কুয়াশার খাম খুলে/নয়

আপনার যত সুন্দর ছবি, সবগুলা একটা প্রাইভেট অ্যালবামে রেখে দিলাম, আপনি ছাড়া কেউ ওগুলা দেখতে পারবে না, ওইখান থেকে পিক সিলেক্ট করবেন, অনুগ্রহ করে আপনার ওয়াল থেকে অ্যালবামটা কক্ষনো শেয়ার দিবেন না। আমার প্রোফাইলে তিনটা অ্যালবাম, তিনটাতেই সবগুলা আপনার ছবি, খুঁজতে হবে না আর কষ্ট করে, তবে একটা অ্যালবাম আমি শুধু-শুধু দিসি, ওই ছবিগুলা বেঁচে গেসিলো, তাই দিলাম, ওইখান থেকে আবার দিয়েন না কিন্তু কোনও ছবি! আচ্ছা, আপনি কি পাইসেন ছবি? আমি কি লিংক দিয়ে দিব? বলেন! বলেন! বলেন! আমার কিন্তু এক কথা বারবার বলে অন্যের মাথা নষ্ট করতে ভাল লাগে! আপনি চুপ করে থাকলে ওই বাতিকটা কিন্তু আবার জেগে উঠবে! বলেন যে দেখসি কিংবা পরে দেখব, একটা কিসু তো বলেন! আমি কত্ত কষ্ট করে আপনার দুনিয়ার সুন্দর-সুন্দর ছবি বের করলাম না? অ্যাত্ত দেমাগ ক্যানরে ভাই? পোলার দেমাগে বাঁচি না!

প্রতিদিন প্যাঁকপ্যাঁক করে পরসাপরসা সব ছবি দেয় আর আমি একটা দিতে বললাম তো এক্কেরে সেরাম গাম্ভীর্য চল্যা আসল! চরম ব্যক্তিত্ববান পুড়ুস রে আমার! সিরামমম……সে এ দুনিয়ার ব্যস্ততম ছাওয়াল হয়্যা গেল! ঠিক আছে! ঠিক আছে! আপনার ইচ্ছা মতন টাইম নেন। আমার অতো তাড়া নাই! আপ্নে একখান পুরুষ না, পুরীষ!

……আমি তো বুঝেছি, পৃথিবীতে নেই দিবানিশি চায় মন যা/ তাই নিয়ে খুশি হয়ে যে থাকে থাক/ ওহহো, সইতে পারি ‘না’ বলা/ মন নিয়ে ছিনিমিনি সইব না……

কী লিখব খুঁজেই পাই না! তাই আইজারা-মাইজারা একটা গানের কথা লিখে দিলাম! সরি! (গানটা শুন্সেন না? শচীন দেব বর্মণের। শুইনেন কিন্তু!)

সব মেয়েই চায়, প্রেম করে বিয়ে করতে। ওরা তা করেও, তবে ওদের প্রেমিক আর স্বামী ভিন্ন দুইজন পুরুষ। আল্লারে! কী শুরু করলাম এইগুলা! শানায়ার কথা কি শ্যাষ হয়ে যাচ্চে নাকি? তাইলে আমি ডাগাসকে জ্বালাব কীভাবে? সামনে গিয়া গান কয়্যাকয়্যা বখাইট্টা ছেলেপেলেদের মতন জ্বালাতে হবে নাকি? আল্লাগোওওওও……আমি গেলামসসসসসস্‌!!!! টাটা।

আজকের স্ট্যাটাস নিয়ে একটা কথা বলতে ইচ্ছা করল, কিন্তু বলব না। আপনার ভাল লাগবে না শুনতে। আচ্ছা বলি, কী আর হবে! ওই এক ব্লক করার বাইরে কিছু করার ক্ষমতা আপনার নাই। ওই লোকটা তো শাস্তি পেলইরে বাবা! আল্লাহ্‌ তো দিলই। মাঝখান থেকে আপনি লোকটাকে পচায়ে নিজের পূণ্যটুকুন মাইনাস করলেন। কী দরকার ছিলরে বাপ? আমি জানি, এখন আপনার অ্যারোগ্যান্ট মন আমাকে গালি দিবে, বা বলবে, তুই ওর হয়ে ওকালতি করতে আসছিস কেন? বা রেগেমেগে বকেও বসতে পারেন। তাও বলি, ডাগাস, কথা না শোনানোকে যেমন আপনি ভাল জিনিস মনে করেন, ঠিক তেমন আরেকটা ভাল জিনিস হচ্ছে, অন্যের দুঃখে না হাসা। সেটা যে-ই হোক না কেন! এখন বলবেন, ওই ছেলেটা আমার কে হয়? আমি ওর পক্ষ হয়ে কেন দালালি করতেসি, তাই তো? আপনার দোষ নাই, আমার বাড়ির লোকই আমাকে বুঝে না! ওরাই আমাকে ভুল বোঝে আর আপনি তো বাইরের লোক! আমি আসলে আপনার পক্ষ হয়েই দালালি করতেসি, কিন্তু সফল ব্যক্তিদের বুদ্ধি বেশি, তাই বুঝে কম। আসলে বুদ্ধি বেশি, সাথে অহংকারও বেশি, তাই বুঝে কম। খোদা হাপেইজ।

আমার আপনার সাথে একটা, মানে তিনটা খুবই জরুরি কথা আছে। মাত্র তিনটাই! বেশিক্ষণ লাগবে না! তিন মিনিট, এর বেশি না। তো কখন ফ্রি থাকেন আপনি? আর আপনার জঙ্গলের ছবিগুলা ভাল হইসে। আপনি একটা পচা! এইজন্য না যে আপনি সত্যিকারের পচা, এইজন্য যে আমার সিলেক্টকরা অ্যালবামের একটা ছবিও আপনি এখনও পর্যন্ত প্রোফাইলে বা কভারে দেন নাই।

এক মেয়ের সুইসাইড নোট নিয়ে আপনার নোটটা পড়লাম। কেমন জানি হয়ে গেলাম। আমি যে সুইসাইড নোটগুলা লিখতাম, সেগুলার কথা মনে পড়ে। কিছু একটা লিখব ভাবতেসি। মন্তব্য করতে হলে আবার পড়তে হবে। আমি একসময় প্রায়ই সুইসাইড করতাম, মানে করার কথা ভাবতাম আরকি! মানুষ যখন নিজেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবতে শুরু করে, তখন তার পক্ষে বেঁচেথাকা কঠিন। আমি সেসময় নিজের জন্য কোনও জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না, যেখানে আমি কষ্টের সময়ে আশ্রয় নিতে পারি। পরিবারের সকলের চোখে আমার চাইতে আমার ভুলগুলি বেশি গুরুত্ব বহন করত। আমার বারবারই মনে হচ্ছিল, আমাকে বোধহয় কেউ চায় না। আমি এ জীবনে কিছুই তো করতে পারলাম না, তার উপর আমার জন্য আমার পরিবারের লোকজনও অহেতুক কষ্ট পাচ্ছে। এমন জীবন রেখে কী হবে, যে জীবন কোনও কাজে তো লাগেই না, বরং সে জীবনকে সামনের দিকে টেনে নিতেই কষ্ট হয়? তখন এসব ভেবেটেবে আমি একবার ঘুমের ওষুধ খাইসিলাম। ১৫-১৬টা হবে। তারপর ভয়ে আর খেতে পারি নাই। হাহাহা……একবার তো ইনসুলিন নিসিলাম ৫০ ইউনিটের মতন, আরও বেশি নিতে পারতাম, কিন্তু বোতলে আর ছিল না। থাকলে সেটুকুও নিয়ে নিতাম! আর ছাদে উঠে তো প্রতিদিনই একবার করে প্র্যাক্টিস করতাম……কিচ্ছু হয় নাই কখনওই, শুধু পা ভাঙসে দুইএকবার।

আব্বা খুব জ্বালাচ্ছে। আপনার লেখা পড়তে পারতেসি না। আপনাকে লিখতে বসতেও পারতেসি না। খালি ডাকে। কেন ডাকে? খুবই সিলিসিলি কারণে ডাকে। শানু, আমাকে এক গ্লাস পানি দিয়ে যা তো! (উনার সামনেই পানির জগ আর গ্লাস রাখা কিন্তু!) শানু, আমার চশমাটা কোথায়, দেখ তো! (উনি খাটে আধশোয়া অবস্থায় আছেন এবং উনার পাশে বালিশের উপরেই চশমাটা আছে!) শানু, টিভিটা একটু ছেড়ে দে। (আমি গিয়ে উনার হাত থেকে রিমোর্টটা নিয়ে টিভি ছেড়ে দিয়ে আসি!) কোনও মানে হয়, বলেন? উনার নাকি আমাকে দেখতে ইচ্ছা করে, তাই হুদাই ডাকে আর আমার জীবনকে অতিষ্ঠ করে। এভাবে কিছু পড়া যায়? অসহ্য! একে তো মুড অফ হয়ে গেসে, তার উপর বকবক। সারাক্ষণই নীতিকথার বৃষ্টি হতেই থাকে! শানু, হ্যান করিস না, ত্যান করিস না, এটা কর, সেটা কর…….এই বাসায় শান্তি করে একটু মনটাও খারাপ করা যায় না। ধুউউস্‌! আরও কী কী যেন আপনাকে বলার ছিল। আমি পরে বলব। কিছু মনে কইরেন না, হ্যাঁ?

আমার মা ঢাকায় আছে। আমি যখন একটু আগে আপনাকে লিখতেসিলাম, তখন আমার মা ফোন করে ভ্যাভ্যা করে কান্দে! আমার মায়ের নাকি ভাল লাগতেসে না! ভাল না লাগার কারণটা আবার সে জানেও না। মা’র আবার কী হল? মা কি আবার টিনএজার হয়ে গেসে নাকি? এ সমস্যাটা তো টিনএজারদের হয়! অবশ্য, মেয়েদের সারাজীবনই একটা যন্ত্রণা থাকে—ওদের কিচ্ছু ভাল লাগে না। এ মেয়েলি যন্ত্রণার নাম ভাল্লাগেনা যন্ত্রণা। আমি কেমন আছি, সেটা বারবার জানতে চাইসে। আমার জন্যে নাকি তার খুব জান পুড়তেসে! জান পুড়া মানে মনে হয় মিস করা, আমি ঠিক জানি না। কিন্তু মা তো আমাকে দেখতেই পারে না দুচোখে! আমি নাকি তার জীবনটা শেষ করে দিচ্ছি! সে নাকি মরে যাবে আমার কারণে। আমি নাকি পরিবারের মানসম্মান ধূলিসাৎ করে দিলাম! (এর কারণ, আমি বুড়া হয়ে গেসি, কিন্তু বিয়া করতেসি না।) সে মা-ই আবার আমাকে মিস করে, আমার চিন্তায় কান্দে! এই ঘটনাটা কীভাবে সম্ভব? এমন কাকতালীয় ঘটনা আমার সাথে ঘটে!

দ্য গ্রন্থিক, আমি একটু বাচাল, তাই বলে, আপনার লেখার বিচার করে মন্তব্য করব, এত যোগ্যতা বা জ্ঞান আমার নাই, ভাই। (আসলে, সাহসই নাই। আপনি একটু বদ আছেন, মন্তব্য পছন্দ না হলে লোকজনকে ব্লক করে দেন।) তারপরও এককোণায় দাঁড়িয়ে মিনমিন করে হয়তো বলব, মনকে ছুঁয়ে যায় কেবল আপনার কথাই। কিছু কথায় চমকে যাই। যাকে বলে, ধক্‌ লাগা! আমি সাহিত্যমাহিত্য বুঝি না, আমার দুনিয়ায় আমিই রাজা, আমিই প্রজা। আমার যেটা পড়তে ভাল লাগল, সেটাই আমার কাছে ভাল লেখা। সেটার সাহিত্যমূল্য নিয়ে ভাবি না। (আসলে ওই মূল্য বস্তুটা যে কী, এখনও বুঝলামই না। কত মূল্যহীন জিনিসই তো নানান কারণে কিংবা অকারণেই মূল্যবান হয়ে ওঠে। আবার দারুণ দামি জিনিসও পথের ধুলায় দিনের পর দিন পড়ে থাকে অগোচরে।) আপনি ভাল লেখেন, আপনি জানেন কী লিখতে হয় আর বোনাস হিসেবে আপনার কিছু লেখায় কত ছেলেপেলে ইন্সপায়ার্ড হয়ে যায়। ছ্যাবলামো করে লোক হাসানো সহজ, কিন্তু কয়জন পারে এভাবে মানুষকে এভাবে স্বপ্ন দেখাতে, আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে, এমন মানুষকে ফিরায়ে আনতে! অন্যদের কথা জানি না, আপনার লেখা পড়ে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যাই আমার নিজের কথা ভেবে। আমি কিন্তু আপনার কাছে বাঁচতে শিখি নাই। কিন্তু অন্যদেরকে শিখতে দেখে মুগ্ধ হই, অবাক হই, আর কৃতজ্ঞ হই। একজন সত্যিকারের কৃতজ্ঞ বাঙালি পাওয়া পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলির একটা! আপনি যাদের উপকার করেন, ওরা আমার কেউ হয় না, কিন্তু আমি বোধহয় বুঝতে পারি ওদের ব্যাপারস্যাপার কিছুটা। কষ্টপাওয়া ছেলেপুলেদের কষ্টটা বুঝি, তাই ওদের আপনআপন লাগে। তার উপর কম বয়েসি ছেলেপেলেরা একটুতেই কষ্ট পায়। ওদের আবেগ বেশি, তাই বেদনাও বেশি। আচ্ছা, আপনি সুন্দর লিখসেন, সেটা নিয়ে না, আমি যদি কিছু বলতে চাই তো সেটা ঘটনা নিয়ে। তাই বাকি প্যাঁচালটুকু না পড়লেও হবে।

আপনার নোটে মেয়েটার চিঠিটা পড়ে সত্যি আমার একটুএকটু হাসি লাগতেসে। পিচ্চি মেয়েরা এভাবেই অবশ্য বলবে! মেয়েটার বাপের উপর অভিমান দেখেও মজা লাগতেসে। আমার নিজের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তবে আমার বাপের মনমানসিকতা যদি এমন হত, খোদার কসম আমি শুধু এই কারণেই মরতাম। আমি সত্যিই অনেক লাকি। আমরা সবাই ছেলেদের চেয়ে মেয়েদেরকেই বেশি পছন্দ করি। সবাই মানে, একদম সবাই। বরং ছেলেদেরকেই আমাদের পরিবারের সবাই বকা বেশি দেয়। আচ্ছা, দয়া করে ওই মেয়েটাকে বলবেন, প্রাইভেটে ভর্তি হবার দরকার নাই, জাতীয় থেকে অনেকেই অনেক ভালভাল জায়গায় গেসে, আমি এমন অনেক দেখসি। ওই মূর্খের সাথে বিয়েটা কি আটকাতে পারবেন কোনওভাবে? আমার ভয় হচ্ছে, আপনার কথার প্রভাব মেয়েটার উপর কতদিন থাকবে? বাসায় যেয়ে যখন আবার খোঁটা শুনবে তখনও কি গ্রন্থিক-ফ্যাক্টর কাজ করবে? করলেও, কয়বার করবে? ভাইরে, বাসার খোঁটা সহ্য করা যে কী কষ্টের, যাকে এটা করতে হয় নাই, সে কখনও এটা বুঝবে না। অনার্স কমপ্লিট করতে ৪-৫ বছর তো লাগবেই। আমি নেগেটিভ চিন্তার মানুষ ভাই, আমি ভাবতেসি, অতদিন মেয়েটা নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারবে তো? কান বন্ধ করে বাপের সব অপমান সহ্য করতে পারবে তো? অত শক্তি ওর আছে? আপনি তো পোলাপানকে কাউন্সেলিং করেন। আমার তো মনে হয়, পোলাপানকে না করে ওদের গার্ডিয়ানদের কাউন্সেলিং করলে বেশি কাজে দিত। আপনিই বলেন, কাউন্সেলিং মেয়েটার চেয়ে কি ওর বাপের বেশি দরকার না? আমাকে ওর বাপের নাম্বার দেন। ব্যাটাকে আমি……

কান্তেকান্তে আর পুরান কথা ভাবতেভাবতে আমার এখন হাসি পাচ্ছে! আমি বোধহয় ফেসবুকে কমপক্ষে ৫০টা নোট লিখসি। সবগুলাই অনলি মি করে রাখা। আব্বা, আম্মা আর চৈতালিকে চিঠি লিখতাম আর কানতাম। সেগুলা নোটে রাখসি, ওরা কেউ সেগুলার খোঁজ জানে না, জানবেও না কোনওদিন। ছাদে বসে লিখতাম। কাগজ ভিজে যেত চোখের পানিতে, আমার মনে আছে। আমি একটু কাঁদলেই চোখদুইটা লিচুর মত হয়ে ফুলে যায়, তাই চোখ লুকানোর জন্যে মাথায় কাপড় দিয়ে বা মাথা নিচু করে চট করে ঘরে ঢুকে পড়তাম। ওই দুঃখের চিঠিগুলার কয়েকটা আমার চারজন বেস্ট ফ্রেন্ডকে পড়াইসি। কিন্তু আমার চিঠিগুলা এত মজার হত যে, যে-ই পড়ুক, কানতেকানতেও তাদের হাসি পেয়ে যেতই যেত। আমি কিন্তু মিন করেই বলি যে আমি আজরাইলের সাথেও ফান করব। ছোট্ট একটা জীবন, এতো গোমড়া মুখে কাটানোর কী দরকার? কষ্ট? ওটা তো থাকবেই! জীবন যতক্ষণ আছে, ততক্ষণই জ্বালা আছে। একবুক কষ্ট নিয়ে হাসিমুখে বাঁচার নামই তো জীবন। এমন তো নয় যে, আমি রাম গরুড়ের ছানা হয়ে থাকলেই কষ্ট কমে যাবে! কী দরকার! হাসিমুখে বাঁচলেও কষ্ট পিছু ছাড়বে না, গোমড়ামুখে বাঁচলেও কষ্ট পিছু ছাড়বে না। তাই হাসিমুখে বাঁচাই তো ভাল। আমাকে দেখে আমার আশেপাশের লোকজন বিরক্ত অন্তত হবে না। আর এদিকে আমিও একটু মিথ্যে করে হলেও ভালথাকার অনুভূতিটা পেয়ে নিলাম। ভালথাকার অনুভূতি পেয়ে বাঁচাই তো আনন্দের, তাই না?

আপনি একটু আগে যে ইশটিটাশটা মারসেন, ওইটা কি আমার উদ্দেশ্যে? আমাকে বকা দিয়ে আদৌ কোনও ফায়দা আছে, বলেন? যা-ই হোক, আপনার এই বকাটা খুব সুন্দর হইসে কিন্তু! খিক! খিক! কিন্তু আমার সেন্স আর কমনসেন্স কিছুই নাই। আপনি বলেনগা যা খুশি, তাও থাকবো লেলঠিগুয়ের মত। অ্যাইনি সমেইস্যা?

আচ্ছা, আজকে শনিপূজা না? পূজার দিনে আবার কীসের ডিউটি? আচ্ছা ডাগাস, একটা ব্যাপার কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকে না, আমার পিয়ারের স্মাগলার চোরের মাথায় বুদ্ধি এত কম ক্যান? শানায়ার মাথায় যে বুদ্ধি আছে, স্মাগলার গাদ্দুদের মাথায় তো দেখি সে বুদ্ধিও নাই! আচ্ছা, ওরা কি জানে না যে কাস্টমসের লোকজন এয়ারপোর্টে থাকে? ওরা যে ধরা পড়বে, এটা তো আমিই জানি, তাও ওরা কেন জানে না? কেউ ওদের বলে না ক্যান? ওদের কি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট নাই? ওরা কি গ্রন্থিকের প্রোফাইলে একবার ঢুঁ মারতে পারে না? তাহলে তো ওরা জেনে যেত যে আপনি ওদের পিছনে দৌড়ান। ওরা এত গাঁইয়া ক্যান? ছিঃ! স্মাগলারগুলা খুব খ্যাত আছে! ঘিন্যাহ! সোনা নিয়ে আসে, বুঝলাম। তাও আবার রাখে কোথায়! বাথরুমে? কী রুচি! ছিঃ! কমোডেও রাখে! ওইগুলা নাকি আমরা হাতে, গলায়, নাকে, মাথায় পরে ঘুরি! ইল্লিক্ক! এখন আর আমি গয়নাই পরতে পারব না। আচ্ছা একটা প্রশ্ন, সোনার বারগুলা যদি গলায়ে চেইনটেইন আর চুড়িটুড়ি বানায়ে তার উপর সিলভার বা অন্য রঙের কোটিং করে যদি ওরা সেগুলা পরে আসে, তাও কি ধরা পড়ে যাবে? সাহস করে আরেকটা প্রশ্ন, এটাই শেষ, আল্লাহ্‌র কসম! আজকে দেখলাম, কাঠবিড়ালি বিশাল একটা বরই, মানে কুলগাছের চিকনা ডালে চড়েচড়ে কুটকুট করে কী-জানি খাচ্ছে আর এডাল-ওডাল ঝুপঝুপ করে লাফায়ে বেড়াচ্ছে, তো ওদের গায়ে কি বরইগাছের কাঁটা ফুটে না?

দ্য গ্রন্থিক, আপনি আমাকে পাখি ডাকসেন কেন? কী এমন হইসে যে আমার উপর আপনার এতো পীরিত জেগে উঠল? আমি আপনাকে জ্বালাব আর আপনি লজ্জা পাবেন, ওইটাই তো ঠিক আছে। তো আপনি আবার উল্টা খেলা শুরু করসেন কেন? শুনেন, পাখি খুব খারাপ আছে, খুব কষ্টে আছে, আর বোধহয় বড় একটা ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছে। আমি তো আপনাকে সবই বলি, তাই ঝামেলার কথাও বলব, আমি সরি যে, মেইল করতে পারি নাই, তবে মেইল করে সবই বলব। বলব, মানে বলবই। তবে একটু দেরি হবে, কিছু পেইনের মধ্যে আছি। আর আমি কিন্তু ভাল পাখি না, আমি কুত্তা পাখি, আমাকে ঘিন্যা করেন, ওকে? আপনার সাথে তো আর আমার প্রেম-বিবাহ টাইপের কিছু হওয়ার সুযোগ নাই, তাই আপনাকে সবই বলা যায় নির্দ্বিধায়। আপনাকে আমি গড ভেবেই সবকিছু বলে দিব, সব অভিযোগ জানায়ে দিব। (আপনি একজন কামুক আর দুষ্ট গড।) আমার আবারও মরে যেতে ইচ্ছা করতেসে, সত্যিই খুব বড় ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছি একটা শুয়োরের জন্য। জানেন, আমার এখন আর মরতে ইচ্ছা করে না, বাঁচতে ইচ্ছা করে। আমি কোনও মানুষের ভালোবাসা চাই না, প্রেম চাই না, সহানুভূতি চাই না, শুধুই বাঁচতে চাই, ওতেই হবে।

আমি ভাবতেসি, মরে গেলে তো আপনার লেখা পড়তে পারব না, আপনাকে দেখতে পারব না, আপনাকে জ্বালাতে পারব না, আপনাকে এমন করে লিখতে পারব না, বান্ধবীদের সাথে আড্ডা মারতে পারব না, আর আমাকে নিয়ে আমার বাপ-মা’ও ঝামেলায় পড়ে যাবে, মরতে আমি আগেও চাই নাই, আমার একটাই ভয় ছিল যদি আমার সবকিছু আমার ফ্যামিলি জেনে যায়! ফ্যামিলি মানে কিন্তু আমার আত্মীয়স্বজন সহ। আমাদের সবার মধ্যে বন্ধন খুব শক্র, একটা উদাহরণ দিই, বুঝবেন। আমরা দুই বোন আমাদের ৬ কাকার ৪ কাকাকেই নাম ধরে আর তুই করে ডাকি। এখন বুঝলেন? আমাকেও সবাই ভালোবাসে, আমি সবই বুঝি। আমাকে আসলে আবার কে যেন ভয় দেখাচ্ছে। আমি কী করব, বুঝতে পারতেসি না। একে তো সেই পুরনো লজ্জা, অস্বস্তি, তার উপর নতুন করে কাউকে ঝামেলায় ফেলতে চাই না।

আপনি কিন্তু আমার কথা শুনে ভয় পাবেন না, আমি আপনার কাছে কোনও হেল্প চাচ্ছি না, চাইবও না কখনওই। এমনিই এসব আপনাকে জানালাম। আমার কিছু ভাল লাগতেসে না। আপনি আমার কথাকে গুরুত্ব দেয়ার দরকার নাই, আমার সব কথাকেই ইগ্নোর করেন, আল্লাহ্‌র কসম, আমি কিছুই মনে করব না। একটা অনুরোধ, বেশি অশ্লীল কথা আমার সাথে বলবেন না। (অবশ্য, কম অশ্লীল হলে কোনও অসুবিধা নাই।) আমি অশ্লীল কথা নিতে পারি না, আপনি বেশি অশ্লীল কথা বললে আমি খুব অস্বস্তিতে পড়ে যাব, আপনাকে হারাতে চাই না বলে আপনাকে সবসময়ই তেল মেরেমেরে খুশি রাখার চেষ্টা করি, মুখে আপনাকে কিছুই বলতে পারব না, আবার অশ্লীল কথা নিতেও পারব না। আমাকে নাকি বিদেশে চলে যেতে হবে। দেশে থাকলে নাকি আমি বিপদে পড়ে যাব। কিন্তু মামাদের বলে বিদেশে যেয়ে ওদের কাছে ঋণী হয়ে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াও ভাল। কিন্তু বাসায় বলতেসে, সবকিছু হারায়ে ফেলার চাইতে বিদেশে গিয়ে কারও বাসার চাকর হয়ে থাকাও নাকি ভাল। আপনাকে এইগুলা কেন বলতেসি, আমি সত্যিই জানি না।

ডিয়ার কামুক গড, সরি, আপনাকে কামুক গড বলাটা আমার ভুল হইসে। প্রিয়, কামুক প্রভু, আমার কামুক প্রভু……এইবার ঠিক হইসে। তো আমার কামুক প্রভু, আপনি তো অনেক ভাল, তাই না? আল্লাহ্‌ তো আপনাকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসেন, তাই না? তো এই ধুমসি, মুটকি, খ্যাত পাখিটার জন্য একটু দু’আ কইরেন তো, ভাই। পাখিটা তো মানুষ হিসেবে খারাপ না, তো আপনার আল্লাহ্‌ যেন পাখিটাকে একটু শান্তি দেয়। ও যা পাইসে, তাতেই তো মহাখুশি ছিল আর কিছুই তো চায় নাই সে, তো আল্লাহ্‌ কেন বারবার তার সাথে এমন করে? আপনার কি জানতে ইচ্ছা করতেসে পুরা কাহিনি? ওকে, আমি পরে সব বলবনি, আপনি পাখির জন্য শুধু একটু দু’আ করবেন আর ওকে ভুলে যাবেন না কখনওই, হ্যাঁ? আর কিসু না।

গতকাল রাতে একটু ডিস্টারবড ছিলাম, স্ট্রেস ছিল, অযথা বকবক করে ফেলসি আপনাকে ইনবক্স করে। ওসব কিছু না, মনে কিছু নিয়েন না, আমি যতদূর জানি, আপনি আমার টেক্সটগুলা একটাও পড়েন না, পইড়েনও না, প্লিজ। আর আমি কোনও ভুল করে থাকলে মাফ কর দিয়েন, আমি যা লিখসি, ওইগুলা এমনি লিখসি, সিরিয়াস কিছু না, চাপের মধ্যে থাকলে মানুষ ফালতু কথা আর অর্থহীন কথা বেশি বলে, আপনি তো জানেনই, আমিও বলসি আরকি, এমন ভুল আর হবে না। আচ্ছা, খোদা হাপেজ।

আপনি বলসেন যে, আপনি সত্য শুনতে ভালোবাসেন। এটা কিন্তু মিথ্যা, আপনি খালি প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। আপনি অন্যদের বোকা ভাবেন। আরও কী কী জানি মাথায় আসছে আপনার সম্পর্কে। একে তো সেলফোনে লিখতেসি, তার উপর লিখতেও মন চাচ্ছে না। পরে লিখবনে। আমি ভাই সস্তা মানুষ, আমার সেলফোনও সস্তা, আমার চিন্তাও সস্তা। তবে আমি মনে করি, আমি সস্তা হলেও আমার বিচারবিবেচনা ভুল না। আরও বলি, কেমন? অন্যের উপর রাগ থাকলেও সেটা উনার উপর চাপানোর ক্ষমতা আপনার নাই। আপনি একইসাথে আবেগপ্রবণ ও বাস্তববাদী। মানে, আপনার মধ্যে ডক্টর জেকিল আর মিস্টার হাইড ক্যারেক্টার কোএকজিস্ট করে। আপনি বুদ্ধিমান, তবে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার স্বার্থে অন্যকে বোকা ভাবেন। ঝোঁকের মাথায় বা অন্য কোনও কারণে নিজেকে খারাপ বলে ফেলেন, তবে মনেমনে চান যে আপনাকে সবাই ভাল হিসেবে জানুক। মানুষের ভালোবাসা ভালোবাসেন। যতই বেলাল্লাপনা করেন না কেন, আপনি একটু হলেও লাজুক আছেন। (আপনার এই এক চিমটি লাজুকতা আমার পছন্দ।) আপনি স্বঘোষিত কেয়ারলেস, যেটা পুরাই একটা ভুয়া কথা। আপনি একটু ছিঁচকে মাতালও আছেন, ভাই। তবে অনেকে যেমন আছে না, জাতে মাতাল, তালেও মাতাল? আপনি ওইরকম না, আপনি জাতে মাতাল, তালে ঠিক!

কী? মন খারাপ হয়ে গেল? আরে, শানু পাগলির কথায় কেউ মন খারাপ করে? আমার কথা ধরারই তো কিছু নাই। আপনি লিখবেন, বেশিবেশি লিখবেন, কারণ আমার তো কোনও কাজ নাই, আপনার বড় লেখা পড়ার অফুরন্ত অবসর আছে আমার। অবশ্য, আমার কথা রাখার দায় কারও নাই। এমনিতেই লিখতে বলসি। খোদা হাপেজ।

আপনি একটুতেই এরকম করেন ক্যান? এভাবে কমেন্ট করলেন ক্যান? এরকম কমেন্ট দেখলেই ভয় পাই! আরেকটু নরম করে লিখে কাউকে আঘাত না দিয়ে স্ট্যাটাস হিসেবে নিজের কথা লেখা যেত না? কেউ কষ্টও পেত না, কাউকে অপমান করাও হত না, আপনাকে কেউ অভিশাপও দিত না, আড়ালে যেয়ে দুর্নামও করত না। ফ্রি বুদ্ধির জন্য সরি। কিন্তু আমি রাগ করসি আপনার উপর। আগেই বলে দিচ্ছি, আমাকে কিছু বলবেন না। কেউ আমাকে বকা দিলে আমার কান্না পায়। মিং……মিং……ভয় পাচ্ছি! টেম্পার কমানোর ম্যাজিক দেখতেসি আপনাকে শেখানোই লাগবে। আবার মিং……মিং……আর খোদা হাপেইজ।

আমি আপনার সাথে অলওয়েজ ফালতু প্যাঁচাল পাড়ি, কিন্তু কে জানে কোনওদিন এমন দিন আসে কি না, যেদিন আমার আপনার সাথে জরুরি কথা থাকবে? আমি যদি আপনাকে কখনও কিসু পড়তে বলি, সেটা কিন্তু অবশ্যই পড়বেন, আর বাকিগুলা পড়বেন কি না, আপনার ব্যাপার। তবে আপনি মেইলের নাম দেখেও তো ঠিক করতে পারেন, সেটা কি ফাজলামো লেখা, নাকি সিরিয়াস লেখা, ফাজলামো লেখাগুলা নাহয় বাদই দিলেন! আমি চাই না, আমার সব বাজে মেইল পড়ে আপনি আপনার দামি টাইম নষ্ট করেন বা আপনি আমার উপর বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। আমি আপনাকে লিখি, না লিখে পারি না বলে, আর কিসু না। আপনার পড়ার জন্য আমি লিখি না, আমি নিজের সাথে গল্প করতেই লিখি। আমার পৃথিবীটা তো অতো বড় না, আমার গল্প করার মানুষও নাই, সবাই কত্ত ব্যস্ত! যারা আমাকে সময় দিতে চায়, আমি তাদের সাথে সময় কাটাতে চাই না। অগত্যা, কী আর করা! আমি আপনাকে আপনমনে লিখে চলি। আপনি লেখা পড়লেও আমি লিখব, না পড়লেও লিখব। আমি আপনাকে কিছু জানাতে লিখি না, আমি লিখে নিজেকেই জানাই যে আমি এমন করে ভাবি, তেমন করে ভাবি। কে জানে, কখনও সত্যিই আপনাকে কিছু পড়তে বলতে হয় যদি! কখনও যদি এমন সময় চলে আসে যে আপনাকে আমার কোনও একটা চিঠি পড়ানোই লাগবে! তখনও যদি আমি ফাজলামো করতেসি ভেবে আপনি সেই চিঠিও না পড়েন! তাই আমি আপনাকে আমার লেখা পড়তে বলি না। আমি আপনার কাছে মিথ্যাবাদী রাখাল হতে চাই না। আচ্ছা, একদিন যদি আমি আপনাকে আর না জ্বালাই, হারিয়ে যাই, আপনার কি আমার কথা মনে পড়বে না? খারাপ লাগবে না এই পাগলিটার জন্য? মিস করবেন না আমার এই পাগলামি? নীরবে ইনবক্স চেক করেকরে দেখবেন না আমি কিছু লিখে পাঠালাম কি না? সত্যি করে বলেনতো?

আমি কিছু গানকে স্মার্ট নাম দিসি। ওইগুলা আমার চোখে (মানে, কানে) স্মার্ট। স্মার্ট গান বলে আসলে কিসু নাই, আমি নিজেনিজে বুদ্ধি করে ওদেরকে স্মার্ট বানাইসি। মানে, ওইগুলার শোনার সময় আমার মনে যে দোলাটা আসে, সেটাকে অনুভব করে আমি ওইগুলাকে স্মার্ট বলসি। কয়েকটা বলি, ডাগাস?

পথেপথে চলতে-চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাব……এই আছি বেশ, শুরুতেই হোক শেষ………হয়তো তোমারই জন্য……একাএকা এই বেশ থাকা……আমি তার ঠিকানা রাখিনি……ঠিকানা যা দিয়েছ, খুঁজে পাইনি………যদি তারে না-ই চিনি গো………শুধু তোমায় ভেবেভেবে কত দিনরাত গেছে বয়ে……কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে যেন আমায়………কাটে না সময় যখন আর কিছুতেই………দুটি মন আর নেই দুজনায়……কেন আশা বেঁধে রাখি………

গানের নাম লিখে শেষ করা যাবে না। আমার মায়ের গানের পছন্দ কিন্তু সেই লেভেলের! খুবই রুচিসম্পন্ন মার্জিত মহিলা উনি। উপরের গানগুলার বেশিরভাগই আমার মায়ের প্রিয়। জানেন, আমার মা খুবখুব বোকা। কখনও বিপদে পড়লে আরও বোকা হয়ে যায়। কী করবে, কিছুই বুঝতে পারে না। মায়ের জন্য আমার চিন্তা হয়। আমার মায়ের জন্য একটু দু’আ কইরেন তো। আপনার কথা আল্লাহ্‌ শুনবেন। জানেন, আমি সারাদিনই ঘুমাতে পারি! আমার ঘুমানোর ধৈর্য অসীম! ঘুম থেকে উঠে আল্লাহ্‌র সাথে একটু ঝগড়া করি, এরপর কড়া করে এক কাপ ব্ল্যাককফি খেয়ে আবারও ঘুমায়ে যাই।

ওরে বাবারে! আমি গ্রন্থিকের মেসেজ পেয়ে চরম আনন্দিত হলাম। আমি এমন কী মেসেজ দিলাম আপনাকে যে রিপ্লাই দিতেই হল? আচ্ছা, ভাল। মানে, ঠিকাসে। ঘুম থেকে উঠে মোবাইল থেকে এফবি’তে আপনার মেসেজ দেখেই লাফাই উঠসি। আমি কিন্তু রেগুলারলিই ফেসবুকে আসি, কে কী করতেসে লুকায়েলুকায়ে দেখি, কিন্তু কোনও লাইক, কমেন্ট কিংবা ইশটিটাশ-ফিশটিটাশে আমি নাই। আজকে কিছু লিখেন নাই কেন? আচ্ছা থাক, রোজরোজ লিখলে হাত ব্যথা হয়ে যাবে! কিন্তু আপনার টাইমলাইনে নাকি বলে কেউ আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু দিতে পারে না, এটা আমাকে বলসিলেন। এটা কি সত্যি? সবাই এত কিছু দেয় ওইখানে, এগুলা কি সব আপনার ইচ্ছায় হয়? একটা ছবি দেখলাম, আপনাকে দেখতে চাইনিজদের মত লাগতেসে! ওইটা টাইমলাইনে অ্যালাউ করসেন কেন? আপনার সখিদের কথা আপনি শুনেন, আর আমার মত ভক্ত আছে যারা, তাদের কথা শুনেন না? আমি আপনাকে যদি কোনও পিক প্রোফাইলে দিতে বলি, আপনি সেটা দেন না কেন? আচ্ছা, আপনার ব্যাপার! টাট্টাযযয্‌……

জানেন, আমি না আজকাল একটা ছেলের প্রেমে পড়সি, কিন্তু আমি ওর সাথে প্রেম করি না, আমার সারাদিন কাটে বাসার সবার বকা খেয়ে, আমার পকেটে গুনেগুনে খুব বেশি হলে দুইএকশ’র বেশি টাকা নাই, আমি গরীব, আমার কত্ত ঘিন্যামার্কা একটা পাস্ট আছে, আমার চোখের নিচে ফোলা, আমার ওজন হাতির চেয়েও বেশি, আমার বয়স হ্যান্ডসাম ছেলেদের চেয়েও বেড়ে যাচ্ছে দিনদিন, একটুতেই আমার মাজা ব্যথা করে, চেয়ারে একটু বেশি সময় বসে থাকলেই আমার পিঠের হাড্ডি ব্যথা করে, আকাশে একটু মেঘ জমলেই আমার সর্দি লেগে যায়, আমার চুল পড়ে যাচ্ছে, আমি আমার প্রিয় খাবার মিষ্টি খেতে পারি না, কারণ ওইটা আমার খাওয়া নিষেধ (যদিও আমি ফ্রিজ খুলে চুরি করে খেয়ে ফেলি), আমি কাউকে কিছু কিনে দিতে পারি না, আমি কারও মন বুঝতে পারি না, আমি শয়তানকেও ভাল ভেবে বিশ্বাস করে ফেলি, আমি মানুষ চিনি না, আমার জ্ঞানবুদ্ধি নাই, দেশে কারও ফাঁসি হলেও কার ফাঁসি হইসে আমি খবর রাখি না, আমার সবকিছুই ব্যাকডেটেড, আমি সাজি না, আমি চুল আঁচড়াতে ভুলে যাই, আমি একটা আসল ‘নোবডি’, আমি কোথাও বেড়াতে যেতে পারি না, আমাকে নিয়ে কেউ ঘুরতে যায় না, আমার সব শখআহ্লাদই অপূর্ণ, আমি ইদানিং চোখেও কম দেখতেসি, কেউ আমাকে বুঝেই না………আরও অনেককিছু আছে! কিন্তু, আমার চেয়ে সুখী আর কে আছে? বলেন! আপনি কি সুখী না? কী লাগে জীবনে সুখী হতে? এই যে বেঁচে আছি, এটাই তো সুখ! আজকে সকালে আমাদের পাড়ার সবচাইতে ভাল আর ভদ্র ছেলেটাকে একটা বেপরোয়া ট্রাক চাপা দিয়ে মেরে ফেলসে। পাড়ার এমন একটা মানুষ নাই যে কাঁদে নাই। ওর জায়গায় আমিও তো মরে যেতে পারতাম……কী? পারতাম না? ওর তো আমার চেয়ে বেশি অভাব ছিল। ও খুব গরীব ছিল। ওকে দিয়ে সবাই কত কাজ করায়ে নিত, অনেকেই ওকে কোনও টাকা দিত না। কিন্তু ও তো কখনও কারও কাছে কিছু চাইত না, কারও মনে দুঃখ দিতে কথা বলত না, কখনও গোমড়ামুখে থাকত না, যে যা করতে বলতো, কোনও কিছু পাওয়ার আশা না করেই করে দিত। আমি কি ওর চেয়ে অনেক ভাল নাই? আচ্ছা ডাগাস, আপনার কি আমার চাইতেও বেশি অভাব? আপনি কেন অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে কষ্ট পান? কারও কথায় কান দিবেন না। কাউকে বেশি পাত্তা দিবেন না। কত মানুষ কত্ত ভালোবাসে আপনাকে! আমি ভাই সস্তা বেটি, সবার সাথে সস্তা ছ্যাবলামো করি, আমাকে পাত্তা দিবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভাই, আপনার জন্য আমার ইয়াটাকে অতো সস্তা ভাইবেন না। আমি সস্তা হতে পারি, কিন্তু আপনার জন্য আমার অনুভূতিটা সস্তা না। আপনি তো আমাকে অতটা চিনেন না, আমি কিন্তু একটুখানি জ্বিন আছি, মুহাহাহাহা……আপনি অলওয়েজ হ্যাপি থাকবেন, আচ্ছা? আপনি কিন্তু একটু বাচ্চাও আছেন, বলে দিলাম! বিশ্বাস হল না? আরে বাবা, কঠিন-কঠিন শব্দ লিখেই বড় হয়ে গেলেন? আপনি বড় হবেনটা কবে, শুনি? আর আপনি হ্যাপি কি না, বলেন। নাহয় মনেমনেই বলেন।

এতো যে সুন্দর করে বলেন আপনি! আপনার সাথে একটু যে শয়তানি করে কিছু লিখব বা আপনাকে যে জ্বালাব, সেই ইচ্ছাটাও পালায়ে যায়। উল্টা কেন জানি মন খারাপ হয়ে যায়, কিন্তু সুন্দর করে গল্পটা লিখসেন, আল্লাহ্‌র কসম খেয়ে বলতেসি, আর খোদা হাপেজ।

আপনি একটু পাগল আছেন। সবার সবগুলা পচাপচা কথারও উত্তর দেন আর আমি মাঝেমাঝে কত্ত সুন্দরসুন্দর জ্ঞানীর মত প্রশ্ন করি, সেগুলার তো উত্তর দেন না! কেন ভাই? (আবার সত্যিসত্যি উত্তর দেয়া শুরু করে দিয়েন না! তাইলে আমি আর আপনাকে জ্বালাতে পারব না আর মহাবিপদে পড়ে যাব।)

১। ওরে বাপ্রে! বইয়ের দাম এতো বেশি দিসেন ক্যান? ওই বই রাজশাহীতে পাওয়া যাবে না? গেলে, কোথায় যাবে? ২। কাগজ হল, অটোগ্রাফ হল, বইও বের হল! এখন তাইলে একটু ভাবসাব নেয়াই যায়! কেউ কিছু মনে করবে না! কিন্তু এর আগে কেন? ৩। আর আপনি আপনার ফ্রেন্ডদেরকে ইচ্ছা করে অবহেলা করেন নাকি? কেন করেন এমন? কী এমন বিজি থাকেন, শুনি? যখনই মেসেঞ্জারে ঢুকি, তখনই দেখি আপনি অমুক মিনিট আগে অ্যাক্টিভ! তার মানে, আপনি চ্যাটরুমে থাকেন। তাহলে আমার মেসেজগুলা সিন করেন না কেন? আপনি আসলে করেনটা কী? এতো চ্যাটিং-এ কী সুখ যে মানুষ পায়! আমি বুঝি না! আল্লাহ্‌, ক্যান তুমি আমাকে এই সুখ বোঝার ক্ষমতা দাও নাই? ৪। আমি একটা ছেলের চরম…….. আপনার সাথে সে ছেলেটার এতো যে মিল! ও অবশ্য আপনার চেয়ে আরও একটু ভাল আর ভাব একটু কম আর সেলিব্রিটি না, মানে আমার মতই সাধারণ মানুষ। অদ্ভুত বিষয় যে আপনাদের নামটাও এক! দেখতেও এক! কথা বলার ধরনটাও এক! হাত নাড়ানোর ধরনটাও এক! দাঁড়ানোর স্টাইলটাও এক! কিন্তু ওকে খুঁজে পাওয়া যাবে না! মানে, ওকে আমি ছাড়া কেউ কোনওদিন খুঁজে পাবে না। ৫। আপনাকে আমি পছন্দও করি, আবার অপছন্দও করি। তাতে অবশ্য আপনার কিছুই না। এমনিই জানালাম আরকি! ৬। আপনি কি লাইকের জন্য লিখেন? ছিঃ! আপনি তো ৫০% লাইক পান আপনি গ্রন্থিক বলে! আপনি তো এমনিতেই ভাল লিখেন, ভাই! আপনার লেখা কেমন হইসে, সেটা যাচাই করার জন্য কি ছেলেপেলেদের লাইকের সংখ্যার সার্টিফিকেট পেতে হবে? যারা আপনার পোস্টে কেবল আপনি লিখসেন বলেই লাইক দেয়, আপনি তাদের লাইকেও খুশি হন? নিশ্চয়ই না! তো বলেন কেন যে লাইক পান বলেই লিখেন? আমি ফেসবুক লাইকের ব্যাপারটাও না ঠিকমতো বুঝিও না! বেশি লাইক হলে কি কোনও বিশেষ সুবিধা বা টাকাপয়সা কিছু পাওয়া যায় নাকি? অনেকেই তো দেখি খালি লাইক-লাইক করে। আল্লাহ্‌র কসম, আমি সত্যি বুঝি না। আমার পিসি দেখে ফুপু, চাচী বা বোনেরা বলে, বাহ্‌! সুন্দর হইসে! আর কী চাই? আর বেশি আর কত দরকার? মানে, আমার পিসি’র লাইক মাত্র কয়েকটা! এতে কি আমার পিসি’টা একটু স্লো হয়ে গেসে? ৭। আমার মোবাইলে আমি কিসু করি না, এমনিএমনি ওয়েলকাম টিউন সেট হয়ে যাচ্ছে! কী করব, বলেনতো? আবার দেখি, টাকাও কেটে নিচ্ছে! মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলা এরম ফইন্নি কেন? শালা জিপি’র বাচ্চা! শানায়ার সাথে দুই নম্বরি!

আর……দ্য গ্রন্থিক, আমি আপনাকে অনেক মিস করি। আমি পুচপুচ করে শুধু নেটে ঢুকি আর বের হই যে এমনি দেখতে আপনি কিসু লিখসেন কি না। আমি আপনাকে খুব মিস করি, আপনি এটা বুঝতে পারেন না। (একদিন পারবেন, সেদিন আমি আর থাকব না।) আপনি কেমন আছেন? আমার মেসেজ, ইয়ে মানে কিন্তু দরকারি কিছু না, এইগুলা এমনি প্যাঁচাল। আমার লেখা পড়া আর না-পড়ার মধ্যে কোনও পার্থক্য নাই। আমি এটা জেনেশুনেই লিখি। আচ্ছা, ভাল আছেন তো? নাকি? কতদিন আমাদের কথা হয় নাই! হাহাহাহা……সবকিছুর জন্যই শুভকামনা। টাটা……

আপনি কেন বলেন না, আমি ভাল আছি। তুমি কেমন আছ?……কী হয় বললে? আপনার ঢং বেশি বেড়ে গেসে। ফষ্টিনষ্টি রিলেটেড গল্প বললে তো সারারাতও কথা বলতে পারেন! (জ্বি, আমি সাক্ষী।) আর একটু করে, আমি ভাল আছি, এটাও লিখতে পারেন না। আমি ওয়েট করসিলাম। আপনি কি আমার উপর বিশেষ কোনও কারণে রেগে আছেন? এতো তেল দিয়ে চলি, তাও? কী হয় একটু কথা বললে? আমি তো গল্প করতে চাই না, আড্ডাও মারতে চাই না। আপনার টাইম নিই আমি? কত টাইম নিই? হাহাহাহা……উফফফ্‌! মেয়েরা যে এত্ত ঢং জানে! নিজের ঢং দেখে নিজেরই হাসি পেয়ে যায়! আপনার সাথে ঢং করতে-করতে আমি মেয়ে হয়ে যাচ্ছি! মেয়ে মানে, মেয়েমেয়ে টাইপ। আমি কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি! এক্কেবারে গ্রন্থিকের মতই আত্মপ্রেমী হইসি আমি! কিন্তু আল্লাহ্‌র কসম আর আল্লাহ্‌র কিরা আর মায়ের কিরা, আমি শুনতে চাচ্ছিলাম, আপনি ভাল আছেন, এবং সেটা আপনার কাছ থেকেই শুনতে চাচ্ছিলাম। মেসেজেই, বাবা……ফোন দিতে বলি নাই! ওইটুকুও করেন না আপনি! একটু উত্তর দিলে কী হত? কত টাইম লাগত? আমি কি রেগে যাওয়ার মত কোনও কিছু করসি নাকি? আমি তো…….একই কথা চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে……উফফফ্‌! মেয়েরা যে এতই লেলঠি আর এতই বিরক্তিকর হয়য়য়য়য় যে, কী আর বলব!

আমি একটু ঢং করলাম, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আল্লাহ্‌র কিরা খেয়ে বলতেসি, ঢং হলেও কথাগুলা কিন্তু সত্যি ছিল! মানে, ওইগুলা ঢং, কিন্তু আবার রিয়েল! এই কথাটার মানে কী হল, জানি না, কিন্তু কথাটা সত্যি! আচ্ছা, ভাল থাকবেন আর খোদা হাপেজ। আর আপনি যে আমার সাথে কী করসেন, সেটা নিয়ে অনেক্কক্কক্কক্ককিসুই লিখে আপনাকে বোঝাতে ইচ্ছা করতেসে, কিন্তুউউউউ………আচ্ছা থাক, আপনার দামি টাইম চলে যাবে! টাট্টাযযয্‌!

১। আপনার সাথে আমার বেশি কথা তখনই হয়, যখন আমাদের মধ্যে দুষ্টু কথা হয়। মানে, মেয়েরা দুষ্টু কথা না বললে ছেলেরা মেয়েদের সময় দেয় না। মানে, ছেলেরা দুষ্টু কথা বলতে, শুনতে পছন্দ করে। মানে, ছেলেদের মনের অবদমিত ইচ্ছাগুলা ওরা কথার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে ভালোবাসে। (যদি ওই ইচ্ছাগুলা পূরণ করার সুযোগ না থাকে।) মানে, ছেলেরা মূলত মেয়েদের সাথে যোগাযোগ রাখেই দুষ্টু কথা আর দুষ্টু কাজের লোভে। আমি সঅঅঅব বুঝে গেসি! উয়োওওও……উয়োওওও……

২। আমি যদি এমন আন্দাজে পাগ্লাপাগ্লা কথা না বলতাম, তাহলে কি কখনও আপনার মেসেজ পেতাম? আপনাকে উল্টাপাল্টা না লিখলে আপনি রিপ্লাই দিতেন? ভাল কথায় আনসার দেয়ার বান্দা আপনি? আপনাকে না খেপালে আপনি সে মেসেজ ঠিকমতো পড়েও দেখতেন নাকি?

৩। আমি তো খুব ভাল আছি, কিন্তু মোবাইল থেকে আপনাকে আরাম করে দেখা যায় না, আর আপনি কেমন আছেন, এটা এখন জিজ্ঞেস করব না বিশেষ একটা কারণে। আপনি যদি আমাকে সেই বিশেষ কারণটা জিজ্ঞেস করেন, তখন আমি আপনাকে ভদ্রতা করে আপনি কেমন আছেন, জিজ্ঞেস করব। তখন মনে করে উত্তর দিয়েন, আচ্ছা?

৪। আপনি কেন আমাকে রাতে টেক্সট করে জিজ্ঞেস করেন, আমি কোথায় আছি? অতো রাতে আমি ঘরে ছাড়া আর কই থাকব? আমি ৫ মিনিটের জন্য কম্পিউটারে বসি, কে কী কমেন্ট করসে, সেটা দেখি, আপনি ভুলেও আমার কোনও টেক্সটের রিপ্লাই দিসেন কি না দেখি, নতুন কোনও লেখা দিসেন কি না চেক করি, কেউ আপনার বা নিজের ওয়ালে আপনাকে নিয়ে আজেবাজে কিসু লিখসে কি না দেখি। কেউ আপনার সম্পর্কে বাজে কিছু বললে আমার মেজাজ চরম খারাপ হয়ে যায়, কখনও দেখা যায়, আমি ওর সাথে ইনবক্সে ঝগড়া শুরু করে দিই, ওর মনমেজাজ খারাপ করে দিই, নিজেরও মনমেজাজ খারাপ হয়, ওর গালিও সহ্য করি। এই সমস্যায় আমি আগে ছিলাম না, এখন আছি। আপনার অপমানে আমি আর ভদ্র বাচ্চা হয়ে থাকতে পারি না। এই মেন্টাল প্রবলেমের সমাধান বলেন, প্লিজ!

৫। ইঁদুরদৌড়ের স্বপ্ন শুধু বাপদেরই থাকবে, তাই না? বাপের ছেলেমেয়েদের ওই স্বপ্ন থাকতে নেই? আমি ঠিক করসি, ছেলে আর মেয়ে, কে ভাল আর কে খারাপ, কে বেশি শক্তিশালী, এসব বিষয়ে আর কারও সাথে পাল্লা দিব না, কারও সাথে ঝগড়াও করব না। আচ্ছা, একটা প্রশ্ন। এক মেয়ের জন্মের সময় মা’টা মারা গেল। এখন কী হবে? তখন বাপটা কী করবে? আর কার ঘাড়ে দোষ চাপাবে? দোষটা আসলে কার, সেটা আগে শিওর হওয়া দরকার। আপনার লেখায় এটার কোনও ক্লিয়ার সল্যুশন পেলাম না। আমি একবার লেখাটা পড়সি মোবাইল থেকে, দেখি, সুযোগ পেলে কম্পিউটারে বসে আবার পড়ে নিব, আপনি যদি লেখায় কোনও সল্যুশন না দেন, তবে আবারও জ্বালাতে পারি। ডোন্ট মাইন্ড।

আমি ভাল আছি, কিন্তু খুব বিজি। বাসায় এতো লোক আর এতো কাজ! ফেবু’তে বসতেই পারতেসি না। আপনার স্ট্যাটাসটা ভাল করে পড়তেই পারি নাই, কিন্তু মাথায় কুটকুট করতেসে কথাগুলা। আমি একটু ডিস্টারবড হয়েও আছি। আপনি আমার মেসেজ পড়লে আমার আগের প্রশ্নটার উত্তর দিয়েন। আপনার পার্সোনাল লাইফের অভিজ্ঞতা না বললেও হবে, এমনিই আপনার বিশ্বাস আর ভাবনা থেকেই উত্তরটা দিয়েন। আমার উত্তরগুলা খুব জানতে ইচ্ছা করে। অবশ্য, আমি এমন জরুরি কিছু লিখি না যে পড়তেই হবে। সব যদি পড়েও ফেলেন কখনও, তবে আমি আল্লাহ্‌র কসম করে বলতেসি যে আমি খুব অপরাধবোধে ভুগব। এর কারণ, আমি অনেক অনেক অনেক বেশিই আজাইরা কথা বলি, তখন দেখা যাবে যে আপনি আমার আসল কথাগুলাই আর কখনও পড়বেন না। আল্লাহ্‌র কসম, আমার এই ফালতু মেসেজগুলা না পড়লে আমি কিছুই মনে করব না। আমি ভাবতেসি আপনার স্ট্যাটাস নিয়ে। ওইটার ইনার মিনিংটা ক্লিয়ার করেন। বলবেন না যে কী ভেবে লিখসেন ভুলে গেসেন। প্লিজ আপনার নিজের লেখাটা আপনি নিজেই আবার পড়ে হলেও করেন। আপনি আমার এই উপকারটা করলে শান্তি পাব অনেক। মেজাজ খিঁচরে আছে অনেক। আর আরও একটা কারণে মেজাজ খারাপ যে জিপি থেকে খুব বেশি টাকা কাটে, বাট আমি জিপি নাম্বারটা চেঞ্জ করতে পারব না।

দ্য গ্রেট গ্রন্থিক, আপনি আসলে একটা মেল শভিনিস্ট। উচ্চারণটা হইসে? একটু শিখায়ে দিয়েন তো! আর স্ট্যাটাস দিলেন তো দিলেন, ফাজলামো করে কমেন্ট করলেন ক্যান? আপনার কি মন খারাপ হয়ে গেসে? কী আর করা! আমি আজকে আপনার দলে না। আজকের মতন বিরোধী দলে যোগ দিসি। তারপরও আপনার কথাই মনে পরিচ্চে। কিন্তু প্লিজ আপনি কারও কথায় মনটন খারাপ কইরেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। আর আমি যদি কিছু পাঠায়েও বসি, সেটাও পইড়েন না। আসলে, কিছু তো লিখতে চাইসিলাম তবে সেটা অবশ্য আপনাকে না। পিতাজাতিকে। কিন্তু আপনাকে এমনিতেই কাহিল লাগতেসে, তাই আর পাঠালাম না। আপনি প্লিজ মন খারাপ কইরেন না। আমি আপনার পুরোপুরি পক্ষে না, কিন্তু চাই না যে আপনার কষ্ট হোক। মানে কারওই কষ্ট হোক, এটা আমি কক্ষনো চাই না। যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়িবাড়ি না শ্বশুরবাড়ি যায়………কী-জানি! কী-জানি!

পিলিং স্বস্তি! খুব মন খারাপ হয়ে ছিল। আল্লাহ্‌র কসম! আমার কিছু হয় নাই, তাও। কালকের স্ট্যাটাসটা তো একটু অন্যরকম হইসে, কেমন অন্যরকম, বলতেসি। ওই পোস্ট যারা পড়সে আর আপনাকে ভুল বুঝসে, তাদের যতখানি দোষ ছিল, লেখকেরও কিন্তু ততখানিই দোষ ছিল। আপনি ভুল বুঝাইসেন, পাবলিক ভুল বুঝসে। সিম্পল! কার দোষ? যে বুঝাইসে, তারই তো, নাকি? স্ট্যাটাসটাতে ভুল বুঝতে যতটা বাকি ছিল, আপনি কমেন্ট করে সেই ভুল বোঝার রাস্তাটা একেবারেই ওপেন করে দিলেন! ভাইরে, এতো কথা লেখা যায় না। বিলিভ করেন, আপনার সব কমেন্টেই একটু প্রবলেম ছিল। হয়তোবা আপনি নিজে সেটা বুঝতে পারতেসেন না, কিন্তু আমি সুন্দর করে বুঝায়ে দিতে পারব যে প্রবলেম ছিল। আপনি চাইলে বুঝায়ে দিতে পারি কিন্তু! খালি একটাই শর্ত, ভুল মেনে নেয়ার মানসিকতা নিয়ে আমার কথা শুনতে হবে। এখন বুঝায়ে দিব না। এখন ভাল্লাগসেনা পকপক করতে। আর চিন্তা কইরেন না, আপনি বিতর্কিত কিছু একটা লিখসেন মানেই এখন থেকে আপনার লেখা লোকে আরও বেশিবেশি পড়বে। রাগ করে হলেও পড়বে। দেখেন না মুভি মুক্তি পাওয়ার আগেই প্রযোজক পরিচালক মুভিকে বিতর্কিত করে ফেলেন? কেন করেন ওরকম? ইচ্ছা করেই করেন, যাতে ওদের মুভি ভাল চলে! পাবলিকের সাইকোলজি আজিব টাইপের! যেটারে বেশি গালি দেয়, সেটাই আবার খায় বেশি! আপনার লেখাও পাবলিক বিরক্তি নিয়ে হলেও পড়বে যেমন করে আজ হতে ১ কোটি বছর আগে আমি আমার পড়ার বইগুলা পড়তাম। ওরা আপনার ওয়ালে চুপচুপ করে আসবে, তারপর আরও কিছু লেখা পড়বে। সব নোটগুলা পড়বে, একসময় আপনার লেখার প্রতি অ্যাডিক্টেড হয়ে যাবে। এটাই তো মজা! আপনাকে সহ্যই করতে পারে না, আবার আপনার লেখা অ্যাভয়েডও করতে পারে না! আপনি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন না কেন? আরও বেশি ভাল করে লিখেন না! তারও পর……আরও কী-জানি কী-জানি হয়ে যাবে…….এরপর আপনি একেবারেই সাধারণ কিছু লিখলেও ওরা পড়বে আর মুগ্ধ হয়ে যাবে! আর আপনার গালি বা বকুনিগুলা ইয়েতে অটো-কনভারটেড হয়ে যাবে। চিন্তা কইরেন না, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা, শানুর সংখ্যা আপনার ঝোলায় অচিরেই আরররর্‌ও বাড়িতেসে! গরররর্‌………গরররর্‌………

১। আমার মেইলটা পইড়েন না, আচ্ছা? ঘোর মাতাল অবস্থায় হুদাই প্যাঁচাল পাড়সি! মুছে ফেলেন! ২। কাউকে ব্লক করে দেয়ার পর আবার তাকেই উদ্দেশ্য করে কিছু বলার মানে কী? সেতো দেখতেই পাবে না, আপনি তাকে কী বলসেন! দেখবে তো অন্যরা! অন্যদের দেখান যে, এই শোন! আমাকে কেউ কিছু বলতে আসবি না খবর্দার! বললে কিন্তু……এত্ত ভাব নেয়ার কী দরকার রে ভাই? ব্লক করলে করেন, আনফ্রেন্ড করলে করেন, আনফলো করলে করেন! এইটা বিতং করে সবাইকে জানাতে হবে? আপনি কাউরে ব্লক করলে তার জীবন শেষ হয়ে যাবে? আপনি এমন কে, ভাই? এ দুনিয়ায় কেউই কারও জন্য অপরিহার্য না। কেউ যদি আপনাকে বলে, আপনাকে ছাড়া আমার চলবেই না, ওই মিথ্যুকের গালে কষে দুইটা থাপ্পড় দিয়েন তো! আর তার কাছ থেকে দূরেদূরে থাইকেন। সে আসলে একটা ভণ্ড! একটা সত্য কথা বলি, ভাই—নোওয়ান রিয়েলি কেয়ারস্‌! আপনার ওয়ালে যাদের থাকতেই হবে, ওরা তো এমনিতেই সাবধান থাকবে, বড়জোর আপনার লেখার সমালোচনা করবে, আপনাকে পার্সোনালি অ্যাটাক করবে না, যাদের থাকার দরকার নাই, ওরা যা মাথায় আসে, বলে ফেলবে! আপনাকে যারা পছন্দই করে না, কিংবা আপনার লেখা যারা গুনেই না, তাদের মাথায় আপনার বা আপনার লেখা সম্পর্কে ভাল কথা আসার তো কোনওই কারণ দেখি না! বরং ওদের ব্লক করসেন, হ্যান করসেন, ত্যান করসেন, এইসব বলেবলে ওদের কাছে শত্রু হন, বাকিদের কাছেও নিজেকে হাল্কা করে ফেলেন! আরে ভাই, শোনেন! সবাই কি আর সবাইকে পছন্দ করে, বলেন? এটা কি সম্ভব? কোনও ইলেকশনে যদি ফেরেশতাও দাঁড়ায়, তাও উনি কিছু ভোট কম পাবেন, শিওর থাকতে পারেন। ৩। আপনি পাবলিকের কাছ থেকে এতো বকা খেয়েও এতো ফুরফুরা মেজাজের স্ট্যাটাস দেন ক্যাম্নেরে ভাই? আমারেও এমন নির্লজ্জ কিংবা নিঃস্পৃহ হইতে শিখায়ে দেন না প্লিজ! এমন কুউল ব্রেইনে ক্যাম্নে থাকতে হয়? ৪। মেয়েরা ছেলেদের অতীত ঘাঁটে না, এটা ঠিকই। আরেকটা তথ্য দিই……অনেকে মেয়ে ছেলেদের বর্তমানও ঘাঁটে না! আপনি যে-ই মহারাজা হন না কেন, দে ডোন্ট গিভ ইট অ্যা শিট! ওদের মন বড় আর ওদের এতো টাইমও নাই! মেয়েরা এখন অনেক স্মার্ট হইসে রে ভাই! (অবশ্য, যে মেয়েরা খালি বিসিএস-বিসিএস করেকরে জীবন-যৌবন দিয়া ফালায়, ওরা ভালই খ্যাত আছে, দেখসি!) ৫। খোদা হাপেজ!

আচ্ছা, আপনার ওয়ালে আড়াই মিনিট আগে পোস্ট-করা ছবিতে মাঝের লোকটা হাসতেসে, না কানতেসে, না ভয় পাচ্ছে? কিছুই বুঝতে পারতেসি না। মুখটা এরম করে আছে কেন? জানার আগ্রহ লাগতেসে। ওই ব্যাটার চোখেমুখে মোনালিসার মতন রহস্য ছড়ায়ে আছে! আচ্ছা ঠিকাসে, রহস্য রহস্যই থাক।

কেমন আছেন? আপনাকে ঢং আর আহ্লাদ করে জ্বালাতে খুব ইচ্ছা করতেসে। কত্তদিন জ্বালাই না আপনাকে! কিন্তু আমি মোবাইল থেকে বেশিকিসু লিখতে পারি না, মোবাইলে বাংলায় লিখতে খুব কষ্ট হয়, বর্ণ আর মাত্রাগুলা কিসু খুঁজে পাই না। আমার মডেমে কী-জানি হইসে! কানেকশন পাচ্ছি না……ধুউর্‌! কতদিন রাগাই না আপনাকে!

আরেকটা কথা। আল্লাহ্‌ বোধহয় একই সাথে একই রকমের কিছু কথা কয়েকজনের মাথায় দিয়ে দেয়! আপনার স্ট্যাটাসের ২টা কথা গতকালকের আমার ১০০টা কথার ২টার সাথে একদম একই মানেতে, মানে অর্থে দাঁড়ায়ে আছে! একদম হুবহু! আমি গুছায়ে বলতে পারি না, ভাই! কষ্ট করে আমি কী বলতে চাইসি, একটু বুঝে নেন। আরেকটা কথা। আপনার হাইট কি আপনার চুলসহ মাপা হইসে, মানে জেলটেল দিয়ে স্পাইক করে চুলগুলা খাড়া করে মাপা হইসে? নাকি চ্যাপচ্যাপা করে তেলদেয়া চুলকে সরায়ে রেখে মাপসেন? আমার ক্যান জানি মনে হয়, আপনি সবাইকে আপনার হাইট বাড়ায়ে বলেন!

আইসিইই, পিচ্চি বাবুউউউউ! হাল্কা করে জ্বালালাম, আজকে বেশি জ্বালানোর টাইম নাই, পরে পোষায়ে দিবনি!

জয়া-অমিতাভের একটা মুভি আছে না, অভিমান, ওইটার লতা-কিশোরের কণ্ঠে ‘তেরে মেরে মিলান কী ইয়েহ্‌ র‍্যইনা’ গানটা ‘যদি তারে নাই চিনি গো সে কি’ রবীন্দ্রসংগীতের সুরের কপিপেস্ট না? এখন কথা হল, কে কাকে নকল করসে? এসডি বর্মণ রবীন্দ্রনাথকে? নাকি রবীন্দ্রনাথ এসডি বর্মণকে? নিশ্চয়ই এসডি বর্মণ রবীন্দ্রনাথকে? যদি তা-ই হয়, তবে আমাদের পরীক্ষার হলে নকল করা বারণ কেন? শচীনকর্তা যদি সুর নকল করতে পারেন, এবং বিখ্যাতও হতে পারেন, তবে আমাদের কোমলমতি মাসুম বাচ্চা-নকলবাজগুলার কী দোষ? আর আপনার কি মনে হয় যে লতা-কিশোর জানতেন না যে সুরটা চুরিকরা? ওদের মত বড় মানুষের যদি ওতে কোনও সমস্যা না হয়, তাহলে কেন আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট আর টিচাররা এমন করে রাগ করেন ওই নকলশ্রমিক বাচ্চাদের দেখলে? (আপনার লেখা হুবহু কপিপেস্ট করে কেউ নিজের নামে নিজের ওয়ালে পোস্ট করলে এরকম করে গালাগালি কইরেন না, হ্যাঁ? ওরা বলুক না, ওইটা ওদের লিখা! বলতে দেন, লোকের বাহবা পেতে দেন। করুক না একটু পরের মগজে বাহাদুরি! কী হবে! পাবলিক তো আর ঘাস খায় না! সবাই সব বোঝে—আগে বা দেরিতে!)

আপনার কারণে ইউটিউব দেখেদেখে আমার নেটের সব মেগাবাইট খালি ফুরায়ে যায়! এতো গান রিকমেন্ড করেন ক্যান? ধুউর্‌! আবার একটা অলৌকিক ঘটনা ঘটসে—আমি আজ আপনাকে মনেমনে মেসেজ দিসিলাম এ-ই লিখে: কয়েকটা গানটান দেন তো, শুনি! বিশ্বাস করবেন না, জানি! তবু একদম আল্লাহ্‌র কিরা খেয়ে বলতেসি, ভাই! সত্যিসত্যি মেসেজ দিসিলাম! মনেমনে তো প্রায়ই আপনাকে মেসেজ দিই। (সেগুলা সব আপনাকে পাঠালে আপনি আমাকে গলাটিপে মেরে ফেলবেন, কিংবা আমি নিজেই লজ্জায় আত্মহত্যা করব!) আমার মনেমনে পাঠানো মেসেজের রিপ্লাই তো কখনও আসে না, এবং এটাই স্বাভাবিক! কিন্তু আজকেরটা আপনি বুঝে ফেললেন কীভাবে? আমার মনের কথা যে কখনওই আপনি বুঝেন না, তা না, কিন্তু আজকের ব্যাপারটা পুরাই অলৌকিক না? আপনার সাথে আমার টেলিপ্যাথি কীকরে হল? আমি জানি, আমি আপনাকে গান দেয়ার মেসেজটা পাঠালে আর সেটা আপনার চোখে পড়লে আমার সাথে জিদ করে হলেও আপনি গান শেয়ার দিতেন না, সে হিসাবে ভালই হইসে আপনাকে মেসেজটা না পাঠায়ে! মনের মেসেজের রিপ্লাই আসলো সত্যিকারের, তাও আবার পজিটিভ রিপ্লাই! আমার তো খুশিতে ইচ্ছা করতেসে…..আর আপনি এখন কী করেন? ভোঁসভোঁস করে মুখ দিয়ে লালা ঝরায়ে ঘুমাচ্ছেন, না?

এমন কোনও অপশন ফেসবুকে থাকলে ভাল হত যে কেউ যত খুশি টেক্সট করবে, কিন্তু যাকে টেক্সট করবে, সে যদি না দেখে তাহলে প্রেরক সেটা মুছে ফেলতে পারবে আর প্রাপক সেটা জানতেও পারবে না। কারণ, আমি রাগের মাথায় মাঝেমাঝেই আপনাকে টেক্সট করি, পরে নিজেকে অপরাধী মনে হয়, কিন্তু ততক্ষণে আর কিছু করার থাকে না। কিন্তু এর একটা সহজ সমাধান আছে আর সেটা হচ্ছে, আপনি যদি ক্রমাগত আমাকে ইগ্নোর করতে থাকেন, তাহলে ধীরেধীরে আমি যে কারণেই হোক, নিজেকে গুটিয়ে ফেলতে পারব। কিন্তু আপনি সেই সহজ সমাধান মানবেন বলে মনে হয় না। আপনি হচ্ছেন যে, আমাকে আপনাকে ভুলতে দিবেন না, আবার আমাকে নিজের মনে জায়গাও দিবেন না, এমন মানুষ। আমি যতই ধীরেধীরে সরে যাবার পরিকল্পনা করি না কেন, (মনেমনে সত্যিই করি কিন্তু!) আপনি আমাকে ততই আবার প্রথম থেকে টেনে মাঝপথে দাঁড় করিয়ে দিবেন।

আমি বুঝি, আপনি আমাকে কষ্ট দিয়েদিয়ে মেরে ফেলতে চান। কিন্তু আপনার মনে হয়, আমি হয়তো আপনার মনমত কষ্ট পাচ্ছি না। এজন্য আপনার মনভরানো চেষ্টাও থামতেসে না। আরে ভাই, আমি তো কষ্ট পাচ্ছি। আর কীভাবে তা বোঝাব!

আপনি প্রমাণ করতে চাইসিলেন, মেয়েরা ছেলেদের পিছে বেহায়ার মত (ঠিক আমার মত) ঘুরঘুর করে। সেটা অলরেডি প্রমাণ হয়ে গেসে। আমি হেরে গেসি, আপনি জিতে গেসেন। এখন তো খুশি আপনি, না? তারপর তো আর এই বিষয়ে কোনেও লেনদেন বাকি নাই, তাই না?

শুনেন, আপনি এর একটা বিহিত করেন। আর যা-ই করেন বিহিত হিসাবে, আমাকে বিবাহ করতে বলবেন না। কেননা, সেটা আমি যখন করার তখনই করব, তার আগে পারব না। আর তাছাড়া আমার মত ছাগলীকে কে-ই বা বিয়ে করবে! আপনি নিজেও সেটা ভাল করেই জানেন। তাও মুখে কিছু বলেন না। আমাকে সত্য বলে কষ্ট দিতে চান না, কাজের মাধ্যমে কষ্ট দিতে চান। এটাও খারাপ না। আপনার প্লান ভালই!

আমি এখন আপনাকে সব কিছু বলতে পারি নিঃসংকোচে, এটা আমার কাছে অনেক বড়সড় একটা জয়ের ব্যাপার। কারণ আগে আমি আপনাকে কিছু একটা মনে করতাম, এখন আর সেটা করি না। আর করি না, কেননা আপনি বোঝেন না। আপনি চুপ করে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন আর হাসেন। এই ম্যাজিক পাওয়ারটা আগে আমার হাতেও ছিল, কিন্তু তার পাসওয়ার্ড কী করে যেন আপনার কাছে চলে গেসে!

আমি কিছুই প্রত্যাশা করি না আপনার কাছ থেকে। আপনার সময়, আপনি কিংবা অন্য কিছুই না। আমি গত ১ বছর ধরে আপনাকে ভুলেথাকার আর আপনার কাছ থেকে দূরে সরেথাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি, কেননা আমি জানি, আমি যা চাই, যেভাবে চাই, সেভাবে আমাকে কিছু দেয়া আপনার পক্ষে সম্ভব না। তাই ভাবি, আজকের এই এমন পরিস্থিতি না হলেও হত না। আপনি যদি আমাকে সবসময়ই স্পেস দিয়ে আসতেন, তাহলে তো আমি কখনওই কোনও সিরিয়াস ডিসিশনে আসতে চাইতাম না। আপনি যদি আমার ধর্মেরও হতেন অথবা আমি যদি আপনার ধর্মেরও হতাম, তাও আমাদের রিলেশনটা হত না। আপনি চাইতেন না আমাকে গ্রহণ করতে। আপনি এটা শুনে মুখে যা-ই বলেন না, এইটুকু বোঝার মত মানসিক পরিপক্বতা আমার হইসে। যা হয় নাই, সেটা হত না বলেই হয় নাই। যা হইসে, সেটা হওয়ার কথা বলেই হইসে। এইটুকু আমি বুঝি। কিন্তু আমি কিছুতেই আপনার কাছ থেকে নিজেকে ফেরাতে পারতেসি না। আমি সারা দিনরাত যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত করে রাখি। আমি আপনাকে ভুলে থাকতে চাই। আপনাকে বিরক্ত করার এক বিন্দু ইচ্ছাও আমার থাকে না কখনওই। অথচ আমি বারবারই সেই কাজটাই করে যাচ্ছি। আমি নিজেকে কিছু করেই আটকাতে পারতেসি না বলেই এমন করতেসি……কোনও প্রত্যাশা থেকে না কিন্তু! আমিও বুঝি, জোর করে কিছু পেলেও আমি খুশি থাকব না। এই সহজ ব্যাপারটা আর এর কারণটা আমারই আরও ভাল করে বোঝা উচিত। আপনার কোনও দায় অথবা দোষ এখানে নাই।

কিন্তু আপনি একবারও কি ভেবে দেখসেন, আপনি আমাকে কোন পর্যায় এনে ফেলসেন। আমি এখান থেকে সামনে এগোতে পারতেসি না, কেননা সেটা অসম্ভব! আবার নিজেকে একদম আগের অবস্থানেও আনতে পারতেসি না। আমি তো আপনার কাছে প্রথম থেকেই কিছু চাই নাই, এখনও চাই না। তাহলে কীসের মাতাল নেশায় আমি এমন হয়ে গেলাম? আপনাকে চাই না, আবার আপনাকে পাই না বলে কেমন অধীর অস্থির অধৈর্য হয়ে পড়ি! এটার মানে কী? তার চেয়ে বরং ওরাই বেশ ভাল আছে, যারা আপনার শুধুই ভক্ত হয়েই আছে/থাকে। আমি চাই, আপনার কাছ থেকে আড়াল না হয়ে থাকতে, কিন্তু না আমি ভক্ত হয়ে থাকতে পারি, না বিশেষ কেউ! আপনার বিশেষ কেউ হবার ইচ্ছা তো আমার কোনওকালেই ছিল না। অথচ এখন একটা স্বাভাবিক সম্পর্কও আমি আপনার সাথে বজায় রাখতে পারি না। প্রত্যাশা কখনওই ইচ্ছা করে আমি করি না, অনাহূত অভ্যাগত হয়েই তা চলে আসে। আপনার উপর আমার কোনও অধিকার নেই, অথচ দাবি আছে! এটা কেমন ফাজলামো? আমি যা পেয়ে আসছি এতকাল—হোক না তা মনেমনেই, হঠাৎ করেই কি আমি সেটা ছাড়া থাকতে পারব? আমি কী পাই আপনার কাছ থেকে? সামান্যতমও আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতিহীন অবাধ প্রশ্রয়! এ-ই তো?

অপশন একটাই আপনি আমার জন্য খোলা রাখসেন, যেন আমি সবকিছু একেবারেই ভুলে যাই। আর চোখের আড়াল হয়ে যাই। আমিও জানি, এছাড়া আমার সামনে আর কোনও পথ নেই। স্বাভাবিকভাবে প্রথম সময়ের মত, মানে আপনার সাথে দেখার হওয়ার সময়ের মত আর থাকা যাবে না। আমি সেই চেষ্টাই অনেক আগে থেকে করে আসতেসি। পারতেসি না। কিন্তু আমি ওটা করবই। না চাইতেই অনেক বড় পুরস্কার নিয়তি আমায় দিয়ে দিল! অন্যরা যেভাবে আপনার আশেপাশে থাকে, সেভাবেও আমার আর থাকা হল না।

তোমার সারাজীবনের দুঃখ ছিল এই যে তোমাকে কেউ পাত্তা দিত না, কেউ তোমাকে কখনও ভালোবাসেনি। কিন্তু দেখো, তুমি এমন একজন মানুষকে পেয়েছ, যে কিনা তোমার এক কথাতেই পৃথিবীর সাথে পাঙ্গা নিয়ে নিবে………তাও সে আবার একটা মেয়ে! সে তোমার কাছে পাখির মতন টুক্‌ করে উড়ে আসবে তুমি না চাইতেই! আর কিছু নয়, তোমার চোখের পাতায় চুমু খেতে হলেও আরেকবার জন্ম নেবো আমি। মিলিয়ে নিয়ো! সেই জন্ম পর্যন্ত প্রতীক্ষায় রইলাম……..