ইচ্ছের ঘরবাড়ি

 
খুব ইচ্ছে করে, তোমায়, একতুড়িতেই বুড়োআঙুলের সমান বানাই!
তার পর এই হৃদয়ের কোটরে রাখি…তখন পালাবে না তো?
না কি ভীষণ রেগে আমায় মেরেই ফেলবে?
না কি দিয়েই দেবে একটুকরো নতুন জীবন?
এই হৃদয়ের যা বাঁধন আছে, একটা একটা খুলে নিয়ে
একটুখানি স্বস্তি দেবে? তোমার আলিঙ্গনে রাখবে বেঁধে?


যদি তা না কর, সত্যি বলছি, আর পারছি না ব্যথার ভারে!
যখনি তোমার পূর্ণসত্তা ভর করে যায় এই দুকাঁধে,
তুমি নেমে আসো অদৃশ্য এক শরীর নিয়ে হৃদয়ের নিগূঢ়তম জায়গা থেকে,
তারই সাথে প্রেমের বিরহরূপী দ্বৈত আসে, আসে হরিষে বিষাদ…
আমি কাতরাতে থাকি, ভাবি, এমন প্রেমের চাইতে বরং মরণই আসুক!


প্রার্থনা করি, তুমি বেঁচে থাকো আমার চেয়ে অনেক বেশি!
আমি তো এসেছি…তোমায় ভালোবেসে মরব বলে,
আমি কষ্টে থাকি, তা দেখেও তুমি নীরব থাকো,
আমি যা ভাবি, তার চেয়েও অনেক দূরে ভাবছ তুমি…
এসেছি আমি এসব দেখেই মরব বলে!


আমি ভালো থাকি, আর খারাপই থাকি,
দুটো সময়ই কাটে তোমার সাথে।
এত কথা বলছি, তুমি থাকছ তবু চুপটি করেই,
সে-ও ভালো…অবহেলায় রাখছ জেনেও রাখছি কাছে!


এইবেলা নাহয় বলেই ফেলো…
এই পাজিটা! তুই দূর হয়ে যা!
এমন জ্বালাস না তো!
দেখিস না তুই, কাজ করছি!
চোখে কি তোর ছানি পড়েছে?
…চুপ কেন গো? বলেই ফেলো!


জানি, তুমি অনেক রাগী…
তোমায় একটা কথা বলি…
একটু শোনো!
এই যে আমায় ভিখিরি ডাকো,
শুনতে বড় ভালো লাগে!
আমি ভিখিরি হলেও রেখেছি তোমায় রাজারই মতো!
আমার যে এখানেই জয়!


আমি সত্যিকারের ভালোবাসলে দিই জিতিয়ে!
তার কাছে ভিখিরি হয়ে তাকেই রাখি সিংহাসনে!


এই যে তোমায় বলতে থাকি আর
বলতেই থাকি…একটু কথা বলো না…
ঠায় দাঁড়িয়ে আছি…একটু তাকাবে ফিরে?
তুমি রাজারই মতোই হুম্‌শব্দে আমায় অনেক দূরে ছুড়ে মার!
আমি সেই শব্দটাকেই মায়ায় বেঁধে নিই জড়িয়ে খুব আদরে!


এই যে আমি সারাক্ষণই সেধে সেধে
তোমার সাথে গল্পকরার বাহানা খুঁজি,
আর তুমি ভাবতে থাকো,
এই পাগলিটা এমন কেন?
শুধুই গল্পকরার বাহানা খোঁজে!
আমার অত সময় কোথায়?
পাগলিটা কেমন জানি…
মরুক গিয়ে…কী এসে যায়!
থাকুক না সে পাগল-ছাগল!


ভাবছ নাকি, এসব শুনে পালিয়ে যাব?
কী যে বলো! আমি তো জানি,
এমনটাই তো হওয়ার কথা!
আজ আমার মানুষটা রাজা হচ্ছে,
সত্যিই দেখতে দারুণ লাগছে!
তার যে একটা ভিখিরি লাগে…
নাহয় আমিই হলাম সেই ভিখিরি!