ইতি উন্মাদিনী

দিবস-শর্বরী যখন দেবীরূপে আবির্ভূতা হইয়া বিদায়সম্ভাষণ জানানপূর্বক ক্ষণের যবনিকাপাত করেন,
অব্যবহিত অতঃপর…কেবল এমন একখানা চোরাবালির ঔদার্যকে পরাস্ত করা কোনও গতিকের নহে,
বরং কিছুমাত্র স্থবির প্রেয়সীর টান অনুভব করিয়া বিদায়বেলার ওই ক্রান্তিলগ্নখানিকে
বড্ড বেশিই বাড়াবাড়ি রকমের চক্ষুশূল বলিয়া প্রতিভাত হয় বইকি!


যদি কোনও অন্তিমসায়াহ্নে লগ্নাচার্যকে বিদায় জানাইয়া
অর্ধজাগ্রত চন্দ্রকে সাক্ষী রাখিয়া বলি,
‘তুমিই আমার পূর্ণতিথিতে জাগ্রতচিত্তের নিদ্রাগ্রহণ, মহাশূন্যচারী পূ্র্ণ উপাখ্যান,
শৈলশিখরান্তে সুন্দরশ্রেষ্ঠ বীরপুঙ্গব, এই পুণ্যভূমিতে আশ্রয়প্রার্থী
সমগ্র ধরিত্রীতে তুমিই আমার একমাত্র স্থিরগন্তব্যের অধিরাজ!’,
তবে কি তুমি উহাকে নিছকই বিস্মৃতবক্তব্য বোধে ধূলিসাৎ করিয়া
উন্মাদিনীরূপে আমায় যথাস্থানে ঠায় প্রত্যর্পিত করিবে, প্রিয়?