কবির প্রেরণা

মনের মধ্যে একচিলতে হাসি, দর্শন ওইটুকুই।
এবং পুঁজি বলতে, গলার গোড়ায় একটি দৃঢ় কণ্ঠস্বর,
উঁচু এবং প্রশস্ত কপাল, যা প্রশান্ত ও নমনীয়।
কবি যা অনুভব করেন, তা
উৎসাহ, এবং তারই সাথে বিশ্বাস ও দুঃখে পরিপূর্ণ।


সম্ভবত, অপরিবর্তনীয় কিছু নীতি স্থির থেকে যায় শেষঅবধি,
আরও থেকে যায় কবির সুর ও বেদনাগুলি,---
ভয়াবহ প্রমত্তা এক দূরস্থিত ঝরনা হতে নিঃসরিত সেইসব;
এবং, কবির সংবেদনশীল হৃদয়ে
কিছু কিছু কাঁটা ফুল খুঁজে চলে আজীবনই।


তার সমস্ত শৈশব-স্বপ্নের মাঝখানে
একটি বাগানই তাকে পথ দেখিয়েছিল...তার নিজেরই হৃদয়ের দিকে,
যে বাগানের দেখাশোনার দায়িত্বরতা ছিল কোনও এক নারী,
যে নারীর চোখে শীত ফুরিয়ে বসন্ত নামত।
এবং নামে, আজও; নামবে, কালও।


হে বন্ধু, কবিকে ভালো তুমি না-ই বাসতে পারো,
তোমার প্রেয়সী তো বাসে!
সে বাসে বলেই তুমি বাসো না,
না কি তুমি বাসো না বলেই সে বাসে,
কিংবা অন্য কী ব্যাপার, সে খোঁড়াখুঁড়িতে না গিয়ে এটুক শুধু বলি,---
তোমার ঘৃণার চাইতেও তোমার প্রেয়সীর ভালোবাসা দামি, জেনো!