অভিশাপের মুখোমুখি বসে

ফেইট! ডেসটিনেশন! লাইফ! রিয়েলিটি! হিউম্যানিটি!
এসব কিছুর প্রতি এখন রীতিমতো ঘেন্না জমে গেছে। কী একটা ফেইক লাইফ!


ভালোবাসা! সহ্য‌ই করতে পারি না এই শব্দটা আর!
পারলে সৎসাহস নিয়ে ভালোবেসো।
কাপুরষের মতো ভালোবাসবে বলে এসে থাকলে তোমাকে বলি...ফিরে যাও!
আমি সে ধাঁচের মেয়েই নই!


শুধু নিজেরটুকুই ভাবব, এরকম হলে বহু কিছু কেড়ে নিয়ে
এখন সম্পদের রাজপ্রাসাদ বানিয়ে ফেলতে পারতাম।
ইদানীং আর যোগ্যতা কিংবা সৌন্দর্য, কোন‌ওটাই দামি লাগে না।
ভালোবাসা এখন জলের চাইতেও সস্তা।
আর প্রেম? সে তো পথেঘাটেই হরদম বেচছে সবাই!


ওরকম প্রেম বহু কেনা যায়। তার জন্য একটু
নিজেকে আর নিজের আত্মসম্মান, সাথে জীবনাদর্শকে বলি দিতে পারলেই হয়।
অনেক সৌন্দর্য বা যোগ্যতা লাগেই না আর তেমন।
ওই যে বললাম না...জলের থেকেও সস্তা!


যেদিন অন্তত একটাও মানুষের সামনে সৎসাহস নিয়ে বলতে পারবে, আমাকে ভালোবাসো...
সেদিন বলতে এসো কথা...যাও এবেলা!
কাপুরুষের মতো লুকিয়ে লুকিয়ে এসব ফিসফিস করতে এসো না।
আমি সে মেয়ে নই, যে কো‌নও পুরুষের কাপুরুষতায় ভুলে গিয়ে হার মানবে।


ভালো যদি বাসতে জানি, অভিমানী হয়ে চিরতরে চলে যেতেও জানি।
সে সামর্থ্য আমার আছে।
কেঁদেছি অনেক। বৃথা অশ্রুক্ষয় করব না আর।
তোমার কাছে আমার দাম না থাকতে পারে,
আমাকে যারা ভালোবাসে, তাদের কাছে তো আছে!
নাহয় একাকিত্বকে নিয়েই বাঁচব,
সে অন্তত ঠকাবে না তোমার মতো কোন‌ও দিনই।


জানি, দিনশেষে দোষী আমিই।
হ্যাঁ, আমি দোষী।
আমি তোমাকে শান্তি দিতে পারিনি।
আমি দোষী।
আমি আমার বিবেকের কাছে আমার ভালোবাসাকে হারতে দিয়েছি।
আমি অমানবিক।
আমি কারও সংসার ভাঙার মতো কাজ করতে পারিনি।
আমি মানসিক ভারসাম্যহীন।
আমি তোমাকে কার‌ও কাছে দোষী হয়ে থাকতে দিতে চাইনি,
প্রয়োজনে আমার নিজেকে বিসর্জন দিয়ে হলেও!
আমি স্বার্থপর।
আমি তোমার কাছ থেকে সময় চেয়েছিলাম।
আমি তোমাকে আমার সমস্তটা দিয়ে ভালোবেসে
তোমার সাফল্যটাকে দেখতে চেয়েছিলাম নিজের সব স্বার্থ ভুলে।
আমিই তো সত্যি সত্যি খারাপ!


জানি জানি।
তুমি বড়ো ভালো মানুষ গো!
ভালো থেকো।
আমাকে মুক্তি দাও পুরোপুরি।
তাতে তুমি শান্তি খুঁজে পাও।
আর আমি একটু প্রতারণার হাত থেকে দূরে সরে গিয়ে কিছু সত্যিকারের
অশ্রু ঝরাই, যেখানে কোনও মিথ্যে নেই, প্রয়োজন নেই, কাপুরুষতা নেই,
নেই কোনও প্রতারণার ছাপ;
যেখানে থাকবে শুধু জিইয়ে-রাখা কিছু কষ্টের অভিশাপ।