ক্যারিয়ার আড্ডা @ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

(গত ০৬/১১/২০১৫ তারিখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার আড্ডায় যা বলেছি, তার প্রায় ৩০% নিচে দিয়ে দিলাম।)

Disclaimer :

মানুষের যে কয়েকটি অ্যাটিচিউড দেখে আমি এ জীবনে সবচাইতে বেশি বিরক্ত হয়ে এসেছি, সেগুলির মধ্যে একটি হল : ক্যারিয়ারিস্টিক অ্যাটিচিউড

তাই ‘ক্যারিয়ার আড্ডা’ নামটা দেখে এটাকে কোনোভাবেই ক্যারিয়ারিস্ট হওয়ার আড্ডা হিসেবে নেবেন না। এতে আমি যা বলতে চাই এবং যা বলতে চাই না, তা বুঝতে সহজ হবে।

Job for life! NOT, Life for job!!

ক্যারিয়ার আড্ডা

সুশান্ত পাল

সহকারী কমিশনার

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, খুলনা

আসুন, স্বপ্ন দেখি!

স্বপ্নের মানুষটিকে নিয়ে একটুখানি ঘুরে আসি…………….. (একটা ভিডিও ক্লিপ)

আড্ডার সময়ে……..

মোবাইল যেন কোনোভাবেই বেজে না ওঠে

পাশের জনের সাথে কথা বলতে হলে আমি যখন আপনার দিকে তাকাবো না, তখন আমাকে ফাঁকি দিয়ে বলবেন

ঘুম এলে এমনভাবে ঘুমাতে হবে যাতে পাশের জনের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। ঘুমাতে ঘুমাতে পাশের জনের কাঁধে হেলে পড়বেন না

প্রশ্ন করবেন আমি প্রশ্ন করতে বললে, এরপর

কোন নোট নেয়ার দরকার নেই, শুধু শুনবেন। আমি সবকিছু ফেসবুকে শেয়ার করে দেবো। আমার ফেসবুক আইডিঃ Sushanta Paul

এই কথাগুলো কাজের…….

 Let’s meet

The Boss of The Bosses (একটা ভিডিও ক্লিপ)

কিছু কথা…………

পড়াশোনা করতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু চাকরি পেতে ইচ্ছে করে == মা ডাক শুনতে ইচ্ছে করে, কিন্তু বিয়ে করতে ইচ্ছে করে না। বৈধভাবে অসম্ভব! সরি!

‘ভাল চাকরি’……. It’s an oxymoron!! “পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।”

একজন নোবডির গল্প

ফিরে দেখা। নোবডি হয়ে থাকার গল্প। সবচেয়ে বাজে রেজাল্ট করা ছেলেটার গল্প; যার একটা সময়ে ভার্সিটি থেকে ড্রপআউট হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, যাকে নিয়ে কেউ কখনো স্বপ্ন দেখেনি। বারবার জীবনের মোড় বদলানোর গল্প। অন্য কারোর জীবনে না বাঁচা, লাইফের সাথে কম্প্রোমাইজ না করা একজন সুখী অসফল অ্যাক্সিডেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারের গল্প, একজন হতাশাগ্রস্ত উদ্যোক্তার গল্প। কষ্টে উপার্জিত পয়সা জলে গেলে কেমন লাগে!!

Identity is more important than existence! কারোর কাছ থেকে পাত্তা না পাওয়াটা ভয়াবহ কষ্টের একটা ব্যাপার।

টিউশনি ছেড়ে দেয়ার গল্প। লোকে পড়াশোনা করার পাশাপাশি টিউশনি করে। আর আমি টিউশনি করার পাশাপাশি পড়াশোনা করতাম। প্রয়োজনে নয়, নেশায়। পরে ভেবে দেখলাম, টিউশনি আসলে আমাদের কী দেয়?……..প্রায়ই পয়সা আর তাচ্ছিল্য; কখনোকখনো সম্মান। সে কাজটা করতে পারাটা সবচাইতে আনন্দের, যে কাজটা অন্যরা ভাবে, আপনি করতে পারবেন না। বাঙালি মধ্যবিত্তের জীবনে প্রাণ বড়, না চাকরি বড়, এ দ্বন্দ্ব বড় দ্বন্দ্ব!

অপমানের দিনগুলো, কান্নার রাতগুলো। “পড়ে গেছো? ঠিক আছে, আরেকবার ঘুরে দাঁড়াও!” এ কথা কেউ বলে না, সবাই শুধু কথা শোনায়! যাকে কেউই চায় না, সে বাঁচে কীভাবে? পৃথিবীতে সবচাইতে কষ্টকর দৃশ্য : মা-বাবার চোখের জল দেখা, যেটার জন্য আমি দায়ী।

বিষের পেয়ালার হার ও অতঃপর। স্রেফ বেঁচে থাকলেও অনেককিছু হয়৷ দেখিই না একটু বেঁচে থেকে! যে জীবনটা আমার মায়ের দেয়া, সেটাকে নিজের হাতে মেরে ফেলাটা যে বড় পাপ! আর ১০জন উজ্জ্বল মানুষের মতো করে না হোক, একেবারে অনুজ্জ্বল একজন মানুষ হয়ে হলেও! সাঁতারু ও জলকন্যা পড়েছেন কি?

জীবনে কিছু না পাওয়ার চাইতে কষ্ট পাওয়াও ভালো। Life of Penance….. Cry, cry, only to smile better. ‘ভালো কিছু করা’ মানে কী? যা আপনার বাবা-মা আর কাছের মানুষদের মুখে হাসি ফোটায়, তাদের মাথা উঁচু করে দেয়, সেটা করাই হলো ভালো কিছু করা।

মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে মানুষ ঘুরে দাঁড়ায়। আমার পিঠ যে দেয়ালে গেঁথে গিয়েছিল! একটু সহানুভূতিপূর্ণ কথার জন্য কী কাঙালের মতো সবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম! আমিও পারব, এ কথা কেউই বলতো না।

ইফতার পার্টির গল্প। গেট টুগেদারের গল্প। প্রতিটি অপমানের সাথেই সুযোগ লুকানো থাকে। অপমান থেকে জেদ তৈরি না হলে আপনার বেঁচে থাকাটাই বৃথা!

আমি অনেক খুশি কারণ আমি যা চেয়েছি, তা পাইনি। আল্লাহ মাঝেমাঝে আমাদের প্রার্থনা কবুল করেন আমাদের প্রার্থনা কবুল না করার মাধ্যমে। আল্লাহকে ধন্যবাদ, উনি আমার প্রথম জীবনের প্রার্থনাগুলো কবুল করেননি। দেরি হয়ে যাচ্ছে, এটা বোঝার মতো সময় সবসময়ই হাতে থাকে।

সব প্রার্থনা কবুল হয় না কেন? এর পেছনের রহস্যটা আসলে কী? আমরা প্রত্যেকেই বিশাল একটা মাস্টারপ্ল্যানের অংশমাত্র!

ক্যারিয়ার কী, কেন, কখন?

একজন সুখী ক্লিনারের ক্যারিয়ার…….. ক্যারিয়ার শুরু করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিন, কী আপনার ভালো লাগে৷ অন্যেরা এর উত্তর দিতে পারবে না৷ ওরা বড়োজোর জানে, কী আপনার ভালো লাগা উচিত৷ অন্য দশ জনের মতো করে ভাববার মস্তো বড়ো অসুবিধে হচ্ছে এই, আপনি আসলে যতোটুকু করার ক্ষমতা রাখেন, সেটা একটা বাঁধাধরা ছকে পড়ে যায় এবং আপনার অ্যাচিভমেন্ট এমন কিছু হয় না, যেটাকে আলাদা করে বলা যায় কিংবা দেখা যায়৷ আপনার জীবনটাকে আপনি গড়পড়তায় ফেলবেন কিনা, it’s your choice.

এখানে যারা আছেন, যারা এখনো ক্যারিয়ার শুরুই করেননি, তারা কি সত্যিই পিছিয়ে আছেন? ‘পিছিয়ে থাকা’ আসলে কাকে বলে? বিসিএস’য়ের কথা শোনার গল্প। আমি আমার বন্ধুদের চেয়ে অন্তত ৪.৫ বছর পর চাকরি করা শুরু করি।

ক্যারিয়ার কী? ‘ভালো’ ক্যারিয়ারে (হোক সেটা চাকরি কিংবা ব্যবসা) কী কী থাকে? আমি মনে করি, ৩টা জিনিস থাকে।

Social recognition

Solvency

Time to spend your earning in your own way

অনেক প্রাচুর্যের মধ্যে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে অনেকদিন বাঁচার চাইতে আফসোস ছাড়া ছোট্টো একটা চড়ুইয়ের জীবন কাটানো অনেক ভালো। হ্যাঁ, সবাই যেভাবে করে ইঁদুরের মতো ইঁদুর-দৌড় জিততে দৌড়ায়, আপনিও সেভাবে করে দৌড়াতে পারেন। কিন্তু এতে সমস্যা দুটো। এক। এই দৌড় কখনোই শেষ হয় না। দুই। এই দৌড়ে যদি জিতেও যান, তাহলেও শেষ পর্যন্ত ইঁদুর হয়েই থাকবেন। You stop being a human being; you start being a rat!! ইঁদুর হওয়ার সমস্যা হলো, ইঁদুররা মানুষের জীবন উপভোগ করতে পারে না। চাকরি থেকে মানুষ কতোটুকুই বা পায়? আমরা কখনোই জানি না, আমাদের জীবনে কোনটা আগে আসবে…… পরের দিনটা? নাকি, পরের জীবনটা? তাই, মৃত্যুর আগেই যেনো নিজের মতো করে জীবনটা কাটাতে পারি, সেটা মাথায় রেখেই ক্যারিয়ার বেছে নেয়া উচিত।

ক্যারিয়ার ও ফ্যামিলি—কাঁচের জার ভর্তি করার গল্প।

আমার কোনো Aim in Life ছিলো না, শুধু এক্সামের খাতায় ছাড়া। কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, life এবং career নিয়ে আপনার আগামী ১০ বছরের plan কী? আমি উত্তর দিয়েছিলাম, আমি আমার জীবনে ১০ মিনিটের planও কখনো করতে পারিনি। Still I’m happy. No regrets! এক জীবনে মানুষ কতোটুকুই বা পায়? আমি প্রতি মুহূর্তের দুনিয়ায় বেঁচে থাকা মানুষ। এতো ক্যারিয়ারিস্ট হয়ে বেঁচে কী লাভ?

আধুনিক মানুষের বড় আইরনি : বউয়ের চাইতে বসকে বেশি সময় দেয়। ঈদপুজোর উইশ করে বসকে আগে, পরিবারকে পরে।

লাইফ লেসনস্

আমি কিছু জিনিস মেনে চলার চেষ্টা করি। সেগুলির মধ্যে কিছু কিছু শেয়ার করছি :

এক। প্রতিদিন ঘুমান গড়ে সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা। বেশি সময় নয়, ভালভাবে ঘুমানোই বড় কথা। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মোবাইল সাইলেন্ট করে আর ল্যাপটপ দূরে রেখে ঘুমাবেন।

দুই। মোবাইলের ড্রাফ্টসে কিংবা একটা নোটবুকে আপনার মাথায় বিভিন্ন মুহূর্তে যে ভাল ভাল কথা কিংবা চিন্তাভাবনা আসে, সেগুলি লিখে রাখবেন। সাধারণত খুব সুন্দর চিন্তাগুলি দুইবার আসে না।

তিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট নিয়ম করে কোন একটা মোটিভেশনাল বই পড়ুন কিংবা লেকচার শুনুন। এ সময় নিজের ইগোকে দূরে রাখবেন।

চার। কোন সময় মন যদি খুব অশান্ত হয়ে যায়, এবং কিছুতেই সেটাকে শান্ত করা না যায়, তবে ১০ মিনিট হাঁটুন আর হাঁটার সময় নিজের পদক্ষেপ গুনুন। আরেকটা কাজ করতে পারেন। সেটি হল, মাথা থেকে সমস্ত চিন্তা বের করে দিয়ে মাথাটাকে সম্পূর্ণ ফাঁকা করে দিয়ে চুপ করে ১০ মিনিট আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। বিবেকানন্দের পত্রাবলী কিংবা রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্র পড়তে পারেন, রবীন্দ্রসংগীত শুনতে পারেন। মন শান্ত হয়ে যাবে।

পাঁচ। প্রতিদিন সকালে উঠে সেদিন কী কী কাজ করবেন, সেটি একটা কাগজে ১০ মিনিটে লিখে ফেলুন। কাগজটি সাথে রাখুন। আগের দিনের চাইতে অন্তত একটি হলেও বেশি কাজ করার কথা লিখবেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মিলিয়ে নিন, সবগুলি করতে পেরেছেন কিনা।

ছয়। স্টুপিডদের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন কিংবা আপনার আশেপাশের লোকজনকে ভাল কিছু করার উৎসাহ দিন। আপনার আশেপাশের বন্ধুদের কাজ করার ধরণ এবং সফল হওয়ার অভ্যেস আপনাকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনার স্বামী যত স্টুপিড হবে, আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্টুপিড হওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। স্টুপিড স্ত্রী অপেক্ষা স্টুপিড স্বামী পরিবারের জন্য বেশি বিপদজনক। আমি ছোটবেলা থেকে বাবাকে দেখেছি, বাবা যতক্ষণই কাজে থাকতেন, ততক্ষণ খুশিমনে থাকতেন। তখন থেকে আমার মধ্যে এই ধারণা হয়ে যায়, কাজের মধ্যে থাকলে খুশি থাকা যায়। আপনার ফ্যামিলি থেকে যা শিখেছেন, সেটা থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়। তাই আপনি এমন কিছু আপনার ফ্যামিলিতে করবেন না, যেটা আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে ওভাবে করেই ভাবতে শেখাবে।

সাত। যে কাজটা করা দরকার, সে কাজে জেদি হওয়ার চেষ্টা করুন। কাজটার শেষ দেখে তবেই ছাড়ুন।

আট। যিনি আপনাকে তার জীবনে অপরিহার্য মনে করেন না, তাকে আপনার জীবনে অপরিহার্য মনে করার বাজে অভ্যেস থেকে সরে আসুন। যে মানুষটা আপনাকে ছাড়াই সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, তার জন্যে দম আটকে মরে যাওয়ার তো কোন মানে হয় না। আপনি যত বেশি তার জন্য ফিল করবেন, তিনি তত বেশি এক ধরণের অসুস্থ জয়ের আনন্দ উপভোগ করবেন। ভুল মানুষকে ভুলে থাকতে জানাটা মস্ত বড় একটা আর্ট। আপনি কত সময় ধরে তার সাথে ছিলেন, সেটা বড় কথা নয়; বরং সামনের সময়টাতে কত বেশি তাকে জীবন থেকে ডিলিট করে থাকতে পারবেন, সেটাই বড় কথা।

নয়। খুব দ্রুত পড়ার অভ্যাস করুন। পড়ার সময় কীভাবে অপ্রয়োজনীয় অংশগুলিতে চোখ বুলিয়ে যেতে হয়, সেটা শিখুন। প্রয়োজনীয় অংশগুলি দাগিয়ে দাগিয়ে বারবার পড়ুন এবং মাথায় সেগুলির একটা ফটোকপি রেখে দিন। এতে আপনার পড়ার কাজটা করার সময় কমে যাবে।

দশ। আপনার বর্তমান অবস্থার দিকে তাকান। দেখবেন, কিছু কিছু বিষয়ে স্রষ্টার অনুগ্রহে আপনি অনেক বিপদ কিংবা দুর্ভাগ্য থেকে বেঁচে গেছেন এবং ভাল আছেন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুকরিয়া আদায় না করে ঘুমাবেন না। কৃতজ্ঞতাবোধ সম্মান, মানসিক শক্তি এবং শান্তি এনে দেয়।

এগারো। দ্য সিক্রেট, আউটলায়ারস, দ্য সেভেন হ্যাবিটস অব হাইলি এফেক্টিভ পিপল, দ্য পাওয়ার অব নাউ, দ্য মঙ্ক হু সোল্ড হিজ ফেরারি, ইউ ক্যান উইন সহ বিভিন্ন মোটিভেশনাল বইপত্র পড়ুন। বিভিন্ন গ্রেটম্যানদের বায়োগ্রাফি বেশি বেশি পড়ুন। দ্য প্রফেট, গীতবিতান এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ অনুভব করে পড়ুন। এসব বই পড়ার সময় অবশ্যই বিশ্বাস করে পড়তে হবে। যদি আপনি পৃথিবীতে সবকিছুই যুক্তি দিয়ে বিচার করেন, তবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা আপনার জন্য কঠিন হতে পারে। তবে বইগুলিতে যা যা আছে, সেগুলির মধ্য থেকে আপনার দরকারি জিনিসগুলিকেই গ্রহণ করুন।

বার। মাসে অন্তত দুইদিন রোযা রাখুন। রোযা মানসিক শক্তি বাড়ায়, সহনশীল এবং বিনীত হতে শেখায়।

তের। ব্যাগে অন্তত একটি ভাল বই রাখুন আর সুযোগ পেলেই পড়ুন। মোবাইলেও পিডিএফ আকারে বই রাখতে পারেন।

চৌদ্দ। প্রতিদিন অন্তত একজন ব্যক্তিকে সাহায্য করুন কিংবা ক্ষমা করে দিন। এতে আপনার নিজের প্রতি সম্মানবোধ বাড়বে। নিজেকে সম্মান করুন সবচাইতে বেশি।

পনের। সপ্তাহে একদিন বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভোর হওয়া দেখুন। এটি আপনার ভাবনাকে সুন্দর করতে সাহায্য করবে।

ষোলো। একটা সহজ বুদ্ধি দিই : অন্য মানুষকে সম্মান করে না, এমন লোকের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন। উদ্ধত লোকের কাছ থেকে তেমন কিছুই শেখার নেই।

সতেরো। নিজের চারিদিকে একটা দেয়াল তৈরি করে রাখুন। সে দেয়ালেঘেরা ঘরে আপনি নিজের মতো করে নিজের কাজগুলি করার জন্য প্রচুর সময় দিন। এতে আপনি অন্যদের চাইতে একই সময়ে বেশি কাজ করতে পারবেন। সবাইকেই সময় দিলে আপনি নিজের কাজগুলি ঠিকমতো করতে পারবেন না।

আঠারো। প্রতিদিন একটা ভাল বইয়ের অন্তত ৩০ পৃষ্ঠা না পড়ে ঘুমাতে যাবেন না। ফেসবুকিং করার সময় বাঁচিয়ে বই পড়ুন। বই পড়ে, এমন লোকের সাথে মিশুন। যে ছেলে কিংবা মেয়ে বই পড়ে না, তার সাথে প্রেম করার কিছু নেই। আর যদি ভালবেসেই ফেলেন, তবে তাকে বইপড়া শেখান।

উনিশ। আপনার চাইতে কম মেধা আর বুদ্ধিসম্পন্ন লোকজনের সাথে সময় কম কাটান। তবে কখনওই তাদেরকে আঘাত করে কোন কথা বলবেন না। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির সাথে একবার কথা বলা ২০টা বই পড়ার সমান। ভুল লোকের সাথে সময় কাটানোর চাইতে একা একা থাকা ভাল।

বিশ। প্রতিদিন আপনি যতটুকু কাজ করতে পারেন, তার চাইতে কিছু বাড়তি কাজ করুন। বাড়তি কাজটি ঠিকভাবে করতে পারলে নিজেকে কিছু কিছু উপহার কিনে দিন, কিংবা করতে ভাল লাগে, এমন কোন কাজ করুন।

একুশ। সপ্তাহে একদিন ঘড়ি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে একেবারে নিজের মতো করে সময় কাটান। সেদিন বাইরের পুরো দুনিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন এবং যা যা করতে ভাল লাগে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে করা হয় না, সেসব কাজ করে ফেলুন।

বাইশ। মাথায় যদি কোন উল্টাপাল্টা কিংবা নেতিবাচক চিন্তা আসে, তবে সেটিকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করবেন না; বরং আপনি নিজে সেটি থেকে বেরিয়ে আসুন।

তেইশ। আপনার মোবাইল ফোনটা আপনার জন্য কেনা, অন্যের জন্য নয়। মাঝে মাঝে বেছে বেছে কল রিসিভ করুন। আমাদের বেশিরভাগ কলই গুরুত্বপূর্ণ হয় না, আর সময়ও নষ্ট করে। যে কলটি আপনার মন কিংবা মেজাজ খারাপ করে দেবে বলে আপনি আগে থেকেই জানেন কিংবা বুঝতে পারেন, অপরিহার্য না হলে সেটি রিসিভ করবেন না।

চব্বিশ। আপনি সম্মান করেন কিংবা পছন্দ করেন, এমন কোন ব্যক্তির ১০টি ভাল গুণ কাগজে লিখে ফেলুন। এরপর আপনি বিশ্বাস করুন যে, সে গুণগুলি আপনার মধ্যেও আছে এবং যতই কষ্ট হোক না কেন, সে গুণগুলির চর্চা করতে থাকুন। উনি যেরকম, সেরকম হওয়ার অভিনয় করুন। উনি যেভাবে করে কাজ করেন, একই স্টাইলে কাজ করুন। এ কাজটি ২ সপ্তাহ করে দেখুন, নিজের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

আসেন, সবাই মিলে ক্রাশ খাই!!

কী আছে আর জ্যাবনে! (একটা ভিডিও ক্লিপ)

পঁচিশ। মাঝে মাঝে সফট মেলোডির ওরিয়েন্টাল কিংবা ওয়েস্টার্ন ইন্সট্রুমেন্টাল শুনুন; হেডফোনে কিংবা একা রুমে বসে। কিছু ভাল মুভি দেখুন। কিছু মাস্টারপিস পেইন্টিং দেখুন। এবং একটা কাগজে একটা ভাল মিউজিক শুনে কিংবা মুভি আর পেইন্টিং দেখে আপনার কী অনুভূতি হল, লিখে ফেলুন। এটা ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

ছাব্বিশ। অন্যরা করার আগেই নিজেই নিজের বাজে দিকগুলি নিয়ে মাঝে মাঝে প্রকাশ্যে ঠাট্টা করুন। এতে করে আপনার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।

সাতাশ। প্রতিদিনই এমন দুটি কাজ করুন, যেগুলি আপনি করতে পছন্দ করেন না। করার সময় বিরক্ত লাগলেও থেমে যাবেন না। যেমন, এমন একটি বই পড়তে শুরু করুন, যেটি আপনার পড়া উচিত কিন্তু পড়তে ইচ্ছা করে না। কিংবা এমন একজনকে ফোন করুন যাকে ফোন করা দরকার কিন্তু করা হয়ে ওঠে না। কিংবা বাসার কমোডটি পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে করে আপনার দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা বাড়বে। যে কাজটি করতে গিয়ে অন্যরা ৩০ সেকেন্ডেই বিরক্ত হয়ে ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করে, সেটি যদি আপনি অন্তত ২২ মিনিট ঝিম ধরে পারেন, তবে আপনি অন্যদের চাইতে নিশ্চিতভাবে এগিয়ে থাকবেন।

আটাশ। আপনি যেমন হতে চান, তেমন লোকের সাথে বেশি বেশি মিশুন। খেতে পছন্দ করে, এমন লোকের সাথে মিশে আপনি ওজন কমাতে পারবেন না।

উনত্রিশ। দিনে একবার টানা ৩০ মিনিটের জন্য মৌন থাকুন। ওইসময়ে কারোর সাথেই কোন কথা বলবেন না। খুব ভাল হয় যদি চোখ বন্ধ করে পুরোনো কোন সাফল্যের কিংবা সুখের কোন স্মৃতির রোমন্থন করতে পারেন। এটা মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ত্রিশ। প্রায়ই ভাবুন, আপনি এই মুহূর্তেই মারা গেলে আপনার পরিবারের বাইরে আর কে কে আপনার জন্য কাঁদবে। ওরকম লোকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কী কী করা যায়, ভাবুন এবং করুন।

একত্রিশ। আপনার হাতে মাত্র দুটো অপশন : হয় রাতে দেরিতে ঘুমাতে যান, অথবা সকালে ভোর হওয়ার আগে উঠুন। যদি রাতে সত্যিই একা থাকতে না পারেন, তবে সেকেন্ড অপশনটাই বেটার, কারণ বেশিরভাগ লোকই রাতে জাগে আর গল্প করে সময় নষ্ট করে। ভোরের আগে উঠতে পারলে, আপনাকে বিরক্ত করার কেউ থাকবে না, তাই আপনি পড়াশোনা করা ছাড়া আর তেমন কোন কাজই পাবেন না। ঘুমানোর সুখ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না।

বত্রিশ। আমরা যা-ই করি না কেন, সেটা যদি খুব উল্লেখযোগ্য কিছু হয়, তবে সেটা নিশ্চয়ই অন্তত ১০ বছরের ১০ হাজার ঘণ্টার পরিশ্রমের ফলাফল। পৃথিবীতে কেউই রাতারাতি কিছু করতে পারে না।

তেত্রিশ। কোন একটা কাজ করতে হুট করেই পরিশ্রম করা শুরু করে দেবেন না। আগে বুঝে নিন, আপনাকে কী করতে হবে, কী করতে হবে না। এরপর শুধু পরিশ্রম নয়, সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করুন।

চৌত্রিশ। পৃথিবীতে কেউই জিরো থেকে হিরো হয় না। আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনি কোন ব্যাপারটাতে হিরো হতে চাচ্ছেন। আপনি যে বিষয়টাতে আগ্রহ বোধ করেন না, কিংবা যেটাতে আপনি গুরুত্ব দেন না, সেটাতে সময় দেয়া মানে, স্রেফ সময় নষ্ট করা। আপনি যেটাতে সময় দিচ্ছেন, সেটাই একদিন আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে চেনাবে।

পঁয়ত্রিশ। বুদ্ধিমত্তা আর অর্জনের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল নয়। যার যত বেশি বুদ্ধি, সে তত বেশি এগিয়ে, এরকমটা সবসময় নাও হতে পারে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচাইতে ভাল রেজাল্ট-করা স্টুডেন্টদের শতকরা মাত্র ১৫ ভাগ গ্রেটদের তালিকায় নাম লেখাতে পারে। বাকি ৮৫ ভাগ আসে তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে নিয়ে কেউ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি। তাই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও নিজের সাথে লড়াই করে যান।

জীবন থেকে নেয়া …….

যে দিনটাকে আপনি চাইছেন, কেউই মনে না রাখুক, সেই দিনটাই আপনার জীবনের সেরা দিন হতে পারে! বার্থডেতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখার গল্প।

শুধু একটা সেকেন্ড, একটা সুখবর আপনার জীবনের মোড় বদলে দিতে পারে। অদ্ভুত একটা মুহূর্ত আগের সব কষ্টকে ভুলিয়ে দিতে পারে। আল্লাহ কখনোই কাউকে চিরদিন অসম্মানিত করে রাখেন না। স্বপ্নের দিনটার জন্যে বিনয়ের সাথে অপেক্ষা করতে হবে এবং মন থেকে বিশ্বাস করতে হবে, দিনটা আসবেই।

শুধু একটা ভুল আপনাকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। ওইধরনের একটা ভুল করতে পারাও সৌভাগ্যের ব্যাপার। প্রথম জীবনে ভুল করা সবচেয়ে ভালো।

Intellectual Humility থাকাটা খুব জরুরি। Why Google doesn’t care about hiring top college graduates? যারা ভুল করতে অভ্যস্ত না, তারা বেশিদূর যেতে পারে না।

মেনে নিন, ভুলটা আপনারই। নিজেকে ছাড়া আর সবাইকেই ক্ষমা করে দিন।

নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা বাদ দিন। এতোদিন যা করে এসেছেন, সেটাই যদি করে যান, তবে এতোদিন যেমন ছিলেন, তেমনই থাকবেন। পৃথিবীতে পারফেক্ট বলে কিছু নেই।

আপনি অক্সফোর্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড, কিংবা হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট কিনা, এটা কেউ আসলেই কেয়ার করে না। দিনের শেষে শুধু আপনার ইম্প্রেসিভ আচরণ, ব্যবহার, কথাবার্তাই অন্যদের মাথায় থেকে যায়। আর কিছুই না।

বেশিরভাগ মানুষ সাফল্য পছন্দ করে কিন্তু সফল ব্যক্তিকে মনেমনে চরম অপছন্দ করে। সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না। পৃথিবীতে চলতে গেলে সবাইকে লাগেও না। You need some enemies in your life. If you don’t have any, create some. অভিজ্ঞতা বলে, Birds of the same feather feel jealous of each other. যারা আপনার পেছনে লাগে, তারা এটা মেনেই নিয়েছেন, আপনি এগিয়ে আছেন।

একটা কাজ দ্রুত করার চাইতে ভালোভাবে করাটা বেশি জরুরি। লোকে মনে রাখে কাজটা কতোটা ভালোভাবে হয়েছে, শুধু সেটা। সহজ কাজকে কঠিন করবেন না আর কঠিন কাজকে সহজ ভাববেন না।

“Great minds discuss ideas; average minds discuss events; small minds discuss people.” কারোর চেহারা খারাপ, এটা বললেই কিন্তু আমার নিজের চেহারা আরো সুন্দর হয়ে যায় না।

বড় হওয়া যায় ২ ভাবে। এক। নিজে বড় হয়ে। দুই। অন্যকে ছোটো করে। সেকেন্ড ওয়েটা সহজ, কিন্তু রিস্কি। কেনো?

ফেসবুকে অপদার্থের বন্ধু হওয়ার চাইতে জ্ঞানীর ফলোয়ার হওয়া ভালো। বোকা বোকা ভাব নিয়ে শিখতে থাকুন। বিনয় ছাড়া শেখা যায় না। গাধার সাথে যুদ্ধ করে একশ’বার জেতার চাইতে সিংহের সাথে যুদ্ধ করে একবার হারা অনেক ভালো।

কথা শোনানোর চাইতে কথা না শোনানোর শক্তি অনেক বেশি। কাউকে কথা শুনিয়ে দেয়ার ইচ্ছে থাকলে মুখে নয়, আপনার কাজ দিয়ে শুনিয়ে দিন। একদিন আপনারও দিন আসবে। এর আগপর্যন্ত লোকজনকে বলতে দিন। Your actions talk the loudest!

৩টা কাজ করুন।

এক। কী করতে চান, সেটা লিখে ফেলুন।

দুই। কীভাবে সেটা করবেন, সেটা লিখুন।

তিন। যেখানে লিখলেন, সেটা চোখের সামনে রাখুন। ………. এই কাজটা করা কবে থেকে শুরু করবেন? আজকে বাসায় গিয়েই!! Think on paper!

Why me? এই প্রশ্নটা করে কোনো লাভই নেই। এক পাদ্রীর গল্প। কারোলির গল্প। আপনার নিজের গল্প : আপনি কী কখনোই এমন সম্মান পাননি, যেটার যোগ্য আপনি নন? What goes around, comes around. দুনিয়াটা একটা ব্যালেন্সে চলে। জীবনে অনেক পরীক্ষায়ই তো ফাউ ফাউ পাস করে গেছেন। এখন একটাতে ফেল করলে এত মন খারাপ হয় কেন? Come on! F is just a grade! Never let it define you!! What if E or G were the grade for fail?

Focus on the rabbit you want to get. If needed, change the tactics, but don’t change the rabbit. আপনি যেটা চাচ্ছেন, সেটা যদি কঠিন মনে হয়, তবে আপনি যে পথে এগোচ্ছেন, সেটার ধরণ বদলান, লক্ষ্য নয়। আপনার চেষ্টার ধরণের যা যা ঠিক বলে ভাবছেন, তার অর্ধেক ঠিক।

জিততে হলে কী অপরিহার্য? মেধা? দক্ষতা? জ্ঞান? না, কোনোটাই না। ২টা জিনিস লাগে। আবেগ আর দৃষ্টিভঙ্গি। আপনার আবেগগুলোকে ভালোবাসুন। আপনার হাতটা অনেকের হাতের চাইতে কম সুন্দর হতে পারে। কিন্তু ওটাকে বাদ দিলে আপনি যেমনি অসম্পূর্ণ, তেমনি আপনার আবেগগুলোকে বাদ দিলেও আপনি অসম্পূর্ণ। মানুষ তার আবেগগুলো নিয়ে বাঁচে। ফুটবলারের গল্প। আমার স্টুডেন্টদের গল্প। ছোটো শিশুদের গল্প। বেকার ছেলেটি কখন ২ রাত না ঘুমিয়ে পরিশ্রম করে?

আজকের পর থেকে যখনই ফুটবল কিংবা ক্রিকেট খেলা দেখবেন, তখন মনে মনে ভেবে নেবেন, আপনি ওই প্লেয়ারের জায়গায় থাকলে কী করতেন। এটা প্র্যাকটিস করুন।

ভয়ের জিনিস ততোটাই ভয়ের যতোটা আমরা ভয় পাই। ছোটোবেলায় তেলাপোকাকে ভয় পাওয়ার গল্প। বাম্বেল বি’র গল্প। পাহাড়ের উপর থেকে নিচের দিকে তাকালে কী ঘটে?

When you’re to look through the window, just look through, don’t look at.

দুঃখবাদীদের গল্প। পেসিমিজম মাত্রই সংক্রামক।

যারা আপনাকে ভালো বলেন এবং আপনার সামর্থ্যে আস্থা রাখেন, তাদের সাথে বেশি মিশুন। কেউ ভালো বললে, নিজের মধ্যে যে দায়িত্ববোধ জন্মে, সেটাকে কাজে লাগান। সমর স্যারের গল্প। স্ত্রীরা যে যে কাজকে ভালো বলে, সেগুলো বেশি বেশি করতে প্রত্যেক স্বামীই চেষ্টা করে। বিপরীতটাও একইভাবে ঘটে। এটাকে নিজের জীবনে কাজে লাগান। বিনীত মনে প্রশংসা শুনুন, উদার মনে প্রশংসা করুন।

Be a 2-dollar man. মানুষ কেন ফকিরকে ভিক্ষা দেয়?

মাঝে মাঝে গোলকিপার এদিকওদিক না দৌড়ালেই বরং গোল খাওয়ার সম্ভাবনা কমে। গোলকিপার কেন দৌড়ায়? আমরা এতে মনে করি, ও তো অন্তত চেষ্টা করেছে। গোল খেলেও কেউ অতোটা দোষ দেয় না। অন্যরা কী ভাবছে, সেটা নিয়ে কম ভাবুন।

Eat that frog! ফর্মুলা। পড়তে বসার আগে সেইদিন কী কী পড়বেন, লিখে ফেলুন। কঠিন আর বিরক্তিকর পড়াগুলোকে আগে শেষ করে ফেলুন। এতে সহজ পড়াগুলো অনেক দ্রুত শেষ করতে পারবেন। Priority ঠিক করুন। একটা কঠিন পড়া শেষ করতে পারলে নিজেকে কিছু একটা গিফট দিন। মাঝেমাঝে নিজেকে ফাঁকি দেয়ার সুযোগ দিন। রুমের দরোজাজানালা বন্ধ করে দিন। ফুল ভলিয়্যুমে গান ছেড়ে নাচুন! জীবনটা এমনই!

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

শচীন টেন্ডুলকারের গল্প।

The Main Khelega Attitude! (ভিডিও ক্লিপ)

জীবনে বড় হতে হলে habitual ‘selfish’ weakness to greatness থাকাটা জরুরি। বড়ো মানুষকে ছোটো করে দেখলে উনার কিছুই এসে যায় না। হুমায়ূন আহমেদকে লেখক হিসেবে না দেখে শাওনের স্বামী হিসেবে দেখাটা আমাদেরই মানসিক অসুস্থতা। আপনার নিজের স্বার্থে যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তাদের গুণগুলোকে replicate করার চেষ্টা করুন। যে লক্ষ্যেই পৌঁছাতে চান না কেনো, সেই লক্ষ্যের প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাবোধ রাখুন। নাহলে প্রিপারেশনে ঠিকমতো আন্তরিকতা আসে না। আল্লাহ বিনয়ী ব্যক্তিকে সম্মানিত করেন।

একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখুন। পৃথিবীর ৯৬% সম্পদ আয় করেন মাত্র ১% মানুষ। যারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা দেন, তাদের মধ্যে মাত্র ১% ক্যান্ডিডেট সফল হন। এটা কেন? এর কিছুটা এমন কিছু ফ্যাক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেগুলো নিয়ে ভাববেন না। যেগুলো আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে, সেগুলোকে কাজে লাগান। Plan to be among those 1%! বাকি ৯৯% এর দুর্ভাগ্য নিয়ে কম ভাবুন।

একটা গান একবার মাথায় ঢুকলে সেটা বাজতেই থাকে বাজতেই থাকে। গানটা যেমনই হোক! হয়তো বা এমন গান ঢুকে গেল যেটা আপনি গুনগুন করেও গাইতে লজ্জা পাবেন! আমাদের ব্রেইন যখন কোনো একটা সিগন্যাল রিসিভ করে, তখন সে শুধু দেখে আমাদের ভাবনা কী সিগন্যাল পাঠাচ্ছে। আমাদের ব্রেইন শুধু কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে। খুব সাবধানে সেগুলো বাছাই করবেন। Like attracts like. কয়েকটা বাস্তব উদাহরণ দেই। সাইয়া দিল মে আনা রে ……….

কাজের পরিবেশ নিজেই সৃষ্টি করা। হুমায়ূন আহমেদ আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উদাহরণ। আমার দরিদ্র বন্ধুর গল্প।

২টা ছোটো জিনিস ধরতে ২ হাত লাগে। ১টা বড় জিনিস ধরতেও ২ হাত লাগে। ছোটো সুযোগগুলোর মায়া ছাড়তে না পারলে, বড় সুযোগ ফসকে যাবে। বড় মাছ ধরতে ছোট মাছগুলোকে ছেড়ে দিন। আমার নিজের গল্প। পাখিদের মতো করে বাঁচুন। Leave to live.

একটা কাজ করার সময় গাড়ির হেডলাইট থিওরি ফলো করুন। পুরো বিষয়ের আগের কথা আর পরের কথা, এসবকিছু নিয়ে ভাবলে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হতে বাধ্য। বেশিরভাগ লোকই সামনের কাজগুলোকে কঠিন মনে হয় বলে যেটা ভাবা সহজ এবং সামনের কাজগুলো না করতে উৎসাহিত করে সেটা নিয়েই বেশি ভাবতে পছন্দ করে।

kuch na kaho kuch bhi na kaho (একটা ভিডিও ক্লিপ)

খুব ভালো কিছু করতে যে খুব বেশি সময় নিয়ে করতে হয়, তা কিন্তু নয়। সুন্দর কিছু করতে পরিশ্রম কিংবা বুদ্ধিমত্তার চাইতেও আবেগটাই বেশি দরকার। কম সময়ে অনেক কিছু করতে জানাটা মস্তো বড়ো একটা আর্ট। …… কুমার সানুর ২৮। কেউ কথা রাখেনি। You fill up my senses. দস্তয়ভস্কির গল্প। …….. অলস হোন। বিল গেটসের নীতি।

একটা কথা খুব সত্য৷ এ্যাকাডেমিক্যালি কেউ ভালো স্টুডেন্ট হওয়া মানেই কিন্তু তার ক্যারিয়ার ভালো হবেই, এমনটা নাও হতে পারে৷ ভালো স্টুডেন্টরা অনেকসময়ই আপনাকে সহজ টার্গেট ভাবে। তাদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগান। শেষ হাসিটা হাসার চেষ্টা করুন৷ মাঝের কিছুটা সময় না হয় কাটুক কান্নায়, অবহেলায়, তাচ্ছিল্যে৷

Stop complaining the world is not fair. Yes, it’s not fair. And, this unfair world is older than you and has charmed many people much better than you.

কোনো কাজ করার সবচেয়ে কঠিন ধাপ ২টিঃ

আপনি আসলে কী করতে চান, কীভাবে করতে চান, কেনো করতে চান সেটা ঠিক করা।

কাজটা সত্যি সত্যি শুরু করা। কোনো কাজ শুরু করার সবচেয়ে সহজ টেকনিক হল, কাজটা সত্যিই শুরু করে দেয়া।

সাফল্যের জন্যে আত্মবিশ্বাস জরুরী, নাকি আত্মবিশ্বাসের জন্যে সাফল্য জরুরী? আমাকে দিয়ে হবে না, আর পারছি না, I quit! শাহরুখ খানের গল্প।

“It always seems impossible until it’s done.” The difficulty level of most of the competitive exams is overrated. — Why? সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় যারা প্রথম হয় ওরা মানুষ তো? এইসব ভাবতাম। ………. আপনার বিসিএস হবে না বিসিএস হবে না এরকম ভাববেন না। আপনার প্রার্থনা কবুল হয়ে যেতে পারে।

Your passion pays!! Books, movies, music & of course Facebook!! No matter, whatever it is!! Basically, you were what you loved, you’re what you love, you’ll be what you’ll love!!

If you are not thinking about your dream, you are not thinking at all.

বিল গেটসের কাছে চাল-ডালের ব্যবসার আইডিয়া চেয়ে কী লাভ? কৌশলী হোন।

সাফল্যকে কখনোই ডিজার্ভ করা যায় না, সাফল্যকে আর্ন করতে হয়। আপনি সফল হওয়ার পর মনেমনে যেভাবে ভাবেন, এটা আপনার অর্জন, ঠিক একইভাবে আপনি ব্যর্থ হওয়ার পর অন্যরা মনেমনে ভাবে, এটা আপনার প্রাপ্তি।

লোকজন যেটা পারে না, কিংবা যেটাতে অভ্যস্ত নয়, ওরা ধরেই নেয়, আপনিও সেটা পারবেন না। কিছু কিছু ভাইরাস আছে, যারা কখনোই কারোর প্রশংসা করতে কিংবা সহ্য করতে পারে না। তাদের কোনো কথায়ই নিজেকে প্রভাবিত হতে দেবেন না। আপনার ঠিক কাজের প্রশংসা করতে পারে না যে, আপনার ভুল কাজের নিন্দা করার কোনো অধিকার তার নেই। নিন্দুকেরে ঘৃণা করি আমি সবার চেয়ে বেশি। তাদেরকে আপনার জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিন। শাসন করা তারেই সাজে…. Kind words are healthier than a bowl of chicken soup. অদ্ভুত কুকুরের গল্প।

ছোটোবেলায় ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে যাওয়াটা একটা বিশ্রী জিনিস, নিজেকে কিছুতেই আর ছোটো ভাবা যায় না। অন্যরা আমাকে গাধা ভাবছে, এটা মেনে নেয়ার অনভ্যস্ততা খুব কষ্টের! Sometimes it’s your bad luck! People want to see you as they want, not as you want to see yourself. Still, live in your own life. Don’t listen to others, listen to your heart.

Don’t be serious, be sincere. সবাই তো আর সবকিছু পারে না৷ এটা মেনে নিন। আপনি কোন কাজটা সবচেয়ে ভালো পারেন, সেটা বের করুন।

Stop overthinking. “If you’re going through hell, keep going.” Que sera sera — Whatever was, was; whatever is, is; whatever will be, will be. যা হবার, তা হবেই। (ভিডিও ক্লিপ)

Life didn’t come to us with a user-manual. So, it’s our right to use and to abuse it! Sometimes, failures are just too good! To fail successfully is an art.

Deciding what you really want matters. Our problem is, we don’t know what we want. It took me almost 2 decades to decide what I really want. When I’d decided finally, it took me only a few months to get what I really want.

Don’t only work hard, also work smartly.

Only your results are rewarded, not your efforts. This is the way the world accepts or rejects you.

What is SUCCESS?? It’s not the opposite of failure as popularly believed, it’s just living without sighs. It’s just dancing in the manner you want and making people think you dance well even if you don’t. It’s making your style others’ favourite brand even if it’s foolish. It’s sometimes making people laugh listening to your even worst jokes. It’s making others hear you even when you don’t speak. It’s taking the opportunity to tell others that meeting your previous millionth failure was essential, anyway. It’s making your failures worth-mentioning by you or by others. It’s living in your own way and let others live in their own ways.

By the way, he is joining the IPS! (ভিডিও ক্লিপ)

বিসিএস এবং আইবিএ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমার ফেসবুক নোটগুলি দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। ওখানে আরও অনেক বইয়ের নাম এবং পড়াশোনার অনেক টেকনিক পেয়ে যাবেন।

বেড়াল সাদা কী কালো, সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা, ইঁদুর ধরতে পারে তো?

অনেকেই বলবে, আমার তো অমুক অমুক প্রশ্ন পড়া শেষ! ব্যাপারটাকে সহজভাবে নিন৷ আপনার আগে কেউ কাজ শেষ করলেই যে শেষ হাসিটা উনিই হাসবেন—এমন তো কোন কথা নেই৷ আর কেউ আপনার চাইতে বেশি পড়াশোনা করলে সেটা তো আর আপনার দোষ না। 3 Idiots তো দেখেছেন। বন্ধুর খারাপ রেজাল্টে যতোটা মন খারাপ হয়, বন্ধুর ভালো রেজাল্টে তার চেয়ে বেশি মেজাজ খারাপ হয়। আমি যখনই দেখি, অন্যদের তুলনায় বলতে গেলে কিছুই পারি না, তখন আমি ২টা কাজ করি।

এক। বোঝার চেষ্টা করি, ওরা যা পারে, সেটা পারাটা আদৌ দরকার কিনা?

দুই। ওদের সাথে নিজেকে কম্পেয়ার করা বন্ধ করে গতকালকের আমি’র সাথে আজকের আমি’কে কম্পেয়ার করা শুরু করি।

মাঝে মাঝে পড়তে ইচ্ছে করবে না, আমারও করত না৷ সারাক্ষণ পড়তে ইচ্ছে করাটা মানসিক সুস্থতার লক্ষণ না৷ Why so serious? Job for Life, not Life for Job. অমুক চাকরিটা করতেই হবে, এমন তো নয়! আপনার রিজিক আগে থেকেই ঠিক করা আছে। কতোকিছুই তো করার আছে! তাই, ব্রেক নিন, পড়াকে ছুটি দিন৷ মাঝেমধ্যেই৷ দু’দিন পড়া হলো না বলে মন খারাপ করে আরো দু’দিন নষ্ট করার তো কোনো মানে হয়না৷ ভুল না করে শিখেছে কে কোথায় কবে? অনুশোচনা করার সময় কোথায়? আপনি তো আর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভুলটি করে বসেননি! আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী মানুষটিও নন!

২৭টি ভাবনা

এক। অতীতের যে যে কাজ করার কারণে আপনার জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে, সেসব কাজের একটা তালিকা করে আপনার বালিশের কাছে রেখে দিন আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার করে পড়ে নিন কিংবা সেসব নিয়ে ৫ মিনিট ভাবুন। সেসব থেকে কীভাবে করে দূরে থাকা যায়, প্লান করুন। পরেরবার যখন একই কাজটি করতে যাবেন, তখন অবচেতন মনেই আগেরবারের ব্যর্থতার কথাটা স্মৃতিতে চলে আসবে। যদি সেটা থেকে কীভাবে নিজেকে দূরে রাখা যায়, সে প্ল্যানটা করা না থাকে, তবে আগের ব্যর্থতার স্মৃতি পরেরবারের কাজের মানকে প্রভাবিত করতে পারে।

দুই। আপনাকে আগামী ১০ দিনে কী কী করতে হবে, সেটা নিয়ে না ভেবে আজকের দিনে কী কী করতে হবে, সেটা নিয়ে ভাবুন এবং কাজগুলি করতে শুরু করে দিন। এতে কাজকে সহজ মনে হবে।

তিন। আপনার বিপরীত লিঙ্গের কাউকে, যাকে হয়তোবা কখনওই পাবেন না, তাকে সপ্তাহে একটি প্রেমপত্র লিখুন; একেক সপ্তাহে একেকজনকে। সেখানে তার বিভিন্ন গুণের কথা লিখুন। ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন চাইলে। এটা নির্মল মানসিক আনন্দদান করে। (এই যেমন, আমি সপ্তপদী’র সুচিত্রা সেনকে নিয়ে প্রায়ই বাইকে চেপে ঘুরতে যাই……….চারুলতা’র মাধবী মুখার্জির সাথে চোখের ভাষায় দুষ্টুমি করতে থাকি………কিংবা, অড্রে হেপবার্নের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবি, এই বুঝি রোমান হলিডে’র সেই মিলিয়ন ডলার লুকটা দিল বলে…..!!)

চার। আপনার মৃত্যুর পর আপনার কবরের গায়ে কী লেখা থাকবে বলে আপনি চান? সেটা কল্পনায় আনুন এবং সেটা করার চেষ্টা করতে থাকুন। আমারটা বলছি : এখানে যে মানুষটি শুয়ে আছে, সে মৃত্যুর আগে বেঁচে ছিল।

পাঁচ। যে কাজটি করা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কিন্তু করতে ভাল লাগে না, সেটি অর্ধেক সময়ের মধ্যে করে ফেলার টেকনিক আবিষ্কার করুন। তাহলে আপনি যা যা করতে ভালবাসেন, সেগুলি করার জন্য সময় পাবেন।

ছয়। আপনার সম্পর্কে ১৫টি নেতিবাচক পয়েন্ট লিখে ফেলুন। সেগুলির কোনটা থেকে আপনি কতদিনে মুক্তি পেতে চান, সেটা পয়েন্টের পাশে লিখে রাখুন। মাঝে মাঝে সে কাগজটা উল্টে দেখুন, যে যে পয়েন্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন, সেটি সেটি কেটে দিন। আপনার করতে ভাল লাগে, এমনকিছু করে আপনার ছোট ছোট সাফল্যকে সেলিব্রেট করুন।

সাত। আপনি যে যে কাজ করতে ভয় পান, কিন্তু করা উচিত, সেসব কাজের একটি তালিকা বানান। তালিকাটি বড় করেই বানান। যত বিরক্তই লাগুক, প্রতিদিন একটি করে কাজ করতে শুরু করুন এবং এভাবে করে কয়েক সপ্তাহে কতটুকু এগিয়ে গেলেন, মিলিয়ে দেখুন।

আট। আমরা আসলে কী করতে ভালোবাসি, সেটা জানাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটা একবার জানতে পারলে, আর সেটাতে নিজের আন্তরিকতা আর প্রচণ্ড পরিশ্রম দিতে জানলে পিছিয়ে থাকার কোন কারণ নেই। আমাদের সবচাইতে বড় সমস্যা, আমাদের আসলে কী ভাল লাগে, আমরা সেটাই জানি না।

নয়। কোন একটা বিষয়ে কাজ করা শুরু করার আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে ভাবুন কাজটা কীভাবে করবেন, কতটুকু করবেন, কেন করবেন। ধৈর্য সহকারে চিন্তা করার ক্ষমতা দিয়ে মানুষ অনেকদূর যেতে পারে। নিজের ইন্টিউশনকে গুরুত্ব দিন।

দশ। কোনকিছুকেই অন্ধভাবে ফলো করবেন না। কারোর বাঁধা ছকে না পড়ে নিজের ছক নিজেই বানান। যেকোনো পরামর্শকে নিজের সুবিধা মতো কাস্টমাইজড করে নিন।

এগার। খুব রেগে গেলে মাথা নিচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে উল্টো থেকে ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত গুনতে থাকুন, কিংবা দেয়ালের অথবা সিলিংয়ের কোনার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আপনার নিজের সম্পর্কে ১০টি ভাল চিন্তা করুন। এতে রাগ কমে যাবে।

বার। গ্রেটম্যানদের নিন্দা করবেন না, নিন্দা শুনবেন না। ওরকম করলে অহংকার বাড়ে। আপনি যার সমপর্যায়ের নন, তার সম্পর্কে খারাপ বলার কোন যোগ্যতাই আপনার নেই, এটা মন থেকে বিশ্বাস করুন।

তের। জীবনের সকল ক্ষেত্রে অতিপণ্ডিত এবং অতিবুদ্ধিমানদের এড়িয়ে চলবেন। এরা সাধারণত হয় আপনার ক্ষতি করবে নিজের লাভের জন্য, কিংবা আপনার আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে দেবে।

চৌদ্দ। টিভি দেখার সময় বাঁচিয়ে প্রার্থনা করুন, বই পড়ুন, মিউজিক শুনুন, কিংবা ভাল একটা মুভি দেখুন।

পনের। নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে কাইজেন পদ্ধতি কাজে লাগান। কাইজেন মানে হল, না থেমে একটু একটু করে আরও ভাল অবস্থায় যাওয়া। অল্প অল্প করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান, কিন্তু থেমে যাবেন না।

ষোল। প্রতিদিন ২ মিনিট করে ঘড়ির কাঁটার দিকে অখণ্ড মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে থাকুন। এসময় অন্যকোন ভাবনা মনে আসতে দেবেন না। এভাবে করে টানা ২১ দিন করুন। এতে আপনার চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়বে।

সতের। প্রতিদিন আপনি আগের দিনের চাইতে কোন কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেন, একটা নোটবুকে তারিখ দিয়ে লিখে ফেলুন। আগের দিনের অসমাপ্ত কাজগুলি করার জন্য আজকের দিনের কাজ কমাবেন না, কাজ করার সময় বাড়িয়ে দিন।

আঠার। প্রতিদিন নিজের পছন্দের একটি গান গলা ছেড়ে গাইতে পারেন, কিংবা নিজের পছন্দের একটি কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন। যে যা-ই বলুক, আপনার নিজের ইচ্ছেটাকে সেলিব্রেট করুন। আপনি গান গাইবেন আপনার নিজের জন্য। যেটি আপনাকে আনন্দ দেয়, সেটি যদি কারোর কোন ক্ষতি না করে করতে পারেন, তবে সেটিকে নিয়ে কাউকে কোন বাজে কথা বলতে দেবেন না, কিংবা কারোর কোন বাজে মন্তব্যকে কেয়ার করবেন না।

উনিশ। বেশিরভাগ সময়ই ক্লান্তি একটি কল্পনা। আপনি যে বিষয়টা করতে ওই মুহূর্তে পছন্দ করছেন না, সে বিষয়ে আপনার মস্তিষ্ক বারবার সিগন্যাল পাঠায়, আপনি ক্লান্ত! আপনি ক্লান্ত! পড়ার সময় ক্লান্তি এলে পড়তে ইচ্ছে করে না, কিন্তু সে সময়ে কোন বন্ধুর সাথে ঘুরতে যেতে বললে কিন্তু ক্লান্তি কাজ করে না। কোন বিরক্তিকর কাজে ক্লান্তি এলে ওইসময়ে কোন সুখকর কাজ দ্বিগুণ পরিমাণে করে সময়টাকে ঠিকভাবে কাজ লাগান।

বিশ। মনোযোগ বাড়ানোর একটা টেকনিক ফলো করতে পারেন। আপনার রুমের এমন কিছু ছোটখাটো জিনিস দেখতে থাকুন, যা আপনি আগে কখনওই খেয়াল করেননি। সেগুলি নিয়ে ভাবতে থাকুন। সেগুলি থেকে কী কী জিনিস এই মুহূর্তেই রুম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়, ভাবুন এবং রেখেই দিন দূরে! যা আপনার দরকার নেই, তা থেকে মুক্ত হোন। প্রায়ই এমন হয়, একটা অপ্রয়োজনীয় জিনিস হাজারটা প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে নেয়।

একুশ। যাকে আপনি কোন একটা কাজে সহযোগিতা করতে পারবেন না, তাকে কখনওই বলবেন না যে সে কাজটি করতে পারবে না। যে আপনাকে কোন একটা কাজে সহযোগিতা করতে পারবে না, তাকে কখনওই বলার সুযোগ দেবেন না যে আপনি কাজটা করতে পারবেন না।

বাইশ। যে কাজটি আপনার করা খুব দরকার, সেটি প্রতিদিন অন্তত ৪ ঘণ্টা করে টানা ২১ দিন করুন; কাজটা করতে ভাল লাগুক কিংবা না লাগুক।

তেইশ। যারা ভাবেন, আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, আমি কী-ই বা করতে পারব, তারা আসলে নিজেকে ফাঁকি দেয়ার রাস্তা তৈরি করে দিতে থাকেন। এরকম চিন্তা থেকে নিজেকে ক্ষমা করে দেয়ার প্রবণতা তৈরি হয় এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করার মানসিকতা গড়ে ওঠে। এ ধারণার প্রতিদিনের চর্চার মাধ্যমে আপনি নিজেকে দুর্বল করে দিতে থাকেন, কাজের মান এবং কাজের প্রতি উৎসাহ কমতে থাকে। যাদের সাথে মিশলে আপনার ওই ধারণা আর চিন্তাভাবনা বেশি করে জাগে, তাদের সাথে কম কম মিশুন। আপনি জীবনে যেটা করতে চাইছেন, সেটা যদি আপনাকে করতে চেষ্টা করার সুযোগ দেয়া হয়, আপনি নিশ্চয়ই সেটার যোগ্য। নাহলে তো সেটা আপনাকে করার সুযোগই দেয়া হত না।

চব্বিশ। যে কাজটি আপনি জানেন, আপনাকে করা বন্ধ করে দিতে হবে, সে কাজটি করতে থাকবেন না। আপনি সে সময়ে অন্যকিছুতে মন দিন।

পঁচিশ। সুযোগ পেলেই শিশুদের সাথে একেবারে ওদের মতো করে মিশুন, খেলুন, গল্প করুন। ওদেরকে বিভিন্ন গিফট দিন। ওদের প্রিয় মানুষ হয়ে উঠুন। এটা আপনাকে আশ্চর্যরকমের নির্মল আনন্দ দেবে।

ছাব্বিশ। যদি রান্না ভাল হয়, তবে যিনি রেঁধেছেন, তাকে ডেকে তার রান্নার প্রশংসা করুন। যারা আপনার চাইতে পদমর্যাদায় কিংবা অবস্থানে ছোট, তাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলার প্র্যাকটিস করুন। যারা আপনার সেবা করছেন, তাদেরকে মাঝেমধ্যেই অকৃপণভাবে ধন্যবাদ দিন। আপনার কাছের মানুষটিকে, যাকে ভালবাসেন, তাকে তার মৃত্যুর আগেই একগুচ্ছ গ্ল্যাডিওলাস দিয়ে বলুন, ভালোবাসি! নাহলে সে ফুল তার মৃত্যুর পর কবরের এককোনায় রেখে আসতে হবে। কী লাভ? মৃত মানুষ তো আর ফুলের সুন্দর গন্ধ নিতে পারে না! মৃত হয়ে যাওয়ার বড্ড অসুবিধে এই যে, মৃতরা পৃথিবীর সব সৌন্দর্য থেকেই বঞ্চিত।

সাতাশ। যখন যা খেতে ইচ্ছে করবে, খেয়ে ফেলবেন। আপনার সবচাইতে সুন্দর পোশাকটিকে কোন বিশেষ দিনে পরার জন্য ফেলে রাখবেন না, আজকেই সেই বিশেষ দিন। কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করলে, সুযোগ হলেই চলে যাবেন। অতিরিক্ত পয়সা জমিয়ে রাখবেন না। যে দিনটির জন্য অতো পয়সা জমিয়ে রাখছেন, সে দিনটি আপনার জীবনে নাও আসতে পারে। নাচতে ইচ্ছে করলে একটুখানি নেচে নেবেন। এটাই জীবন!

মিউজিকটা শুনুন, অনুভব করুন……….

মাথা থেকে সমস্ত বাইরের চিন্তা বের করে দিন………..

ভাবুন, আপনি জীবন থেকে আসলে কী কী চান………

অন্তত ৩টা পয়েন্ট ভাবুন……… (ভিডিও ক্লিপ)

আড্ডা শেষ হোক গল্পে ……..

প্রথম গল্প:

একটা কাক গাছের উঁচু ডালে কোন কাজ না করে অলসভাবে বসে ছিল৷ ঠিক সে সময়ে ওই পথ দিয়ে এক খরগোশ যাচ্ছিলো৷ খরগোশ কাককে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা ভাই, আমিও কি তোমার মতো কোন কাজ না করে এই গাছের নীচে বসে থাকতে পারি?” কাক বলল, “নিশ্চয়ই পারো!” খরগোশ তা-ই করল৷

কিছুক্ষণ পর সেই পথ দিয়ে এক শেয়াল যাচ্ছিল৷ শেয়াল খরগোশটাকে বসে থাকতে দেখে খপ্ করে ধরে খেয়ে ফেলল৷

এই গল্পের lesson কি? lesson হলো, যখন আপনি এতটা উঁচু আসনে বসে আছেন যে, কেউ আপনাকে ছুঁতে পারবে না, তখন আপনি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন৷ তবে, এর আগে পরিশ্রম করে আপনাকে সেই আসনে বসার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে৷ ভাবুন, আপনারা এখন কোন আসনটাতে বসে আছেন৷

দ্বিতীয় গল্প:

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে একটা ছোট্ট পাখি সাইবেরিয়া ছেড়ে যাচ্ছিল৷ হঠাৎ পাখিটা জমে গিয়ে বরফের টুকরোর মতন টপ্ করে মাটিতে পড়ে গেল৷ বেশ কিছু সময় পড়ে সেই পথ দিয়ে একটা গরু হেঁটে যাওয়ার সময় পাখিটার উপর মলত্যাগ করল৷ কিছুক্ষণ পর গোবরের উষ্ণতায় পাখির গায়ের সমস্ত বরফ ঝরে গেল৷ পাখিটা তখন খুশীতে গান গাইতে শুরু করল৷ কাছেই একটা বেড়াল বসেছিল৷ গান শুনে বেড়ালটা গোবর থেকে পাখিটাকে বের করে খেয়ে ফেলল৷

এই গল্পের lesson গুলো কি কি?

প্রথম lesson হলো, Not everyone who drops shit on you is your enemy. এর মানে হল, যারা আমাদের উপরে ময়লা ছিটিয়ে দেয় অর্থাৎ আমাদের বকা-ঝকা করেন, তাদের সবাই কিন্তু আমাদের শত্রু নন; অনেকেই আমাদের ভালো চান৷ এই দলে আছেন, আমাদের বাবা-মা, সিনিয়ররা, স্যাররা৷

দ্বিতীয় lesson হলো, Not everyone who gets you out of shit is your friend. এর মানে হল, অনেকেই আছেন যাঁরা আমাদের বিপদ থেকে মুক্ত করার কথা বলে হাত বাড়িয়ে দিয়ে আরো বড় বিপদে ফেলে দেন৷ এই দলে আছেন, আমাদের আশে-পাশের সেইসব মহাপণ্ডিত ব্যক্তিরা, যাঁরা বলেন, “বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে আর কি হবে? তার চেয়ে অন্য কিছু কর৷” অথবা বলেন, “তোমাকে দিয়ে বিসিএস হবেনা৷”আমি মনে করি, If you cannot help a person to do something, you have no right to demoralize him/her saying that he/she cannot do it.

আমার মনে হয়, তৃতীয় lesson টাই সবচেয়ে important. সেটি হলো, When you are in the shit, always keep your mouth shut!! এর মানে হল, যখন আপনি বিপদে আছেন, তখন সবসময় আপনার মুখ বন্ধ রাখবেন৷ Success talks the loudest. Success can buy silence. আপনার সাফল্য সবার মুখ বন্ধ করে দিতে পারে৷ তাই, নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিন; অন্যদের প্রতি নয়৷

একমাত্র সহজ দিনটি ছিল : গতকাল

শেষ হইয়াও হইল না শেষ

The Friendship Rule : বস্! ‘ব্লক’ বাটনটা এখানে!!

নেই কাজ তো খই ভাজ! ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো ছাড়া আর কী!! ……… কেন তাড়াই?

সাঙ্ক কস্ট : কফি ও সিনেমার গল্প

Let it GO!! (ভিডিও ক্লিপ)

প্রশ্নোত্তর পর্ব

Good Luck!!