অন্যঘোমটার দুঃস্বপ্নে

 
অ্যাই পাখিটা!
কোথায় গেলে?
পাচ্ছি না তো!
মনের চোরাগলিতে,
এই হৃদয়খাঁচায়,
খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হলাম,
নিরর্থকই!


পাখি, তুমি কি আর ফিরবেই না?
পাখা ঝাপটে উড়বে না আর?
ডাকতে আমায় শিস দেবে না...
তোমার দেওয়া নামটা ধরে?


পাখি, তুমি এমন কেন?
ঠিক আছে, যাও!
এসো না তবে! আর কখনও
তোমাকে ভেবে লিখব না তো!
শব্দভিড়েও খুঁজব না তো!
তাকিয়ে দ্যাখো, অভিমানে চোখ ফুলেছে!
প্রসূনবাগে গাঁথব না আর তোমার মালা!


আচ্ছা, কী গো তুমি!
এই দুচোখে
দৃষ্টিপেতে
কিছুই কি আর পাও না খুঁজে?
আজ আমার ক্লান্তি নেই,
পা খুঁজছে পথের খেই।
স্বর্গপথের পথিক হলাম,
নেমন্তন্ন তখুনি পেলাম।


আমায় নাকি যেতেই হবে,
বাকি সময় ফুরোলে তবে।
দিয়েছি বলে ভীষণ রেগে,
এইবেলা ভাই যাও তো ভেগে!
ডালা সাজাব, আসবে যে সে!
জ্বালাচ্ছ খুব, কে তুমি হে?


জানো পাখি, এমন শুনে
আমায় আচ্ছা করে
ব্যাটা কেমন শাসিয়ে গেছে!
শাসাক গিয়ে, পরোয়া কীসে?
চৌদ্দপ্রহর তোমার হাতে,
আমায় পাবে আবার প্রাতে,
শুভ্র চাদর দুহাতে নিয়ে।
বোলোই বোলো পাখিকে গিয়ে!
পারলে আমায় ঠেকাক দেখি,
কাছে এলে ঠিক বলবে, এ কী!


আমিও দেখি, কেমন পারে,
বাঁধতে তোমায় নতুন তারে!
জীবনসুতোয় গিঁটটা কষে,
কেমন তোমায় যত্নে পোষে!
কেমন তোমায় আদর করে,
মনদেয়ালে…এই তাসের ঘরে!


আচ্ছা পাখি, বলো না ভেবে,
আমায় কি আর সঙ্গে নেবে?
যদি নতুন পাখি ওঠে হেসে,
পাঠাবে আমায় নিরুদ্দেশে?
নতুন পাখির নতুন সুর,
আমায় তখন করবে দূর?