একটা জন্ম নষ্ট হলো

কখনওবা চুপচাপ নেই হয়ে যাই নিজে নিজেই।
বাঁচতে চাইলে মানুষকে নেই হয়ে যেতে হয়।
একটু পরেই, হাজারো কথা মহাকলরবে ভেসে ভেসে আসে। 
কিন্তু ওরা ভাষাটা ঠিক পায় না, চুপচাপ অসহায়ের মতো নিজে নিজেই টুক করে মরে যায়। 

ভাষাহীন চোখ ভারী ভারী নোনাজলে ভিজে যায়। 
নোনাজলগুলো একটা স্বপ্ন খোঁজে, একটা মানুষ খোঁজে। আর খুঁজতেই থাকে!
একটা জীবন---খুঁজতে খুঁজতেই কেটে যাচ্ছে!

নিগূঢ় অন্ধকারে নিজেরই অস্তিত্ব হারিয়ে যায় পরম নৈঃশব্দে।
নেই, কিছু নেই! আমি নেই, কোনও প্রাণ নেই, স্বপ্ন নেই, অনুভূতি নেই, অভিযোগ নেই, অপমান নেই, বেঁচে থাকার কোনও আয়োজন নেই...।

তারপরও নিঃশব্দে ভিজে-যাওয়া ঘুমহীন চোখের পাতা...
চোখের সামনে আটকে থাকে।
গোটা একটা জন্ম নষ্ট হলো শুধু একটা মানুষ ছাড়া।