স্বাক্ষরে একাকিত্ব

 
যে জন আমার সবচে দূরে,
সে জন আমার সবটা জুড়ে।


নাহয় হেলায় ছুড়ে মায়া,
একটু দূরেই ঠেলে কায়া,
পুড়ুক শুধুই তপ্ত দীর্ঘশ্বাসে,
মিশে অদূরেই ছায়া-সন্ত্রাসে।


কখনও ক্লান্তি এলে শান্ত হয়ে মন,
কাঁপছে ভেতর ভাংচুরেই ভীষণ!


আমি তো জানি,
নয়তো যা মানি---
যদিও আমি শূন্য হই,
তবুও কিন্তু ব্যর্থ নই!


যে জন থাকে মনের মাঝে সত্যিই কাছে,
তার আরও কাছে আসার কী-ইবা আছে!


একেবারেই কাছের কারও,
যাচ্ছি বলেও এসে আরও,
সত্যিটাকে যায় কি ঢাকা?
মিথ্যে করে আড়াল রাখা?


জীবনটাকে শুরুর আগে মৃত্যু বেয়ে...
আসি এবেলা, পা বাড়িয়ে বলল মেয়ে।


'আসি' বলে যারা,
ফিরে আসে তারা।
চলে যাওয়া গেলে,
ফিরে কেন এলে?


কথার ফাঁকে ফাঁক থেকে যায়,
বোঝার ফাঁকে ফাঁক রেখে যাই।


সে কথা রাখে কথার মাপে,
রাতের পিঠে ভোরটা চাপে,
ঘুম আসে না, ধীরে প্রহর চলে,
পানসে সে রাত, জোনাক গলে।


সে আছে বলেই থাকছি বেঁচে,
সেও কি বাঁচে আমায় যেচে?


জীর্ণ দেয়াল,
শীর্ণ খেয়াল,
সবুজ ঘাসে,
বারো মাসে।


যদি দেয়ালে ফাটল ধরে হঠাৎই ঝড়ে,
কাঁপন ওঠে...অগত্যা, ভেঙেই পড়ে।


সে ঘাস তবুও বাঁচতে চায়,
হাত বাড়িয়ে দেয়াল পায়।
দেয়ালে বাঁচে, দেয়ালে মরে,
জানার হেলায় নিভৃতে সরে।


নিয়মের মাঝেও নিয়ম থাকে,
সে নিয়ম...নিয়ম ধরেই রাখে।


জীবন কাটেই ব্যথায় ও বোধে,
দেখে মৃত্যু হাসে গহীন শোধে!
কিছুটা আবেগ---গড়ে খণ্ডজগত,
সবার দেখি আমৃত্যুই নতুন বসত।