এলোমেলোদের এলোমেলোরা

করব করব করি, কিন্তু করতে গেলে কী যে করি, তা আর খুঁজে পাই না।
খুঁজতে খুঁজতে দেখি, কী খুঁজতে কী যে খুঁজে পেলাম...উফফ্‌ ভাবাই যায় না!
বুঝতে বুঝতেই বুঝি, সবকিছু অত তাড়াতাড়ি বোঝার প্রয়োজনই ছিল না।
প্রয়োজন প্রয়োজন করে চেঁচাই, অথচ বেঁচে থাকতে, অত কিছুর সত্যিই কোনও প্রয়োজন দেখি না।


আমি যা বুঝি না, তা তো বুঝিই না!---
সেটি বড়ো কথা নয়।
ব্যাপার হলো, আমি যে কী বুঝি আর কী বুঝি না,---
আমি সেটিও, প্রায় সময়ই বুঝি না!


ওদিকে আবার খুঁড়তে খুঁড়তে দেখি, একটু বেশিই খুঁড়ে ফেলেছি। এবার যদি সত্যিই কেঁচো খুঁড়তে সাপটা...
খাই খাই করে করে পাতে ঠিক অতটাই নিই, যতটা খাবার খাওয়াই আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
ভালো ভালো শুনতে শুনতে, লোকজনের কথায় আমিও নিজেকে ভালো বলেই মানতে শুরু করেছি।


একখারাপে খারাপি হয় না, খারাপি হয় খারাপে খারাপে মিলে।
একহাতে তালিও বাজে না, কিন্তু ভালো কিছু করতে আমার অনেকগুলো একহাত,
আর সে সাথে, ওই একহাতগুলো ভর্তি স্মার্টফোন লাগে।


বাহবা পেতে পেতে আজ আমি নিজেই নিজের মাথায় চড়ে বসেছি!
আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে বাহবা দিতে বলা হলে, আমি মনে মনে বলি,
‘বলে কী! খেপেছে! ওকে বাহবা দেবো...আমি?’


খালি কলসিই শুধু বাজে, এরকম কিছু নয়,
আমি এমন অনেকের সাথেই চলি,
যারা আমার মতন বাজে মানুষের চেয়েও বাজে, এবং
বস্তুত, খালি কলসির চাইতেও অনেক বেশিই বাজে!


দুজনে মিলে বড়োজোর প্রেম করা যায়,
ভালোবাসায় কিন্তু...দুজন মিলে গেলে আর হয় না কিছুই!
একা একাই কেঁদে, কখনওবা হেসে; একলা একলাই ভালোবাসতে হয়।


কারও কথার প্রত্যুত্তরে, কথার নিপট গাঁথুনি সাজিয়ে,
আমি যদি দুটো কথা বেশি শোনাতেই না-ই পারলাম,
তবে সেটা নিশ্চয়ই কোনও ভালো কথা নয়!


লুডুতে ছয় হোক কিংবা ক্রিকেটে,
ছয় হওয়াটাই বড়ো কথা!
কিন্তু ঘরের ভেতরে থেকে বলা ছয়,
আর ঘরের বাইরে গিয়ে তোলা ছয়---
এই দুই কোনওভাবেই এককথা নয়!


বিশ্রাম নিতে নিতে ক্লান্ত যে মানুষটা,
তাকে এবার কিছু কাজ দাও!
বিশ্রাম আর কত নেবে সে?
কাজেই অভ্যস্ত যে শরীর,
বিশ্রামে তার পোষায় নাকি অত?