সম্পর্কের খড়খড়িটা তুলে

 
হয়তো প্রেমের ব্যাকরণ মিলিয়ে বলতে গেলে,
আমাদের প্রেমটা তুচ্ছ খুবই!
তবু, আমাদের মধ্যে যে বন্ধনটা,
ওটাতে কোনও খাদ নেই, ফাঁক নেই।


কখনও কি ভেবে দেখেছ,
আমরা এমন দূরে থেকেও কতটা কাছে!
ঘুণপোকার স্বভাবে জরাজীর্ণ কাঠের মতোই
আমাদের হৃদয়টা, তবু টিকে তো আছে
কিছু টান আর মায়াকে অবলম্বন করে!


আগের মতো চিঠিপত্রের চল এখন আর নেই।
তবু ইচ্ছে হয়, তোমাকে একটা চিঠি লিখি…
ওখানে কিছু প্রেম থাকবে, আর কিছু মায়া, কিছু মোহ…


পায়রাতে প্রেমপত্র নিবেদিত হওয়ার দিন ফুরিয়েছে…
আমার প্রেমপত্র নিবেদিত হবে এককাপ চায়ের পাশে,
কিংবা কোনও একটা দুপুরের ক্লান্ত ফাঁকে,
যেখানে লেখা থাকবে, ভালোবাসি…
আর কিছু নয়।


সেদিন ভাবছিলাম, তুমি আমার কে হও?
বোকামনটা আমার চোখের কোণে হাসি ছড়িয়ে বলল,
তুমি আমার রুপালি চাঁদের রূপমণিহার,
আগুনেপোকার উদাম পিঠে গোধূলির অনন্তসন্ন্যাস,
সন্ধেকোলের আলতো আলোয় একটি প্রজাপতি।
নিয়ন আলোয় কাঁপতে-থাকা শীতল নরম বুক,
তুমি আমার কৃষ্ণচূড়ার ডানায় আঁকা বুলবুলিটার মুখ।


তুমি রক্তরঙা গোলাপবাড়ির নীলচে এক উঠোন,
পদ্মাবুকে জেগেওঠা চরে আবছা গহিন বন,
হৃদয়গলা প্রণয়বাণীর এক প্রতিমাবিধুর মন,
নিশি ছুঁয়ে ঘুমকাতুরে কাজলাদিদির গান,
তুমি আমার একটা রাত্রি, অনেক গল্পে পদ্মানদীর টান।