কবিতাগ্রাসী

 
এই যে শুনছ? কোথায় তুমি? খুঁজে পাই না কেন?
কোথায় উড়ে গেলে কর্পূর হয়ে?
তুমি ঠিক করেই ফেলছ, আমায় কষ্ট দেবে। তাই না, বলো?
আর এদিকে যন্ত্রণায় ছটফট করে মরব আমি…
তুমি তখন হাসবে ভীষণ!
আমি কষ্ট পেলে খুব মজা হবে, না?


সত্যি করে বলো তো, আমার জন্য
কখনওই তোমার একটু করেও কষ্ট হয় না?
মায়া হয় না? ভাবতে ইচ্ছে করে না, আমি কেমন আছি?
তুমি বোঝই তো না…তোমার জন্যই আজ আমি এমন ছন্দহারা!
এই জীবনে তুমি নেই তাই সবকিছুই এলোমেলো আজ!


একটু লিখব তোমায়…এটা যে-ই না ভাবি, অমনি আমার ভাবনাসমুদ্রে
যেন হঠাৎ করেই সুনামি ওঠে! সর্বহারা দীর্ঘশ্বাসে চোখের সামনে কোনও পথ দেখি না!
আহা, এসব শুনে তোমার বড় স্বস্তি হয়…সত্যি নাকি?
ভাবতে থাকো, যাক, এবার তবে ওই বেকার মানুষ খুব জ্বলছে! খুব পুড়ছে!


একদিন, বলেছিলাম তোমায়, আমায় একটু স্পর্শ করো!
করলে না তো, আমারও কিছু ছিল না করার!
তাই তো আমি মিশি কবিতায়, নিজেকে বিলীন করি হাসিমুখেই!
আর তোমায় রাখি খুব আদরে বুকের মধ্যে!
তুমি ওখানেই ভালো…বাধাদেবার কেউ নেই তো!


আমি যা ভাবি, এমন সরলভাবে দিচ্ছি বলে,
প্রেম তাই যেটুক আছে, তাও এভাবে নিচ্ছ কেড়ে!
তুমি কবে হয়েছ এমন কবিতাগ্রাসী?
খুব বলেছিলে তো, অনুভূতি আর ভাবনাগুলি নেই লুকোতে…
দুঃখ এলে দেখিয়ে দিয়ো! সুখ এলে ভাগ করেই নিয়ো!...বলেছিলে তো?
তোমার অমন যুক্তি-তর্ক আজ কোথায় গেল?
তাই তো তোমায় আড়ালে ডাকি---সর্বনাশা!


আচ্ছা, তুমি সত্যিকারের আমার হলে কেমন হতো?
যদি আমিই হতাম ঠিক তোমার মনের মতো, কেমন হতো?
দেখো, একদিন পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
তোমার চোখ ছুঁয়ে ফেলব, ওই কপালে টুকুস্‌ করে চুমু খাবই খাব!
এর পর একদৌড়ে পালিয়ে যাব!
দেখি, আমায় কে আটকায়!
দেখি, তুমি তখন আমায় হারিয়ে দিতে কোন যুক্তি খোঁজ!


আমার সবকিছুই ঠিক বলে দিই, তাই তো আমায় বুঝেই ফেল!
তুমি কেমন পাজি…শুধুই সুযোগ খোঁজ আমায় জব্দ করার!
আমি তো জব্দ হয়েই আছি সে কবে থেকেই!
একটা কথা! এক চুমুতেই আমি থেমে যাব না!
বাকিটা হবে সময় হলেই! ওই চুমুটা---
তোমার কাছে পৌঁছে যেতে অনেক পথের একটা কেবল!
নৈবেদ্য সাজিয়ে দেবো হাজারো নতুন পথের বাঁকে,
তুমি শুধু আমার পুজো গ্রহণ কোরো সময় হলে।


যতই আমায় ভুলেই থাকো, মনে না আনো,
তবু সত্যিই জেনো, ভালোবাসব।
সারাটা জীবন তোমায় ভেবে কাটিয়ে দেবো…
তুমি নাহয় অন্য কারও সাথেই থেকো!