দায় নয়, দাবি

 এই মেয়ে! তুমি জন্মেছ কেন, বলো তো?
তুমি আছ বলেই তো এত কষ্টে আছি!
আবার তুমি আছ বলেই বেঁচেও আছি!
চোখের এপারে তুমি, ওপারেও তুমি, অথচ দেখি,
আমার আসা কি যাওয়ার মাঝে তুমিই শুধু নেই!
এই তুমি তুমি করে এতটা পথ যে এলাম,
তবু তোমাকে কতটা পেলাম? প্রশ্ন জাগে।



প্রশ্ন জাগে অভিমানে,
তবে এলাম কেন?
কীসের আশায়?
কীসের নেশায়?
কীসের টানে?
এই এতটা পথ হেঁটেছি বৃথাই তবে?



হঠাৎ ভাবি,
কতটা এলাম, কতটা পেলাম,
এই হিসেবের মধ্যখানে ভুলেই গেছি……
ছিল কতটুক?
হারিয়েছি কী?
ছিলামই-বা কী?
সেই আমি আর এই আমি’তে
তফাত শুধু তোমার সেতু!



আগে যা ছিলাম,
তেমনই তো আছি………
অবয়বটা খুঁজতে গেলে
মনের মধ্যে ওটাই আসে।
আর কিছু নয়,
শুধু আমার আমি’টা বদলে গেছে,
হয়েছে এখন……তোমার তুমি।



এবার তোমায় খুঁজতে গেলে
কোথায় যাব?
কোন আমি’তে, কোন তুমি’তে
তোমায় পাব?
এই আমি আর ওই তুমি’টা?
নাকি
ওই আমি আর এই তুমি’টা?



চুপ থেকো না,
একটু বলো!
এই মেয়ে! তুমি জন্মেছ কেন?
আমার হিসেব যত, গুলিয়ে দিতে?
এই যে শোনো, তারচে’ বরং মিশিয়ে ফেলো
তোমায় আমায়, ভালোবাসার রঙটা মাখো
মেঘের মতো ওই দুচোখে।
আমার যত সত্তা আছে,
মুখ আছে আর মুখোশ আছে,
তোমায় দেব।
তার বদলে তোমায় নেব।



সত্যি, মেয়ে, বলছি শোনো,
চোখ খুললেই তোমায় দেখি,
অন্য সময় তোমায় ভাবি।
সামনে তুমি, পেছনে আমি।
মুখ্য তুমি, গৌণ আমি।
প্রকট তুমি, প্রচ্ছন্ন আমি।
মুখর তুমি, মৌন আমি।
তুমি সাকারে, আমি শূন্যে।
তুমি দানে, আমি পুণ্যে।
তুমি অরণ্যে, আমি গহীনে।
আমাদের ভাগ সমানুপাতে।
অর্থ এলে অর্থ পালায়---
তোমার কাছে, আমার কাছে।



এই মেয়ে! তুমি জন্ম নিয়ো প্রতি জন্মে!
ভালোবাসতে তো কাউকে লাগে,
নাহয় আমার জন্য তুমিই এসো!
আমার জন্মে তুমিও থেকো
এমনি করে, চোখের ঘরে।