ইচ্ছেপেখমের লিপি

 
এমন কোনও একটা দিন, মাস কিংবা বছর হলেও আসুক, যখন
তুমি আমার সাথে কথাবলার জন্যে ছটফট করবে।
তোমার চোখে একসমুদ্রসমান আকুলতা আঁকা থাকবে,
তুমি অপেক্ষা করে থাকবে…এই বুঝি আমি কিছু বলছি!
প্রিয় তূর্য, কখনওই কি এমন হবে না?


এমন একদিন কবে আসবে, যেদিন তোমার মন
কেবলই আমার কথা ভাবতে থাকবে…!
যেমনি আমার তোমায় বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে,
মনে হতে থাকে, মুহূর্ত, মিনিট, ঘণ্টা, দিন চলে যায় তো যাক…
মাসের পিঠে ভর করে বছর ঘুরে যাক…
আমি পরোয়া করি না তার কিছুই!
কে কী বলল, আমি ফিরেও শুনব না কখনও…
তূর্য, এমনি করে আমায় আঁকড়ে ধরে বাঁচতে ইচ্ছে করে না তোমার?


উত্তরটা দিয়ো সময় করে।
কেবলই তোমার কবিতার মায়াপাশে
আমার প্রশ্নগুলিকে আটকে রেখো না, তূর্য!
ওদের মুক্ত করে দিয়ো, ওরা ডানা মেলে
ফিরে আসুক আমার কাছে কয়েক টুকরো স্বস্তি হয়ে।


আমার কেন মনে হয়, কেবল এক আমিই
এমন ব্যাকুল হয়ে ভালোবাসা ভিক্ষা চাই আর চাইতেই থাকি?
পুরো পৃথিবীতে বোধহয় আর কারও ভালোবাসার দরকারই নেই!


আমি যেমনি তোমায় চাই, ঠিক তেমনি করে
আমাকে চাওয়া যায় না, তূর্য? আমি কি তবে আমৃত্যুই
এক ভুলচাওয়াই থেকে যাব?


আমাকে নিজের মতো করে চাইতে গেলে বুঝি মনের মধ্য থেকে
অনেক বাধা এসে যায়? আমার সিঁথিতে তোমার হাতে
সিঁদুর পরব, এই আজন্ম সলজ্জ সাধ কি অপূর্ণই থেকে যাবে, তূর্য?


তোমার অমৃত প্রাণশক্তির অপ্রতিরোধ্য স্রোত তীব্র প্রেমে এসে
আমার গর্ভে যেন সৃষ্টি করে…একটি ভাই, আর তার একটি যমজ বোন।
এমনি করে কখনও চাইবে না আমায়, তূর্য?


বিশ্বাস করো তূর্য, একদিন আমি কোনও একটা জন্মের পুণ্যফলে
পরের জন্মে এই পৃথিবীতে এতটাই রূপ ও গুণ নিয়ে আসব,
যা দেখে তুমি আমায় ভালোবেসে ফেলবে! তুমি দেখো,
তোমাকে প্রেমে ফেলে দেবার মতো করেই আসব আমি!
এই জন্মে নাহয় একটু কুৎসিত হয়েই এসেছি!
মানুষ সব জন্মেই রূপহীন হয়ে আসে না, তূর্য!


হে ঈশ্বর! আমায় পৃথিবীতে পাঠালেই যদি,
কেন সেই রূপটা দিয়ে পাঠালে না, যে রূপে তাকে ভোলানো যেত?