একতরফা কল্পনাবিলাস

যদি দিনের পর দিন ভালোবাসার মানুষটি দূরে সরতেই থাকে ব্যস্ততার শত অজুহাতে,
যদি ধীরে ধীরে তোমার সবকিছুর ভেতরেই সে খুঁত খুঁজে নেয় কোনও না কোনওভাবে,
যদি কোথাও তোমার আগমনে তার সেখান থেকে প্রস্থান ঘটে নিয়ম করেই,
যদি সে তোমার দেওয়া চিরকুটগুলি পড়ার পর আবার ভাঁজ করে খামে পুরে রাখে এমনভাবে, যেন সে ওসব দেখেইনি কখনও,
যদি তুমি যেইমাত্র রাতজাগা পাখি হলে, আর সেইমাত্র নতুন করে রাতে জলদি ঘুমোবার অভ্যেসটা সে শুরু করে দেয়,
যদি তোমার ফোননম্বরটি তার ডায়াললিস্টে নিচের দিকে ক্রমেই নামতে থাকে,
যদি তোমাকে ভালোবাসার আগেই লেনদেনের হিসেবটা ঠিক চলে আসে,
যদি তোমার শরীর ভালো কি খারাপ, তার কোনও কিছুই তাকে না ভাবায় অত,
যদি প্রয়োজন এলেই ভালোবাসা বাড়ে, আর প্রয়োজন ফুরোলেই ব্যস্ততা যায় বেড়ে,
যদি সকাল কি সন্ধ্যা, কোনও কিছুতেই তোমার সাথে কথাবলার তার বিন্দুসমও তাড়া না থাকে,
যদি বাইরে খুব বৃষ্টি হলেও সে কখনও না বলে, ‘তোমায় মিস করছি ভীষণ!’,
যদি ভালোবাসা কেবলই শরীরের খেলায় পরিণত হয়,
যদি হাজারো মনভোলানো কথার ভাঁজে তোমাকে এড়িয়ে যাবার বিষয়টিকে সে উড়িয়েই দেয়,
যদি চোখের আড়াল হলেই মনের আড়ালটা অবশেষে হয়েই যায়,
যদি কথার মায়াগুলো আস্তে আস্তে কেটে যায় আর ক্ষণেই হারায়,
যদি সূর্যটা ডোবার আগেই তার কাছে তুমি হয়েই ওঠো ঘোর অমানিশা,
যদি অভিযোগগুলোর আর কোনও অর্থ নেই বলে তুমি ওসব তোলোই না আর,
---তবে জেনে নিয়ো, এ তো এখন আর ভালোবাসা নয়, কেবলই একতরফা কল্পনাবিলাস!


এমনও হতে পারে,
হয়তো সে ভালোবাসতে চাইছে, তবে পারছে না;
নয়তো সে ভালোবাসতে পারছে, তবে চাইছে না।