স্মৃতিনির্মাণ

 
মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কখনও আমার কাছে এসো না।
তুমি আমার কাছে এলে কি এলে না, তার উপর
তোমার প্রতি আমার আন্তরিকতা নির্ভরশীল নয়।


মাঝেমধ্যে তোমাকে ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে পড়লেও
আমি আমার সীমানার দূরত্বটুকু জানি এবং তা মেনেও নিই।


কোনও অধিকার নিয়ে কখনও তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াব না।
আমাদের সম্পর্কটা এগোবে দুজনের ইচ্ছে, সময় ও সুযোগ বুঝেই।
আমি শুধু মাথায় রাখব, আমি তোমাকে ভালোবাসি।


আর আমি তো জানিই, কষ্টগুলো শুধুই আমার!
তুমি তো আমাকে বলোনি…তোমাকে ভালোবেসে কষ্ট পেতে!
তোমাকে ভালো না বেসে থাকতে পারি না বলেই ভালোবাসি!


আমার অনেক অভিমান একটিও শব্দ খুঁজে পায় না,
আমার অনেক কষ্ট হাহাকার ভুলে যায় খুব দ্রুত,
বেলা-অবেলার অনেক দীর্ঘশ্বাস বুকের মধ্যে পুষে রাখি,
সবশেষে, মনে রাখি, আমার বেঁচেথাকার এই ক্ষুদ্রযাত্রায়…
যেন...আমি ভালো থাকি, কিছু মানুষকে ভালো রাখতে পারি।


তুমি আমার জীবনে অনেক কিছুরই অনেক ঊর্ধ্বে।
এখানে আবদার, অভিযোগ, অনুযোগ এইসবের সুযোগই-বা কোথায়, বলো?


আমি নিজের সাথে ভালো থাকব বলেই
একসময়, সমস্ত সম্পর্ক থেকে সরে এসেছি।
কতটা পথ নিজের সাথে একা চলেছি,
সে তো‌ আর কেউ জানার কথা নয়, জানবেও না।


একলা এ পথে চলার সিদ্ধান্ত আমার,
তাই নিজের সাথে ভালোথাকার, মন্দথাকার দায়টাও...সম্পূর্ণ আমারই।


আমার পৃথিবী তোমাদের পৃথিবীর মতো এত রঙিন নয়।
এখানে বলতে-না-পারা অনেক কষ্ট নিয়ম করে গিলতে হয়।
তারপর, প্রস্তুত হয়ে যেতে হয় পরবর্তী সময়ের জন্য।


আমি খুব অল্প কিছু দিন বাঁচব, অনেক কাজ আমার এখনও বাকি…
এই সময়টাতে তুমি আমার মনের কিছু কষ্ট সরিয়ে দিয়ো।


তুমি পর্যন্ত ভাবতে আমার ভালো লাগে,
বাকি পৃথিবী ভুলে যাওয়ার মতো মুগ্ধতা আমার আছে...তোমার প্রতি।
যে কদিন ইচ্ছে, থেকে যেয়ো। ইচ্ছে হলে চলে যেয়ো।


আমার কোথাও যাবার তাড়া নেই, কোথাও ফেরার তাড়া নেই।
কাউকে আটকেরাখার, কারও কাছে আটকেথাকার ইচ্ছেও নেই।


ঘটনা থেকে স্মৃতির দিকে যাত্রাকাল বেশি সময়ের তো নয়,
প্রতিটি বর্তমানেই কিছু সুখের স্মৃতিনির্মাণে তাই ব্যস্ত থাকি।