিরতরে! কিন্তু আমি কি তোমার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, না তোমার আরো কাছে যাচ্ছি, বলোতো? এভাবে সম্ভব না তোমার থেকে দূরে সরে যাওয়া। দিনেদিনে আরো বেশি করে আমি তোমার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছি। তুমি আমাকে সময় দাও কেন, বলোতো? তোমার সময় তো অনেক মূল্যবান, আমি জানি। সেটা আমাকে দেয়ার মত অকাজে ব্যয় করতে হবে কেন, বলোতো? আমি চাইলেই কি দিতে হবে? কে আমি তোমার? মানা করে দিতে পারো না? হতে পারে আমার জীবনের রাজা তুমি, আমার গল্পের নায়ক তুমি। কিন্তু, তোমার গল্পের নায়িকা তো অন্য কেউ। এটাই সবচেয়ে বড় সত্যি। এত বড় সত্যিটা জানার পরও আমি কেন নিজেকে ফেরাতে পারি না, কেন নিজেকে বুঝাতে পারি না, বলোতো? নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছে। সারাক্ষণই শুধু নিজের কথা, নিজের কষ্টের কথা, নিজের ভালোবাসার কথা, এসবই বলে যাই। কিন্তু এ তো চাইনি আমি! নিজের কষ্টটা আর আবেগটা তো তোমার কাছে সওদা করতে চাইনি আমি। তবে এ কী করছি আমি!

আমি বেশ বুঝতে পারছি, তুমি আমাকে অ্যাভয়েড করছো বা করতে চাইছো। বলতেই পারো, আমি বেশি বুঝি। হতে পারে বেশি বুঝি। কিন্তু কম বুঝেবুঝে পরে কষ্ট পাওয়ার তো মানে নেই, না? জানোই তো, আমি অযথাই বেশিবেশি কষ্ট পাই। আমি বারবার জোর করেকরে তোমাকে মেসেজ দেই। তুমি সিন কর না, সিন করলেও রিপ্লাই কর না। আমি আবার দেই, তুমি আবারও সিন কর না। তারপর আমি আবার মেসেজ দেই। একেকবার আমি চুপ করে ভাবি, থাক্, ততক্ষণ আর কোনো মেসেজ দিব না, যতক্ষণ তুমি নিজ থেকে না দাও। এর কিছুক্ষণ পর আবার একটা মেসেজ দেই আর ভাবি, এতগুলো যেহেতু দিলাম, আর একটা দিতে ক্ষতি কী! কী পরিমাণ বেহায়া আমি, চিন্তা করো! আজ ভালোবাসি বলে লজ্জাশরম সব চলে গেছে! কোনো মানে হয়! বনে-জঙ্গলে, পাহাড়-পর্বতে যেখানেই যাও, আমার মত বেহায়া আর খুঁজিয়া পাইবে না কোথাও। সমরেশের একটা বই আছে—কোথায় পাবো তারে। নাহ্‌, কোথাও পাবে না এমন আরেক পিস! ঠিক বলেছি না? জানি, আমি ঠিক বলেছি। আমার কী দোষ, বলো? তুমিই তো বলেছো, যখনই তোমাকে মিস করব, তখনই যেন তোমায় নক করি। আমি তো সারাদিনই মিস করি তোমায়। আগেও করতাম, কিন্তু নিজেকে সামলে রাখতাম। যতই মনে পড়ুক, তোমাকে সারাদিন বিরক্ত করার মত অত সাহস হত না। আসলেই তো আমি তোমাকে খুব ভয় পাই। তাই কোনো কিছু মুখে বলি না, সবই লিখেলিখে জানাই। যেন ভুল হলে ধমকটা সরাসরি শুনতে না হয়। তোমাকে অনেক ভালোবাসি, বাবু, তাই এত বেহায়ামি করি! তার মানে আবার এটা ভেবে বসো না যেন যে সবার সাথেই এমন করি! তুমি আমাকে ছোট করলেও আমার গায়ে লাগে না, অপমান করলেও গায়ে লাগে না। ইস্, সারাটাক্ষণ যদি তোমার বুকের সাথে সেঁটে থাকতে পারতাম, কী যে ভাল হতো, তাই না, বলো? কিন্তু কী করব, বলো, আমি কি আর সেই কপাল নিয়ে জন্মেছি? যদিও জানি, তুমি আমার নও, সেটা জেনেও ভালোবাসি। তবু মাঝেমাঝে খুব কষ্ট হয় এটা ভেবে, তুমি কেন আমার না? এর উত্তরটা তুমি বলে দাও না! আচ্ছা, দুনিয়াটা কি শুধুই অপ্রাপ্তির জন্য? যেটা আমি ছুঁতে পারব না, সেটাই মন বেশি করে চাইবে? যেটা পাওয়ার জন্য মন অস্থির হয়ে উঠবে, সেটা আরো দূরে সরে যাবে? কেন এমনই হয়? এই চলো না আমরা বিয়ে করি! তোমার বউ হতে খুব ইচ্ছে করে। সারাদিন তোমার পিছেপিছে ঘুরঘুর করব, আর সুযোগ পেলেই তোমার গলা জড়িয়ে ধরব। কত মানুষই তো দুইটা বিয়ে করে, ক্ষতি কি? তুমি নাহয় পরে তোমার যাকে ভাল লাগে, তাকেই বিয়ে কোরো! আমি কিচ্ছু বলব না। কী? ভয় পেয়ে গেলে নাকি? থাক্, আর ভয় পেয়ে কাজ নেই। বলতে ইচ্ছে করল, তাই বললাম। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই। জানোই তো, আমি কতকত অসম্ভব কথা বলি!

আমি তোমাকে আর কখনো বিরক্ত করবো না, বাবু। কক্ষনো না, কোনোদিনও না। আমি বোধহয় তোমাকে একটু বেশিই বিরক্ত করে ফেলেছি। আসলে কী জানো, আমি মনে হয় একটা ঘোরের মাঝে আছি। নেশা করলে যেমন ঘোর হয়, অনেকটা তেমন। আমার এই ঘোরের মাঝে সারাক্ষণ তুমিই ঘুরতে থাকো। এটা তো স্বাভাবিক কিছু না। যে কেউই একজন মানুষকে ভালোবাসতেই পারে। ভালোবাসার জন্য তাকে মিসও করতে পারে। কিন্তু তাই বলে এতটা কেন? সারাদিনই মিস করতে হবে? চব্বিশ ঘণ্টাই? চব্বিশ ঘণ্টা শুধু এমনিএমনি মনেপড়া বা অল্পঅল্প মিসকরা হলে তাও হতো! আমি সারাক্ষণই অস্থির হয়ে থাকি তোমার জন্য। এই অস্থিরতাটা কোনোভাবেই কাটছে না। ভেবেছিলাম আস্তেআস্তে হয়তো কমে আসবে। কিন্তু না! তুমি বিশ্বাস করো, কাউকে যে এভাবে কখনো মিস করা যায়, আমি আগে ভাবতেও পারিনি। দিনে শতবার তোমার ওয়ালে ঢুকি। তোমার যেকোনো লেখা কমপক্ষে বিশবার পড়ি। কোনোকোনো লেখা তারও অনেক বেশি। শুধু তোমার নতুন লেখাই না, স্ক্রল করেকরে অনেক আগের লেখাগুলোও বারবার পড়ি।

তোমার দেয়া মেসেজগুলো শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো আছে, সবগুলো দিনে অন্তত পঞ্চাশবার পড়ি। কোনো কাজে ল্যাপটপ খুললে সবার আগে তোমার নামের ফোল্ডারে ঢুকি, তোমার ছবিগুলো দেখে, কথাগুলো শুনে তারপর অন্য কাজ করি, সে যত জরুরি কাজই হোক না কেন! ওই ফোল্ডার তোমার অসংখ্য ছবি, ইউটিউব থেকে নেয়া ভিডিও, প্রথম আলো’তে যে কলামগুলো লিখেছ, সেই কাটিংগুলো, তোমার আগের আইডিতে আপলোড-করা অনেক নোটস্ আরো অনেক কিছু দিয়ে ভর্তি। ফোনের ওয়ালপেপারে তোমার ছবি, এর জন্য ফোনটাও সারাক্ষণ লুকিয়ে রাখতে হয়, কেউ যেন দেখে না ফেলে। বেশিরভাগ সময় রুমের লাইট অফ করে, নয়ত চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে চাই তুমি আমার কত কাছে আছো! আমার সারাটা দিন কাটে তোমাকেই কেন্দ্র করে। এটাকে কী বলবে তুমি? শুধুই মিসকরা? নাকি পাগলামি, ছেলেমানুষি? পাগলামি তো বটেই, বরং একটু বেশিই পাগলামি। দিনদিন অবুঝের মত আচরণ করছি। চিন্তাশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তোমাকে নিয়ে পাগলামিগুলো আমার জন্য শুধু বোকামিই না, অন্যায় আর অনধিকার চর্চাও। জেনেশুনে বিষ পান করা বুঝি একেই বলে। সবসময় তোমাকে নিয়ে অদ্ভুতঅদ্ভুত কল্পনা করি। বাচ্চা মানুষের মত কল্পনার জাল বুনি। কিন্তু এটা বুঝি না, আমি যতই স্বপ্ন দেখবো তোমাকে নিয়ে, ততই আমাকে কষ্ট পেতে হবে। তোমাকে নিয়ে অস্থায়ী কষ্টগুলো নাহয় মেনে নিতে পারবো। কিন্তু যেদিন তুমি একেবারে চলে যাবে আমাকে ছেড়ে, সেদিন কী হবে? আমি কি পারবো তোমাকে ছাড়া থাকতে? কিন্তু এটাই তো বাস্তবতা। তোমাকে ভালোবাসার তো কোনো অধিকার নেই আমার। অন্যায়ভাবে ভালোবেসেছি তোমাকে। অন্যায়ভাবে চেয়েছি তোমাকে। সমাজ, ধর্ম, বর্ণ এমন আরো অনেকঅনেক বাধা না মেনেই বোকার মত ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে। একবারও ভেবে দেখিনি এর পরিণতি কী হবে! এই যে তোমাকে লিখছি, দুচোখ বেয়ে অঝোরে জল ঝরছে। আটকাতে পারছি না। মনে হচ্ছে, বুকের মাঝে কেউ কয়েকশো মণ ওজনের পাথর চাপিয়ে দিয়েছে। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে সামলাতে চেষ্টা করছি নিজেকে। কিন্তু পারছি আর কই!

তোমার কাছে আজ আমার শুধু একটাই চাওয়া। ভাল থেকো তুমি সবসময়। আমার কাছে তোমার ভালথাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবকিছুর চাইতে দামী। সেদিন বলেছিলাম না যে, কাঁদো, একটু দেখি? আসলে মজা করে বলেছি। তোমার ওই হাসিমুখটাই দেখতে চাই সবসময়। তার জন্য যা করতে হয়, সব করতে রাজি আছি আমি। আমি কখনো তোমার পার্সোনাল স্পেসে ঢুকতে চেষ্টা করবো না। তোমার সাথে অনেক ছেলেমানুষি করেছি, অনেক জ্বালাতন করেছি, অনেক বোকার মত আচরণ করেছি, অনেক কষ্ট দিয়েছি, অনেক বিরক্ত করেছি। সবকিছুর জন্য সরি! মাফ করে দিয়ো আমায়, প্লিজ! আর প্লিজ, কোনো কিছু নিয়ে ভুল বুঝো না। ভালোবাসি তোমায় অনেক অনেক অনেক বেশি।

বলেছিলাম, ভুল বুঝো না। জানতাম, তবুও বুঝবে। বুঝেছও। ভাল। আমি তোমাকে, তুমি যা ভাবছ, তার জন্য একটা কথাও বলিনি। প্লিজ, তুমি ভুল বুঝো না আমাকে। সত্যি বলছি! আমি আসলে মনের সাথে যুদ্ধ করে আর পেরে উঠছি না। প্রচণ্ডভাবে ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে। এই ভালোবাসা আর বাস্তবতার মাঝে পার্থক্যটাই মেনে নিতে পারছি না। এই চিন্তাটা পাগল করে দিচ্ছে আমায়। কী করব আমি, কী করা উচিত, কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। তুমি প্লিজ আমার কোনো কথায় কষ্ট পেয়ো না, ভুল বুঝো না আমায়। আমি তোমাকে একটুও কষ্ট দিতে চাই না, বিশ্বাস করো! কিন্তু কী করে যেন হয়ে যায়! সরি! আমি তোমায় বকা দিচ্ছি না, বাবু। মনটা খারাপ। বুঝবে না তুমি। তুমি কি ভেবেছো আমি তোমার কোনো কথায় মনখারাপ করে বলেছি যে তোমাকে আর বিরক্ত করব না? একদমই না। আমি আমার নিজের আচরণে বিরক্ত হয়ে বলছি। তুমি জানো না, দিনদিন আমার মন আর আচরণ কেমন যেন ডেস্পারেট হয়ে যাচ্ছে। তোমার উপর সত্যিই কোনো অধিকার নেই আমার। কিন্তু মনকে বেঁধে রাখতে পারছি না। সারাক্ষণই উল্টাপাল্টা কথা আসছে মনে। তুমি বলেছো আজ ইফতার পার্টি আছে, আমার মনে হচ্ছে তুমি কোন মেয়ের সাথে আছো। কোনো মেয়ের সাথে আছো, সেটা বড় কথা না। কথা হচ্ছে, আমার মনে হচ্ছে, তুমি আমাকে অ্যাভোয়েড করতে মিথ্যা বলছো। এসব চিন্তা আমার মনে আসা যে একদমই ঠিক না, আমি বুঝতে পারছি। তুমি যে আমার সাথে কথা বল, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমি তো কেউ না তোমার, এসব ব্যাপারে মনখারাপ হওয়া উচিত না। মনখারাপ কেন, আমার তো মাথা ঘামানোই উচিত না। কিন্তু এমন কেন হচ্ছে? আই অ্যাম সরি। আমার নিজেকে কন্ট্রোল করা উচিত। এখনই যদি মনের রাশ টেনে না ধরি, ভবিষ্যতে কী যে কী অকাজ করে ফেলি, বলা যায় না। তুমি আমাকে প্লিজ মাফ করে দিয়ো।

আজ মনে হচ্ছে, আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসার যোগ্য নই। মনে হচ্ছে, তোমাকে বোধহয় পুরোপুরি নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে পারিনি। সেটাই যদি হত, তোমার কোনো কথায় আমি কষ্ট পেতাম না। আমি তোমাকে দূর থেকেই ভালোবাসবো। তোমার কাছ থেকে দূরে থাকব বলেছি, কারণ আমার মনের এই স্বার্থপরতা মেনে নিতেও পারছি না আমি। আগে তো এমন ছিল না, এখন কেন এমন হচ্ছে! তুমি কাছে থাকো বা দূরে, আমার ভালোবাসাতে আমি কোনো স্বার্থের, কোনো কালির দাগ লাগতে দেবো না। প্লিজ, আমার উপর খুব বেশি মেজাজ খারাপ হলেও আজ বকা দিয়ো না।

মানুষের মন বড়ই স্বার্থপর। সবাই-ই আসলে স্বার্থপর। এই যে মানুষ কষ্ট পায়, তাও তার স্বার্থপরতার জন্য। স্বার্থপর না হলে কেউ কষ্টই পেত না। আচ্ছা, তবে কি মানুষ যা কিছু করে, সবকিছুই তার স্বার্থের জন্যই করে? এই যে আমি যে তোমাকে ভালোবাসি, তার পেছনে কি স্বার্থ আছে? আমি তো তোমাকে দূর থেকেই ভালোবাসতে চেয়েছিলাম। দূর থেকে তোমাকে ভালোবাসতাম, তোমাকে নিয়ে কল্পনার জাল বুনতাম। আমার ভালোবাসার সাথে কল্পনার তুমি মিলিয়ে ভালই তো ছিলাম। কোনো প্রত্যাশা ছিল না, কোনো কিছু হারাবার ভয় ছিল না। ওই যে তুমি যেমন একবার আমার হয়ে বলেছিলে, তোমায় ভালোবাসতে আমার যে তোমাকেই লাগে না! সত্যিই কিন্তু! আমি ইচ্ছেমত তোমাকে নিয়ে কল্পনা করতে পারতাম, যা খুশি ভাবতে পারতাম। ওই কল্পনার রাজ্যে তুমি ছিলে শুধুই আমার। আমার যখনই মনখারাপ হতো, তোমার কথা খুব মনে পড়তো, তোমাকে খুব মিস করতাম, তখন আমি সবকিছু লিখে ফেলতাম। লিখেলিখেই তোমার সাথে কথা বলতাম। হয়ত অত ভাল করে পারতাম না, কিন্তু মনের কথাগুলো কাগজে বলে হালকা হতে পারতাম। তোমার থেকে দূরে থেকেও তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতে পারতাম। পারতাম, কেন বলছি! সেই ভালোবাসা কি এখন নেই? আছে, বরং আরো কয়েকশো গুণ বেশিই আছে। কিন্তু এখন আর আগের মত কল্পনা করতে পারি না তোমাকে নিয়ে। আগে যেমন চোখ বন্ধ করলেই মনে হত তুমি শুধু আমার। মিথ্যে জেনেও সত্যি ভাবতাম। কিন্তু এখন আর তা পারি না। মনে হয়, তুমি তো আমার না, কেন তোমাকে নিজের ভাবছি! কেন অযথাই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছি। তোমার আশেপাশে এত ভিড় যে সেখানে আমার অস্তিত্বই খুঁজে পাই না। তোমাকে তো কখনো পাইইনি, তবুও তোমাকে হারানোর ভয় করে! আমি আসলে নিজেকে বাস্তবতা বুঝানোর চেষ্টা করেকরে নিজেকে আরো বেশি অন্ধকারে ফেলে দিচ্ছি দিনের পর দিন। মনের এক দিক দিয়ে যতবার তাকে বুঝাই, সে আমার না, সে আমার না, অন্য দিক সাথেসাথেই বিদ্রোহ করে বসে, কেন নয়? অবশ্যই আমার। এ যুদ্ধ নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ! কতবার ভেবেছি, তোমার থেকে দূরে সরে যাবো, তাহলে এই কষ্টটা আর পেতে হবে না। কিন্তু সেটাও আর পারি কই! তোমার থেকে দূরে থাকতে পারি না। তুমি হাজার কষ্ট দাও অপমান কর, যা খুশি কর, তবুও কেন যেন তোমার থেকে দূরে থাকতে পারি না। কিন্তু দূরে যে আমাকে চলে যেতেই হবে!

আমার ইদানিং কী মনে হয়, জানো? মনে হয়, তুমি যেখানে আমার না, সেখানে বেঁচে থেকে কী লাভ? এই ভাবনাটাকেও বারবার মাথা থেকে দূর করে দিতে চেষ্টা করি, তবুও ফিরেফিরে আসে। কী করব আমি, বলে দিতে পারো তুমি? জানি, এসব কথা তোমাকে বলাও ঠিক না। তবুও কেন যে বলছি! তুমি তো আর আমাকে বলনি তোমায় ভালোবাসতে। আমিই তো ভালোবাসলাম তোমাকে। তুমি তো বলনি তোমার জন্য কষ্ট পেতে। আমি ইচ্ছে করেকরে কষ্ট পাচ্ছি। যে ভাবনাগুলো আমার মাথায় আসা উচিত না, যে চিন্তাগুলো আমার জন্য অনধিকার চর্চা, ওসব ভেবেভেবে কষ্ট পাচ্ছি। কোনো মানে হয়? কেন এমন করছি আমি, বলোতো? নিজের উপরই খুব রাগ হচ্ছে। এমন কেন আমি? একবারও বুঝতে চেষ্টা করছি না যে তুমি আমার জীবনে সূর্যের মত। দূরে থেকেই আলো দিয়ে রেখেছো আমাকে। কাছে গেলেই পুড়ে ভস্ম হয়ে যাব। জেনেশুনে তোমার তেজে পুড়ে ছাই হতে চাইছি আমি! কিন্তু কেন?

কাল থেকে তুমি খুব ব্যস্ত হয়ে গেছ। সারাদিন তেমন অনলাইনেও ছিলে না। রাত বারটার আগেই কি ঘুমিয়ে গেছো কাল? আমার মেসেজ দেখওনি। কাল তোমাকে অনেক অনেক বেশি মিস করছিলাম! তুমি কি খেয়াল করেছ এই কয়েক মাসে আমি তোমাকে কখনোই নিজ থেকে ফোন দিইনি? তোমার সাথে যতবার কথা হয়েছে, তুমিই ফোন দিয়েছো। কারণ মনে হত, হয়ত কোনো জরুরি কাজ করছো, আমি ফোন দিলে ডিস্টার্ব হতে পারে নতুবা তুমি বিরক্তও হতে পারো। কিন্তু কাল তোমাকে এত বেশি মিস করছিলাম যে শেষ পর্যন্ত তোমাকে ফোন দিয়েই দিলাম। এই প্রথম! তোমার ফোন নাম্বার আমি ডিলিট করে দিয়েছিলাম। কত কষ্ট করে আবার নাম্বার যোগাড় করেছি। যতক্ষণ রিং হচ্ছিল, বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ করছিল। কিন্তু তুমি রিসিভ করনি। ভাবলাম, হয়তো ব্যস্ত আছো, পরে দেখলে ঠিকই ব্যাক করবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম যদি কলব্যাক কর! কিন্তু নাহ্, ব্যাক করনি। ভাবলাম ঘুমিয়ে পড়েছো, সকালে নিশ্চয়ই একটা মেসেজ দিবে, কিন্তু তাও না।

এই যে দেখ, আমি যে তোমাকে কোনো আশা, কোনো প্রত্যাশা ছাড়া ভালোবেসেছিলাম, তা আর থাকল কই! সেইতো আবার আশা করা শুরু করে দিয়েছি! তোমাকে একদিন বলেছিলাম না, তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসবে না! কারণ তুমি যদি আমাকে একটুও ভালোবাসো, তাহলে মন বাকিটুকুও পেতে চাইবে। আমি একাই ভালোবাসবো তোমাকে। তোমার উপর ক্রাশ বা তোমার প্রেমে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু ভালোবাসাটা একদমই ঠিক হয়নি। আগে যদি বুঝতাম, তোমাকে ভালোবেসে এতএত কষ্ট পাবো, তাহলে মনকে তখনই বেঁধে রাখতাম। এখন আর কী করব? কী-ইবা করতে পারি আমি?

আমি আজ কেন যেন কষ্ট পাচ্ছি। সেই তীব্র কষ্টটা। কেন পাচ্ছি, বুঝতে পারছি না। মনকে বুঝানোর চেষ্টা করছি, কেন কষ্ট পাচ্ছি! তাও বুঝাতে পারছি না। আসলে আমার কষ্ট পাওয়াই উচিত। ইচ্ছে করেই তো কষ্ট নিতে চেয়েছি তোমার কাছে, এখন আর সহ্য করতে না পারলে চলবে কেন? মনে হচ্ছে, আমার বোধহয় মরে যাওয়াই উচিত। তাহলে এত কষ্ট, এত যন্ত্রণা কিছুই থাকবে না আর। আজ আমি কল্পনা করি কী, জানো, আমি যেন মরেই যাই! শুধু মৃত্যুর আগে যেন তোমার হাতটা ধরে একবার বলে যেতে পারি, ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি।

তোমার জন্য এখন দুঃচিন্তা হচ্ছে আমার। দুপুর হয়ে গেলো, তুমি একবারও অনলাইনে আসোনি। কাল রাতেও বারোটার পর অফলাইনে চলে গেছো। ভাবলাম, ঘুমিয়ে পড়েছো। এমন তো কর না তুমি কখনো! কী হয়েছে তোমার? ভাল আছো তো তুমি? আমার কিন্তু খুব টেনশন হচ্ছে তোমাকে নিয়ে। বাবুসোনা, কোথায় তুমি? কী করছো?

আর কিছু বলব না। ভুল বুঝো না। আর রেগে থেকো না আমার উপর। সরি।

আমি আজ থেকে আর কক্ষনো কোনোদিনও লিখবো না তোমাকে। একসময় লিখতাম নিজের জন্য, নিজের ভেতরে জমেথাকা কথাগুলো বলতে না পেরে লিখে ফেলতাম। শুধুই নিজেকে হালকা করার জন্য। সেটা আবার বোকার মত তোমাকে পড়তেও দিয়েছি। আমি আসলেই খুব বোকা। বোকা বলেই তোমাকে নিয়ে এতএত মিথ্যে স্বপ্ন দেখতাম। বোকা বলেই ভাবতাম, তুমি বোধহয় সব বুঝতে পারো। আসলে তুমি বুঝ না কিছুই। শুধু বোঝার ভান কর। তোমার কাছে মনের কোনো দাম নেই, ভালোবাসারও কোনো দাম নেই। আমি কি কখনো চেয়েছিলাম তোমাকে? দূর থেকেই তো ভালোবাসতে চেয়েছিলাম। মেনে নিচ্ছি, এটা আমারই ভুল—সবকিছু তোমাকে বলে দেয়াটা। কষ্ট দেয়ার সুযোগটা আমিই তোমাকে করে দিয়েছি। আজ সত্যিই বুঝতে পারছি, তুমি আসলেই মন বুঝ না, শরীরটাই বুঝ। আমি তোমায় সবসময় মিস করি, তোমার কাছে যেতে চাই, সেটা কি শুধু শরীরের টানেই? তোমার কি মনে হয় কেবল ওই ছোট্ট চাওয়াটাই ছিল তোমার কাছে? আমি শুধু কিছুটা সময় তোমাকে ছুঁয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। আর কিছু না। আমি কিন্তু সেদিন তোমাকে বলেছিলাম অন্য দিনের কথা। উইকেন্ডের কথা বলেছি পরে, শুধু তুমি অন্য সময় ব্যস্ত থাকো, সেজন্য। কথা ঘুরানোর তো কোনো প্রয়োজন নেই। কখনোই তো একবিন্দুও ভালোবাসোনি। ভালোবাসা ছাড়া স্পর্শ আর প্রস্টিটিউশন একই কথা। তাহলে আমিও কি তোমার কাছে তা-ই? আর ওই মেয়েগুলি? ওরা কী?

তোমাকে ছুঁয়ে থাকাটা আমার জন্য জরুরি না। কিন্তু ওই সুন্দরসুন্দর স্বপ্নগুলোতে কিছুতেই পচন ধরতে দিতে পারি না! তোমায় দূর থেকে ভালোবাসাটাই শান্তির, সুখের। তুমি ভালোবাসার দাম দিতে পারো না জানতাম, কিন্তু ভালোবাসার রঙটা যে বোঝোও না, সেটা জানতাম না। ভাগ্যিস, দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছি। নয়ত মরীচিকার পেছনে যে আর কতকাল ছুটে বেড়াতাম, কে জানে!

আমি তোমাকে ভালোবাসি, ভালোবাসবো। তবে আর তোমার কাছে গিয়ে নয়, দূরে থেকেই। যেমনটা আগে চেয়েছিলাম। তোমার মিথ্যে ‘ভালোবাসি’ কথাটা শুনতে আর যাবো না কখনো তোমার কাছে।

ভাল থেকো সবসময়।

ভালোবাসি!!!

জানো, একসময় চুপিচুপি ভাবতাম আমি একটা ঢঙ্গি বউ হবো। এই সখ আমার বহু পুরনো। সে আমায় জড়িয়ে ধরে না আনলে কাছে আসবোই না! এই ধরো, খুব ঝাল তরকারি খেয়েও সে বলতে বাধ্য থাকবে, তরকারি খুব ভাল হয়েছে, যাতে কান্নাকাটি না করি, সে ভয়ে। আরো অনেক কিছু ভাবতাম, যেগুলি বলা যাবে না। ও, আরেকটা বলি। মাঝেমাঝে কোনো একদিন ওর অফিসে যাওয়ার পোশাকটা ভিজিয়ে রাখবো, যাতে সেদিন সে আমার কাছেই থাকে। ও অফিসে যাবে না, আর পাঞ্জাবি পরে আমার সাথে ঘুরতে বের হবে। আমি পরবো শাড়ি। খুব মজা হবে না, বলো?

চুপ করেই থাকবে? রাগ করেছ? আইডিটা ডিঅ্যাকটিভ করে দিচ্ছি। আমায় মাফ করে দাও না! এই, শুন না! আমার খুব শরীর খারাপ। বুকের ভিতর কেমন জানি কষ্ট লাগছে। তোমাকে না দেখে কষ্ট পাচ্ছি বুকে। সর্দিও হয়েছে। অ্যাসিডিটি হল নাকি? ওষুধ খাবো না। মাথায় খুব কষ্ট হয়েহয়ে মাথা ঘুরে খাটে পড়ে গেছি। অস্থির লাগছে কেমন জানি। আমার জন্য কারো মায়া লাগে না, কষ্টও লাগে না। তুমি রোজই এই ম্যাওঁবাচ্চাটাকে বকা দাও। আমি সে কখন থেকে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। কেবলই কাঁদছি। কেবলই মনে হচ্ছে, কেউ আমায় একটুও বোঝে না। আমি সরি তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য। আমি চাই না কখনো কোনো কারণে তুমি কষ্ট পাও। আমার জন্য তো না-ই! ভালোবাসি, বাবু! তোমায় ভালোবাসি, বুঝিও। আমায় আর বকা দিয়ো না। আমার খুউব কষ্ট লাগছে। আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারি না! বলেছিলাম না, আমি একটা বেহায়া নির্লজ্জ! আচ্ছা, তুমি কখনো চলে যাবে আমাকে ফেলে? কখনো ভুলে যাবে? সত্যি করে বলো না! তুমি অন্য কোনো মেয়ের ওয়ালে গেলে আমার সহ্য হয় না! আমি কেমন যেন এত হিংসুটে হয়ে গেলাম! সরি, বাবু। তুমি ওইটা কি পোস্ট করলে? কী মিন করেছ ওটাতে?

এই যে আমি মাঝেমাঝে বলি যে তোমার কাছ থেকে দূরে সরে যাবো, কেন বলি, বুঝ তুমি? আমি কিন্তু কখনও তোমার উপর রাগ করে দূরে সরে যেতে চাইনি। আমার সব রাগ নিজের উপর। হয়ত যতটা বলবো, তার কিছুই বুঝতে পারবে না তুমি। মানুষ ড্রাগের প্রতি যেমন অ্যাডিকটেড হয়ে যায়, আমি তোমার প্রতি তেমন অ্যাডিকটেড হয়ে পড়েছি। একটা সেকেন্ড, প্রতিটা মুহূর্ত তোমার চিন্তা আমার মাথা ঘিরে থাকে, আমার মাথা থেকে তুমি কখনওই যাও না। শুধু চিন্তা না। তুমি বলেছিলে না যে বুকের ভেতর কষ্ট পাচ্ছ? ঠিক তেমনই। সারাক্ষণই সেই কষ্টটা! তোমাকে মিস করে কষ্ট পাই। তোমার অফিসটাইম কাজের জন্য, আর উইকেন্ড অন্য কারো জন্য। আমার জন্য পাঁচ মিনিট সময়ও পাও না তুমি। তুমি কেন আমার নও, সেটা ভেবে কষ্ট পাই, আর পেতেই থাকি। তুমি বলো না, কেন তুমি আমার হলে না? তোমাকে কেউ ‘ভালোবাসি’ বললে আমার সহ্য হয় না, তুমি কাউকে ভালোবাসলে আমার সহ্য হয় না। তুমি অন্য কাউকে আমার চেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দিলে আমার সহ্য হয় না। অথচ এসবই স্বাভাবিক, এখানে আমার কষ্ট পাওয়াটা আহাম্মকি! তুমি যে কেবলই স্বপ্ন দেখার জন্য, বাস্তবের জন্য না, এটা মেনে নিতে পারি না। তুমি যে আমার না এই জিনিসটা আমি মেনে নিতে পারি না। এই যে এতএত কষ্ট পাই, এর জন্য তো দায়ি আমি নিজেই। ভেবেছিলাম তোমার কাছ থেকে দূরে সরে গেলে এই ব্যাপারগুলো কমে যাবে। কিন্তু আমি তো পারছি না তোমার থেকে দূরে সরে যেতে! কিছুক্ষণও থাকতে পারি না, দম বন্ধ হয়ে আসে। বুকে এতটা কষ্ট জমে যায় যে নিঃশ্বাস নিতে পারি না। আজ অনেকক্ষণ কেঁদেছি। সেই দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা। এমনকি রাতেও, এতক্ষণ; এখনো কাঁদছি। এখন সকাল ছয়টা বাজে। আমি আজ এক মুহূর্তও ঘুমাতে পারিনি। কেঁদেই চলেছি। কিন্তু কেন কাঁদছি, সেটাই বুঝতে পারছি না। এত কষ্ট হচ্ছে কেন আমার? তুমি খুব যত্ন করে কষ্ট দিতে পারো। এই যে কাল রাত থেকে যে তোমাকে এতগুলো মেসেজ করলাম, তুমি একটারও রিপ্লাই তো দূরের কথা, সিনই করোনি। কী পরিমাণ কষ্ট লাগছে, জানো তুমি? তোমাকে বলেছিলাম না, তুমি আমাকে ভালোবেসো না? একটুও না! কেনইবা ভালোবাসবে? আমি তোমার কষ্ট সহ্য করতে পারি না, আবার এই অসহ্য যন্ত্রণাও নিতে পারছি না। তুমি এক কাজ করো না! আমাকে মেরে ফেলো। এভাবে তিলেতিলে মরার চেয়ে একেবারে মরে যাওয়াই তো অনেক ভাল। এভাবে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে তোমার হাতে মরে যাওয়াও শান্তির। আমি এভাবে পাগল হয়ে যাবো, সত্যিসত্যিই পাগল হয়ে যাবো। তুমি আসলে ধারণাই করতে পারবে না কতটা ভালোবাসি তোমাকে, কোনোদিনও না। কোনো একদিন হয়তো এমন কষ্ট পেতেপেতে টুপ করে মরেই যাবো।

অনেক পরিকল্পনা করেই উপরে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করেছিলাম। সব মোটামুটি ঠিকঠাক, রুমে এলাম বিষপান করবো বলে; যেখানে বিষের বোতল রেখেছিলাম, তার পাশেই যে মদের বোতল ছিল বুঝতে পারিনি। খুব টেনশন হচ্ছে, মনে হচ্ছে, যদি একটু বেঁচে থাকতে পারতাম! কিন্তু দেখ, খুব টেনশনে বিষের বদলে মদপান করেছি, আর পরে কী হলো, কে জানে! আমি হয়তো মাতালই, তাই মরার বদলে তোমার নেশায় মেতে আছি! কখনো দূরে যেয়ো না, আমি ভুল করলে বকা দিয়ো, তবু যেয়ো না। আমি তোমার কাছ থেকে দূরে গিয়ে থাকতে পারবো না। হয়তো মরে যাব, কিন্তু দূরে সরে থাকতে পারবো না। দূরে যাবো না, তবে বেশি কষ্ট দিলে মরে যাবো। তবুও ছেড়ে যাবো না। বাবু…..মিস ইউ! ম্যাওঁ! তুমি একটা ম্যাওঁবাচ্চা।

জানো, আমার এক বান্ধবী একটা কাণ্ড করেছে। ও একজনকে ইনবক্সে লিখে পাঠিয়েছিল যে ও সেই রাতে আত্মহত্যা করবে। উনি ব্যাপারটা খুব সিরিয়াসলি নিয়ে ওকে বাঁচানোর জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করতে শুরু করে দিলেন। তখন মধ্যরাত। উনার কাছে ওর নাম্বার ছিল না, ওকে ফেসবুকেও পাওয়া যাচ্ছিল না। উনি ওর চিন্তায় রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েন! অনেক লোককে ফোনটোন করে একটা তুঘলকি কাণ্ড বাধিয়ে দেন! উনি আমার বান্ধবীকে বাঁচাতে চাইছিলেন। তিনজন ওই মধ্যরাতেই রাস্তায় নেমে আমার বান্ধবীর বাসা খুঁজতে বের হয়ে গেলো। উদ্দেশ্য, ওর বাবা-মা’কে ব্যাপারটা জানিয়ে ওকে বাঁচানো। ওদিকে আমার বান্ধবী নাকডেকে ঘুমাচ্ছে! একসময় একজনের সহায়তায় উনি ওর নাম্বারটা যোগাড় করে ওর সাথে কথা বলে জানতে পারলেন যে ব্যাপারটা ফান ছিল। পরবর্তীতে জানা গেলো, একই মেসেজ ও আরো দুএকজনকে পাঠিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উনার মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে আমার বান্ধবী আমার বুদ্ধিতে উনাকে লিখে পাঠিয়েছে,

প্রিয় মানুষ, শ্রদ্ধা রইলো।

আমি সত্যি বলছি, আমি আপনাকে কখনোই হার্ট করতে চাইনি। ঐ রাতে যা কিছু হয়েছে, তার জন্য আমি সত্যি খুব দুঃখিত। আমার জন্য আপনাকে অনেক কষ্ট পেতে হলো। বিশ্বাস করুন, আমি কখনোই এটা চাইনি। আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দিন। প্লিজ, প্লিজ……প্লিজ!

একটা কথা বলি?

সেই রাতটা পুরো মুভির মতো লেগেছে। মুভির পার্শ্ব চরিত্রের নায়িকা মরে যাচ্ছিল, মহান নায়ক এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না, সময় এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের, তাই নায়ক নায়িকাকে ফোন করছে…….রিং হয়, কিন্তু নায়কের মোবাইলের ধাক্কায় নায়িকা কি সত্যি জেগে উঠবে!? নায়িকা ফোন রিসিভ করছে না………এদিকে নায়কের অবস্থা তুমুল……….তবে কি তাদের ভালোবাসা ভেসে যাবে? না, এটা হতেই পারে না!

স্রষ্টার সৃষ্টি নিষ্ঠুর কাজ করতে পারে, কিন্তু স্রষ্টা এতোটা নিষ্ঠুর কখনোই নন। তাই, পরম করুণাময়ের কৃপায় মহান নায়কের ভালোবাসায় নায়িকা অবশেষে একটা নতুন প্রাণ ফিরে পেলো।

ইয়ে মানে, খুব বেশি কথা বলে ফেলার একটা দুঃসাহস করে ফেললাম। কিছু মনে করবেন না। আমার উপর রাগ করবেন না আর, প্লিজ। আমাকে আপনি ক্ষমা না করলে স্রষ্টাও আমাকে ক্ষমা করবেন না। প্লিজ, আমি আসলেই খুব করে মাফ চাইছি। আপনি অনেক ভাল একজন মানুষ। আপনার এবং আপনাদের সবার অনেক অনেক অনেক মঙ্গল হোক। শুভ প্রার্থনা এবং ভালোবাসা সবসময় থাকবে।

মজার ব্যাপার, উনি সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছেন। কী লিখে পাঠিয়েছেন, জানো?

লাইফ ইজ নট অ্যা ফিল্ম। লাইফ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান দ্যাট। ইন অ্যা ফিল্ম ইউ ক্যান হ্যাভ অ্যা রেস্ক্যু-পয়েন্ট ইফ ইউ উইশ, ইন লাইফ ইউ ক্যান্ট হ্যাভ দ্যাট। টেক কেয়ার।

আমার বান্ধবী আমাকে উনার উত্তরটা দেখিয়েছে। আমি আবারো লিখে দিলাম,

আপনি প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন না! আমার সত্যি খুব খারাপ লাগছে! স্রষ্টা কখনো মানুষের খারাপ উইশকে পূরণ করেন না, এটা আমার বিশ্বাস। আমি সত্যি বলছি, এইরকম পাপের কথা জীবনেও চিন্তা করবো না, পাক্কা প্রমিজ। এইবারকার মতো মাফ করে দিন, প্লিইইইইজ!

ভাল করেছি না, বলো? আচ্ছা, তুমি তো একটা সিংহ! তবে আমার কাছে মিয়াঁও পাঠাও কেন? মিয়াঁও না করে সিংহের মতো গর্জন ছাড়ো! আমি বিড়াল ভালোবাসি, কিন্তু বিড়াল তো বিড়ালের মত, তোমার মত না। একটা কথা, বলেই ফেলি……কালো রঙের ড্রেসে কিন্তু তোমাকে অন্যরকম সুন্দর লাগে! হি হি হি। আমার কাছে তোমার আগের ডিজঅ্যাবল্ড হয়েযাওয়া আইডি’র কিছু ছবি আছে। লাগলে, বলো! পাঠিয়ে দেবো। তুমি কি রাগী? হুহ্‌! আমার তো তোমার রাগ খুব ভাল লাগে! ফেসবুকের এই বাচ্চাবাচ্চা মেয়েগুলো তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। তাই তোমাকে নিয়ে তারা এতো ভাবে। ওদের কিচ্ছু বলবে না, প্লিজ। কী কিউট, না? ভালোবাসার/পছন্দের মানুষকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা আমি খুব কম পছন্দ করি। তোমার অনেক খারাপ দিক থাকতেই পারে, তবু আমি তোমায় ভালোবাসি। তোমাকে চিনি এতদিন হয়ে গেলো। এই দীর্ঘ সময়ে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা কমেনি, বরং বেড়েছে। ভালোবাসার কারণ মাথায় রেখে যারা ভালোবাসে, একসময় কারণ ফুরানোর সাথেসাথে তাদের ভালোবাসাও ফুরিয়ে যায়। আচ্ছা, আমাকে তোমার বিরক্ত লাগে? ভালোই তো বেসেছি। তোমার কোনো ক্ষতি তো করিনি! তুমি কি জানো, কখনো-কখনো তুমি যাতে বকা দিতে না পারো, সে ভয়ে আমি তোমাকে মেসেঞ্জারে ব্লক করে রাখি? পরে নিজেই কাঁদতে-কাঁদতে শেষ হই! ছোট মামি বলছিল গতকাল বিকেলে, এই, তোর কী হয়েছে? তোকে এমন লাগছে কেন? বোঝো অবস্থা! তুমি আমার এমনই একজন, যার কথা আমি কাউকে বলতে পর্যন্ত পারি না! জানিই তো আমি তোমার দুই চোখের বিষ! কিন্তু কী আর করা, বলো……..আমি যে তোমাকে সত্যিসত্যি অনেক বেশি ভালোবাসি! চুপ করে থেকো না, প্লিজ! আচ্ছা, ভুল হয়ে গেছে। পিটনা দাও আমাকে! সরি তো! সবাই জানে, আমার ইগো অনেক বেশি। একমাত্র তুমি এ কথা জানোই না! কারণ, তোমার সামনে ইগো দেখানো আমার পক্ষে সম্ভব না।

তোমার এক বন্ধু, রক্তিম নাম, পাগল মনে হয়। তোমার ওয়াল থেকে আমাকে পিক করে টানা নক দিয়েই যাচ্ছে। বলছে, দেখা করতে, ছবি দেখাতে। আজই প্রথম কথা হচ্ছে উনার সাথে। তাও তোমার বন্ধু দেখে অ্যাড করলাম। কেমন লাগে, বলোতো? একটা স্বপ্ন দেখলাম একটু আগে। তুমি কবিতা লিখেছ আন্টিকে নিয়ে। মজার না? শোনো, কাঁচা লবণ খেয়ো না। পান্তাভাত কম করে খাও, অসুস্থ হয়ে যাবে। আমি কালকে বেশি খেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছি। কখনো আমি অনেক দিন পরপর তোমাকে দেখি, মানে তোমার ওয়ালে আসি। তুমি আর তোমার লেখা, দুইই আমার জন্য ক্ষতিকর! (নেশার বস্তু তো ক্ষতিকরই, তাই না?) বোঝোই তো তোমার প্রেমে পড়ার পর ছোট্ট পুরনো মানুষটা হঠাৎ এতো বড় হয়ে গেলাম……! আজ আমার একটু মনখারাপ, একটু হতাশ। তাই তোমাকে দেখলাম। ওষুধ গিলতে আমি বরাবরই অপছন্দ করি। অন্য কিছুতে রোগ ভাল হলে ওষুধের কী দরকার, বলো!

এই, তোমার মনে কি আছে তুমি যে আমায় একটা শাড়ি দিয়েছিলে! ভুলে গেছ? অবশ্য ভুলে যাওয়ারই কথা! কত কী মাথায় রাখতে হয় তোমাকে! আরে বাবা, ওই যে রাজশাহীতে অফিসের কাজে গিয়ে আমার জন্য আর মায়ের জন্য দুটো শাড়ি নিয়ে এলে। সবকিছু কেমন বেমালুম ভুলে যাও তুমি! আমি যেদিন তোমার সাথে দেখা করতে গেলাম, একটু আলাপ করেই তুমি শাড়ি দুটো নিয়ে এলে। আমায় বললে সবচেয়ে যেটা সুন্দর, সেটা বেছে নিতে। আমি শুধুই উল্টেপাল্টে দেখছিলাম। তুমি সবুজ জমিন খয়েরি পাড়ের শাড়িটা বের করে বললে, এটা তোমায় দারুণ মানাবে, জানো! আমি শুধু তোমার কথা ভেবেই এটা কিনেছি। আমি তোমার দিকে চেয়েই ছিলাম শুধু। তোমার দুচোখ জুড়ে উচ্ছলতা কাজ করছিল। আচ্ছা, তুমি কি আমার চোখেমুখে প্রশান্তি দেখেছিলে? জানো, শাড়িটা দিয়েছ প্রায় একবছর হতে চলল, এখনও কোথাও পরে যাইনি। কিন্তু কত কতবার যে গায়ে জড়িয়েছি! কেন জানি মনে হয় ওতে তোমার ছোঁয়া লেগে আছে। আমি ওতেও তোমার ঘ্রাণ পাই। এই, পাগল মিঁয়াও ভাববে না কিন্তু আমাকে। আমি শুধুই তোমার বোকা মিঁয়াও।

জানো, আমার খুব ইচ্ছে করে একদিন শাড়ি পরে তোমার নামে কপালে সিঁদুর দিয়ে তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে। আচ্ছা, তখন তুমি কী করবে? বলবে কি………আমার বোকা বাবুই পাখিটা শাড়ি পরেছে দেখছি………ওমা, আবার কপালে সিঁদুরও দিয়েছে! তুমি কি আলতো করে আমায় জড়িয়ে ধরবে? এই, তোমায় যে একবার বলেছিলাম, তোমাদের পুজোয় যে লালপেড়ে সাদাশাড়ি পরে, ওটা পরার না খুব সখ আমার! আমি একবার, শুধুমাত্র একবার তোমার জন্যে ওটা পরতে চাই, প্লিইইইজ! শাড়িতে আমায় দারুণ লাগে, সবাই তো বলে। আমাকে তুমি এত ভালোবাস কেন? আমি সাদামাটা থাকলেও তুমি হ্যাপি। কখনো তো সাজতেও বল না। এই, আমার বুঝি তোমার জন্যে সাজতে ইচ্ছে করে না?

আজকে স্বপ্নে দেখলাম, পার্লারে আমার চুল কেটে ফেলেছে সব! আমি তো কাঁদতে-কাঁদতে শেষ! তুমি বলেছ লম্বা চুল রাখতে, পরে ঘুম থেকে উঠে দেখি, চুল ঠিক আছে। একটা কথা বলি? আজকে বন্ধের দিন, তুমি কি কষ্ট করে চুলে অলিভ অয়েল দিয়ে রাখবে কিছুক্ষণ, তারপর শ্যাম্পু করবে, প্লিজ? এতে চুল আরও নরম হবে। এই…..মিয়াঁও! কী বলতে ইচ্ছে করছে, বললে না? আমাকে একেবারে ভুলে গেছো, না? তোমার লেখা পুরোটা পড়ে কী মনে হচ্ছে, বলব? কিছুই মনে হচ্ছে না। এমনি বলেছি। তোমার পোস্টের কমেন্টথ্রেড পড়ি আর কেবলই মনে হয়, তোমার সব বান্ধবীকে যদি এক নিমেষে ভ্যানিশ করে দেয়া যেত, কত ভাল হত! তোমাকে সারাদিনই মিস করতে থাকি। এটা একটা মস্ত বড় সমস্যা। সমাধান নেই, খুঁজে পাচ্ছি না। তুমি এর একটা সমাধান বলে দাও না! আমি মরে যাওয়া ভাল সমাধান, তাই না? ওটার জন্য দোয়া কর। আমি কি খুব খারাপ কিছু বলেছি? আমি বাজে বিড়াল, তাই। আচ্ছা যাও, এখন থেকে আর মিস করব না তোমাকে। মিয়াঁও। তুমি কি আমাকে বকা দিচ্ছ? কেন দিচ্ছ? তুমি আমাকে কষ্ট দিচ্ছ কেন? আচ্ছা, সরি। আমি আর উল্টাপাল্টা কথা বলব না। শোনো, তুমি নিজের যত্ন নিয়ো। তোমার কিছু হলে আমিও কিন্তু থাকব না। বলার জন্য বলছি না। সিরিয়াসলিই বলছি, দেখে নিয়ো। দেখার জন্য তুমিই থাকবে না, তবু বলছি, তুমি যেখানেই যাও, তার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে আমিও সেখানে পৌঁছে যাব। একা কোথাও ছাড়ছি না তোমাকে! এই, তুমি ফ্রি আছো কবে, বলো? আমি তোমার কাছে যাব। অনেক বিজি তুমি তাহলে। তোমার লেখা পড়লাম। তোমার লেখা পড়া মানেই নতুন করে তোমার প্রেমে পড়া। আমার না বেগুনি আর গাঢ় নীল রঙ খুব প্রিয়। তুমি বেগুনি টিশার্ট পরে যে ছবিটা দিলে, ওটা দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে। একদিন গাঢ় নীল পরো না, প্লিজ! দেখব, ডিপব্লুতে তোমায় কেমন দেখায়। ‘মেমসাহেব’ দেখছ, না? দেখো, পেটভরে দেখো। আমিও ক্রাশ খাচ্ছি পেটভরে। কার উপর, বলব না। আচ্ছা, তুমি এমন কেন? মেসেজ দিলে আনসার দাও না, ফোন দিলে সবসময়ই কেটে দাও, আর কখনো তো মেসেজ সিনই কর না। আমার খুব কষ্ট লাগে, প্রচণ্ড খারাপ লাগে। শোনো, আমি পাগল, পাজি, ঝগড়াটে……সব মানছি। কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। তোমাকে তো আমি সারাদিন বা সারারাত কথা বলতে বলছি না, তুমি অনেক বিজি থাকো, আমি তাও জানি। তোমাকে অনেক পরিশ্রম করে লিখতে হয়, সেটাও বুঝি, তবুও সামান্য কিছু সময়ও কি আমি আমার ভালোবাসার মানুষটার কাছে চাইতে পারি না? নাকি সে অধিকারও আমার নেই? আমি তো তোমার কাছে আর কিছুই চাই না, কখনো চাইবোও না।

কিছু কথা বলি। অনেক দিন ধরেই বলব-বলব ভেবেও বলতে পারিনি। ভেবেছিলাম যে ওইদিকে, মানে উত্তরাঞ্চলের দিকে আর কখনো পা রাখব না। জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময় ওখানে কাটিয়েছিলাম। অনেক স্মৃতি মিশে আছে ওখানের সাথে। আমার টিনএজের, আমার বন্ধুদের সাথে, আমার প্রথম ভালোবাসার বেদনা, আমার ব্যর্থতার, আমার পরিণত হওয়ার একেকটি দিন, সুখ, দুঃখ, আনন্দ, ব্যথা, সবকিছুই! তুমি আমার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানো না, তাই তুমি আমার এ অনুভূতি বুঝবেও না। ওদিকের বাতাসটা আমার অনেক বেশিই পরিচিত। তোমার সাথে দেখা করব, মনে হলেই ভাবি, হয়ত ওই বাতাসটা এসে আবার সেই পুরনো কথাগুলি মনে করিয়ে দেবে। তুমি আসতে বললে তোমার কাছে। আমি কিছুই বলিনি। তোমার জন্য আমি পৃথিবীর ওই প্রান্তেও চলে যেতে পারি অনায়াসেই। তোমার প্রতি আমার যে ভালোবাসা, তাতে কোনো খাদ নেই, তারপরও কেবল স্মৃতি আক্রান্ত হওয়ার ভয়েই কিছু বলতে পারিনি, ফেলেআসা জীবনের ঘ্রাণ গায়ে মাখানোর ভয়টা কাটানো সহজ নয়। তোমার জন্য সবকিছু ফেলে ছুটে যেতে পারি, যখন যেখানে তুমি চাও। এটা তুমি এখনো বুঝতেই পারোনি, কিংবা হয়ত তোমার মনে সংশয় হয়, মেয়েটা আমায় সত্যি ভালোবাসে না, এমনিই এসব বলতে থাকে সারাদিন। কী যে ভাবো না তুমি! এমনিই বলে ফেলব—ভালোবাসি! এত সহজ! ভালোবাসাহীনতার ভিড়ে সত্যিকারের ভালোবাসাও মিথ্যে মনে হয়, তাই না? প্রেমে তো আগেও একবার পড়েছিলাম, তাই বলে কি তোমার সব দিয়ে, সব ছেড়ে ভালোবাসতে পারব না? কষ্ট হয় অনেক। তোমাকে তো সব কিছু বলতেও পারি না। তুমি হয়ত জানতেও চাও না, তাই না? কী-ইবা হবে জেনে? কী-ইবা হবে বুঝে? স্বাভাবিক। খুবই বাজেভাবে ফেঁসে গেছি তোমার প্রেমে পড়ে! তোমার একটুখানিও কষ্ট হলে আমার কেমন যে লাগে, যদি বুঝতে! কিছু বলতে গেলেও ভয় হয় এই ভেবে যে যদি আমার কথা শুনে তোমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়! দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তুমি কোনো যোগাযোগই কর না। কেমন যে লাগে, বুঝতেও পারো না। মেয়ে হয়ে তো জন্মাওনি, মেয়েদের হৃদয়ের যন্ত্রণা বুঝবে কীকরে? যাকে এখনো পেলামই না, তাকেই হারানোর ভয়ে অস্থির হয়ে থাকি। হাস্যকর না? তোমাকে কখনো কোনো কিছু বলতে তো আর পারব না, তাই এত কিছু লিখে ফেলি। উল্টাপাল্টা কিছু লিখলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দিয়ো। আমার ভালোবাসার এই আঘাতের জন্য আমি সরি।

আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না কোনো দিনও, বাবুসোনা। সত্যিই থাকতে পারবো না। এমনভাবে দূরে থেকে হলেও তোমার ছায়াটা যেন দেখতে পাই, প্লিজ। প্লিজ প্লিজ প্লিজ, দূরে সরে যেয়ো না কখনো! আই লাভ ইউ মোর দ্যান মাই লাইফ, আই লাভ ইউ মোর দ্যান এভরিথিং।

কেমন আছো তুমি? কী কর? তুমি তো ব্যস্ত মানুষ। সারাদিন কাজ, কাজ আর কাজ। কাল তুমি ভোর ৫টারও পরে ঘুমিয়েছো। এভাবে চললে হবে, বাবু? শরীর খারাপ করবে না? মুভিগুলো কি পালিয়ে যাচ্ছে নাকি? নিজের দিকে তো একটু যত্ন নিতে হবে, নাকি? একাএকা থাকো, নিজের যত্নটা নিজে না নিলে আর কে নেবে, বলো? তোমাকে নিয়ে অনেক চিন্তা হয় আমার। কিন্তু তোমাকে বলি না। তুমি তো আর কারো কথা শুনবে না, নিজেই নিজের মত করে চলবে। বলে কী লাভ! যদি তোমার সাথেই থাকতে পারতাম, তাহলে আর কোনো চিন্তা ছিল না, তোমার যত্নটা আমিই নিতে পারতাম। কিন্তু সেটা তো আর হচ্ছে না। তুমি তো অনেক অনেক দূরে। আচ্ছা, কাল যে তোমাকে বললাম, আমাকে কখনো দূরে সরিয়ে দিয়ো না, তুমি কী সুন্দর করে বললে, দেবো না! আমি কি কখনো তোমার কাছে ছিলাম যে নতুন করে দূরে সরিয়ে দিতে পারবে? আমি তো দূরেই আছি। সবসময় দূরেই ছিলাম। তুমি কি জানো, প্রতিটা মেয়ে কল্পনায় নিজের মনের মত একজন রাজপুত্রের ছবি এঁকে রাখে? তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, অথচ ঠিকই জানে, এমন কারো অস্তিত্বই নেই। আমার কেন যেন মনে হয় আমার কল্পনার সেই মানুষটা তুমি। তুমি মানুষটা এতটা পারফেক্ট কেন? ৯৯% পারফেক্ট, একেবারে আমি যেমন ভাবতাম তেমন। ১% বাদ দিয়ে। সেটা কেন, বলবো না তোমাকে। তবে আমার সেই স্বপ্নের রাজপুত্রটাও ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে, তুমিও তা-ই।

তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আর গুরুত্বপূর্ন অংশ। তুমি আমার জীবনে আসার আগে আমার জীবনটাই কেমন জানি অসম্পূর্ণ ছিল। বুঝতেই পারিনি যে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটা এখনো আমার জীবনে আসেইনি। যদিও এখন আছো তুমি, তবুও তো দূরেদূরেই থাকো। তুমি কি বুঝতে পারো না, তোমাকে আমি কী পরিমাণ মিস করি? নাকি বুঝতে পেরেও না বোঝার ভানটাই কর? তোমার তো সারাক্ষণই চিন্তা, এ কী ভাববে, সে কী ভাববে? আমার সারাক্ষণ অস্থির লাগে তোমার জন্য, মনে হয়, একছুটে তোমার কাছে চলে যাই। কিন্তু সেই রাস্তা তো বন্ধ। পারি না। তুমি শুধু ব্যস্ত, ব্যস্ত, ব্যস্ত, আর ব্যস্ত!

যখন আমি তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হলেই লিখতাম, তখনই ভাল ছিল। মনে যা আসতো, তা-ই লিখতাম। লিখতাম শুধু লিখার জন্যই, পড়ার জন্য না। এখন সব কিছু লিখতে পারি না। অনেক কিছুই লিখতে গেলে মনে হয়, এটা লিখলে তো তুমি পড়ে ফেলবে! ইস্, কী লজ্জা! ভয়েই আর লিখি না। আবার অনেক কথা মনে আসলেও লিখতে পারি না কোনো কারণ ছাড়াই। কিছুকিছু অনুভূতি তো নিজের মধ্যে থাকাটাও জরুরি, তাই নয় কি?

মাঝেমাঝে মনে হয়, আমি বোধহয় তোমাকে খুব বেশি জ্বালাতন করে ফেলছি। হয়ত অতিরিক্ত বাড়াবাড়িও করছি। আমার এই বাড়াবাড়ি তুমি সহ্য করবেইবা কেন! তখন ভাবি, নাহ্ ঠিক হচ্ছে না তোমাকে এভাবে বিরক্ত করা! যদি বেশি বিরক্ত হয়ে ব্লক করে দাও! তুমি তো বিরক্ত হলেও কিছু বলও না। জানো, নিজেনিজে কতবার ঠিক করেছি তোমাকে আর বিরক্ত করবো না। দূরে সরে যাবো। কিন্তু একদিনও থাকতে পারি না। দম বন্ধ হয়ে আসে। মনে হয়, তুমি না থাকার চেয়ে বোধহয় মরে যাওয়াই সহজ। আমি সারাক্ষণই অস্থির হয়ে থাকি তোমার একটা কথার জন্য, তোমায় একনজর দেখার জন্য। এ অস্থিরতা কীসের জন্য? তুমি বলতে পারো আমায়?

আমি তোমাকে সবসময়ই ভালোবেসে যাবো, বাবুসোনা, তুমি কাছে থাকো কিবা দূরে। প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত আগের চেয়ে বেশি ভালোবেসে যাবো। যদি কখনো এমন হয় যে, সব ছেড়ে চলে গেছি বহু দূরে, আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছি, সেখান থেকেই তোমাকে বলবো—ভালোবাসি, ভালোবাসি। যেখানেই যাই, যেভাবেই থাকি, কাছে না থাকলেও দূর থেকে ধ্বনি তুলবো—ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি। দূর থেকে শুনবে আমার কণ্ঠস্বর, বুঝবে, আমি আছি, ভালোবাসি, ভালোবাসি। (এই অংশটা কিন্তু কপি করে শুধু একটু চেঞ্জ করেছি। বুঝতে পারছো নিশ্চয়ই কোন কবিতার কথা বলছি!)

আমার তুলতুল সোনাটা, ভালোবাসি তোমায়, খুব ভালোবাসি। যে কারণেই হোক, আমার কথা যে তোমার কখনো মনে পড়ে, এটাই আমার বড় সৌভাগ্য। সত্যিই পড়ে শুনে অনেক অনেক ভাল লাগছে। তোমাকে জাপটে ধরে পাপ্পি দিতে ইচ্ছে করছে। উম্মাহ্…..আমার তুলতুল সোনাটা। যত লক্ষ-কোটিবারই তোমাকে বলি না কেন ভালোবাসি, তবুও পুরোপুরি বলা হবে না কতটা ভালোবাসি। এই, তুমি তো আমাকে নাকি মিথ্যে বল না! এই যে বল, ভালোবাসি, এটাও সত্যি? সত্যি ভালোবাসো আমাকে? তুমি ‘ভালোবাসি’ লিখে যে টেক্সটটা দিয়েছ, এতক্ষণ ধরে তাকিয়ে ছিলাম তোমার মেসেজটার দিকে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে চাইছিলাম যে ঠিকই দেখছি! মনে হচ্ছে, আর কিছুই চাই না জীবনে। তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসবে না জেনেই তোমাকে ভালোবেসেছি। সেখানে তোমার একবিন্দু ভালোবাসাও আমার জন্য স্বর্গ হাতে পাওয়া।

তোমার প্রেমে পড়েছি আস্তেআস্তে নয়, একেবারেই ধুপ করেই! হিহিহি। খুব মজা পাচ্ছো, না? “দামি কোনো জিনিস পেতে গেলে দামি জিনিসই ছাড়তে হয়।” রোকেয়ার ‘পদ্মরাগ’এর একটা লাইন। পড়েছো? তোমার কথার সাথে মিলে গেল। বাবুসোনাটা, কী কর তুমি? আর কতদিন এভাবে দূরেদূরে রাখবে আমাকে? আর কতটা পাগল বানাতে চাও আমাকে? পাগল তো হয়েই গেছি। একটু জায়গা দাও না তোমার বুকের মাঝে! বেশি জায়গা নেবো না। একটুখানি জায়গার মাঝেই গুটিসুটি মেরে থাকবো। ম্যাঁওবাচ্চার মত। হিহিহি। দেবে একটু জায়গা? তুমি কি জানো, আমি সত্যিসত্যিই তোমার জন্য পাগলপাগল হয়ে গেছি। আমার অস্তিত্বে আর আমি নেই, পুরোটাই তুমি দখল করে নিয়েছো। সারাক্ষণ ইচ্ছে করে তোমাকে জড়িয়ে ধরে থাকি। তোমার বুকের সাথে মিশে থাকি। তোমার এত কাছে থাকি যেন তোমার হার্টবিটের শব্দ শুনতে পারি। একদিন তোমার একটা পোস্টের কমেন্টে বলেছিলাম, “প্রতিটা মানুষের জন্যই একজন পারফেক্ট মানুষ থাকে। হয়ত মন তাকে চিনতেই পারে না, নয়ত সে আসে অনেক দেরিতে, যখন তাকে আর পাওয়া সম্ভব হয় না।” তুমি ওখানে রিপ্লাই করেছিলে, “অমন কিছু হয় বলে আমার জানা নেই। আপনি কখনো এমন উদাহরণ পেলে জানাবেন।” এ ধরনেরই কিছু একটা। পুরোপুরি ভালভাবে মনে নেই। সেখানে তোমার অন্য ফ্যান-ফলোয়াররা আমাকে ইচ্ছেমত ড্রাইওয়াশ করে দিয়েছে। মাথামোটা, বেশি বুঝেন, না বুঝে কমেন্ট করেন কেন, কই থেকে আসে এগুলা……..আরো অনেক অনেক অনেক কথা………যেন নিজেরা কী একেবারে বুঝে ফেলেছে, আমি কিচ্ছু বুঝি না। যেন তোমার কথার বিপরীত কিছু বলে মহাঅন্যায় করে ফেলেছিলাম। আমি পরে কমেন্টটা ডিলিট করে দিয়েছিলাম। তবে আমি কিন্তু ভুল বলিনি। তুমি সেদিন তার একটা উদাহরণ দেখতে চেয়েছিলে। আমি আজ সেই উদাহরণটা দিচ্ছি। এই যে তুমি নিজেই তার একটা উদাহরণ। তুমিই তো আমার জন্য মিস্টার পারফেক্ট। তোমাকে তো কতবার বলেছিও। কিন্তু তোমাকে পাওয়া সম্ভব না। কী? পেলে উদাহরণ? তবে একটা কথা, তুমি যখন কোনো পোস্ট কর, যা-ই লিখ না কেন, বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। জানি, তুমি সব ঠিকই বল, লিখ। কিন্তু আমার তার উল্টো কথাটা কমেন্ট করতে ইচ্ছে করে, যাতে তুমি রেগে যাও। রেগে গিয়ে ঝগড়া কর আমার সাথে। কিন্তু কই? কোনো দিনও ঝগড়া করলে না! তোমার সাথে ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে। কী নিয়ে করা যায়, বলোতো? তুমি তো সব কিছুই পারো? এইটাও কি পারো? হিহিহি!! (বিশেষ জরুরি একটা কথা বলি। তোমার অন্ধ ফ্যানরাই তোমার বিপদ ডেকে আনবে। ওরা বুঝে বিপদ ডাকবে না, না বুঝেই ডাকবে। একটু সাবধানে থেকো।)

শোনো, আমার কথা বাদ দাও। আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না। তুমি তোমার গার্লফ্রেন্ডকে (বা -দের) সময় দাও। আমি কিছুই মনে করবো না, কোনো প্রবলেম নাই। বাসায় যাব আজ। ঈদের পর আসবো একেবারে। ভাল থেকো।

তুলতুল সোনা, কেমন আছো? আচ্ছা, সত্যি করে বলোতো, তুমি কি আমার উপর খুব রেগে আছো? এখনো? তোমাকে খুব লিখতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু পারছিলাম না। অনুভূতিগুলো কেমন যেন বাধা পাচ্ছিল। মনে হচ্ছে, তোমাকে ভালোবাসার অধিকারটুকু বুঝি হারিয়ে ফেলেছি। তোমার জন্য প্রচণ্ড কষ্ট জমে যাচ্ছে বুকে, তবুও ভালোবাসি বলতে পারছি না। যেন ধীরেধীরে সরে যাচ্ছ তুমি দূর থেকে দূরে, বহুদূরে। শুধু চেয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই আমার। তোমায় ছুঁতে চাওয়াটা আমার জন্য ধৃষ্টতা। সত্যিই কিন্তু! ভীষণ ভালোবাসি তোমায়, কিন্তু সেটা তোমাকে বলার সাহসটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। সারাটা দিন তোমাকে মিস করলেও, তোমার জন্য অস্থির লাগলেও একটাবার তোমায় বলতে পারি না কতটা মিস করি! এমন যদি হতো, তুমি কখনো জানতেই পারতে না ভালোবাসি তোমায়! ইচ্ছেমত যেভাবে খুশি সেভাবেই ভালোবাসতে পারতাম তোমায়। কখনো কষ্ট পেতাম না, কখনো ভুল বোঝার সুযোগ থাকতো না, কোনো ভয়, কোনো দুর্বলতা, কিছুই থাকতো না। আমি কেন তোমায় সবকিছু বলে দিলাম! খুব আফসোস হচ্ছে, জানো? হঠাৎ করেই যেন বুঝতে পেরে গেছি, তোমার জন্য কতটা কষ্ট পেতে পারি আমি! আমি আবার এই কষ্টটা পেতে ভয় পাচ্ছি। কিন্তু এও জানি, ভয় পেয়ে লাভ নেই, পেতেই হবে। ভালোবাসলে যে কষ্ট দিয়েই তার মূল্য চুকিয়ে দিতে হয়! তবে তোমায় কথা দিতে পারি, এই পাগলামিগুলো হয়ত আর করবো না।

আমি কারো সাথে রাগ করলে প্রথমেই ফোন থেকে তার সব ছবি ডিলিট করে দেই, তারপর তার সব মেসেজ ডিলিট করি, এরপর কন্টাক্ট নাম্বার। সেদিন সারারাত ঘুমাইনি, তোমার ছবির দিকে তাকিয়েছিলাম একনজরে। খুব অসহায় লাগছিল। সেদিন একবার বলেছিলাম না যে, তোমাকে ইদানিং আমার খুব আপনআপন লাগে? আপন মানুষ কষ্ট দিলে কষ্টটা শতগুণ বেশি লাগে। তাই তার পরের দিন তোমারও সব ছবি ডিলিট করে দিয়েছিলাম। যেন আর তোমায় দেখেদেখে কষ্ট না পাই। এখন মনে হচ্ছে কী বোকামিটাই না করেছি! কষ্ট পাওয়ার মত কিছুই হয়নি। তুমি তো আর কখনো আমার ছিলে না, এখনো নেই, আর কোনো দিন হবেও না। তাছাড়াও আরো কিছু কথা থেকে যায়, তোমায় না বলতে পারলেও বুঝতে পারছি।

তোমার গায়ের ঘ্রাণটা আমায় খুব টানে, জানো? একটা মাতাল আবেশ তৈরি করে। শুধু অতটুকুই যদি পেতাম, তাহলেও অনেক বেশি কিছু পাওয়া হয়ে যেত! কথা দিচ্ছি তোমায়, ভালোবাসি, কিন্তু এর জন্য কোনো অনধিকার চর্চা করবো না। কোনো পাগলামি আর কোনো ধৃষ্টতাও করবো না। দরকার হলে তোমায় ভালোবাসি, মিস করি, এই কথাটাই বলবো না আর। আসলে আমি কোনো কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে, তোমায় খুব বেশিই কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।

বাবু, ঘুমাওনি এখনো? এই, তোমার ছবি দিবে? দেখবো……তোমার ফোনে তোমার যতগুলো ছবি আছে সব দাও, আমি সারাদিন বসেবসে দেখবো, যাতে শেষ না হয়! দিবে না? কোথায় তুমি? একেবারেই ভুলে গেছো। মিয়াঁওওওওওওওওও! অনেক ব্যস্ত, না? আমার সারাদিনই তোমাকে মনে পড়ে। মনে করতে চাই না, তবুও মনে পড়ে। খুব মিস করি, বাবুটাকে। ভালোবাসি……তুমি জর্দার কৌটা পাশে নিয়ে কী কর? তোমার পানখাওয়া একটা ছবি দিয়ো তো! সরি। এমনিই বলছি। ছবিটাতে তোমাকে খুব কিউট লাগছিল, তাই সেভ করে রাখছিলাম। আমি তোমাকে ভুলতে পারি না কিছুতেই। বেশিবেশি বিরক্ত করে ফেলি দেখে নিজের কাছেই খারাপ লাগে। তাই চুপ করে থাকি কখনো, কিন্তু ঠিকই ফলো করি সারাদিনই। তুমি তো ভুলে গেছো একেবারে। এই, তুমি কোথায়? আচ্ছা বাবা, সরি, ভুল বোঝার জন্য। তোমার কাছে আমার কোনো দাম নাই, তাই না? আমি বাদে তুমি পৃথিবীর সবাইকেই বেশি প্রায়োরিটি দাও। আমার যখন কোনো দামই নাই, তখন আর কী দরকার! ভাল থাকো! আমি মরে গেলেও আর কোনো দিনও তোমার কাছে যাবো না। একদম প্রমিজ! হ্যাপি? তুমি আমাকে আর কোনো মেসেজ দিবে না। তুমি তো আর আমাকে ব্লক করে দিবে না, তাই আমিই দিচ্ছি। ভাল থাকো। তুমি আর তোমার গার্লফ্রেন্ডরা সবাই। এতদিন মিথ্যামিথ্যা নাটক করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শিক্ষা হয়ে গেছে আমার। এখন আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে, না? বারবার ওর জন্য আমাকে অপমান করছো, বারবার ওর জন্য আমাকে অ্যাভয়েড করছো। সে কে, তুমি জানো। না বোঝার ন্যাকামি কোরো না। কী ভেবেছো আমাকে? বেহায়ামি করি বলে ইচ্ছেমত অপমান করতে পারো তুমি? আমাকে কি পশু জাতীয় কিছু মনে হয়? আজ আর ঘুম আসবে না। কালকের দিনটা যদি কখনোই আমার জীবনে না আসতো, খুব ভাল হত। এর চেয়ে খুশি আর কোনো কিছুতে হতে পারতাম না। তুমি ওকে আদর করবে, জড়িয়ে ধরে থাকবে, তাও আমাকে অ্যাভয়েড করে। আমি মেনে নিতে পারছি না। একটুও না। আমি সত্যিই খুব কষ্ট পাচ্ছি। তুমি যে একটুও বুঝতে পারছো না, সেটাও বুঝতে পারছি। আমি অযথাই তোমাকে এসব বলেবলে যাচ্ছি। সরি সরি সরি সরি। তুমি এক কাজ করো না, আমাকে ব্লক করে দাও। নয়ত এমন উল্টাপাল্টা কথা বলেই যাবো। দাও না, প্লিইইজ!

আমি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। কতটা, তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। জীবন্ত শরীরে আগুন লাগিয়ে দিলে যতটা কষ্ট হয়, তার চেয়েও বেশি। চিতার আগুন তো দেখেছো তো, নাকি? তোমার ‘চিতায় বসবাস’ লেখায় মেয়েটা যতটা কষ্টে ছিল বিয়ে করে, আমি বিয়ে না করে, এমন-কী তোমায় না পেয়েও ততটাই কষ্ট পাচ্ছি। যদি ওষুধ খেয়ে ঘুমানো পসিবল হতো, তাহলে খুব ভাল হতো। টানা ৪-৫ দিন ঘুমাতাম। কিন্তু আমার তো ঘুমের ওষুধেও কাজ হয় না! তোমাকে আমি রোজ বলতাম, বাবু, তোমার কাছে খুব যেতে ইচ্ছে করছে, রোজ বলতাম, খুব মিস করছি তোমাকে। গত সপ্তাহে তুমি আমাকে ইগনোর করেছো, রবিবার যেতে চেয়েছি, তাও মানা করে দিয়েছো। কতদিন আগে থেকে তোমাকে বলে আসছি, এই উইকেন্ডে তুমি ফ্রি নাকি? তুমি বলেছো, ফ্রি। তারপর তুমি আমায় সময় দিলে না, কোথায় ঘুরতে চলে গেলে! এতদিন থেকে আমি এত করে বলে যাচ্ছি, আমার কথার কোনো গুরুত্বই দিলে না। এরপরও বলবে আমাকে অ্যাভয়েড করে অন্য কাউকে সময় দাওনি? ওকে কথা দিয়ে মানা করলে ও কষ্ট পাবে, আর আমাকে মানা করলে আমি কষ্ট পাই না? তুমি শুধু ওর কষ্টটাই দেখলে। মানলাম, আমাকে তোমার ভাল লাগে না, কিন্তু আমার ইমোশন আর কষ্টেরও কি কোনো দাম নাই তোমার কাছে? এত নিষ্ঠুর কেন তুমি? তুমিই আমাকে এতটা প্রশ্রয় দিয়েছো কিন্তু! তুমি জানো না, শুধুমাত্র তোমাকে একনজর দেখার জন্য প্রতিটা মুহূর্ত কেমন করে কাটছে আমার। এতটাই বেশি ভালোবাসো ওকে? আমার এতটা কষ্টও এতটুকু ছুঁতে পারছে না তোমাকে?

আমি কাল পর্যন্ত ভেবেছিলাম, আমি না থাকলে অথবা দূরে সরে গেলে হয়ত একটু মনে থাকবে তোমার আমার কথা। কিন্তু আমি যে সত্যিই কতটা বোকা, আজই বুঝতে পারছি। আমি যে তোমার কাছে রাস্তার আর দশটা মানুষের মতই, বুঝতে পারিনি। নয়ত এমন পাগলের মত হয়ে যেতাম না তোমার জন্য। আমার চোখে জল ঝরিয়ে, আমাকে কষ্ট দিয়ে আদর করো ওকে। ও-ই তো তোমার সব, আমি কে? জাস্ট অ্যা নোবডি! যার কাছে আপনার কোন মূল্যই নেই, তার জন্য দম বন্ধ হয়ে মরে যাওয়ার কোনো মানেই নেই।—তুমিই তো বলেছিলে, তাই না? আমি আজ থেকে চেষ্টা করবো তোমাকে ভুলে যেতে। তোমার থেকে দূরে গিয়ে বাঁচতে। তোমার দেয়া কষ্টগুলো ইগনোর করতে। তোমাকে ভালোবাসার তো অনেক মানুষ আছে। আমার মত নগণ্য কারো ভালোবাসায় তোমার কিছু যায় আসবে না, সে যতই বেশি হোক না কেন! ভালোবাসার বিনিময়ে সবসময় কষ্টই পেতে হয়।

ভোর ভেঙে সকাল হল। তুমি হয়ত একটু পর ঘুম থেকে উঠবে, আর আমি এখনো ঘুমাতেই পারছি না। ধরে নাও, আজ আমি হারিয়ে যাচ্ছি চিরতরে। হয়ত তুমি ভুলে যাবে আমায়। কিন্তু আমি তো পারবো না তোমাকে ভুলতে। রক্তের সাথে মিশে আছো তুমি। দূরে থাকবো, কিন্তু তবুও ভালোবাসবো। ভালোবাসি, ভাল থেকো। তুমি আমাকে এত কষ্ট কেন দিচ্ছ? আচ্ছা, বাদ দাও। কিছু বলবো না আর। কেন এত কষ্ট পাচ্ছি, বুঝবে না তুমি। একটা কথা। তোমার কি মনে আছে আমার বার্থডে কবে? প্রথম দিন তুমি খেতেখেতে দুষ্টুমি করে বলছিলে, আমি তোমার পাঁচ মাসের বড়, তাই সম্পর্কে বড়আপু হই। মনে আছে এই কথাটা? হয়ত মনে নাই। আমার মনে আছে। তোমার কিছু মনে থাকে না। নাহ্‌, ভুল বললাম। তোমার আমার কিছুই মনে থাকে না। এইবার ঠিক আছে। শুভ সকাল, বাবু। ভালোবাসি।

আমাকে রেস্ট নিতে বল কেন? ওকে আদর কর আর আমাকে রেস্ট নিতে বল, না? একরাতেই কেমন অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কাল, পরশু, তারপর……কীভাবে থাকবো? চেষ্টা তো করেই যাচ্ছি নিজেকে কন্ট্রোল করার। না পারলে কী করবো? কষ্ট কি ইচ্ছে করে পাচ্ছি? এ-ই তো খুব ভাল হলো, বলো? আমার লিমিটটা বুঝতে পারলাম। আর কখনো অসম্ভব স্বপ্নগুলো তোমাকে নিয়ে দেখা হবে না। আর তুমি আমাকে তো ভালোবাসো না, বাবু। এই মিথ্যে কথাটা আর কখনো বলবে না আমাকে। আমার কথাগুলি শুনে বকা মনে হচ্ছে তোমার? কোনটা বকা মনে হচ্ছে তোমার? আচ্ছা যাও, ডিস্টার্ব করবো না আর তোমাদের। তুমি কি একটা জিনিস খেয়াল করেছ? তুমি গত কয়েকদিন ধরে তোমার ম্যাওঁবাচ্চাটাকে সমানে কাঁদাচ্ছ। গত কয়েকদিন থেকে তুমি আমাকে ইচ্ছেমত কষ্ট দিচ্ছ। দিচ্ছ না? তুমি সত্যিই কি কিছুই বুঝতে পারছো না? আমি হয়ত খুব ওভাররিঅ্যাক্ট করছি আর তোমাকে বকছি। আমি জানি, তোমার অনেক বান্ধবী আছে। সেটা কথা না। কিন্তু তুমি তো আমাকে ইগনোর করে, আমাকে অ্যাভয়েড করে, অন্য কাউকে বেশি প্রায়োরিটি দিচ্ছ। আমি বলছি না, কারো সাথে তুমি শুলেই আমার প্রতি তোমার সব ভালোবাসা শেষ হয়ে গেল। কারো সাথে শোয়া আর কাউকে ভালোবাসা, দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। একটা ছেলে কারো সাথে শুলে ভালোবাসা বাড়েও না, কমেও না। আমি তোমার প্রেমে থাকতে চাইছি, কামে নয়। কামে তুমি যাকে খুশি, রাখো; দোহাই তোমার, ওকে কখনো প্রেমে রেখো না। আমি বলছি, আমাকে তুমি ভালোবাসোই না। আমি আসলে তোমার কে, বলোতো? প্রেমিকা? তবে ও কে? আরেকটা প্রেমিকা? আচ্ছা, বাদ দাও। আমি আর এটা নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। অনবরত বকেই যাচ্ছি। আমি হয়ত পাগল হয়ে গেছি। তুমি আসলে কাকে ভালোবাসো? নাকি কাউকেই বাসো না? আমি জানি, তোমার এমন বকাঝকা অসহ্য লাগে। তুমি কাউকে পেইন দাও-ও না, নাও-ও না। এটা তোমার স্বভাব। কিছু মনে কোরো না। আমি সত্য কথা বললাম। আমাক ক্ষমা করে দাও। আমার জীবনটাই গেছে কষ্ট পেয়েপেয়ে। আমি হয়ত কারো সাথেই শেয়ার করি না। কিন্তু অনেক বেশি আফসোস আর আঘাত আমার জীবনে। আমিও তোমার মত ঝামেলা, যন্ত্রণা নিতে পারি না। তুমি আমাকে এগুলোর মধ্য দিয়ে নিচ্ছ, এটা আমাকে মানসিকভাবে খুব বেশি টর্চার করছে। প্লিজ, আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি আসলে অনেক দুঃখী একজন মানুষ। অবুঝের মতই করছি। আমার কষ্ট আমি কাউকেই বুঝতে দিই না। আমি লুকিয়ে কাঁদি। হয়ত এটা তুমি জানো না। আমার এসব বলতে লজ্জা করছে। ভাল লাগছে না। সরি, বাবু। আমি কাউকে এসব বলতে ঘৃণা করি। এখন নিজেকে ঘৃণ্য মনে হচ্ছে। আমি বুঝিনি তোমাকে ভালোবেসে ফেলে আমার কষ্ট এতটা বেড়ে যাবে। প্লিজ, মাফ করে দাও। আর বলবো না এসব। বাবুসোনা, সরি…..এই……..

আমি ভাল আছি। কোনো সমস্যা নেই। কষ্ট পেয়ো না, প্লিজ। দরকার হলে আমাকে কষ্ট দাও, তবুও তুমি কষ্ট পেয়ো না। আমি বুঝতে পারিনি। ভুল হয়ে গেছে, কিন্তু তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি। তুমি তো জানোই, আমার মেন্টালিটি বাচ্চাদের মতই। আমি সত্যিই বুঝিনি তুমি কষ্ট পাবে। তাহলে এমন করতাম না। আমি সত্যিই বাড়াবাড়ি করেছি। বাবুসোনা, প্লিজ, সরি! মাফ করে দাও না! মিয়াঁওওওওওওওওও! সরি। হি হি হি। তোমাকে কিন্তু সত্যিই অনেক ভালোবাসি। যতই বকাবকি করি, উল্টোপাল্টা কথা বলি, এটা কিন্তু মিথ্যে না। ভুল বুঝো না, প্লিজ। সকালে খেয়েছো? এই শুন না……বাবু, তোমাকে খুব বেশি মিস করছি। খুব একাএকা লাগছে। মনে হচ্ছে, কেউ নেই আমার। তুমি আমার মেসেজ দেখছ না, মুভি দেখছ। উস্তাদ হোটেল। কোনো মানে হয়? মুভিটা কি পালিয়ে যাবে? আমি যদি আজকেই মরে যাই, তখন? আমার মেসেজের রিপ্লাই দাও না কেন? ফোনও রিসিভ কর না। আমিও মুভি দেখছি। প্রেমাম। অনেকক্ষণ ঘুমালাম। তোমাকে ফোনে মেসেজ দিয়েছিলাম। ফোনও দিয়েছিলাম। তুমি রিসিভই করনি! তুমি এমন কেন? আমি এমন কেন?

মজার ব্যাপার, তোমার উপর রাগ করে তিনটা মুভি দেখলাম। ব্যাঙ্গালোর ডেজ। দৃশ্যম। চার্লি। ঘুমালাম। এখন আরেকটা দেখছি। তুমি যা ভাবছ, তা নয়। তুমি ভাবছ, আমি তোমার জন্য কেঁদে বুক ভাসাচ্ছি। হি হি হি। এখন দেখছি ‘শেষ অঙ্ক’। আর কয়টা দেখব? এরপর আরো একটা……অন্তত। চিড়িয়াখানা, সত্যজিৎ রায়ের। মিস ইউ, বাবুসোনাটা……..আমার ঝামেলা ভয় করে, অথচ আমি নিজেই নিজেকে অসীম ঝামেলার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তুমি আমাকে যেমন কষ্ট দিয়েছো, তেমন অপমানও করেছো। বাবু, আমি তোমাকে খুব মিস করছি, আর তোমার জন্য খুব কষ্টও পাচ্ছি। আমার একটা সেকেন্ডও কাটছে না, এক যুগের মত লাগছে প্রতিটা সেকেন্ড। তাই আমার কথাগুলো কেমন যেন রুড শোনায়। আমিও বুঝতে পারছি। নিজেকে অনেক বোঝাচ্ছি। তবুও তোমার সাথে এমন করে ফেলছি। সরি, তুলতুল সোনা……আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। তোমাকে চেনার আগে আমার মধ্যে শতকরা ১ ভাগ ঈর্ষাও ছিল না। আর এখন……আসলে তোমার নিজের মধ্যে ঈর্ষা ব্যাপারটা কাজ করে না। এটা ভালোবাসার ঘাটতি নয়, এটা তোমার বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আমার মাঝে কাজ করে। এখন করে। এটা তোমাকে আগেও বলেছি। রেগে গেছো আমার উপর, না? তুমি কি আমার উপর রেগে আছো? সরি……এই শুনো না……

তুমি কি আমার উপর খুব রাগ করে আছো? খুব বেশি? তুমি রাগ হলেও সেটা দেখাও না, কিন্তু আমি তো ঠিকই বুঝতে পারি। তারপর চিন্তা করি যে, নাহ্, এমন করবো না আর। পরক্ষণেই আবার ভুলে যাই। তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করি। তারপর তুমি যখন কষ্ট পাও, তখন নিজের উপর খুব রাগ হয়। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দেই। সরি, বাবু, এক্সট্রিমলি সরি। তোমার সাথে এমন করলে আমারও খুব খারাপ লাগে। তুমি কষ্ট পাও আমি এমন করি বলে, আর আমি ডাবল কষ্ট পাই—আমারটাও, তোমারটাও। ভালোবাসলে এরকম ডাবল কষ্ট পেতে হয়। তুমি এটা বুঝবে না। ভালোবাসো নাতো, তাই। আমি অনেক বেশি ইমোশনাল। একটা ইমোশনাল ফুল। এমন কেন আমি? কীভাবে নিজেকে চেন্জ করা যায়, বলে দেবে একটু?