এক মানসীকে

 যখন তুমি তাকাও হেসে, চোখের কোণে রোদ খেলে যায়,
মনেতে তোমার গড়ি বসত, আমায় রাখো, আদরে মাখো.......
অমন মায়ায় রাখলে ধরে এই আমাকে, পাহাড়টাও পেরিয়ে যাবো। নিয়ো দেখে!
আফসোসে আর দুঃখে ডুবে থাকবো যখন, হাতটা তোমার বাড়িয়ে দিয়ো,
অনুভবে জড়িয়ে নেবো। তুমিও কি এমন ভাবো?
ছেড়ে তোমায় একটাও ক্ষণ, মুহূর্তটাও অনন্তকাল। শান্তি পালায়,
স্বস্তি সুখের যুগল ভাঙে, বিরহদহন পোড়ায় হৃদয়, জ্বালায় ভীষণ!
যেও না দূরে, সরো না ভুলে, রেখো না আমায় নির্বাসনে, হে প্রিয়মন!
তোমার সাথে বুড়ো হবো, চুলটা তোমার শুভ্র হবে এই হাতেতে,
ঝগড়া হবে, ঝরবো কথার ফুলঝুরিতে, মুখ দেখাটাও বন্ধ রবে, বুঝবোও ভুল আর কিছুটা,
ফোনটা রেখে হাতের কাছে বাজতে দেবো, ধরবো নাতো, অভিমানে নাক ফোলাবো দারুণ রেগে।
আদর করে গালটা ছুঁয়ো তোমার ঠোঁটে, তোমার হাতের নরোম ছোঁয়ায় রাগটা ভেঙো,
আবেগমাখা ভালোবাসায় বুকের খাঁচায় রাখতে বেঁধে ওই মনেতে, নিঃশ্বাসটুকু যায় যতদূর, সেইখানেতে জড়িয়ে ধোরো।
তোমার প্রেমে, সুরের মায়ায়, আলতো রোদের কোমল ছায়ায়, চোখের তারার গভীর নেশায়, আমায় বেঁধো।
কিশোরী থেকো, আমিও রবো এমন কিশোর, দিচ্ছি কথা।
নির্ভরতায় আমার মনে আর শরীরে, তোমায় বেঁধো, সেখানটাতেই মনটা রেখো।
 
যে কথাটা পথ হারিয়ে রয় হৃদয়ে, সে কথাটায় বাঁচবো সুখে, হোক না খেলো কিংবা দামি,
আমি তো জানি, কথার শরীর বুড়োয় নাকো, আমরা যতোই বয়স বাড়াই, দূরত্বতে দৃষ্টি এড়াই,
থাকবে সেতো, বাঁধবে আমায়, রাখবে তোমায়, যেমনি এখন আশায় বাঁধে, মৃত্যুটাকে ভুলিয়ে রাখে, কল্পলোকের স্বপ্নে জাগে।
কখনোবা দিন চলে যায়, মাসটা ফুরায়, আমরা একা, একার সাথেই এই রয়ে যাই, অসীম দ্বিধা কিংবা সে বাঁধ কাঁদায় বোঝায় নীরব ভাষায়।
কোন সে এমন ভালোবাসায় রেখে বেঁধে এক নিমিষেই সত্যটাকে হৃদয়ে বাঁধি?
কোন মমতায় রাখছি পুষে সে সুর হেসে, যে সুর হারায় এক পলকেই অলীক মোহে?
সূর্যটাও আড়াল হলে মিলিয়ে গেলে এক খেয়ালে, আমরা রবো, উষ্ণ হবো, সেই আঁধারে দিনকে কবো, থেকো শুভ!
 
জানি ফাঁকি, কী এসে যায়? সেই ফাঁকিতেই রইছি বেঁচে, দুজন মিলে দুজনাতে, সামনে কী হয় জানবো পরে, দিব্যি সুখে আছি বেঁচে, মেখে বুকে সবটুকু সুখ,
ছোট্ট সুখের ভিড়টা জমে আমাদের এই ঘরটা ঘিরে, মুঠোয় ভরা ফোয়ারা আলোর, সেই আলোতে আমরা ভাসি, ফানুস ওড়াই স্বপ্নদ্বীপে, আলোর ঝড়ে রাতটা জাগে সেই দ্বীপেতেই---এইতো বেশি!
একটু ভাবো, যেটুক আছে এই আমাদের, সেটুকু বলো কমটা কীসে? হাত বাড়ালেই ছুঁই যে তোমায়, দুঃখ কাঁপায় যখন যেটুক, উষ্ণ তুমি ভোলাও সেটুক। চিবুক রাঙা, আলতো টোকায় আভায় লাজের সময় থেমে বুঁদ হয়ে রয় চোখের তারায়। এমনি করেই দিন কেটে যায়। আর কিছু নয়, একটা মেঝে, একটা চাদর, ছাদটা বাঁচে দেয়ালচেপে। দারুণ কী যে! মাদুর পেতে বসবো দুজন খুব কাছেতে, দেখবো তখন, ফুলের মতন ভাতটা ফোটে, আনন্দে সে সাঁতরে বেড়ায় ডালের স্রোতে। খাইয়ে দেবো আদর করে বসিয়ে কোলে, ভালোবাসায় জমিয়ে দেবো, নীরবতা সরবে দেখো! বৃষ্টি রোদে আর কুয়াশায় বাঁচবো দুজন ভীষণ ভাল! অমানিশায় ডুবলে সে ঘর, ঘুমটা চাঁদের ভাঙিয়ে দেবো! সুখের হাওয়ায় সুরের মায়ায় প্রেমের ছায়ায় বিধির কায়ায় হাসবো দুজন। স্বপ্ন ভাসে এটুক শুধু! পারবে না গো মানিয়ে নিতে?
এক জীবনে আর কত চাই?
 
এই পৃথিবীর নির্দয়তা ভয় বাড়াবে, সত্যটাকে আঁকড়ালেও মিথ্যে এসে কাঁপিয়ে দেবে।
কেউ রবে না সেই বিপদে, একাই রবো নিজের সাথে। সেদিন তুমি থেকো পাশে,
দয়ায় মায়ায় একটু হেসো, ভালোবাসায় হাতটা ধোরো, শূন্যতাকে বিদায় বোলো,
সুরের ধারায় ভাসিয়ে দিয়ো, স্বপ্নে আমায় বাঁচিয়ে রেখো। শীতটা কেটে গ্রীষ্ম এলে
হিমটা সরে, পাতায়-ঘাসে রৌদ্র খেলে। সেই প্রহরে সেই বিজয়ে আমরা দুজন গাইবো সুখে।
প্রীতির ডোরে প্রতীক্ষাতে ভালোবাসা এই হৃদয়ে বাঁচে। রাগ-অনুরাগ কিংবা বিরাগ, হৃদকম্পন এই পৃথিবীর---থমকে দাঁড়ায়, এক-এক করে স্তূপটা বাড়ায়।
তোমার প্রত্যয়, তোমার ধোঁয়াশা, তোমার ব্যাকুলতা, আমার স্মৃতির শরীরজুড়ে তোমার চোখের ছোঁয়া---এসবকিছুয়
স্বপ্ন আমার থাকে বেঁচে। ঘ্রাণটা তোমার রেশটা ছড়ায় এই মনেতে, তোমার স্মরণ জাগায় নেশা তীব্র টানে। বিধাতা জানে!
আমার চোখে আর দেখি না তোমার ছায়া, মনের ফ্রেমে আর বাঁধি না তোমার কায়া, হৃদয় ঘিরে আর জাগে না তোমার মায়া।
সত্যি বলছি, ভিন্ন শরীর আমি তবু, সত্তা একই তোমার মতোই। বাইরে সবাই দেখছে দুজন, দেখলে দেখুক! এইতো আমি দেখছি শোনো, একটা হৃদয় দুই শরীরে। তুমিও কি আমি হয়ে দেখ অমন? অমন চোখে? অমন ঝোঁকে?
 
যদি বলো হ্যাঁ, এসো কাছে, বাঁধো কথায় এই আমাকে
যদি বলো হ্যাঁ, একটা জীবন মনের মতন, নেবো খুঁজে
যদি বলো হ্যাঁ, বিলিয়ে দেবো এই আমিকে, যা তুমি চাও
যদি বলো হ্যাঁ, আমার কথার রথটা ধাবে তোমার পথে
যদি বলো হ্যাঁ, মনটা তোমার জড়িয়ে নেবো এক চুমুতেই
যদি বলো হ্যাঁ, ধনদৌলত সব ভুলে আজ তোমার হবো
যদি বলো হ্যাঁ, থাকতে পাশে হিসেব ভুলে বাঁচবো হেসে
যদি বলো হ্যাঁ, সমস্তটা ভাবনা তোমার আমার করো
যদি বলো হ্যাঁ, জড়াও মায়ায়, মাখাও হৃদয় ভালোবাসায়
যদি বলো হ্যাঁ, বিপ্লবী সুর নিভিয়ে এবার চাঁদটা ওঠাও
যদি বলো হ্যাঁ, শান্ত হয়ে নরোম আলোয় শরীর ছড়াও
যদি বলো হ্যাঁ, নিওন বাতির রঙটা এসে নাচবে চোখে
যদি বলো হ্যাঁ, আসুক ধোঁয়া আর কুয়াশা, নেই পরোয়া
যদি বলো হ্যাঁ, পুরো পৃথিবী করুক ঘৃণা, বাজাক বীণা
যদি বলো হ্যাঁ, মৃত্যু যদি আসে আসুক, বাড়ুক বিপদ
যদি বলো হ্যাঁ, হোক যেমনই, উঠোন তোমার আগলে রবো
 
গভীর চোখে আমায় দেখো, ভালোবাসা আজ ছোঁবো বলে কী এক তৃষায় রইছি চেয়ে,
সে অনুভব জাগিয়ে রাখে, তোমার স্মৃতির বুনন জাগায় যে অনুভব, এই আমাকে।
রাতের কী আর মূল্য বলো, তুমি যদি রইলে দূরে? গল্প গাথা আর কবিতা হেলায় সরাই, হাতটা তোমার হাতড়ে বেড়াই এই আঁধারে।
দুষ্টু তোমার চোখের তারায়, অন্ধকারের আয়না ঘুমায়, আর বলে যায়, যা চাও তুমি পাবে সবই, নিয়ো বুঝে।
চাওয়ার মতো চাইলে মেঘে বৃষ্টি নামে, মেঘ সরে যায়, রাজ্য ঘুরে বিকেল আসে, রোদটা জমে। অমন সাধে দেখো চেয়ে।
যে শার্ট তুমি ছুঁয়ে দেখো, আঙুলে রাখো, সে শার্ট আমি জড়াই গায়ে, ঘ্রাণটা তোমার আসে ফিরে বারেবারে, চোখ বাঁধলেই তোমায় দেখি।
মুখটা তোমার আমার পাশে ঠাঁই জেগে রয়, নূপুর পায়ে আমায় জাগায় সাজটা তোমার, তোমার হাসির ঝর্ণা ছোটে, তোমার ধ্বনির সুরের মায়ায় হৃদয় হারায়।
সেসব দেখি, তোমায় ভাবি, আকাশপিঠে আর তারকায় মনতুলিতে তোমায় আঁকি।
 
সুস্থ মাথায় ভালোবাসায় নেই কোনো সুখ,
বাসলে ভালো কেমন লাগে, প্রেম না হলে কে আর বোঝে?
পড়লে প্রেমে মাথায় আসে, এলোমেলোটাই বরং ভাল। গোছানো জীবন---ভারটা ভীষণ! দূর হয়ে যাক এই এখুনিই!
সে রূপেতে ডুবলে পরে, স্বপ্ন সরে। সামনে যা রয়, তা জিতে যায়। যা দেখা যায়, তা-ই সত্য---অদেখারও চাইতে বড়ো।
আঁধার পথে তোমার চোখে আমার আলো দেখায় সে পথ,
সূর্যটা আজ পথ হারিয়ে লুকায় তোমার হৃদয়ে, দেখ।
কানের কাছে ফিসফিসিয়ে তোমায় বলি, আমায় রেখে তোমার পাশে সারাটি জীবন, স্বপ্নে বেঁধো।
দুঃখ কোথাও ছোঁবে নাতো, আমরা যদি এক হয়ে রই, কষ্টটাকে ভাগ করে নিই একটু হেসে।
আর কিছু নয়, তোমার চোখে চোখটা রেখে, খুব কাছেতে থেকে পাশে, নির্ভরতায় হাতটা ধরে,
থাকবো শুধু। স্বপ্ন এটাই। পৃথিবীটা থমকে রবে অচেতনের ঝড়টা ঘেঁষে। আছড়ে তীরে শান্ত হবে।
আমার আমি আর রবো না, তোমার হবো। মুহূর্তটা চিরদিনের নেবো করে ওই সে ক্ষণে।
পাহাড়টাও ভাঙে যদি ওই সাগরে, দক্ষিণমেরুর বরফ গলে সমস্তটা, সাগরশরীর ভাসায় যদি ডাঙার শরীর,
সেই প্লাবনে যাবো ভেসে দূর অজানায়, প্রলয় বিলয় আর যা ঘটুক এই জীবনে, রেখো মনে, মৃত্যু এলেও থাকবো পাশে---
ততোই কাছে, হৃদয় তোমার যেখানটাতে। থেকো বেঁচে এ বিশ্বাসে।
ভালোবাসাটা ভূত হলে হোক, গোলাপ সরুক, বিঁধুক কাঁটা,
একটুখানি তোমায় পেতে। ছুঁই বা না ছুঁই, তোমার চুলের ঘ্রাণটা নেবো, এই আশাতে,
হাজারটা মাইল দেবো পাড়ি, পাহাড় সাগর অরণ্য যা-ই সামনে আসুক, ভয়টা কীসের?
মুখটা তোমার উঠলে ভেসে এই চোখেতে, চাঁদের আলোয় গা’টা ধোবো তোমার সাথে,
পাহাড় ছুঁয়ে দূরের সুরে রাতের বাঁশি করবে মাতাল এই আমাদের যতন করে,
নদীর ঢেউয়ে ভাসবো দুজন চাঁদনি রাতে, আকাশভরা জ্বলবে তারা, আগুনেপোকার উড়বে মশাল, জলের হাওয়া মিষ্টি ছোঁয়ায় মন ভরাবে।---বারেবারেই এসব ভাবি। চোখ হেসে যায়, ঠোঁটটা কাঁপে...........
গাছের নিচে, বুনোপথে, ঝরাপাতার রাজত্বতে, ঘাসফুলেদের গুঞ্জনেতে, মৌমাছিদের ক্ষিপ্র ডানায়, প্রজাপতির আলোর ফাঁদে---ঘুরেফিরেই তোমায় দেখি।
নোনতা জীবন নেই হয়ে যায়, নুনটা বাড়ায় দুঃখের সাগর। সাগরতলের অতল মেঝেয় সুখটা মিলায়, কালো মেঘে সূর্য ওঠে এই জীবনের, যখন তুমি ভুলটা বোঝো, দূরে সরে রও, অশ্রুজালে আমায় বাঁধো।
 
তুমি যখনই আসো পাশে, ইচ্ছে করে তোমায় ধরে লুকিয়ে রাখি, সময়টাকে থমকে বাঁধি,
তোমার চোখে শান্তি সাধি অপূর্ব সব খাদ্যে কাজে কিংবা গানে। জায়গাগুলো দেখাই ঘুরে,
করবো সবই যা চাও তুমি, থেকো তবু একটু পাশে---দিব্যি এটুক ভালোবাসার।
হয়তো আমার প্রেমটা তোমায় খুব জ্বালাবে, জেনো তবু, এমন ভালো বাসবে না কেউ।
অলক্ষ্যেতেও কখনো হঠাৎ চোখটা তোমার উঠলে ঝরে, দিচ্ছি কথা, যে করে হোক,
বাঁধবো তোমায় ভালোবাসায় আর মমতায়, দুঃখটাতে আমায় রেখে রাখবো তোমায় সুখের ছোঁয়ায়।
অশ্বত্থের ওই বয়েসি ছায়ায় একটু থেমো, জিরিয়ে নিয়ো। শক্তি চলার ফুরিয়ে গেলে, স্তব্ধ ঠোঁটে একটু বোসো---
আমায় পাবে তোমার পাশে সেই প্রহরে। থাকবে যখন শূন্য তোমার জগত জুড়ে, আসবো আমি, ভরিয়ে দেবো
প্রসন্নতায় আর খুশিতে, মিটিয়ে দেবো তৃষ্ণা তোমার, হাতের পাঁচের অল্প ফাঁকে।
পৃথিবী ঘুমোয়? দাও ঘুমোতে, আমি তো জেগে!
 
পাখি কী কয় কিচিরমিচির, যদি জানতেম!
আলো অসির ছড়ায় ছটা---আসতো ফাঁদে!
ফাঁকা রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টটা আলো জ্বেলে যায়
ধূল কুয়াশা ধূসর ধোঁয়ায়। হয়ে ল্যাম্পপোস্ট,
আলোয় তোমায় ভাসিয়ে দিতেম পাখির সুরে।
আলোক তারার লুকাতো লাজে আমার সাজে।
বৃষ্টি হয়ে জীবনে এসো, রৌদ্র হয়ে সোনায় ঝোরো,
ভোরটা হয়ে আমায় ছুঁয়ো---ঘুম ভাঙতেই তোমায় পাবো।
এক অপরূপ মিথ্যে সেতো তোমার শরীর, তোমার চুমু!
তোমায় পেলে, অপূর্ব সব মিথ্যে এসে জীবন ছোঁবে।
চোরের বেশে জীবনে এসে খুনির দর্পে পালিয়ে যাবে! জানি তাও!
সবই বুঝি, তবুও রাজি! তোমার বাহুর ওই ডোরেতে,
মুহূর্ততে পেরোবে শতক, তোমার ছোঁয়ায় অন্য জীবন---
যে জীবনের স্বপ্নে বাঁচি, আসবে মানি, হেঁয়ালিতে মেলবে চোখে।
কণ্ঠে তোমার খেলবে যে সুর, সে সুর আমায় বাঁধবে প্রেমে।
 
তোমার পথে, মায়ার পিছে, ক্ষণের মোহে, অসার বোধে অবোধ হবো, অধীর রবো গোধূলিবেলার রাগটা মেখে।
শিশুর মতো অঝোর কেঁদে চাইবো তোমায়, রাতের নীহার পুড়িয়ে দেবে ধোঁয়ার শরীর, বিরহ তোমার ছুরির ফলায়, ঝরিয়ে যাবে রক্ত হিয়ায়।
রাত নির্ঘুম, এসব ভাবি, খোশবু তোমার স্মৃতির চাবি। আপন ঘরেই ফেরারি জীবন---দরোজায় তার কড়া নেড়ে যাই কী অবিরাম! নেই দারোয়ান!
কুহেলি রাতের বাতাসটাও মিথ্যে ছড়ায়। সে মিথ্যেয় চাঁদ জেগে রয়, আমিও জাগি। দেখে আমায় সবাই ওরা মাতছে মজায়। কেউ শোনে না, কড়া নেড়ে যাই কড়া নেড়ে যাই.......
অশ্রুশেষের অশ্রুটুকু জমিয়ে রেখে ছুঁড়বো দেখো যজ্ঞে হোমের---উঠবে সে ক্রোধে আগুন ফুঁড়ে!
হৃদয় আমার টুকরো-টুকরো হাওয়ায় ওড়ে, দেখতে কি পাও? প্রেমিকের চোখ---এ চোখ জ্বলে!
যে সত্য আজ সত্য হয়ে আমায় শাসায়, সে সত্যটা বদলে দেবো ভালোবাসায়---নিলাম শপথ!
আমিও রবো, তুমিও রবে, রইবে সাথে ভালোবাসাও। খুব হিসেবে মিলিয়ে নিয়ে সেদিন কেঁদো!