কুয়াশার খাম খুলে/সাত

হ্যালুউ ঢং কা ডিব্বা, ভ্যাব্দা, বোগদা, গ্যাব্লা! আচ্ছা, আপনি সবসময় এত মরামরা করেন কেন? আগের যন্ত্রণা কি এখনও আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায়? কীসের যন্ত্রণা? ওটাকে যন্ত্রণা বলে নাকি? নোবডি নোবডি নোবডি……ভ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যা! বিসিএস-এর রেজাল্টের কয় বছর হইসে? এতদিন পরও আগের কথা বারবার বলেন কেন? তাও আবার নিজের জন্মদিনের পার্টি করে এসে? সুখে থাকতে ভূতে কিলায়, না! আর কত সুখ চান? এরকম দুঃখদুঃখ করে বাঁচা-মরা নিয়ে এত দার্শনিকের মতন কথা লেখেন যে! আর কী পাওয়া বাকি? নাকি এইগুলা সবই আপনার ঢং?

চায়ের লোভে আপনার ওয়াল ঘেঁটেঘেঁটে আপনার সব লেখা আমি জড়ো করে দিতেই পারি। এখন কথা হল: এক। আপনি কি চা বানায়ে খাওয়াবেন? না, কিনে? চায়ের সাথে চিনি কয় চামচ দিবেন? দুধচা? নাকি রংচা? চা মানে কি শুধুই চা? নাকি সাথে টা-ও থাকবে? আপনি চা খাওয়াতে আমার এখানে আসবেন? নাকি আপনার ওইখানে গিয়ে চা খেয়ে আসতে হবে? দুই। আপনার জন্য অতো কষ্ট করতে গিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হতে হলে সেটার বিল কি আপনি দিবেন? ওষুধ খরচটাও? তিন। সব লেখাই কি লাগবে আপনার? নাকি বিশেষ কোনও টাইপের লেখা হলেই চলবে? চার। সরি ভাই, আমি বোধহয় কাজটা করতে পারব না। আমি আপনার মত ছেলেবেটি না, কিন্তু আমি যে কী কাজে ব্যস্ত, সেটা নিজেই বুঝি না। আমি মায়ের সাথে গল্প করার টাইম পাই না, বই পড়ার টাইম পাই না, ব্যায়াম করা দূরে থাক, সামান্য হাঁটাহাঁটি করারও টাইম পাই না, গিটার প্র্যাকটিস করতে পারি না, মুভি দেখতে পারি না, ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য টাকা অ্যাডভান্স করে ভর্তি হইসি, ওইখানে একটা ক্লাসও করি নাই এখনও পর্যন্ত, কাজিনের বেবি হইসে, ওইটাকেও দেখতে যাওয়ার টাইম নাই আমার……এখন আপনিই বলেন……অবশ্য, একটা বুদ্ধি আছে। আপনি অ্যাকরডিং টু ইয়ার বা মান্থস আপনার সব লেখা জড়ো করার কাজ আপনার সাগরেদদের মধ্যে ভাগ করে দেন, আর যে ইয়ারে বলতে গেলে কিছু লেখেনই নাই, সেটার দায়িত্ব আমাকে দেন, আমি কাজটা করে দিব, তার বিনিময়ে এক কাপ বা এক চামচ চা, আপনার যেমন সুবিধা, ফ্রিতে ততটুকু দিয়ে দিয়েন!

আপনার বয়স ৩০, নাকি ৫০, ঠিক করে বলেনতো? আপনার লেখা বেশ পরিপক্ব! লেখা কি আপনি নিজেই লিখেন, নাকি কারও লেখা মেরে দেন? আমাকে বলতে পারেন, আমি কাউকে বলব না। একদম প্রমিজ! আমি আপনার চেয়ে মাত্র ২ বছর ৬ দিনের ছোট, সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৪ বছর ৫৭ দিনের ছোট, অথচ, আমাদের ভাবনার পার্থক্য সাগরের সমান! আমার সব বোন ওদের বয়স এক বছর করে কমাইসে, তাই আমার এজ বললে ওরা শ্বশুরবাড়িতে মিথ্যাবাদী হয়ে যায়, আবার আমি বয়স লুকাতেও পারি না। বুঝেন, কেমন মহাবিপদ! কেউ বয়স জিজ্ঞেস করলে বুদ্ধি করে বলতে হয়, ভুলে গেসি! আপনি যে পরিস্থিতিতে কখনও পড়েন নাই, তা নিয়ে বলতে পারবেন না………এটা অন্যদের বেলায় খাটলেও আপনার ক্ষেত্রে এটা বলাটা ঠিক হল না, কারণ লেখকরা পরিস্থিতি বানাতে পারে কল্পনায়। আর শোনেন, আপনি যদি আমার মতন এমন হিটলারের বাচ্চাও হতেন, তবুও আপনার আব্বা আপনার সাথেই থাকত, কারণ আপনি যে পুং! আমি যদি আপনার মত হতাম তো আমার কোনও দুঃখ থাকত? বাসায় জায়গা না মিললে রেলস্টেশনে জীবনটা কাটিয়ে দিতাম! এমনকী এখনও যদি কেউ গ্যারান্টি দেয় যে আমার কিছু হবে না, মানে কেউ কুনজরে আমার দিকে তাকাবে না, তো আমি ঠিকই স্টেশনে চলে যেতাম। স্টেশনে কত বিচিত্র লোকজন আসাযাওয়া করে! কত মানুষের কত দুঃখ, কত সুখ! জীবনকে কত লোক যে কত রকম করে দেখে! সবার দেখার ধরনই ঠিক কিন্তু! যে যার মত করে বেঁচে থাকে। স্টেশনে কেউ কাউকে এসে বলে না, আমারটা ঠিক, তোমারটা ভুল, অতএব তুমি আমারটাই গ্রহণ করো! মতামত কিংবা বোধের বিচারে এখানে কেউ কাউকে আহত করে না। স্টেশনের নিজস্ব একটা গতিপ্রবাহ আছে, সে প্রবাহই স্টেশনের লোকজনের জীবনধর্ম। কত লোক না খেয়ে, আধপেট খেয়েও হাসে; আবার কত লোক পেটভরে খেতে পায়, তাও কাঁদে! অনেকেই শুধু অপেক্ষা করে যায়—এক জীবনের অপেক্ষা, সে অপেক্ষা যে কীসের জন্য, ওদের কেউই তা জানে না। কেউ খুব ব্যস্ত, সে ব্যস্ততা যে কীসের, সে নিজেই তা বোঝে না। কেউ ভাবে, ওর কোনও কাজই নেই, অথচ সে মহাব্যস্ত হওয়ার কথা ছিল, ও ভাবতে থাকে, এই ছোট্ট একটা জীবন ফাঁকি মেরে কাটিয়ে দিলে কিছু হবে না। কেউ সব হারিয়ে ফকির, কেউবা সব পেয়েও ফকির! কার যে কীসে আনন্দ, সেটা যদি কেউ বুঝত! কেউ ট্রেনটা মিস করে প্ল্যাটফরমে অসহায় হয়ে বসে থাকে, কেউ ট্রেন আসার অপেক্ষায় বসে থাকে; এমনও দেখি, কেউ বসে থাকে কেন যে, সে নিজেই জানে না। এখানে অনেকেই আছে, যাদের জীবন যেন কাটেই না, কারওটাবা উড়ে পালায়! স্টেশনের জীবন কখনও ঘুমিয়ে, কখনওবা অনন্তকাল ধরেই জেগে! কাউকে দেখি, খোঁজে! কী যে খোঁজে! কেবল খুঁজেখুঁজেই সকাল হতে রাত অবধি কাটিয়ে স্টেশনেই ঘুমিয়ে পড়ে। ওই অদ্ভুত জীবনটা আমাকে খুব টানে। আমি এ সমাজ ছেড়ে স্টেশনে যেতে চাই। কিন্তু আমার কপাললল্ললললল!

আচ্ছা, আপনার ছোট ভাইবোনরা অ্যাত্ত ঝগড়াটে ক্যান? ওদের ম্যানারস শিখাইতে পারেন না কিসু? ওরা আপনার ওয়ালে কী শুরু করসে? এতএত রাত জাগেন, সকালে উঠে অফিসে যান কীভাবে? আমি তো আপনার ফ্যান, আপনার কাছে দুইটা রিকোয়েস্ট আছে, শুনবেন? একদিন চাটগাঁইয়া ভাষা শুনাবেন। আরেকটা মনে নাই। (ভুলে গেসি, মানে, ওইটা পেন্ডিং। ওই রিকোয়েস্ট আপনাকে পরবর্তীতে করা হবে।) আপনিই তো বলেন, মেয়েরা ভুলে যেতে ভালোবাসে, এইবার বুঝেন ঠ্যালা! নিজের কৌতূহলের ঠ্যালায় নিজেই অতিষ্ঠ হয়ে যান! আচ্ছা, একটা কথা। সিরিয়ালের ইন্ডিয়ান ছেলেদের কথা বাদ দিই, ওরা এমনিতেই স্টুপিড টাইপের, আমাদের এক বান্ধবী ৩টা ছেলেকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়, আর ছেলেগুলা কেমন বোকা দেখেন, সব জেনেবুঝেও ওর পিছনপিছন ঘুরে, ওর জন্য পাগল হয়ে ওয়েট করে, ওকে কী কী জানি কিনেটিনে দেয়! এখন বলেন, খালি মেয়েগুলাই ভুলতে ভালোবাসে, নাকি ছেলেগুলাও? আমার সামনেই ও পরপর দুইদিন দুইজনকে ফোন নাম্বার দিল, আর দুইজনই জিজ্ঞেস করল যে ওর আগের বয়ফ্রেন্ড কই, ও তার উত্তরে যা বলসে, সেটা শুনে ওর চালাকি ধরে ফেলাটা কোনও ব্যাপারই না, অথচ ছেলে দুইটা কী সুন্দর কথাবার্তা কন্টিনিউ করে গেল, এবং এখনও যাচ্ছে! ওদের কারও সাথে কিন্তু ওর কোনও ফিজিক্যাল রিলেশন নাই, স্রেফ মানসিক বিনোদনের জন্যই ওরা ওর সাথে রিলেশন রেখে যাচ্ছে। ও ছেলে দুইটার কাছ থেকে হেল্প নেয়, গিফট নেয়, আবার ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথেও চালায়ে যাচ্ছে সমান তালে, ওরা কেমন জানি সবকিছু বুঝেও ওকে কিছুতেই যেতে দিতে চায় না। ওই ছেলেদের কথা কী বলব, আমি নিজেই ওই মেয়ের সঙ্গ খুব উপভোগ করি, ও এতই হাসায় আর আনন্দ দেয় যে আমি ছেলে হলে নির্ঘাত ওর প্রেমে মজে যেতাম! ওই মেয়ে দেখতে ফর্সা না, কালোই বলা যায়, হাইট চার ফুট ১০ ইঞ্চি, মোটা, কেমন করে জানি হাঁটে, কিন্তু আশ্চর্য সুন্দর করে কথা বলে, কেমন যে ভদ্র আর অ-মাইক! (মানে, ও মাইক ছাড়াই চিল্লায়ে গলা ফাটায়ে কথা বলতে পারে!) আর ও খুব সুন্দর করে মিশতে পারে আর ভাল রান্না করতে পারে। ছেলেগুলাকে ও মজারমজার রান্না করে খাওয়ায় আর ওরা ওতেই পটেমটে ছারখার!

জনাব, আপনি কি আমার বান্ধবীর কথা শুনে আপ্লুত হয়ে গেসেন? আমি জানতাম, হবেন……আবেগে আপ্লুত! ছেলেরা তা-ই হয়। একটা ক্যুইজ দিই, কেমন? আপনার সবকিছুই পাবলিক করা, মেসেজও পাঠানো যায়, তাও কেন আমি আপনার ফ্রেন্ড হতে আগ্রহী ছিলাম, বলেনতো? ফেসবুক ফ্রেন্ডশিপের তো দুই পয়সারও দাম নাই। তবুও কেন? সত্যিটা বললে বিশ্বাস করবেন? বলি তাহলে। যেন আপনি মরে গেলে আমি জানতে পারি। আররে! দুঃখ পেতে হবে না আপনি মরে গেলে? একটা ভদ্রতা আছে না?……ওমা! এতেই চোখে পানি এসে গেসে! আহালে বাবুতা! ছো ছরি! আমি সত্যিই জানতাম না যে আপনি এতটা সেন্সিটিভ! আসলে আমি এরকম না। আমি ছ্যাঁকা খেয়ে কঠোর হয়ে গেসি। আমি ফেসবুক বন্ধ করে দিতে চাইসিলাম যে কয়েকটা কারণে, তার একটা হল, দুনিয়ার সব ছ্যাঁকা-খাওয়া পাবলিক আমার ইনবক্সে এসে প্যানপ্যান করে আর তাদের দুঃখে কান্দে! ওদের সান্ত্বনা দিতেদিতে আমি মহাবিরক্ত, মহাক্লান্ত, মহাঅধৈর্য! আসলে কী, জানেন? ছেলে আর মেয়ে দুইটাই খারাপ—প্রেম ছাড়া বাঁচতে পারে না, ছ্যাঁকা খেয়েও বাঁচতে পারে না। হ্যাঁ, মেয়েরা একটু কম খারাপ। ছেলেরা ছ্যাঁকা দেয় দেহের ঠ্যালায়, আর মেয়েরা ছ্যাঁকা দেয় মনের ঠ্যালায়, আর উভয়ই উভয়কে ছ্যাঁকা দেয় পরিবারের ঠ্যালায়। আমার কথা শেষ। আর শোনেন, আমি কালকে সুন্দর বাংলায় একটা প্রশ্ন করব, উত্তর দিয়েন, হ্যাঁ?

দ্য গ্রন্থিক, আমি আসলে সরি যে প্রশ্নটা চারদিন পর করতেসি, এর আগে করতে পারি নাই, আসলে বাসায় মিস্ত্রিফিস্ত্রি এসেটেসে একাকার অবস্থা! কম্পিউটার খুলতেই পারি নাই। আপনি কি আমার প্রশ্নের জন্য এই চারদিন ধরে ওয়েট করতেসেন? আমাকে প্রশ্নটা করসিল আমার মেজমামা। প্রশ্নটা একটু অশ্লীল অবশ্য, তবে অতটা অভদ্র প্রশ্ন না। মামা আবার আমাকে কীভাবে এসব জিগায়, তাই না? সমবয়েসি নাকি? না। মামা কম করে আমার চেয়ে পৌনে ৩৩ বছরের বড়। কিন্তু আমি এমন সব কথা মামার সঙ্গে বলতে পারি, যা আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গেও পারব না। তার মানে, আমি মামার সঙ্গে খুব ফ্রি? জ্বি না, মামাকে আমি বাঘের চাইতেও বেশি ভয় করি। মামা খুবই রাগি, মামার থাপ্পড়ের ওজন কমসেকম সতেরো কেজি! তাইলে মামা খুব আধুনিক? তা তো না-ই, মামা আমাদেরকে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে দিবে না, কিন্তু নিজে ঠিকই ৫০টা গার্লফ্রেন্ড বানাইসে। (মানে, মামা একটু ভণ্ডও আছে।) ছ্যাবলা? ওরে বাপরে, নাহ্‌। উনাকে সবাই সম্মান করে। যা-ই হোক, প্রশ্নটা মামা আমাকে দিয়ে করসিল, আমি আপনাকে দিয়ে করতেসি। ধরেন, আপনার বিয়া হইসে, আপনি বউকে খুব ভালোবাসেন, খুব সুখের আপনাদের টোনাটুনির সংসার। আর আপনি সংসারটাকেও খুব ভালোবাসেন। ঠিক আছে? সব কিছুই ধরতে হবে কিন্তু। এখন আপনাকে ২টা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করতে হবে, যেটা কেউ চায় না। শুধু চিন্তা করেন এবং দুইটার মধ্যে একটা ধরেন আপনার ভাগ্যে থাকবেই থাকবে। সুযোগ দেওয়া হল বেছে নিতে। আপনি কোনটাতে কম কষ্ট পাবেন? ১) আপনার বউ আপনাকে খুব্বি ভালোবাসে। আপনি যা বলেন তা-ই করে, খুবই জ্বি হুজুর টাইপ বউ। মানে, মেয়েটা আপনি যেরকম চান, সেরকমই। তার মনেও শুধু আপনি, আর কেউ নাই। সংসারের প্রতিও তার প্রাণ নিবেদিত। কিন্তু……ওরে বাবা……কিন্তু সে কোন একটা ছেলের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে। খুব কম করে, কিন্তু করে, ধরে নেন……সবকিছুই করে। ২) আপনার বউ সংসারের সব দায়িত্ব পালন করে। সে এতই লয়াল যে মরে গেলেও অন্য কোনও ছেলের কাছে যাবে না, মানে ফ্যামিলির মানইজ্জত রাখবে কিন্তু……কিন্তু সে হাসিমুখে থাকে না। সে আপনার সাথে ঘুমায়, কিন্তু মনেমনে সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। সে গোমড়া বা হালকা হাসিমুখে সবকিছুই করতেসে, আপনার আর আপনার ফ্যামিলির সব চাহিদা মেটাচ্ছে, কিন্তু আপনাকে ভালোবাসতেসে না। (কে জানে ঘিন্যাও হয়তো করতেসে, কিংবা নেহায়েত দায়ে পড়ে ভালোবাসতেসে।) সে সবসময় মনেমনে অন্য কাউকে মিস করে।

রেগে যাইয়েন না আবার! সবই কল্পনা কিন্তু। ভেবেচিন্তে ঠাণ্ডা মাথায় উত্তর দিবেন। যেকোনও একটা নাম্বার আপনাকে সিলেক্ট করতেই হবে, এমন যদি বলা হয়, তবে কোনটা করবেন? বাস্তবে তো আর হচ্ছে না। শুধুই ধরে নেয়া আরকি! আন্দাজে উত্তর দিয়েন না। ২টা পরিস্থিতি ভেবে উত্তর বলবেন।

আপনি লিখসেন,

এক।

: তুমি আমার সামনে সাজো না কেন? তোমাকে নিয়ে কোথাও গেলেও অতো সাজো না। কিন্তু কেন?

: সারাদিনই তো তুমি বাইরে থাক, তোমাকে আমি সারাদিন কাছে পাই না। সন্ধ্যায় যখন ফেরো, তখনও যদি সাজতেসাজতে সময়টা শেষ করে ফেলি, তাহলে তো রাত হয়ে যাবে, তুমি ঘুমিয়ে পড়বে, সকাল হতেই আবার অফিসে ছুটবে। আমার তো খুব তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে, তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে, তোমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে। আমি তোমার সামনে কম সেজে সময় বাঁচাই, আর সেই সময়টা তোমাকে দিই। তোমাকে সময় দিতে আমার ভাল লাগে। আমার কাছে সাজার চাইতে তোমার সাথে সময় কাটানো বেশি জরুরি।

দুই।

মরমু ব‌ইলা করমু না, বাঁচলে তয় খামু কী!

জোয়ানকালে খাইল পোলা, বুড়াকালে দেখল ঝি!

প্রশ্ন এক। আপনি কি বিয়ে করে ফেলতেসেন? মানে, কাউকে খুঁজে পাইসেন?

প্রশ্ন দুই। সেকেন্ডটার দুই লাইন কি এমনিই লিখে দিসেন পরপর? নাকি দুই লাইনের মধ্যে কোনও সাযুজ্য আছে? দুইটা লাইনের অর্থ তো দুইটা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত! তাহলে পরপর লিখে দিসেন কেন? নাকি কিছু না বুঝেই আমার মত মনে যা আসছে তা-ই লিখে দিসেন?

দুই নাম্বার প্রশ্নের উত্তরটা দিয়েন, হ্যাঁ?

উরেবাপ্রি! দ্য গ্রন্থিক এইগুলা কী বলে খালি? গার্ল গার্ল গার্ল করে তো দেখতেসি মাসুম ছেলেটা পাগল হয়ে গেল! আপনার ইশটিটাশ পড়ে তো এখনও মাথা ঘুরতেসে! রিথিঙ্কিং! ওভারথিঙ্কিং! মিসির আলি ক্যান্ট ফাইন্ড অ্যানিথিং! আসিগা, টা-ট্টট্‌-টা! একটা জিনিস জানতে ইচ্ছা করতেসে। রহমান চাচার গল্পটা কি বানানো, না সত্যি? যেটাই হোক, আপনি কিন্তু দিনদিন কী জানি হয়ে যাচ্ছেন! এইবার আপনার টাইম হইসে সফট জগত থেকে হার্ড জগতে যাবার, মানে ফেসবুকের সস্তা পাঠকদের বাদ দেন, ভাই; সফটকপি থেকে হার্ডকপিতে আসেন, ভাই; মানে ঝকঝকে কাগজে তকতকে লেখা ছাপিয়ে বের করেন, ভাই! জাতি পড়বে আর চিল্লাবে……তালিয়া! আইসে একখান ভোঁদড়! আমি অজ্ঞান! পালাই!

উরিউরিহ্‌! দ্য গ্রন্থিক! কী লিখসেন! শেষের সলিলোকিগু্লা চরময্‌। মানে পার্ট-৩টার কথা বলতেসি! আমার মতন এক্সট্রিম লেভেলের অলম্বুষও আপনার আড়াইশ সলিলোকি পড়ে ফেলসে! বুঝেন কিছু? ভাল কথা, আমি কিন্তু ‘সলিলোকি’ ওয়ার্ডটার মানে জানতাম না। গতকাল জানসি। যা-ই হোক, হায়রে সুন্দর তো হইসেই, আমি পড়েই কাইত, কিন্তু এখন যে আপনাকে সবাই দাদাজি বলে ডাকবে তার কী হবে? ‘লিপি-শকট’ সিরিজের গতকালকেটারর চেয়ে আজকেরটা আমার জন্য সহজ হইসে। একবারেই বুঝসি। কিন্তু কিন্তু কিন্তু বাজরাঙ্গবালি ভাই, আমি তো কিন্তু’র রাণী! আপনি আপনার নেগেটিভ সলিলোকিতে গার্লস/বয়েজ দিলেন আর পজিটিভটাতে হি হি হি কেন? হি বাদ দিয়ে শি দিলে কী হত? হ্যাঁ? আর পরেরটার দুই লাইন পড়ে দেখলাম গার্ল গার্ল গার্ল। পড়ে মন তো খারাপই হয়, নাকি………ইমপ্রেশন নষ্ট করতে ইচ্ছা করতেসে না। আচ্ছা দেখি……আগে আমার ৫০টা ‘নটি’ফিকেশন আসতেসে। (আপ্নে ছিঃলিব্রিটিহ্‌ মানুষ, আপ্নের তো আরও বেশি আসে, সামলান ক্যাম্নে?) নো ফুল স্টপস্‌, পার্ট-ফোর পড়ে অনেকগুলা জায়গায় আপনাকে চিনতে পারতেসি না। আপনি ওই লেখায় আসলে কে? নাকি আদৌ নাই আপনি ওইখানে? গতকালকের বা ফার্স্ট-ডে’র চ্যাটিং-এর গ্রন্থিক আর স্ট্যাটাসের গ্রন্থিক এক ব্যক্তি না। আমি এটা মোটামুটি শিওর! ও মোর খোদা! আপনি তো আমাকে পুরাই পাগ্লা বানায়ে দিলেন! আপনি অ্যাত্ত লক্ষ্মী বাচ্চা হইলেন কবে থেকে? আমার অনেককিছুই মিলে যায় আপনার চিন্তার সাথে, মানে আমিও একসময় আপনার মত গুডিগুডি গার্ল, মানে সরি আসলে আমি ঠিক……আমাকে খেতে ডাকে, আমি গেলাম, আপনার নতুন লেখা পুরা না পড়ে চলে যেতে খুবই খারাপ লাগতেসে, কিন্তু খুবই ডাকতেসে, যেতে হবে, আর আমার একটু ইয়ে মানে, ইয়ে মানে……একটা প্রশ্ন ছিল……স্মৃতির সবচাইতে যন্ত্রণার দিক এটা নয় যে, স্মৃতি বড় কাঁদায়, বরং এটা যে, স্মৃতি বড় একা করে দেয়। অশ্রুর চাইতে একাকীত্ব বেশি কষ্টের।………এমন নিষ্ঠুর সত্যিটা কীভাবে লিখে ফেলসেন? অভিজ্ঞতা থেকে? নাকি নিছকই ভেবে? যদি ভেবে হয়……লিখার সময় বুক কাঁপে নাই একটুও?

দ্য গ্রন্থিক, মেসেজটা আপনার কাছে যাবে কি না জানি না, আমার সব মেগাবাইট শেষ! আর আমার বরাদ্দ ৪৫০ টাকা কোথায় যে খরচ করে ফেলসি, মনেই করতে পারতেসি না। সেটা কথা না, ২৮ টাকা দিয়েই ৭৫ এমবি কেনা যায়, ইচ্ছা করেই কিনব না। আপনার মত পিঁপড়ার পেট চিপেচিপে চিনি বের করতে চাই। আচ্ছা, এই কথাটা আপনি জানলেন কীভাবে? আমি ভাবতাম, এটা শুধু আমরাই বলি। কথাটা আমরা আরেকটু স্ল্যাং করে বলি অবশ্য। আর আমি আপনাকে কোথায় হাসাইসি সেটাও মনে করতে পারলাম না আর আপনাকে বোঝা, সেটা তো তেমন কোনও ব্যাপার না, কিন্তু রিসেন্টলি আমার কোন কথায় আপনি সেটা দেখসেন, সেটাও মনে করতে পারতেসি না। বইয়ের ব্যাপারটা বলি। ওই দোকানের লোকটা কিন্তু খুবি ভদভদি আছে। (ভদভদি মানে আপনি বুঝবেন না, বুঝার দরকারও নাই।) আপনার কাছে শুনে ‘ঘুণপোকা’ ওকে আনতে দিসি, আমাকে ঘুরাইসে হুদাই, লাস্টে আর দিতেই পারে নাই ব্যাটা। তবে আসল বই রাখে লোকটা, ফটোকপি না ওইগুলা, এটা জানি আর অর্ডার দিলেও এনে দেয়টেয়, মানে আগে দিসে। আগেই বলে দিই, লোকটা বেশি ভ্যাদভ্যাদ করে, আপনিও তো ওর দোকানে যান, ওর কথায় বেশি নাচবেন না যেন। যা-ই হোক, আপনি বললেন যে মেসেজ পাঠায়ে রাখতে, আপনি নাকি আমার জটিল প্রশ্নের উত্তর দিবেন! আমিও দিসি। নো রিপ্লাই, যথারীতি! কী এমন জটিল প্রশ্ন করে ফেলসি যে উত্তর দিতে পারেন নাই? আপনি আসলে আমাকে ওইগুলা এমনিতেই বলেন, না? আর এদিকে দেখেন, আমি ঠিকই কষ্ট করে জ্বর গায়ে আপনাকে লিখসি। আপনার কাছে যেটা ফান, সেটাই আমার কাছে সিরিয়াস কিছু! আমি আসলে একটা কী জানি……নিজেই বুঝি না কিছু! আরেকটা ব্যাপার কেমন জানি লাগতেসে। আপনি যে হারে আমাকে থ্যাংক্যুপ্যাংক্যু দেওয়া শুরু করসেন, তাতে তো মনে হয়, দুইদিন পর ভদ্রতার সীমা ছাড়ায়ে যাবেন! ভয় পাচ্ছি! আচ্ছা, অনেক হইসে। কিছুদিন পর আবার আপনাকে দেখতে, থুক্কু, পড়তে আসবনি। আপনি লিখবেন, হ্যাঁ? আমি এসে পড়ব। আর একটু গল্পটল্প লেখেন না কেন? গল্প লিখবেন। বড়বড় করে, আচ্ছা? হাসির গল্প বেশি লিখবেন। নায়কনায়িকাকে খালি কষ্ট দিয়েন না, মাঝেমধ্যে ওদেরকে জিতায়েও দিয়েন। হুমায়ূন আহমেদকে দেখেন না কেমন করে ইয়াং পোলাপানের সব ফ্যান্টাসি তরতর করে লিখে ফেলে? আপনিও লিখবেন, পাবলিক খাবে বেশি! ততক্ষণ? খোদা হাপেইজ।

জ্যায় বাজরাঙ্গবালি!

আমার দিকে তাকানো সহজ, তবু আমায় দেখা যাবে না………

আমার কথা শোনা বৈধ, তবু তা কানে নেয়া যাবে না………

আমার বর্ণমালা যাতায়াতে অবাধ, তবু তা গ্রহণ করা যাবে না………

আমার ঘর আছে, তবু আমায় কোনও আশ্রয় দেয়া যাবে না………

আমার যন্ত্রণা মানা শক্ত, তবু তা মনে রাখা যাবে না………

আমার অস্তিত্ব আছে, তবু আমায় স্বীকৃতি দেয়া যাবে না………

আমাকে পড়া যায়, তবে বোঝা যায় না………

আমাকে পছন্দ করা যায়, তবে ভালোবাসা যায় না………

আমাকে সঙ্গ দেয়া যায়, তবে সঙ্গী করা যায় না………

আমাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, তবে বাঁচতে দেয়া যায় না………

আমাকে খুন করা যায়, তবে খুন হয়ে যেতে দেয়া যায় না………

আমাকে ব্যবহার করা যায়, তবে সাথে রাখা যায় না………

আমি দুর্বোধ্য নই, তবু অবোধ্য………

আমি মূর্খ নই, তবু নগণ্য………

আমি বিষাক্ত নই, তবু অস্পৃশ্য………

আমি পঙ্গু নই, তবু অসহায়………

আমি মূক নই, তবু নির্বাক………

আমি বোঝা নই, তবু অনাকাঙ্ক্ষিত………

যখন তোমার আমি আমার আমি’র পায়ে শেকল পরিয়ে দেয়,

তখন আমার আমি তোমার তুমি’র গায়ে মালা জড়িয়ে নেয়………

তোমাকে তুমি যেমন ভাবো, আমাকে আমি তেমন ভাবতে শিখে যাই!

………………………এর নামই একাকীত্ব!!

দ্য গ্রন্থিক! আমি আপনাকে জ্বালাতে আবার চলে আসছি! আমার লেখা পড়ে মাথা ঝিমঝিম করতেসে! আমার কথা আপনি লিখে দিসেন! হয়তো আমি ওইরকম মিলায়েমিলায়ে লিখতে পারতাম না, তবু আপনার প্রতিটা কথাই আপনআপন লাগসে! মনটাই ভাল হয়ে গেসে। আমার ধারণা, আপনি আপনার সব লেখাই আমার কথা ভেবে লিখেন। আপনি আমার মনের কথা ক্যাম্নে জানেন? আচ্ছা, আমার চেয়েও বেশি বেকুবের মত ফালতু প্রশ্ন আপনাকে কেউ করে? মানে, করতে পারে কেউ অমন উদ্ভট অর্থহীন অবান্তর আজাইরা প্রশ্ন? আচ্ছা যা-ই হোক। আপনাকে যে কী পাইসি আমি, আল্লাহ্‌ই জানে। ঠিক ভাবতেসেন, উল্টাপাল্টা কথা বলার জন্য আমার কাছে আজকাল আপনার চাইতে আপন আর কেউ হয় না। কিন্তু দেখেন, আমি কিন্তু অত্যাচার করি না কিন্তু! (আগের লাইনে আরেকটা ‘কিন্তু’ বসাতে পারলে আমি আপনাকে মোভেনপিক আইসক্রিম খাওয়াব।) আপনি আমার কথা না শুনলেও আমি বকবক করেই চলে যাই, করেই চলে যাই—এটা আমার অভ্যাস, এর বাইরে আর কিছু না। এই যে আপনি আমাকে একটাও রিপ্লাই দেন না, ওতে আমি কিছু মনেই করি না! আল্লাহ্‌র কসম বলতেসি! আমি বলেই শান্তি পাই, কেউ শুনল কি শুনল না, সেটা আমার দেখার বিষয় না। যা-ই হোক, আপনার ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে আরও কিছু, মানে অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করতেসিল! অনেএএএএক কথা! আরেকটা কথা হল, আপনার এই কয়দিনের জমানো স্ট্যাটাসগুলা দেখে আমি নিজের অনেক কথা লিখে ফেললাম! কিন্তু আগে থেকেই বলে রাখি, কথাগুলা কিন্তু সত্যিই ফালতু, জাস্ট বলার জন্যই বলা আরকি! তাই সময় নষ্ট করে পড়বেন না। যখন কিচ্ছু থাকবে না করার, তখন ইচ্ছা হলে আমার মেইল ওপেন করবেন। আবার নাও করতে পারেন। আমি কিছু মনে করব না। আল্লাহ্‌র কসম! পড়লেই বরং একটু লজ্জা পেয়ে যেতে পারি! (আমার একেবারেই লজ্জা নাই, আপনার এই ধারণাটা ভুল।)

আর আপনার স্ট্যাটাসের সাথে আমার একটা টেলিপ্যাথির কিছু একটা ব্যাপারস্যাপার আছে। (আগেও এটার প্রমাণ পাইসি।) আমার এক বান্ধবীর বুটিক শপ আছে। সে ‘বস্ত্র মেলা’তে এবার দোকান দিসে। তো সে কাল কীসের জানি একজাম দিতে ঢাকা যাচ্ছে, তাই ওর দোকানের ভার আমার অন্য ২ বান্ধবীকে দিয়ে গেসে। তারা আমাকে কালকে ডাকসে ওদের সাথে দোকানদারি করতে! ওরা কেন যে আমাকে এত গাধা ভাবে! কী করসে, শুনেন……আগেই বলে রাখসে আমি যেন দামের ব্যাপারে মুখ না খুলি। আমার শুধু একটাই কাজ, ওরা হাতে নাগাল পায় না, এমন উঁচুউঁচু তাক থেকে কাপড় নামানো। আমি আগামী কালকের দিন নিয়ে খুবই এক্সাইটেড! সন্ধ্যা থেকে বাসায় অনেক বুঝায়েসুঝায়ে দোকানদারদের নিয়ে অনেক ভালভাল কথা বলেটলে রাজি করালাম আর ফেসবুক খুলেই আপনার পোস্টে দোকানদার পেয়ে গেলাম! কী মজা!

হাহ্! হাহ্! হাহ্! দ্য গ্রন্থিক! এটা কীকরে সম্ভব? আমি ভাবতেসিলাম, সিনেমা দেখি। কিছুই তো দেখি নাই এই জীবনে! কী দেখব, ভাবতেসিলাম। তো আপনার ওই নোটটা আমার কাছে কপি করা আছে। ওই যে সিনেমা নিয়ে নোটটা। এতো সিনেমার নাম লিখসেন ওই নোটে, আমি তো অতগুলা চালের ভাতও খাই নাই এ জীবনে! ভাবলাম যে, সেখান থেকে সহজ দেখে একটা সিনেমা বের করি। পড়তে গিয়ে ভাবলাম, গুনে তো দেখি যে কয়টা দেখসেন। গুনতে গিয়ে দেখলাম, এডিট করা লাগবে। এত কথোপকথন থেকে বের করে গুনা যাচ্ছে না। সিনেমার নাম বাদে বাকি কথাগুলা মুছে ফেললাম। আর দুইটা নাম পাইসি, ওগুলা কী বুঝি নাই। অ্যামিলি আর হেপবার্ন। এইগুলা আবার কীসের নাম? তো আমার যা কাজ! ভাবতেসিলাম, আপনাকে লিখে জিজ্ঞেস করে রাখি ওই দুইটা কী জিনিস! আর আপনি দেখি আবার মুভি নিয়া খেলা শুরু করসেন! হায় আল্লাহ্‌! এখন আপনি ভাব্বেন যে আপনার দেখাদেখি আন্দাজে মেসেজ পাঠাইসি আপনার ওই নোট না পড়েই, তাই প্রমাণ হিসেবে অ্যাটাচ করে দিলাম ফাইলটা। পড়ে দেখেন। বাট কথা সেটা না। কথা হল, আপনি আমার কথা আগে থেকে বুঝে যান কীভাবে? হয় আপনি একটা জ্বিন অথবা আগের জন্মে আমরা যমজ ভাই-বোন/ভাই-ভাই/বোন-বোন/বোন-ভাই ছিলাম। যমজরা নাকি একসাথে সবকিছু ভাবে? তবে সেখানে, মানে ওই জন্মেও আমি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলাম আর আপনি বুদ্ধিজীবী। আচ্ছা, ‘আসি’। (আপনি বলেন, নব্বই! বলেন, বলেন! কী? বুঝেন নাই? আরে বোকার হদ্দ, এইটা একটা খেলা!) আচ্ছা, এইবার সত্যিসত্যি খোদা হাপেইজ। দেখি, আপনার লিস্ট থেকে সহজ দেখে কিছু বের করি।

আপনার গল্পটা পড়লাম। আচ্ছা, এই গল্পটার মানে কী? মেয়েটা একটা টাল! ছেলেটাকে আগেই কেন পুলিশে দেওয়া হয় নাই, জানতে পারি? এতদূর কেউ দেখে? ওকে, মানে ছেলেটাকে তো আগেই মেরে ফেলা লাগত! গা ঘিনঘিন করতেসে আমার! মনে হচ্ছে, আমি যেয়ে ছেলেটাকে মেরে আসি। ঠিক হইসে! ওর দুই পা নষ্ট হতে হত। ওর কিডনিও নষ্ট করে দিতে পারলেন না? প্রথম ছেলেটাকে বরং স্বাভাবিক লাগসে। সে যা করসে, ঠিক করসে। মনে যদি ভালোবাসা না থাকে, জোর করে আনবে কেন? সেটা তো আরও খারাপ। সেটা কাউকে ঠকানো। কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা এক না। আর আপনি বললেন যে এমনিই রাগের স্ট্যাটাস দিসেন, কিন্তু আমার কেন মনে হচ্ছে আপনি বিষণ্ন? ঢংপত্রগুলা রেখে দিলাম, ওগুলা হাসির, মানে স্পেশাল। ওগুলা রাখলাম, গোসল করে খেয়েদেয়ে এক কাপ চা হাতে আরাআআআআম করে পড়ব। টাটা।

দ্য ঘ্রণ্ঠিখ! একটা অনুরোধ আছে। পিলিচ, শুনবেন কিন্তুক! ফেসবুকে দয়া করে আমার কোনও ছবি দিবেন না, নিজের পিকটাই শুধু ক্রপ করে দিবেন বা আমাকে কেটে দিবেন। আপনার সকল সুন্দরী গার্লফ্রেন্ডের দোহাই, ভাই! আমি আপনার ওপেন ফ্যান হলেও আপনি আমার ছিকরেট এপবি ফেরেন্ড। তো, পিলিচ, ভাই! পিলিচ! জানি, মেসেজ পড়ে মনে হচ্ছে ফাজলামো, তবে অনুরোধটা সত্যি। ও আচ্ছা! বলা হয় নাই! সামনাসামনি তো আপনি এক্কেরে ছিকনুছেলিম ভাই! আর এক্কেরে ফুসসা গুলগুলা! আপনি তাইলে সত্যি বলতেন! আর আমি আপনাকে কী ডাকবো? ভাই/ভাইয়া/দাদা/হাঁদা/নানা? কোনটা, তাত্তারি বুলে দ্যান। আর অনেক ধন্যবাদ যে আমাকে নিয়ে ঘুরলেন। জ্বি, আপনিই ঘুরলেন আমাকে নিয়ে। আমি না থাকলেও আপনি ঘুরতে পারতেন কিন্তু আপনি না থাকলে আমি পারতাম না। বাপ-মা’র সাথে ঘুরতে যাওয়া মানে একটন বকা কাঁধে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা। জ্বি, ঠিকই শুনলেন! এই বয়সেও অনেক অত্যাচার সহ্য করি। আপনার সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই নাই। তার উপর একগাদা নিয়ম……এই খাওয়া যাবে না, সেই করা যাবে না। অসহ্য! তাই অনেক ধন্যবাদ। ঘুরালেন, খাওয়ালেন, গাড়ি চড়ালেন, মজা করালেন, আর………ঋণে তো………এক্কেরে জর্জরিত করে দিলেন। ও আচ্ছা, আপনি কিন্তু আমাকে হাসান নাই, তবে আপনার মাধ্যমে ছেলেপুলেরা হাসাইসে আর ওই ভাইটা ভাল মানুষ। আমার সবাইকে খুব ভাল লাগসে। কিন্তু মন খারাপ হইসে যে আপনাদের সাথে সপুরায় যেতে পারি নাই! ওইড্যা আমার ফিরিও দুকান! আর শাড়ি! উফফফ্‌! শাড়ি! শাড়ি নিজে কিনার চাইতে কেউ কিনতেসে, সেটা দেখা আর বিভিন্ন রঙের সাজানো শাড়ি দেখা আমার প্রিয় কাজ! উফফফ্‌! ক্যান যে বেটি হলাম! আরে আল্লাহ্‌! বকরবকর করতে গিয়ে আসল কথাই তো বলতে ভুলে গেসি!! শুনেন, আপনি কইলাম অছাম আছেন! আর ওই ভাইয়ার নাম কী? পান্থ না ? ওই ভাইয়া আপনার হায়রে প্রশংসা করসে! আপনাকে খুব ভাল পায় ভাইটা! আসি, টাটা!

কেমন আছেন? আমি ভাল নাই, কারণ মা বাড়িতে চলে আসছে আর এসেই বাড়ির কাহিল অবস্থা দেখে উদাম্পুদাম শুরু করসে, মায়ের প্রেসার বেড়ে গেসে, আমার কিছু ভাল লাগতেসে না। আমার চিঠি পড়ে আপনিও আবার এমন লঙ্কাকাণ্ড বাধাইয়েন না যেন! আচ্ছা, আপনার অনুসারি এগারো-কে প্লাস হয়ে গেসে! অভিনন্দন, ডাগাস! এইবার আপনাকে এবং আপনাকে নিয়ে সত্যিই ভয় পাচ্ছি। আপনাকে ভয় পাচ্ছি, কারণ এটা আমি বলসি আপনাকে খুশি করে দেয়ার জন্য, মানে আসলে আপনাকে আমি ভয় পাচ্ছি না। আপনাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছি, কারণ আপনার অনুসারি বাড়সে মানেই কিন্তু আপনার শত্রুও বাড়সে। অনুসারিরা কেবল অনুসরণই করে না, পেছনপেছন থাকে যাতে পিঠে ছুরিটা বসাতে সুবিধা হয়। এটা মাথায় রাখবেন মনে করে। পেপারে আপনার ছবি দেখলাম। চাদর পরে কী ভাব ছেলেটার! ভাল দেখাচ্ছে, স্যার! আরেকটা কথা। আমি আপনাকে সরি-সরি করি কেন? কেন সরি বলি? ভুল করে বলি, বুঝসেন? সরি বলার জন্য সরি। আমি আজকে থেকে একজন নো-সরি লম্বুনি বান্দা। আপনি লেখা দেন না কেন? ফেসবুক কান্তেসে আপনার লেখা না পেয়ে। আর ওইগুলা কী কী সব সুন্দর প্রোফাইল পিক দিসেন? এতো সুন্দর যে তাকাতেই ইচ্ছা করতেসে না। আচ্ছা, আপনার মাথায় লাস্ট কবে কাউয়া হাগু করসে? মনে থাকলে উত্তরটা দিয়েন, আমার জানার দরকার আছে।

বাব্বাহ্‌! তিনদিন ছুটি! তাহলে কি এবার বড়বড় করে লেখা পাব? এই কয়দিনের গ্যাপগুলা পূরণ করে দিবেন না? আর আমি একটা কথা শুনে খুব ভয় পাইসি। আমার কোনও কথায় কি আপনার কখনও খারাপ লাগসে? লাগলে বলে দিবেন। সবাই বলে, আমি জানি না কখন আর কাকে আর কীভাবে কী বলতে হয় আর কী বলতে হয় না। প্লিজ, আমাকে বলে দিবেন এমন কিছু করলে। তবে ১০০ বছর আগেকার কথা বাদ দিয়ে বলবেন। অনলি রিসেন্টগুলা বলবেন। আমি কিন্তু ফাজলামো করি আপনার সাথে। ছেলেদের সেন্স অফ হিউমার অবশ্য এমনিতেই কম থাকে। তো যদি কখনও এমন হয় যে কোনও একটা ফাজলামিতে আপনার কষ্ট হইসে তো প্লিজ-প্লিজ-প্লিজ ভাই, বলে দিয়েন। আমি কিন্তু সিরিয়াসলি কিছু বলি না। আর, ওস্তাদি করি মাঝেমধ্যে, তবে আল্লাহ্‌র কিরা খেয়ে বলতেসি, শুধু আপনি বলে না, আমার কোনও কথায় বা আচরণে কারও খারাপ লাগলে আমার ভাল লাগে না। আমি হাজামাজা সবার মনই ভাল রাখার চেষ্টা করি। তাইলে আপনার খারাপ লাগলে আমার কেমন লাগবে? আপনি বলে ফেলবেন, আচ্ছা? আর বড়বড় করে সুন্দরসুন্দর করে একটু বানায়বানায় গল্প লেখেন না, পিলিইইইইইইচ। আর ডেস্কটপ ব্যাকগ্রাউন্ডের নকল সুন্দরী ছবিটা খুঁজে পাই নাই। গুগলে ওইটা কী নামে খুঁজতে হয়? থাকগানি। আর খুঁজব না। ভাবতেসি, আমিও মুভি দেখব। একটা কথা বিশ্বাস করবেন? আপনার প্রিয় ছবির নায়কের চরিত্র আর আমার চরিত্র পুরাই এক! আর হ্যাঁ, এটাই শেষ—বড়দিনের শুভেচ্ছা থাকল।

দ্য গ্রন্থিক, আপনি এত জ্ঞানী কেনে? ও আচ্ছা, আমি কিন্তু শানায়া! আপনাকে দেখে এতদিন নিজেকে তুচ্ছ মনে হত, এখন সেটাও মনে হচ্ছে না। কারণ কাউকে তুচ্ছ হতে হলে তো আগে তার অস্তিত্ব থাকতে হবে, তাই না? আমি তো নিজের কাছে সেটাই খুঁজে পাচ্ছি না। পিপিপ্‌! রাগ লাগতেসে! তাই বলে অনুকরণ করতে পারি না, ভাই। ওই ব্যাপারে আমি খুব অলস। তবে সত্যিকারের প্রশংসা করতে পারি আর সত্যিকারের ভক্তও হতে পারি। সমস্যা হচ্ছে, আমি জ্ঞানে আপনার চাইতে অনেক পিছায়ে থাকলেও বয়সে আমরা সমানসমান। নইলে আমি সত্যি আপনাকে……কী যে করতাম! পূজা করতাম! পূজাআআআ! তবে হিন্দি, মানে পুরানো বলিউডের (?) জ্ঞান আমার একটু আছে। রাজশাহী থাকার সুবিধা হইসে যে, ছোট, মানে জন্ম থেকে আমাদের ডিসফিস লাগে নাই, ইন্ডিয়ান হিন্দি-বাংলা সব চ্যানেলই ছোটবেলায় ফ্রি পাইসি। তাতে ক্ষতি হইসে যে, নিজের দেশের সিনেমা সেভাবে দেখা হয় নাই। এখন অবশ্য টিভি দেখাই হয় না। আচ্ছা আবার ভকরভকর শুরু করলাম। আচ্ছা ঠিক আছে, টাট্টাহ্‌!

[গুরুকে ইষ্টবোধে পূজা — অসচ্চরিত্র হলেও গুরুত্যাগ নিষেধ]

গিরীন্দ্র — মহাশয়! বাপ-মা যদি কোন গুরুতর অপরাধ করে থাকেন, কোন ভয়ানক পাপ করে থাকেন?

শ্রীরামকৃষ্ণ — তা হোক। মা দ্বিচারিণী হলেও ত্যাগ করবে না। অমুক বাবুদের গুরুপত্নীর চরিত্র নষ্ট হওয়াতে তারা বললে যে ওঁর ছেলেকে গুরু করা যাক। আমি বললুম, সে কি গো! ওলকে ছেড়ে ওলের মুখী নেবে? নষ্ট হল তো কি? তুমি তাঁকে ইষ্ট বলে জেনো। ‘যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়িবাড়ি যায়, তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।’

…………শানায়া এসব কথা আগে থেকেই মানে। তবুও গ্রন্থিককে অ্যাত্তগুলা ধন্যবাদ আবারও মনে করায়ে দেয়ার জন্য।

আপনার যে পোস্টগুলা আমার ভাল লাগে, সেগুলা আমি আমার ওয়ালে শেয়ার করে রাখি, পরে খুঁজে পেতে সুবিধা হওয়ার জন্য, আপনাকে ভালোবেসেটেসে না কিন্তু! আপনার প্রোফাইল পিকের লাস্ট কমেন্টটা পছন্দ হইসে, আপনাকে সেই একখান পচানি দিসে! জানেন, আমি একটা ফেইক আইডি খুলসি, সেই আইডিতে কোনও ফ্রেন্ড নাই, আমার ফ্রেন্ড আমি নিজেই। আফসোসহীনভাবে একাএকা বেঁচে থাকতে ওইটা খুলসি। আপনি আমার পিক পোস্ট করসেন কেন? আমি আগে জানলে তো আপনার মত পেটের ভিতরে দম আটকে পেট চিকন করে রাখতাম। ওই পিকে তো হায়রে আমার ভুঁড়িটুড়ি বের হয়ে গেসে! কতকত লাইক আসতেসে আর আমার লজ্জা লাগতেসে। ওইরকম ভোটকা একটা মেয়ে চোখে কাজলটাজল দিয়ে সাজসে, লিপস্টিকও লাগাইসে! কেমন যে লাগতেসে দেখতে! ভাই, আমি যে পিকগুলাতে আছি, সেগুলা ডিলিট মারেন, প্লিজ প্লিজ প্লিজ! আমি কমেন্ট করতেসি, আপনি নোটিফিকেশন চেক করেকরে ডিলিট মারেন, আপনার দোহাই লাগে! বাসায় জানতে পারলে আমাকে জবাইই করে ফেলবে! আচ্ছা, আপনার সব ছবিতে কী জানি একটা প্রবলেম থাকে। সবগুলাতে না, যেগুলাতে বেশি ঢং করেন, সেগুলাতে। আচ্ছা গ্রন্থিক ডাগাস, আপনি তো অনেক জ্ঞানী মানুষ, আমাকে একটা কবিতার নাম মনে করায়ে দেন না! বুদ্ধদেব বসু কিংবা সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা। ওই যে ভোরের আলো এসে পূজারীকে আপ্লুত করে, এমন একটা কী জানি আছে! আমার এক রুমমেট বান্ধবী এটা আমাকে একসময় শুনাত, ওটা পড়তে ইচ্ছা করতেসে, কিন্তু কবি আর কবিতার নাম, দুইটাই ভুলে গেসি! টাইম পেলে কোনও একসময় জানায়েন, আচ্ছা?

আপনাকে কিছু কথা শুনাব, শুনেন।

১। আপনার সমস্যাটা কোথায়, ভাই? একটা ছবি বাদ দেন না! আমার মোবাইলে রিং হলেই আমার আত্মা উড়ে যাচ্ছে এই ভয়ে যে, এই বোধহয় কেউ জিজ্ঞেস করল, আমি নবাবগঞ্জ গেসিলাম কবে! দয়া করে বলবেন না যে, আপনি সময় পান নাই। এত ব্যস্ত তো কেউ থাকে না যে একটা ছবি মুছতে পারে না। আর এতবার কভার ফটো পাল্টাচ্ছেন কেন? আপনাকে চুল বড় রাখলে ভাল দেখায় না। এখন কী করবেন? চুল বড় করা শুরু করবেন? করেন দেখি কেমন পারেন!

২। আমার মেজাজ খারাপ হয়ে আছে, তারপরও একটা সত্যি কথা বলে আপনার ভাব আরেকটু বাড়ায়ে দিই। বলার মুড নাই, তাও বলতেসি, একটা ছেলে আপনাকে বইয়ের দোকানে তোলা ছবিগুলাতে ট্যাগ করসে না? আমি আপনার যত্তগুলা ছবিতে আপনাকে দেখসি, এগুলাতে (সিঙ্গেলটা বাদে, ওইটাতে কেমন জানি গিদ্রিগিদ্রি দেখাচ্ছে!) সবচেয়ে বেশি ভাল দেখাল! মায়ের কসম খেয়ে বললাম! কসম খেলাম এই জন্য যে, মাঝেমাঝে আমি গুল মারি তো, তাই! মানে, এই তারিফটা সত্যিকারের।

৩। আপনার ভাব বাড়লেও আমার কিছু না, কমলেও না। ভাব যখন পীর সাহেবের বাড়ায়েই দিলাম, তখন আরেকটু বাড়াই? আমার কী জানি হইসে……আমার আজকাল শুধু একটা গান ঘুরেফিরে শোনা হচ্ছে। ওই যে, নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে, এই গানটা। সবার একঘেয়ে লাগতেসে আর আমাকে বকতেসে। বাধ্য হয়ে হেডফোনে শুনতে হচ্ছে। ভয় পেয়েন না! এটা তেমন কোনও জটিল সমস্যা না, কেটে যাবে। আর তাছাড়া একটা গান কোনও মানুষের ভাল লাগতেই পারে!

৪। একটা আনতাবড়ি কথা বলি? আপনার কি কারও সাথে ঝগড়া হইসিল? কেউ কিছু বলসে? আপনি তো ভদ্র বাচ্চা, ঝগড়া পারবেন না। তো, কেউ আপনাকে কিছু বললে আমাকে বলবেন, আমি এমন শান্টিং দিব, দেইখেন! অবশ্য আপনার ইপ্সিতা বডিগার্ড, থুক্কু, মানে ফেসবুকগার্ড একাই পারবে! তাও যদি লাগে, আমি ব্যাকআপ দিবনি, খালি আমাকে একখান কুউউ আওয়াজ দিয়েন।

৫। আপনি দুষ্টুমি করে আমাকে ঝান্ডু বাম দিসিলেন একটা, মনে আছে? (বলেন যে, ও………তাই নাকি?) আমার এত মাথাব্যথা হচ্ছে, তাও ওটা আমি মাখতেসি না যে শেষ হয়ে যাবে আর ভুটকি (আমার বড় বোন) খালিখালি মেখে শেষ করে দিচ্ছে!! গররররর্‌……কিছু বলতেও পারতেসি না, সহ্য করতেও পারতেসি না! মেজাজ চরম খারাপ হচ্ছে!

৬। ইয়ে মানে………ফেসবুক ওপেন করে দেখলাম প্রতিবারের মতই আমাকে সাজেস্ট করা হচ্ছে যেন কয়েকজনকে আমি রিকোয়েস্ট পাঠাই। তো তার মধ্যে একজনকে দেখলাম—অন্য গ্রন্থিক। লোকটা কে, ভাই? সে শুধু আপনার মতই দেখতে না, ওর আব্বা-আম্মাও আপনার মতই দেখতে। আবার, আপনাকে ফ্রেন্ড বানাইসে দেখলাম! আমার ওই লোকটারও ফ্রেন্ড হতে মন চাইল! সময় পেলে একবার বলবেন তো ওই ফুলবাবুকে! আর দয়া করে সময় বের করে আমার ছবি বাতিল করেন! গরররর……মানে পিইইলিইইচ! আচ্ছা, আপনি ফেইক আইডি ধরতে পারেন না, না?

নাচতে ইচ্ছা করতেসে কিন্তু মোবাইলে একটাও গান নাই। গান ছাড়া নাচব কীভাবে? আমি রাজশাহীতে গিয়ে আপনাকে ফোন করব। আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখলাম। ফোনটা ধইরেন, ভাবের ডিব্বা! আচ্ছা, আমি যে আপনাকে এতো মেইল করি, আর আপনি পড়েন না, আপনার একটুও জানতে ইচ্ছা করে না, আমি কী লিখি? অবশ্য, সবই ফাজিল টাইপের মেইল, পড়ার কিসু নাই, তবুও! নাকি আমার মেইল পড়ে উত্তর দিলে আপনার ভাব কমে যাবে, দাঁত নড়ে যাবে? বাইরের দেশে সবাই মেইল চেক করে, রিপ্লাই দেয়। ওদের সমস্ত দরকারি অদরকারি কথাবার্তা হয়ই মেইলে। আমাদের দেশের দুনিয়ার খ্যাত পাবলিক হুদাই ইমেইল অ্যাড্রেস খুলে, মেইলবক্স চেক করার কোনও নাম নাই। অনেকেই খুলে কেবল ফেসবুক আইডি খুলার জন্য! আর সরকারি চাকরিজীবীরা তো এমনিতেই পুরাই খ্যাতমার্কা, ওদের অনেকের তো ইমেইল অ্যাড্রেসই নাই!

উরেহ্‌ আল্লাহ্‌! আপনার অফিসে যাবার পথের লেখাটা হায়রে সুন্দর হইসে! আপনি দেখি আমার মত করেই দেখেনননন! আপনার প্রতি ভাললাগা বেড়েই চলতেসে……বেড়েই চলতেসে……আপনি কে, ভাই? আপনি কি এই ভুবনেরই বাসিন্দা? কসম বলতেসি, সুন্দর হইসে! কিন্তু ঘাসের সাথে প্রেমিকার ঠোঁট মিলালেন ক্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যা? ঘাস তো সবাই পা দিয়ে খুঁইচ্যা বেড়ায়! এইডা কিসু হইল? আর দুইবার শেয়ার দ্যান ক্যান সবকিসু? নোট তো পাবলিক হলেই শেয়ার হয়ে যায়! আপনি না ফেসবুক বিশারদ! এইটাও জানেন না? যা-ই হোক, খুব সুন্দর হইসে। আর…আপনার দরকার নাই, জানি, তাও দিলাম……ধান্যিয়াবাদ! ডাজ্ঞাসসস!!…….টাআআআটাআআআ……

ঘাস নরম, প্রেমিকার ঠোটও নরম, তাই হয়তো মিলাইসেন। কিন্তু নরম তো কত খারাপ জিনিসও হয়! যেমন ধরেন, কত ময়লা জিনিস! আনতাবড়ি ফিজিক্যাল ক্যারেক্টার মিলালেই হল? সর্দিও তো নরম। তাই বলে কি আপনি লিখবেন, প্রেমিকার ঠোঁটের মত আরাম করে সর্দি খাই? দ্য গ্রন্থিক! ডাগাস! গানের আর জ্ঞানের বিশাল ড্রাইভার, মানে সাগর, আমাকে একটা জ্ঞান দেন। একটা গান আমার কম্পিউটারে থাকে, আমি শুনিও। ওইটা টপ্পা গান, যদ্দূর বুঝি। যেতেযেতে সে চুরি করে চায়,/ যাদুভরা আঁখি তার ডাকে ইশারায়।/ দেখেও দেখি না আমি যেন!/ দেখেছি বোঝাবো তাকে কেন?/ এদিকে মনেতে মন ধরে রাখা দায়!……কেমন যে লাগে শুনলে! ওই অনুভূতি লিখে বোঝানো সম্ভব না! ভৈরবী রাগের গান, অখিলবন্ধু ঘোষের কণ্ঠে। রতু মুখোপাধ্যায়ের কথায় আর সুরে। গানটা শুনে বলেনতো দেখি, গানটা সুর করার সময় রতু মুখোপাধ্যায় কি খালি গলায় সুর করসিলেন? নাকি হারমোনিয়াম বাজায়ে সুর করসিলেন? আপনার সুবিধার জন্য বলতেসি, উনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলসিলেন, উনি নাকি খালি গলায়ই বেশিরভাগ সময় সুর করেন। কিন্তু হেমন্তের কণ্ঠে ‘বনতল ফুলে ফুলে ঢাকা’, ‘কী দেখি পাই না ভেবে গো’ কিংবা ধনঞ্জয়ের কণ্ঠে ‘চামেলি মেলো না আঁখি’ কিংবা সুমন কল্যাণপুরের সেই বিখ্যাত গান ‘মনে করো আমি নেই’, ‘বাদলের মাদল বাজে’ কিংবা মান্না দে’র ‘রিমঝিমঝিম বৃষ্টি’ কিংবা শ্যামল মিত্রের কণ্ঠে ‘সূর্যমুখী সূর্য খোঁজে’ কিংবা নির্মলা মিশ্রের ‘উন্মনা মন স্বপ্নে মগন’ কিংবা মুকেশের কণ্ঠে ‘ওগো আবার নতুন করে’ এই সব সুর কেউ খালি গলায় গেয়েগেয়ে করতে পারেন! ভাবা যায়! কীভাবে সম্ভব? সময় পেলে একটু বলবেন তো! আমার সরল প্রশ্নকে আবার অন্য কিছু ভাববেন না। যুগের এবং সর্বকালের এক আশ্চর্য নিরীক্ষামনস্ক সুরকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ও, শুনসি, খালিগলায় সুর করতেন। তাই আমি অনেক ভেবেও কিসু মিলাতে পারতেসি না। তাই নিরুপায় হয়েই আপনাকে জিজ্ঞেস করা। ছেলেরা আবার সবকিছুর মধ্যে নিজের কথা ভাবতে ভালোবাসে। রাগবেন না, আমি আপনার কথা বলি নাই, কার্টুন আর জটিল টাইপের ছেলেদের কথা বলসি। কিছু মিন করে না, এমনিই; আপনাকে জ্ঞানী জানি, তাই জানতে চাইলাম। এখন নাহলে পরে জানালেও হবে।

আর হচ্ছে যে, আমি মিলানোর মতন অনেক নরম জিনিস ভেবেভেবে বের করসি। তার মধ্যে একটা হচ্ছে ত্যালাপোকার পেট। ত্যালাপোকার পেটের মত ডাগাসের প্রেমিকার ঠোঁট! এটা নিয়ে এখানেই শেষ, আর জ্বালাচ্ছি না। আর একটা কথা, আপনি কিন্তু ভাই জুতা পায়ে ঘাসের উপরে হাঁটসেন। কী? হাঁটেন নাই, বলেন? এটা কিন্তু ডাগাস মেয়েদেরকে অপমান করা! ত্যালাপোকার পেটের উপর কিন্তু কেউ জুতা পায়ে হেঁটে বেড়ায় না! তাইলে? আপনি তো লিখতে পারতেন, মাখনের মত নরম ঠোঁট! আপনার চেয়ে আমার উপমাটা ভাল কিন্তু! এরপর থেকে ভেবে লিখবেন। হুউম্‌? আচ্ছা, আপনি এতো রেগে থাকেন কেন অলওয়েজ? আর আপনি যখন রাতে নাকডেকে ঘুমাবেন, তখন আপনাকে একটা ছবি সিলেক্ট করে দিব, সকালে উঠেই ওইটা কভার পিক দিয়েন, হ্যাঁ? আপনি জানি, আপনি ওই পিকটা দিবেন না, ঢং করে দিতে ভুলে যাবেন, তাও আমি দিব। আপনার কারেন্ট কভার পিকটা পুরাই খ্যাতমার্কা!

দ্য গ্রেট গ্রন্থিক, আবার অনেক কথা জমসে……..

১। আপনি আমার মনের অনেক কথাই বলে ফেলসেন। আমি আর কোনওদিন কিছু লিখতে পারব না। কারন যে আপনার প্রভাব চলে আসবে।

২। আমি যখন লিখেন না কেন, লিখেন না কেন, বলে প্যানপ্যান করতাম আর সারাদিন অপেক্ষা করতাম আপনার লিখার জন্য, তখন কিছু লিখলেন না আর যখন আমি ফেসবুকে বসতেই পারতেসি না বা চলে যেতে চাচ্ছি, তখন কতকত লিখসেন! আপনার লেখার স্বভাবটাও মেয়েদের মত, থুক্কু, ছায়ার মত। আপনি ফেসবুক থেকে বাইরে আসেন, কাগজে লিখেন তো দেখি!

৩। আপনি অনুগ্রহ করে আমার মামার করা জটিল প্রশ্নটার উত্তর দেন। কোনও কারণ নাই, এমনি আপনার উত্তরটা কী হয়, জানতে ইচ্ছা হয়। পরে দিলেও হবে, কিন্তু দিয়েন। আমি এমনি দেখি আরকি কে কী ভাবে! অনেক মেয়ের কাছেই জানতে চাইসি, আপনি প্রথম ছেলে(বেটি) যাকে প্রশ্নটা করলাম।

৪। আপনি কোনও একদিন আপনার কোনও এক স্ট্যাটাসে জানতে চাইসিলেন রাদুগা প্রকাশনীর বইয়ের ব্যাপারে, মনে আছে? আমাদের এখানে একটা বইয়ের দোকান আছে, ছোট্ট ঘুপচি দোকান, তো ওই দোকানদার দিল্লি থেকে বই নিয়ে আসে আসলগুলা, দাম একটু বেশি অবশ্য। তো সে লোক আমাকে দেখলেই খুশি হয়ে শুধু বই বের করে দেখায়। আমি খুব একটা বই কিনি না অবশ্য। আমি তো আপনার মতন বড়লোকের ছা না। আমার মাসিক বেতন অতি সামান্য, ওটার অর্ধেক নেট আর বাকি অর্ধেক এমনি চা-টা খেতে দেয়, তো কী-ই বা আর কিনতে পারব? তবুও আমাকে দেখলেই লোকটা খুব খুশি হয় আর সব বই বের করে দেয়। হয়তো আমাকে গাধা পায়, দরদাম করতে পারি না তো, তাই। হয়তোবা ভাবে, পাইসি একটা গাধা! তো উনাকে আজ বললাম যে আমার চাকরি পাওয়া পর্যন্ত বইগুলা রাখেন, তো বলে যে, এগুলা শেষ হয়ে যাবে আর পাওয়া যাবে না, কারণ ভারত এটা প্রকাশ করা বন্ধ করে দিচ্ছে, নিলে এখনি নিতে হবে, এগুলার চাহিদা বেশি। আমি জানি না, আপনার হয়তো সেগুলার সবই আছে, কারণ উনি শুধু বেস্ট সেলার আর কমনগুলাই রাখেন। আমি ভাবতেসি কী, আসল বই তো আপনি জমান, তো বইগুলা অন্য অপরিচিত লোকের কাছে যাবার চাইতে যদি আপনার কাছেই যেত, তাইলে ভাল হত। (যদি আপনার না থেকে থাকে।) আপনি তো আমার অপরিচিত হয়েও পরিচিত। থামেন, আমি দোকানদারটার নাম্বার দিচ্ছি ০১৫১২৪৪১১৩৯।

৫। আমার একটা প্রশ্ন, উত্তর দেন। আমার বিভাগের একটা লোক আমার চেয়ে ৭-৮ বছরের বা ধরলাম ১০ বছরের বড়, সে জিএসবিতে চাকরি করে, জানি না কবে জয়েন করসে, ধরলাম, ৫-৬ বছর। তার আর আমার পদবি এক, মানে সহকারী পরিচালক, তো আমি তাকে ভাইয়া বলব, না স্যার? আমি জানি না সিনিয়র কিন্তু এক পদবি হলে কী বলতে হয়। তবে লোকটার নাকি প্রমোশন হবার কথা, কী কারণে জানি আটকাইসে। যদিও আমি উনাকে দেখি নাই কখনও, তবে আমার ডিপার্টমেন্টের কিন্তু ছেলেটা। এটা একেবারেই খ্যাতের মত প্রশ্ন হইসে, তবু এটার উত্তর কিন্তু দিবেন! আচ্ছা, আপনারা যারা সরকারি চাকরি করেন, আপনাদের স্যার না ডাকলে কি আপনাদের মাথার সব চুল পড়ে যায়, সে দুঃখে আপনারা হায়রে টনেটনে মাইন্ড খান?

৬। আমি আবার আপনার নতুন করে ভক্ত হয়ে গেসি। আপনাকে সত্যি আমার জ্বিন-জ্বিন লাগে। তো আমার কিবোর্ড ঠিক মতন কাজ করে না আর আজ সারাদিন ঢং করে ছবি তুলতে গিয়ে বাতাস লেগে আমার সেই জ্বর আসছে, নাইলে আরও কী জানি বলতাম। আল্লাহ্‌ আপনাকে বাঁচাইসে!

ওরে বাপ্রে ডাগাস! আমি তো এক্কেবেরে ইয়া হয়া গ্যালাম! ভাল! আমি খুশি হইসি। সত্যি। আমি আপনার জন্যে কত্ত লাকি (?) দেখসেন? আপনার জন্য দুয়া করে দিচ্ছি, এমন কাহিনি আরও হউক! আর আমি আরও আপানাকে জ্বালাই! ভাল কথা, কয়দিন হইসে আমি আপনার ছোটবোন সুতপার কমেন্টগুলা দেখে ওর প্রেমে পড়সি। ওই বেটি আমার চেয়েও শয়তান আছে। এই বিচ্ছুকে কোথায় পাইসেন? ও-ই আরেকটা কিঁচনি! আমার আবার আপনাকে আর রাজশাহী নিয়ে কী জানি লিখতে ইচ্ছা করতেসে। আসলে লিখেও ফেলসি। কিন্তু এতই লিখসি যে পাঠাতে লজ্জা লাগতেসে। ধুউসসস্‌! আমার শুধু আপনার সাথে, মানে কাল্পনিক ডাগাসের সাথে বকবক করতে ভাল লাগে। আচ্ছা, আমাকে পাগলটাগল ভাবেন নাতো? আমাকে সবাই কিন্তু পাগল বলে ঠিকই, কিন্তু ভালোবেসে বলে, সত্যিসত্যি না কিন্তু! আমি পাগল না, আমার অনেক বুদ্ধি আছে। আমি এটা জানি। কিন্তু কেউ সেটা বুঝে না! আমার আপনাকেই বরং বোকাবোকা লাগে। আচ্ছা, আমাকে একেবারেই গাধা কিছু ভাবেন নাতো? আমি এমনিই নিজেকে ওইরকম বলি, ভাই, আমি কিন্তু আসল গাধা না, আমি নকল গাধা। আমি সত্যিসত্যি অনেক কিছু বুঝি! আচ্ছা, যা খুশি ভাবেনগা! আমার কী!

ও আচ্ছা বলা হয় নাই, আমার এখন অনেক ফেসবুক ফ্রেন্ড। ১০০ পার হইসে। কীভাবে-কীভাবে জানি! সবাই পরিচিত, তবে কয়েকটা মেয়ে আর তিনটা ছেলে বাদে। মেয়েগুলা গাধা আর ছেলেগুলা ভাল লেখে, তাই অ্যাড করসি। ওরা কিন্তু ভালই লেখে, আবার হিংসা কইরেন না যেন! ওদের সাথে কোনও ইন্টারঅ্যাকশন হয় নাই কখনও। ওদের আবার সে-ই ভাব! বড়-বড় ভাবমার্কা কথা লিখে, আবার মেয়ের কমেন্ট দেখে রিকোয়েস্টও পাঠায়! একজন অবশ্য শিক্ষক। আমার লিস্টের মেয়েগুলা দেখতে কিউট আর গাধাটাইপ। আমার গাধাটাইপ মেয়ে পছন্দ। আমি জানি, ছেলেরাও গাধাটাইপ মেয়েই পছন্দ করে। আচ্ছা, আপনি কোন আক্কেলে আমার ভোটকা গদগদা গোস্তআলা মুখের ছবিতে লাইক দিসেন, বলেনতো? আপনি না একটা ছিঃলিহ্‌ভ্রিঠি? আপনার লাইকের পর গতকাল আমার কয়টা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসছে, জানেন? এক কামড়ান (পড়েন, কামরান) বাদে কাউকেই চিনি না। আপনি এইগুলা কাদেরকে ফ্রেন্ড বানান? পুচকিপুচকি সব ছেলেপেলে! ভয় পেয়ে প্রোফাইল পিক ফ্রেন্ডস্‌ অনলি করতে হইসে! আমি আত্মীয় আর কাছের বন্ধু বাদে শুধু আপনাকেই রিকোয়েস্ট পাঠাইসি। আমি কথা বলি একটু বেশি কিন্তু আমার সবার কথা বা মেসেজ ভাল লাগে না, ভাই। আমার চোখে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ হচ্ছে ফেসবুক-চ্যাটিং! উফফ্‌! অতি অতি অতি অসহ্য! কখনওই এটা ভাল লাগে নাই! আমার একটা বান্ধবী বাদে কারও সাথেই আমার কথা আগায় না! মানুষ এত কথা কোথায় পায়? আমার পছন্দের কাজ: ১। ঘুমানো, ২। খাওয়া, ৩। হাসা, ৪। শুয়ে থাকা, ৫। একাএকা কথা বলা, ৬। আপনাকে দেখা আর আপনার লেখা পড়া। ভদ্রতার খাতিরে আমার ফ্রেন্ড শুধু বেড়ে যাচ্ছে আর আমার ফেসবুক ব্যবহার করতে অসহ্য লাগতেসে। আমি আবার লাইকটাইক না দিয়ে থাকতে পারি না। (আপনারগুলাতে শুধু মনেমনে লাইক দিই। সত্যিকারের লাইক দিলে আপনার ভাব বাড়ে, আমি দেখসি। মনেমনে লাইক মিথ্যাকারের লাইক না কিন্তু।) কিন্তু ফেসবুক আমার ঘিন্যা লাগতেসে। আবার আপনাকে দেখাটাও নেশা হয়ে গেসে। আপনার নায়িকার মতই বললাম, আপনি একখান বিশ্রী রকমের নেশা! আপনি অন্য কোথাও যান তো ভাই! ওই দূরে গিয়া মরেনগা! আচ্ছা, মরতে হবে না, অজ্ঞান হয়ে চিত হয়ে পড়ে থাকেন। আচ্ছা, অজ্ঞান হওয়া লাগবে না, অজ্ঞান হবার ভান করেন। বইলেন না যে ওইটাও পারেন না। আপনি ভাল অ্যাক্টিং করতে জানেন। আপনি দয়া করে আমার মাথা থেকে বিদায় হন! আপনি খুব জ্বালাচ্ছেন। অন্যের মাথায় ঢুকে জ্বালানগা, যান! ইচ্ছা মত নাচেনগা! যান, যান! দূর হন! আমি খুব খুশি হব। আমি সত্যি খুব খুশি হব। আমাকে রেহাই দেন। আর জ্বালায়েন নাতো!

আচ্ছা, আপনাকে রাজশাহী নিয়ে একটা লেখা দিব কিন্তু খুব বেশি অসভ্য লেখা। দিতে লজ্জা লাগতেসে না, কিন্তু কেমন জানি ইয়া লাগতেসে। আমার আবার লজ্জাশরম একটু কম। এর জন্যে আমি দায়ি না, আমার পরিবার, মানে আমার বাবা, মামা, চাচা আর দুই বান্ধবী, এরা দায়ি। খুব বেশি লেখা হয়ে যাচ্ছে বোধহয়। আর বেশি লিখব না। এবার সত্যি বলতেসি। এক্কেবারে আল্লার কসম। আর অত্যাচার করব না। এক সত্যি-দুই সত্যি-তিন সত্যি! জানি না আপনি আমাকে কী যে ভাবতেসেন!

আপনাদের বাপ-বেটার ইন্টার্ভিউ পড়লাম। আচ্ছা, আপনার নুডলস কেন প্রিয়? এইটা একটু কেমন হয়ে গেল না? প্রিয় খাবার অন্যকিছু বানাতে পারতেন না? নুডলস কোনও খানা হইল? ময়দাকে লম্বালম্বা বানায়ে তেল-মরিচ-পিঁয়াজ-ডিম দিয়ে খাওয়া! ধুউর! আবার আপনার আব্বার প্রিয় খাবার শাকসবজি! এটা কি সত্যি? কারও প্রিয় খাবার কখনও শাকসবজি হয়? ওটা তো বাধ্য হয়ে চিকনা হবার জন্য জোর করে খেতে হয়! আমার তো শাকসবজি খাওয়ার সময় নিজেকে ছাগলছাগল লাগে। কী-জানি বাবা! আচ্ছা, এত সুন্দরসুন্দর খাবার থাকতে প্রিয় খাবার হচ্ছে শাকসবজি আর নুডলস! এহহহ্‌! চাপা আরকি! আপনার আব্বার কথা বাদ দিলাম, উনি বুঝেন নাই কোনটাকে প্রিয় খাবার বানালে ভাল হয়, কিন্তু আপনি তো বানায়েবানায়ে হলেও পত্রিকায় ছাপানোর জন্য ভাল কিছু বলতে পারতেন! এই যেমন ধরেন, রেশমি কাবাব, শাম্মি কাবাব, জালি কাবাব টাইপ কিছু!

আচ্ছা, সব ছবিতেই আপনাকে কম ফর্সা লাগে কেন? আচ্ছা, বলা হয় নাই, সেদিন, মানে অডিটরিয়ামে আপনার চেহারা এক্কেবারে মেয়েদের মতন ব্লাশ করতেসিল! বিশ্বাস না হলে অনন্তকে জিজ্ঞেস করে দেখেন। আপনি মেকআপ-টেকআপ করসিলেন নাকি? সত্যিটা বলেন না ভাই! বলতে ভুলেই গেসি, আপনার প্রোফাইল পিকচারটা সুন্দর হইসে। যার প্রোফাইল পিকচারটা এমন মিষ্টি হবে, তার লেখাগুলাও কিন্তু মিষ্টি হতে হবে, ডাগাস! ওই যে, স্মাগলারদের গালি দেওয়া আর ব্যাঙ্ক অব এশিয়া-টেশিয়া লিমিটেড নিয়ে এখন আগের মত লিখলে কিন্তু প্রোফাইল পিকটাকে অপমান করা হবে, নয়তো ওসব লিখলে পিকটা চেঞ্জ করে লিখতে হবে। অবশ্য আপনার ব্যাপার। আমার কাজ ফ্রি বুদ্ধি দেওয়া। আপনার বাবার সাথে পিক দেখে আমারও ওরকম ছবি দিতে ইচ্ছা করতেসে! আপনি তো আপনার আব্বার চেয়ারের হ্যান্ডেলে বসে পোজ দিসেন, আমি আব্বার কোলে চড়েও পোজ দিতে পারব, কিন্তু আব্বার ঠ্যাং ভেঙেটেঙে যেতে পারে, এই ভয়ে আব্বাকে মাফ করে দিলাম।

আচ্ছা, আমি তো আপনাকে লিখতেসি না আগামি কয়েকদিন, তো আমি আপনাকে কয়েকদিন পর ফোন করব। কিছু বলতে হবে। দরকার আছে। তেমন কিছু না। একটা কী জানি জিজ্ঞেস করব। আচ্ছা, খোদা হাপেজ। আচ্ছা, রাজশাহী নিয়ে লেখাটা কিন্তু খুব অসভ্য লেখা। কালপরশু দিব, হ্যাঁ? ওইটাই শেষ। এরপর আর দিব না। পড়ে আবার রাগ কইরেন না। রাগ করলেও সমস্যা নাই, কারণ আমাকে পাবেন না কয়েক দিন, ততদিনে রাগ চলে যাবে, তখন আবার নতুন করে রাগাব। আচ্ছা, অসভ্য মানে আবার সে-ই অসভ্য ভেবে বইসেন না যেইসবে ছেলেপেলেরা আগ্রহী হয়। (ভাই, আমার ওই বয়সও নাই, আগ্রহ তো নাই-ই, বরং ঘিন্যা আছে। বিশ্বাস হয় নাতো? না হলে নাই। আপনার ব্যাপার!) এটা অন্য অসভ্য, মানে ন্যাচারাল ব্যাপারস্যাপার। আচ্ছা, খোদা হাপেজ।