এই মায়াটান, এই আশ্রয়

 
এই ছেলে, তুমি কি পাথর হয়ে জন্মেছ?
অবশ্য, তাতে কোনও অসুবিধে নেই।
পাথরেও প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় তো!
…তোমারও হবে সময়মতো।


ভাবছ, মেয়েটা কী বেহায়া!
হ্যাঁ, আমিও বলছি, আমি বেহায়াই!
আমি ভীষণ খুশি এমন বেহায়া হতে পেরে!
এমন বেহায়া হতে যে সাধনা লাগে…তুমি বুঝবে না।


ভালোবেসে আদর করতে করতে মেরে ফেলেছে…এমন শুনেছ কখনও?
আমার তোমাকে ঠিক তা-ই করতে ইচ্ছে করে!


কোনও একজন মানুষের একটা দুইটা শব্দের প্রত্যুত্তরেও
যে মানুষ অনেক কথা বলে ফেলে, তাকে বাচাল ও বোকা ছাড়া
আরও কী কী নামে ডাকা যায়, বলতে পার?
যদি জানতে পার কখনও, আমাকে মনে করে জানিয়ো।


আমি জানি, অযোগ্য কারও ভালোবাসা চাই না তোমার।
সব জেনেবুঝেও আমি আমার ভালোবাসাকে রুখতে পারিনি,
কেননা একে রুখবার ক্ষমতা শুধু আমার নয়, কারওই নেই!
এজন্যই প্রতিটা মুহূর্তে তোমায় অনুভবে আর প্রেমে আদর করি, আর
প্রেমেই সৃষ্ট এক দিব্যদোলনায় সারাক্ষণই বসিয়ে রাখি!


যখন খুব বেশি তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে,
তখন তোমাকে জ্বালাই। না জ্বালালে আমি হয়তো মরেই যাব!
কিন্তু তখনও তোমার নীরবতা আমাকে আরও বেশি করে,
তোমাকে কাছে না পাওয়ার যে দুর্ভাগ্য, তার কথা মনে করিয়ে দেয়!
তুমি ভালো থেকো।
আমি তোমাকে বিরক্ত করব না।
…আর করব না।


কিছু কথা ছিল।
শুনতে একটু আদিখ্যেতা মনে হবে হয়তো, তবে খুব সত্যি কিছু কথা!
তুমি আমার সাথে কথাবলা কখনও বন্ধ কোরো না।
আমায় ছেড়ে কখনও চলে যেয়ো না।
আমার কেবল তুমি থাকলেই চলবে, আর কিচ্ছু লাগবে না।
শুধু আমার সাথে জুড়ে থেকো, ব্যস্‌, তা হলেই হবে!
…মনে থাকবে তো...সব সময়ই?


আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি গো!
তাই তো তোমার কাছ থেকে এক ‘তুমি’ ছাড়া
আমার আর কিছুই চাই না!