অন্তঃঅবগাহনের স্বাদ

 
আমাকে শোনার সময়টা তোমার কখনও হবে না,
কারণ তুমি অনেক অনেক অনেক ব্যস্ত!
তোমাকে শোনার আমার অফুরন্ত সময়,
যদিওবা আমিও ব্যস্ত।


আমি আমার কোনও ব্যস্ততা নিয়ে তোমার কাছে যাই না,
তোমাকে‌ ব্যস্ততা কখনও দেখাই না।
তোমার সাথে কথা বলছি, এর মানে,
চারপাশের কোনও কিছু আমার মাথায় থাকে না, কিংবা
মাথায় রাখার প্রয়োজন আমি মনে করি না।
নিজ প্রয়োজনের অনেক অনুষঙ্গ গুরুত্বহীন করি,---
তুমি আমার কাছে মূল্যবান, এই কারণে।


তুমি লক্ষ করেছ কি না, জানি না,
যে কয়েকবার আমার তোমার সাথে কথা হয়েছে,
তুমিকেন্দ্রিক, অর্থাৎ তোমার সৃষ্টি নিয়েই কথা হয়েছে।
অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় কথা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা
তোমার সাথে আড্ডা দিয়ে,
তোমার গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করার মানুষ আমি নই।


আমি তোমাকে শুনি আমার মনের দাবিতে, আন্তরিকভাবে।
আমাকে তোমার শোনার কোনও দরকার নেই, কারণও দেখি না।
তবে তোমাকে আমার শোনার যথার্থ কারণ আছে, এবং সেটি---
আমি তোমাকে ভালোবাসি।


পৃথিবীতে ভালোবাসার অনুভূতি সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে পারে,
এমন কোনও আশ্চর্য ভাষা এখনও আমি শিখিনি।
তাই সত্যিই আমাকে শোনার কিছুই তোমার নেই,
জানারও কিছু নেই, বোঝার তো কিছু নেই-ই!


তুমি বলেছ, আমি তোমাকে হয় আলো জ্বালানোর মতো জ্বালিয়ে রাখব,
না হয় অন্ধকারের মতো শূন্যে নামাব।
উত্তরে বললাম, আমি শূন্যের শেষসীমানায় গিয়েও
নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাকে আলোর মতো জ্বালিয়ে রাখব!
তুমি তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছ, তোমাকে জ্বালিয়ে রাখার সেই শক্তি আমার নেই।


আসলে তুমিই ঠিক! আমি বাস্তবতাকে ভুলে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল বলেছি।
আমি জানতাম না যে,
ভালোবেসে একজন মানুষ আর একজন মানুষকে আলোকিত করতে পারে না।


পৃথিবীর সমস্ত কিছুই শুধু যথোপযুক্ত এবং যোগ্য মানুষগুলোই পারে,
সেটা ভালোবাসা হোক, কিংবা অন্য কিছু।
এবং, তাদের পারার জন্যই পৃথিবীর সমস্ত আয়োজন হয়তো!
বাকিদের…সব কিছু হাস্যকর, বিদ্রুপের, তাচ্ছিল্যের!


আমি একটা অপদার্থ! তাই বুঝতে একটু সময় লেগেছে,
সত্যিকার অর্থে কোনও কিছু করার শক্তি বা সামর্থ্য, কোনওটাই আমার নেই।
আমার শুধু তোমাকে ভালোবাসার শক্তি আছে, তীব্র এক মানসিক শক্তি!